লিখেছেন শিশির
মহাম্মক যদি নারী হত - ০২
মহামাদী আর তার সাগরেদরা গনিমতের মাল খাইয়া মোটাতাজা হইয়া গ্যছে। কিন্তু সমস্যা হইল, এরা খালি গনিমতের মাল খোঁজে। এদের মধ্যে জিহাদী জোশ পুনরায় আমদানী করা দরকার। মহামাদীর ফাকিস্তানি কমান্ডার বিন্নি ল্যাদানি খবর পাঠাইছে, কাফেররা নাকি কীসব ড্রন বিমান বানাইয়া মুসলিম গো জিহাদী পতাকা ফাতা ফাতা কইরা ফালাইতাছে। এই সময় গনিমতের মাল লইয়া পইড়া থাকলে কি চলব? তাই মহামাদী এক বিশাল ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করছে। মহামাদী জানে, বেহেস্তই মালের আশাই মুমিনাদের মনে জিহাদী জোশ আনতে পারে। তাই মহামাদী বিসমিল্লা বইলাই শহীদিনীরা বেহেস্তে কি কি পাইব, তার বর্ণনা দেওয়া শুরু করল। এই ওয়াজ মাহফিলে আম্বিয়ার মায়ের লগে আম্বিয়ার বাপ এক কোনায় বইসা মহামাদীর কথা শুনতেছিল।
মহামদী: তোমরা যারা আল্লার পথে শহীদিনী হইবা আর ঈমান আনবা, তাদের লাইগা আল্লাফাক রাখছে বেহেস্ত। জানো, বেহেস্তে মুমিনাদের জন্য আল্লাফাক রাখছে ৭২ টা হ্যান্ডসাম গেলমান, যাগো সৌন্দর্যের কাছে দুনিয়ার টমি মিয়া কিছুই না। আর সমকামী বোনদের লাইগা আছে হুরপরী গো ভাণ্ডার।
এই কথা শুইনা বেয়াদপ আম্বিয়ার বাপ আর থাকবার না পাইরা আম্বিয়ার মায়ের নিষেধ না মাইনা খাড়াইয়া হুজুরাইন মহামাদীরে জিগাইল:
- হুজুরাইন , এই অবলা পুরুষগো লাইগা বেহেস্তে কিছু নাই?
মহামাদী: তুমি ঈমান আনো। কাফেরী জাইঙ্গা খুইলা ছহী আলখল্লা আর হিজাব পর। ঠিকমতো আম্বিয়ার মায়ের খেদমত করবা। চাহিবামাত্র চাষ করতে দিবা। তাইলে তুমিও বেহেস্ত পাইবা।
আম্বিয়ার বাপ: তা তো বুজলাম , কিন্তু আমাগো লাইগা বেহেস্তে আল্লাফাক কী কী রাখছে?
মহামাদি: বেহেস্তে গেলে তুমি ১৬ বছরের যুবক হইবা, আম্বিয়ার মা ৩০ বছরের যুবতী হইয়া যাইব। ফলমূল, খানাপিনা সব পাইবা।
আম্বিয়ার বাপ: আর কিছু নাই?
মহামাদী: তুমি বেহেস্তি গেলমান গো সর্দার হইবা, নুরানী চেহারা পাইবা, বেহেস্তি খানা খাইবা, আর কি চাও, হে আবাইলা পুরুষ?
আম্বিয়ার বাপ: ওই যে হুর-গেলমান গো কথা কইলেন যে!
মহামদী: না, ওইসব তোমার জন্য না। ওগুলান খালি মুমিনাদের জন্য।
আম্বিয়ার: হুঃ! যামু না বেহেস্তে! আবার হেই আম্বিয়ার মায়ের লগেই থাকা লাগব!
এদিকে মহাআদীর এই অপমানে আল্লার আরশে ভুমিকম্প শুরু হইয়া গ্যাছে। মাথামোটা পুরুষ দোযখের আগুন ভয় পায় না। বেহেস্তি নেয়ামত অস্বীকার করে। অবাধ্য পুরুষগুলারে শায়েস্তা করার জন্য সাথে সাথে আল্লাফাক আসমান থাইকা ওহী পাঠাইল:
"আজকে থেকে পুরুষেরা বাড়ির বাহিরে যেখানে সেখানে যেতে পারবে না। নিশ্চয় গৃহই তাদের উপযুক্ত স্থান।"
এবং
"যারা আল্লার নবীর প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য আনবে না, যারা প্রশ্ন করবে ,যারা প্রকশ্য অথবা গোপনে ব্যভিচারের ইচ্ছা পোষণ করবে, তারা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্থানে নিক্ষিপ্ত হবে। আর দুনিয়ায় তাদেরকে সর্বসম্মুখে মাটিতে পুঁতে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হবে।"
এভাবেই আল্লাফাক পুরুষের ইজ্জত রক্ষা করলেন। আর যারা আম্বিয়ার বাপরে পাথর ছুঁড়ে অনার কিলিং মানে সম্মানের সহিত মৃত্যুর সুযোগ কইরা দিলেন, তাদের জন্য আল্লাফাক রেখেছেন কচি বেহেস্তি আঙুর। তিনি মহান এবং দয়ালু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন