বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১২

ইছলামসম্মত শাদী মোবারক ও ছহীহ নারী-অধিকার

হে মুমিনগণ, আরফিন রুমিকে কেউ গালি দিও না, তাতে নবীর কলিজা ছিদ্র হইতে পারে। আরফিন রুমি দুইটি বিয়ে করেছে, এতে দোষের কিছু নেই। ইহা পরিপূর্ণ ইসলামসম্মত বিধান। হাদিস-কোরান পড়ুন, জানার চেষ্টা করুন। নাস্তিকদের মত উদ্ভট আচরণ করবেন না! আল্লাহ পাকের পথে আসুন, বিয়ে করুন, যৌনদাসী রাখুন, নিয়মিত নামাজ পড়ুন। পালন করুন সীলমোহরযুক্ত নবীর খাঁটি ইসলাম। এবার আসুন রুমির বিয়ে নিয়ে ইসলামসম্মত আলোচনায়। 

কোরানের সূরা নিসায় আল্লাহ পাক বলেছেন: “মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত।” 

অতএব প্রথমেই তওবা করে নিন আরফিন রুমিকে গালি দেওয়ার জন্য। আপনারা রুমির বিরোধিতা করছেন, অথচ হাদিসে আছে: "পুরুষের অধিক বিবাহের ব্যাপারে বাধা দেওয়া উচিত নয়" (Sahih Bukhari 8:77:598) 

হে অধম মুমিন্স, আপনারা কি পেয়ারা নবীর জীবনী পড়েননি? আমাদের নবী গুনে গুনে এক-দুই-তিন করে তেরটি বিয়ে করেছিলেন! সুবানাল্লাহ! এ ছাড়া বাইশ’জন নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক করেছেন বলে আমাদের জানা আছে। তাহলে কিসের ভিত্তিতে রুমির বিরোধিতা করেন? রুমির তো মাত্র দুইটা বউ। হাদিস মতে: নারীরা হচ্ছে কুকুরের সমতুল্য [Sahih Bukhari 1:9:490, 1:9:493] কুকুরকে এতো দাম দেওয়ার দরকার কী? আরফিন রুমি বিবেকবান মানুষ, তিনি ঘরে একটি কুকুর রেখে নতুন কুকুর এনেছেন, এতে দোষের কিছুই নেই। 

কথাগুলো শুনতে আপনার খারাপ লাগলে বুঝবো আপনে কাফের নাস্তিক। প্লিজ, আর যা-ই হোন, নাস্তিক হয়েন না। নাস্তিকরা নারীবাদের কথা বলে, কিন্তু তাঁদের নারীবাদ ইসলামসম্মত নয়। এখন চেষ্টা করবো আপনাকে ইসলামের নারীবাদের বোঝানোর, আপনি নীরবে পড়ে যান। 

চলুন মূল আলোচনায়। বলছিলাম ইসলামের যৌনদাসীদের অর্থাৎ নারীদের কথা। সহি বুখারিতে আছে: “রসূল বলেছেন নারীরা ভালোবাসার অযোগ্য" [সহি বুখারি 7:62:17 ] এই কথার আমরা প্রমাণ পেয়েছি নবীজীর তের বিয়ের ইতিহাস থেকে। বিষয়টি আমাদের একটু গভীরে বুঝতে হবে অর্থাৎ এক মাল কিছু দিন পরেই তিতা হয়ে যায়। তাই নতুন যৌনদাসী অর্থাৎ বউ প্রয়োজন। বুঝতে হবে, নবীজি বোঝাতে চেয়েছেন নতুন বিয়ের কথা। আরফিন রুমি ইসলামের পথের পথিক, তাই তিনি ঘরে নতুন যৌনদাসী বা কুকুর এনেছেন।


কোরানের সূরা আল বাকারা ২৮২ নং এবং নিসার ১১ নং আয়াত পড়ে আমরা জানতে পেরেছি: “নারীদের মর্যাদা পুরুষের অর্ধেক।” এর থেকে আমরা বুঝতে পারি, আরফিন রুমি ঘরের পাল্লা সমান করতে চেয়েছেন। অর্থাৎ দুই বউ মিলে এখন আরফিন রুমির সমান হয়েছে। এতে রুমির পরিষ্কার ইসলামী নারীবাদী এবং সাম্যবাদী মন ফুটে উঠেছে। সহি বুখারির হাদিস অনুসারে: নারীরা পুরুষের অর্ধেক সম্পত্তি পাবে। আরফিন রুমি বেচারা গান গেয়ে কয় পয়সা কামায়। সে চায় বউয়ের পিতার সম্পত্তি। আরফিন রুমির দুই বিয়ে করায় এখন অধিক সম্পত্তি পাবে। তাছাড়া আমরা হাদিসে পড়েছি: নারী পুরুষের জন্যে বয়ে আনে খারাপ ভাগ্য। হয়তো রুমির প্রথম স্ত্রী রুমির খারাপ ভাগ্যের কারণ। আবার দেখুন না, দ্বিতীয় স্ত্রী থাকে আমেরিকা, সুতরাং রুমিও আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাবে। তাই বলা যায়, রসুল ঠিক বলেছে, কিছু নারী পুরুষের জন্য খারাপ ভাগ্য বয়ে আনে। (Sahih Bukhari 7:62:30-32, 4:52:110-111 Sahih Muslim 36:6603-6604) সুতরাং আরফিন রুমির দ্বিতীয় বিবাহ যুক্তিসঙ্গত। 

রুমি অনেক ভালো ছেলে, সে চাইলে তার প্রথম স্ত্রীকে বন্ধক দিতে পারতো। ইসলাম বলছে: স্ত্রী বন্ধক রাখা যায় (Sahih Bukhari 5:59:369) কিন্তু আল্লাহ পাকের দয়ায় রুমি সে কাজ করেনি। কিংবা যদি রুমির প্রথম স্ত্রী যদি তাঁকে তালাক দিত, তবে কী হত? এরও ইসলাম সম্মত উত্তর আছে; হাদিস মতে: “স্বামিকে তালাক দিতে চাইলে প্রাপ্ত সকল দেনমোহর ফেরত দিতে হবে" (Sahih Muslim 7:63:197-19) বেচারি কোত্থেকে স্বামীর দেনমোহর ফেরত দেবে? ফেরত দিলে ওই মেয়ে চলবে কেমনে? তাই রুমি তার প্রথম বউকে যে তার সাথে রেখেছে, এটাই বেশি। বোঝাই যাচ্ছে, রুমি বাস্তবে দরদী মনের মানুষ। কোরান অনুসারে: নারী পুরুষের চাষযোগ্য ক্ষেত্র (কোরান-2:223) এখন স্ত্রী দোষে রুমি যদি ঠিক মত তার জমিতে লাঙ্গল চালাতে না পারে, তবে তার কী করা উচিত? উত্তর হবে, অবশ্যই দ্বিতীয় বিয়ে। ইসলাম মতে: স্বামীর যৌনআকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে নারী বাধ্য (Sahih Muslim 8:3368) আমরা জানি আমাদের নবী করিমের প্রিয় স্ত্রী ছিল আয়েশা, কারণ তিনি আয়েশার ওপর নবীজি ভালো মত লাঙ্গল চালাতে পারতেন। এটাও আরফিন রুমির পক্ষের যুক্তি। 

আজ আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করছে, পুরুষের যৌনচাহিদা একটু বেশি। হাদিস পড়ে আমরা জেনেছি: আমাদের নবীর ছিল সাধারণ মানুষের তুলনায় ত্রিশগুন বেশি যৌনশক্তিসম্পন্ন। পুরুষ যে কোনো মুহূর্তে কামে আসক্ত হতে পারে। আবার সহবাস ছাড়াও উপায় নেই, কারণ হস্তমৈথুন ইসলামসম্মত নয়। রসূল বলেছেন: “নারী শয়তানের প্রতিরূপ, যাদের দেখার সাথেই স্ত্রীর সাথে এসে যৌন সংসর্গ ক্রয়া উচিত" [Sahih Muslim 8:3240, 3242]” আহা, কী মধুর বাণী! কিন্তু কোরানের সূরা বাকারা ২২২ নং আয়াত এবং হাদিস মতে: “নারী রজ্বচক্র চলাকালীন তারা অপবিত্র।” ইসলাম আবার অপবিত্রতা গ্রহণ করে না। এই ধরনের মুহূর্তে আরফিন রুমির কী করা উচিত, যদি তার একমাত্র স্ত্রী অপবিত্র থাকে? সুতরাং রুমির দ্বিতীয় বিবাহ যুক্তিসঙ্গত। এখন সে যে কোনো মুহূর্তে নারী-শস্যক্ষেত্রে লাঙ্গল চালাতে পারবে। 

হাদিসে আছে: “নারীতে নিহিত আছে যাবতীয় খারাপ" (Sahih Bukhari 4:52:110, 4:52:111) তাই আমাদের উচিত এই খারাপের মধ্যে ভালো বের করা। রুমির প্রথম স্ত্রীর মধ্যে হয়তো তেমন কোন ভালো ছিল না, তাই রুমি দ্বিতীয় বিবাহে বাধ্য হয়েছেন। আমরা হাদিস পড়েছি আমরা জানি, "নারীরা বিশ্বাস ঘাতক" (Sahih Bukhari 4:55:547), "তাঁরা পুরুষের জন্যে ক্ষতিকারক" (Sahih Bukhari 7:62:33) কিন্তু তবুও পুরুষরা কেন নারী-অধিকারের কথা বলে রুমির বউয়ের পক্ষে নিচ্ছে, বুঝি না! রুমি তো চাইলে বউকে তালাক দিতে পারতো। এজন্য রুমির কোর্টে যাওয়ারও দরকার নেই। কারণ ইসলামে আছে, “যেকোন সময় শুধু মুখের কথায় তালাকের অধিকার রয়েছে শুধু পুরুষেরই (Quran 2:228-232 Sahih Bukhari 8:4871-82 Sahih Muslim 9:3493) রুমি চাইলে বউ পিটাতে পারতো কিন্তু তাও করে নি। তবে ইসলামে স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার অধিকার আছে পুরুষের (Quran 4:34 Sahih Muslim 4:2127 Abu Dawud 11:2141) স্ত্রী-প্রহারকারী স্বামীদের কাছে কোনো জবাব চাওয়া হবে না (Abu Dawud 11:2142) তবে বেশি মারা যাবে না, যেহেতু রাত্রিকালীন প্রয়োজন মেটাবে তারা (Sahih Bukhari 7:62:132) এখানে রুমির বিশাল মানবিক গুণ ফুটে উঠেছে। 

ইসলামী পণ্ডিত গাজালি তাঁর বই ‘গাজালি দ্বিতীয় খণ্ডে’ বলেছেন: “সব সময় নারীদের বিরোধী অবস্থান নিতে হবে, তাতে আছে পুরস্কার” কিন্তু তবুও অনেকে বলেছে রুমি খারাপ, আরে রুমি খারাপ না রুমির বউ খারাপ। ইসলাম বলে: নারী খারাপ, নারী নিকৃষ্ট (Sahih Bukhari 9:88:219), নারী অকৃতজ্ঞ (Sahih Bukhari 1:2:28), নারী খেলার পুতুল (Al-Musanaf Vol.1 Part 2 p.263), নারীতে নিহিত আছে যাবতীয় খারাপ (Sahih Bukhari 4:52:110, 4:52:111) 

জানি, এত কিছুর পর আপনারা আর রুমির বিপক্ষে যাবেন না, কারণ ইসলাম তা-ই বলে। তবে যারা এখনও নারীবাদী, তাঁদের নিয়ে রসূল বলেছেন “নারীবাদী এবং নারীরা বুদ্ধিহীন (Sahih Bukhari 2:24:541) তাই তাঁরা এইসব বলার দুঃসাহস করে। যারা নারীর পক্ষে কথা বলে এবং নারী তাঁরা সব দোজখে যাবে (Sahih Muslim 36:6596, 36:6597 ) তাই নারীবাদী নাস্তিক থেকে দূরে থাকুন। 

শেষ পর্যায়ে বলবো, আপনারা গুজবে কান দেবেন না, সীলমোহর যুক্ত নবীর ইসলাম বেছে নিন। আর রুমির প্রথম বউকে বলবো, তার সতিনের সাথে স্বামীর যৌন সম্পর্কের আগে যেন রুমিকে তৈরি করে দেওয়া হয়। কারণ হাদিসে আছে: "অন্য স্ত্রীর সাথে যৌনসংসর্গের পুর্বে স্বামীকে প্রস্তুত করে দেওয়া সুন্নত" (Sahih Bukhari 1:5:270) এছাড়া নারীদের কাজই বা কি? হাদিসে আছে: “তাদের একমাত্র কাজ পুরুষের সেবা করা।” রুমির দুই বউকে বলবো, “আপনারা সব সময় তৈরি থাকুন স্বামীর সাথে যৌন সম্পর্কের জন্য। মনে রাখবেন, হাদিসে আছে, ‘যৌনাঙ্গ যেকোন সময়ের জন্যে স্বামীর উদ্দেশ্যে প্রস্তুত রাখা বাধ্যতামুলক (Sahih Bukhari 4:54:460, 7:62:81) 

মাথায় রাখবেন, সহি ইসলাম কী। ইসলামের পথে আসুন, দ্বীনের আলো প্রচার করুন।

* ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন