শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২

গীবতের ইতিবাচক দিক

লিখেছেন লর্ড যিউস

কেউ কারো গীবত করলে যার গীবত করা হয়, তার পাপ গীবতকারীর আখেরি খাতায় জমা হয়। আর যে গীবত করে, তার পুণ্য গিবত্য লোকের খাতায় চলে যায়। এই ভাগাভাগির পরিমাণ কতটুকু, তা জানা না থাকলেও ধারণা করা যায় পাপ-পুণ্য ট্রান্সফারের পরিমান গীবতের মাত্রার উপর নির্ভর করে।

গীবত করার ফলাফল জানিয়ে প্রিয়নবী বলেছেন, যদি একান্তই কারো গীবত করতে হয়, তবে নিজের মায়ের গীবত কর, কারণ এতে তোমার পুণ্য অন্য কারো কাছে না গিয়ে তোমার সবচেয়ে আপনজনের কাছে রয়ে যাবে।

নবীকে নিয়ে ফিল্ম বানানোটা গীবতের পর্যায়েই পড়ে। আর হাদিস অনুসারে, এতে স্পষ্টভাবে লাভবান হয়েছেন প্রিয় নবী মুহাম্মাদ। বাসিলের যত বাসি পুণ্য আছে, সব ট্রান্সফার হয়ে যাচ্ছে নবির অ্যাকাউন্টে। কিন্তু নবীর এই লাভের সময়ে বাধ সাধল তারই প্রাণপ্রিয় উম্মতেরা। তারা কি নবীর ঐ হাদিসটি পড়েনি? তারা কি নবীর ভাল চায় না? এদের জন্যই আজ ইসলাম আর মুহাম্মাদের এই দুরাবস্থা। প্রতিটা ইবাদতে (ঊর্ধ্বপোঁদে, দুর্গন্ধ মুখে, দুই হস্তে, ভোঁ.. চক্কর) তারা নবীর পুণ্য বাড়াতে অতিরিক্ত নবী-বন্দনা করে, অথচ স্বয়ং নবী এর সবচেয়ে সহজ উপায় বাতলে দিয়ে গেছেন। গীবত, গীবত, গীবত। যত পার নবীর গীবত কর। নবীকে নিয়ে আরো বেশি বেশি সিনেমা, গল্প (চটি), কার্টুন ইত্যাদি বানিয়ে তাকে পচাও। এতে আখেরে লাভ হবে নবীরই। তা না করে নির্বোধ উম্মতেরা বাসিলের মুভির বিপক্ষে মিছিল-হরতাল করে নিজেরাই মরছে। বাসিলের মাথার দাম ঘোষণা করেছে। আবার তোরা মুমিন হ! বাসিল নিশ্চয় মনে মনে বলছে, যার জন্য করলাম চুরি, সে-ই বলে চোর।

আবাল মুসলিমদের কর্মকাণ্ডে লজ্জিত এক মুসলিমের বানানো পোস্টার

যাই হোক, আমার প্রিয় ঈমানদার মুমিন, মুমিনারা আসুন আমরা আবার আমাদের ঈমান পরীক্ষা করি। নাস্তিক কাফেরদের ষড়যন্ত্রে পড়ে আমরা আমাদের উদ্দ্যেশ্য, লক্ষ্য ও কার্যক্রম থেকে ক্রমেই সরে যাচ্ছি। যদি আমরা আসলেই আমাদের নবীকে মুহাব্বাত করি, তবে আমরা আজ থেকে যত পারব নবীর গীবত করব, তাকে দুনিয়ার সবচেয়ে ঘৃণ্য মানুষ হিসেবে তুলে ধরব। প্রতিদিন অন্তত একটি স্ট্যাটাস নবীর গীবতে ব্যয় করব। আর এভাবেই কাল হাশরের ময়দানে আমরা তার শাফায়াতের অধিকারী হতে পারব, এনশাল্লা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন