মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক
(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)
পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯ > পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২
আচ্ছা, স্ত্রীলোকের যৌনাঙ্গসমুহের ওপর দৃষ্টিপাত সম্পর্কে ইসলামী শাস্ত্রের বিধান কী? সবাই জানেন, গোপনে গোপনে এই রসালো কাজটি করতে পুরুষের লোভের অন্ত নেই। এই কারণেই প্লেবয় মার্কা পর্নো ম্যাগাজিনের রমরমা ব্যবসা বাজারে। ঝকঝকে মলাটের ওপর নগ্ন নারীমুর্তি নিয়ে বিচিত্র সব ম্যাগাজিন প্রতিনিয়ত ডাকছে আপনাকে, লুকিয়ে লুকিয়ে এক ঝলক দেখে চোখের সুখ মিটিয়ে নিচ্ছেন আপনি। তবে কোনো ইসলামী ভাই কখনও তা স্বীকার করবে না। যৌনাঙ্গের কথা বাদ দিন। তাদের মতে স্ত্রীজাতির নাভির নীচে দৃষ্টিপাত করা সরাসরি হারাম। এতে কবিরা গুনাহ হয়। এমনকি মেয়েদের খোলা হাতের দিকে তাকানোও পাপ, কারণ কে জানে কখন সেই ‘মৃণালসদৃশ্য ভুজযুগল’ হতে মদনশর বের হয়ে ইসলামি ভাইয়ের নরম বুক বিদ্ধ করে বসে। ইসলামী ভাইদের নৈতিকতা এতটাই উঁচু আর ভঙ্গুর যে, সুরক্ষিত দুর্গে আবদ্ধ করে না রাখলে যে কোনো সময়ে তা ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে পারে। স্ত্রী অঙ্গের প্রতি দৃষ্টিপাত না করার এই ইসলামী বিধান কি সকলের বেলায় সমভাবে প্রযোজ্য? আপনি বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, এই বিধান সকলের বেলায় সমভাবে প্রযোজ্য নয়।
নারীটি যদি দুর্ভাগ্যক্রমে দাসী হয়, তবে তার সর্বাঙ্গ দর্শন করা হান্ড্রেড পারসেন্ট জায়েজ। আমি আবার বলছি-তার সর্বাঙ্গ; অর্থাৎ তার বক্ষ, তার যোনি, তার ভগাঙ্কুর, তার পায়ুপথ সবকিছুকেই আপনি আপনার দৃষ্টি দিয়ে ইচ্ছেমত লেহন করতে পারেন। এতে কোনো পাপ হবে না আপনার। মাশাল্লাহ, কী অপুর্ব নেয়ামত আল্লাহপাক আপনার জন্যে সৃষ্টি করে রেখেছেন।
আমার কথা যদি আপনার বিশ্বাস না হয়, নিচের হাদিসটি পড়ুন।
স্লেভ-উয়োম্যানের (ক্রীতদাসী) জননেন্দ্রিয়ের প্রতি তাকানো জায়েজ।(দ্য হেদাইয়া কমেন্টারি অন দ্য ইসলামিক ল’স, (পুণর্মুদ্রন-১৯৯৪); অনুবাদ- চার্লস হ্যামিল্টন , পৃ-৫৯৯)।
স্ত্রী অথবা ক্রীতদাসীর শরীরের যে কোনো অংশের দিকে তাকানো জায়েজ:
কোনো লোক তার ক্রীতদাসীর শরীরের যে কোনো অংশের দিকে তাকাতে পারবে, এমনকি জননেন্দ্রিয়ের প্রতিও, যদি সে ইচ্ছে করে, তবে শর্ত থাকে যে, সে নিষিদ্ধ সম্পর্কের আওতায় পড়ে না; এবং সে তার স্ত্রীর সর্বাঙ্গের প্রতিও তাকাতে পারবে, কারণ নবী বলেছেন- “তোমার স্ত্রী এবং ক্রীতদাসী ছাড়া আর সকলের প্রতি দৃষ্টিকে সংযত রাখ।” তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত সঙ্গমাদিতে একে অপরের যৌনাঙ্গের প্রতি দৃষ্টিপাত না করাই উত্তম, কারণ নবী বলেছেন, “তোমরা যখন স্বগোত্রীয় স্ত্রীলোকের সাথে সঙ্গম করবে, তখন যত দূর পার নিজেদেরকে ঢেকে রাখবে; এবং ততটা উলঙ্গ হয়ো না, কারণ গর্দভ প্রজাতি এরূপ করে থাকে।”
ওপরোক্ত নির্দেশে স্ত্রীর সাথে যৌনসঙ্গমকালে সংযত আচরণ অনুসরণ করতে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে দাসী-প্রজাতির সাথে যথেচ্ছ আচরণ করা থেকে বিরত রাখতে কে তাকে নিষেধ করবে? বস্ততঃ ইসলামের দৃষ্টিতে দাসী বাজার থেকে কিনে আনা একটি সেক্স মেশিন ছাড়া আর কিছু না, তার প্রভু বা মাষ্টার মেশিনটিকে যেভাবে খুশি সেভাবে চালাতে পারে, যা সে স্ত্রীর ক্ষেত্রে পারে না। কেন ইবনে ফাহদ স্ত্রীদের চেয়ে দাসীদের কাছে বেশী তৃপ্তি পায়, তার নিগুঢ় রহস্যটি বোধ হয় এখানেই নিহিত (দ্রষ্টব্যঃ উপরে বর্ণিত মুয়াত্তাঃ বুক নং-২৯, হাদিস নং-২৯.৩২.৯৯)।
(আগামী পর্বে সমাপ্য)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন