প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি থাকলেই কাউকেই শিক্ষিত বলা কি উচিত, যদি সে মুক্তচিন্তা করতে না পারে? কয়েকটি পাঠ্যপুস্তক পড়ে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করাটাই কি শিক্ষিত হবার পরিচায়ক? বিশ্বাস ভেঙে যাবে বলে প্রশ্ন করতে ভীত হলে সেই শিক্ষার মূল্য কতোটা? তেমন তথাকথিত শিক্ষিত ব্যক্তিকে সুশিক্ষিত বলা যাবে?
আরজ আলী মাতুব্বর। জন্ম ১৯০১, মৃত্যু ১৯৮৬ সালে। গ্রাম্য কৃষক। স্কুল-কলেজের ডিগ্রি তাঁর ছিলো না। তাঁর ভাষায় - "সেকালের পাঠশালার দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত" পড়েছেন। কৃষিকাজের অবসরে নিজ উৎসাহে ও উদ্যোগে পড়াশোনা করেছেন দূর শহরের লাইব্রেরিতে পায়ে হেঁটে গিয়ে। তিনি স্ব-শিক্ষিত এবং সুশিক্ষিতও। তিনি কুসংস্কারমুক্ত ছিলেন বলে মুক্তচিন্তা করতে পারতেন। ধর্মীয় রীতিনীতি ও কুসংস্কার বিষয়ে যতো প্রশ্ন এসেছে তাঁর যুক্তিমনস্ক মস্তিষ্কে, তিনি সেসবের উত্তর খুঁজেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন, প্রচ্ছন্ন সরস কটাক্ষ করেছেন। ডিগ্রিধারী ক'জন শিক্ষিত লোক তা করে থাকে?
তিনি তাঁর লব্ধ জ্ঞান ও নিজস্ব অনুসন্ধিৎসু বুদ্ধিবৃত্তির অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়ে কয়েকটি বই রচনা করেন। তাঁর ভাষাজ্ঞান, রসবোধ অপূর্ব। তাঁর প্রতিটি রচনাই সুপাঠ্য। এবং আমি মনে করি, তাঁর লেখা অন্তত একটি বই প্রতিটি মুক্তচিন্তাশীল মানুষের পড়া উচিত অতিঅবশ্য। নাম "সত্যের সন্ধানে"।
এই বইটি আরজ আলী মাতুব্বর রচনা সমগ্র ০১-এর অন্তর্ভুক্ত। এই খণ্ডের সূচিপত্র:
২৮৯ পৃষ্ঠার বইয়ের আকার ৪৫ মেগাবাইট একটু বেশিই মনে হতে পারে। তবে খুব চমৎকার মানের পিডিএফ।
ডাউনলোড লিংক।
(লিংকের পাতায় গিয়ে ওপরে বামদিকে নিম্নমুখী তীরচিহ্নে ক্লিক করে ফাইলটি ডাউনলোড করুন)
লিংক পাঠিয়েছেন নবারুণ।
লিংক পাঠিয়েছেন নবারুণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন