পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২
আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার আল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে মানব জাতির জ্ঞানার্জনের সহায়তায় অন্যান্য আর যে সমস্ত বাণী বর্ষণ করেছেন, তার আরও কিছু নমুনা:
১৮:১১-১২ - তখন আমি কয়েক বছরের জন্যে গুহায় তাদের কানের উপর নিদ্রার পর্দা ফেলে দেই। অতঃপর আমি তাদেরকে পুনরত্থিত করি, একথা জানার জন্যে যে, দুই দলের মধ্যে কোন দল তাদের অবস্থানকাল সম্পর্কে অধিক নির্ণয় করতে পারে।
>>> কত দিন ঘুমিয়ে ছিলেন? এক লক্ষ বারো হাজার সাত শত পঁচাশি দিন! কোনো খাদ্য ও পানীয় ছাড়া একজন মানুষ সর্বোচ্চ কত দিন বাঁচতে পারে?
২) একশ বছর মৃত অবস্থায় থেকে ফের উঠে বসা!
২:২৫৯ - তুমি কি সে লোককে দেখনি যে এমন এক জনপদ দিয়ে যাচ্ছিল যার বাড়ীঘরগুলো ভেঙ্গে ছাদের উপর পড়ে ছিল? বলল, কেমন করে আল্লাহ্ মরনের পর একে জীবিত করবেন? অত:পর আল্লাহ্ তাকে মৃত অবস্খায় রাখলেন একশ বছর| তারপর তাকে উঠালেন| বললেন, কত কাল এভাবে ছিলে? বলল আমি ছিলাম, একদিন কংবা একদিনের কিছু কম সময়| বললেন, তা নয়; বরং তুমি তো একশ বছর ছিলে।...
>>>মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন!
৩) সুর্যের অস্তাচল ও উদয়াচলের স্থান!
১৮:৮৬ - অবশেষে তিনি (জুলকার নাইন) যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।
১৮:৯০ - অবশেষে তিনি যখন সূর্যের উদয়াচলে পৌছলেন, তখন তিনি তাকে এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদয় হতে দেখলেন, যাদের জন্যে সূর্যতাপ থেকে আত্নরক্ষার কোন আড়াল আমি সৃষ্টি করিনি।
>>> এই নিরেট উদ্ভট (utterly nonsense) বর্ণনাটিকে বৈধতা দিতে চরম বিশ্বাসীরা মরিয়া হয়ে যে-প্রতারণাটির আশ্রয় নেন, তা মোটামুটি এ রকম: "এটা জুলকারনাইনের বর্ণনা! জুলাকারনাইনের কাছে যা মনে হয়েছিল, তা-ই তিনি বলেছিলেন। আল্লাহ তো বলে নাই যে সূর্যের উদায়চল/অস্তাচলের স্থান আছে।" Really! ১৮:৮৬ এবং ১৮:৯০ অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দিচ্ছে:
(১) "অবশেষে তিনি যখন সূর্যের অস্তাচলে/উদয়াচলে পৌছলেন"; অত:পর,
(২) "তিনি সূর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে /... উদয় হতে দেখলেন"
সূর্যকে সমুদ্রে অস্ত যেতে কিংবা কোনো সম্প্রদায়ের ওপর উদয় হতে জগতের সকল মানুষই অনন্তকাল ধরেই দেখে আসছে। এটা কি কোনো উল্লেখযোগ্য বিষয়? এখানে যা উল্লেখযোগ্য তা হলো, "অবশেষে তিনি যখন সূর্যের অস্তাচলে/উদয়াচলে পৌঁছলেন।" এর পরও যদি কোনো পাঠকের বুঝতে অসুবিধা হয়, তবে তিনি সহি বুখারীর ৪:৫৪:৪২১ অথবা ৬:৬০:৩২৬ হাদিসটির সহায়তা নিতে পারেন। মুহাম্মদ অত্যন্ত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তার বিশিষ্ট সাহাবী আবুজর গেফারী (রাঃ) কে জ্ঞান শিক্ষা দিচ্ছেন:
বুখারী: ভলিউম ৪, বই ৫৪, নম্বর ৪২১মাওলানা আজিজুল হকের অনুবাদ (৬.১৯১৭)আবুজর গেফারী (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন:একদা আমি সূর্য অস্ত যাওয়াকালে হযরত রসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অসাল্লামের সংগে মসজিদে ছিলাম। হযরত (দঃ) আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে আবুজর! জান কি, সূর্য্য কোথায় যাইতেছে? আমি আরজ করিলাম, একমাত্র আল্লাহ এবং আল্লার রসুলই তাহা জানেন। হযরত (দঃ) বলিলেন, সূর্য চলিতে চলিতে আরশের নীচে যাইয়া সেজ্দা করিবে এবং (সম্মুখপানে চলিয়া উদিত হওয়ার) অনুমতি প্রার্থনা করিবে। তাহাকে অনুমতি দেওয়া হইবে। কিন্তু এমন একটি দিন নিশ্চয় আসিবে যে দিন সে এইরূপ সেজদা কবুল হইবে না (তথা তাহার সেজদার উদ্দেশ্য পূরণ করা হইবে না)।অনুমতি চাহিবে, কিন্তু তাহাকে ঐ অনুমতি দেওয়া হইবে না। তাহাকে আদেশ করা হইবে—যেই পথে আসিয়াছ সেই পথে ফিরিয়া যাও। যাহার ফলে সূর্য অস্তমিত হওয়ার দিক হইতে উদিত হইবে। ইহাই তাৎপর্য্য এই আয়াতের, ‘সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ -(৩৬:৩৮)।
৪) দুই সমুদ্রের মাঝখানে অদৃশ্য অন্তরায়!
২৫:৫৩ - তিনিই সমান্তরালে দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন, এটি মিষ্ট, তৃষ্ণা নিবারক ও এটি লোনা, বিস্বাদ; উভয়ের মাঝখানে রেখেছেন একটি অন্তরায়, একটি দুর্ভেদ্য আড়াল।
৫৫:১৯-২০ - তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত করেছেন। উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না।
>>> আমরা নিশ্চিতরূপে জানি যে উভয়ের মাঝখানে কোনই অন্তরায়/অন্তরাল নেই। নদীর মিষ্ট পানি সমুদ্রের লোনা পানির তুলনায় অপেক্ষাকৃত অল্প ঘনত্বের। যখন নদীর পানির ধারা সমুদ্রে মিলিত হয় তখন লোনা পানিটি থাকে নীচের স্তরে (বেশী ঘনত্ব) আর নদীর পানিটি উপরের স্তরে। আরবরা বহু যুগ ধরেই সমুদ্র পথে ব্যবসা করে আসছেন। তাদের কাছে এ বিষয়টি কখনোই অজানা ছিল না, মুহাম্মদের কাছেও তা অজানা থাকার কথা নয়। এই প্রত্যক্ষ দর্শন জ্ঞানের সাথে মুহাম্মদ জুড়ে দিয়েছেন "উভয়ের মাঝখানে অন্তরায়' যা নি:সন্দেহে অসত্য। ভিন্ন ধারার এ স্রোত দুটি একে অপরের সাথে শুরু থেকেই অনবরত: মিশ্রিত হতে থাকে। কিন্তু সম্পূর্ণ হতে লাগে সময়। দূরে গিয়ে তারা সম্পূর্ণভাবে মিশ্রিত হয়ে হয় একই ঘনত্ব-প্রাপ্ত, একই ধারা। তাই, ২৫:৫৩ এর "দুর্ভেদ্য আড়াল" আর ৫৫:২০ এর "যা তারা অতিক্রম করে না" একেবারেই আজগুবি।
৫) ঝুলাও রশি আকাশ পর্যন্ত!
২২:১৫ - সে ধারণা করে যে, আল্লাহ কখনই ইহকালে ও পরকালে রাসূলকে সাহায্য করবেন না, সে একটি রশি আকাশ পর্যন্ত ঝুলিয়ে নিক; এরপর কেটে দিক; অতঃপর দেখুক তার এই কৌশল তার আক্রোশ দূর করে কিনা।
>>> আকাশ কি কোন কঠিন বস্তু যে তাতে রশি ঝুলানো যায়? নি:সন্দেহে মুহাম্মদ আকাশকে কঠিন ছাদ মনে করেছিলেন! খালি চোখে মেঘমুক্ত আকাশকে শক্ত ছাদ ছাড়া আর কিছু কী মনে হয়? অন্যত্র মুহাম্মদ(আল্লাহ) ঘোষনা দিয়েছেন, “–নির্মাণ করেছি তোমাদের মাথার উপর মজবুত সপ্ত-আকাশ (৭৮:১২)!
৬) রাত্রি যদি হয় কেয়ামত পর্যন্ত!
২৮:৭১ – বলুন, ভেবে দেখ তো, আল্লাহ যদি রাত্রিকে কেয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করেন, তবে আল্লাহ ব্যতীত এমন উপাস্য কে আছে, যে তোমাদেরকে আলোক দান করতে পারে? তোমরা কি তবুও কর্ণপাত করবে না?
>>> নিঃসন্দেহে মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহর (আল্লাহ) দিন ও রাত্রির কারণ অথবা জীবনের উদ্ভব সম্বন্ধে সামান্যতম ধারনাও ছিল না। থাকলে কিয়ামত দিন পর্যন্ত রাত্রিকে বিলম্বিতের উদ্ভট সম্ভাবনার উল্লেখ করতেন না। সেক্ষেত্রে পৃথিবীকে হতে হবে হয় "সূর্যহীন অথবা সূর্যালোক বঞ্চিত।" সেই সূর্যহীন বা সূর্যালোক বঞ্চিত পৃথিবীতে "প্রাণের উদ্ভব" হবে কোত্থেকে? চূড়ান্তভাবে সূর্যই যে পৃথিবীর সকল প্রাণ-শক্তির উৎস (Ultimate source of Energy), এ ব্যাপারে আদৌ কি কোনো সন্দেহের অবকাশ আছে? রাত্রিকে যদি কেয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করানো হয়, তবে আর আমাদের কারোরই আলোর প্রয়োজন হতো না। কারণ সে অবস্থায় পৃথিবীতে কোনো প্রাণেরই অস্তিত্ব থাকতো না। যেখানে কোনো প্রাণই নেই সেখানে, "কে আছে, যে তোমাদেরকে আলোক দান করতে পারে” বাণীটি যে অর্থহীন উদ্ভট প্যাচাল, সে ব্যাপারে আদৌ কি কোনো সন্দেহের অবকাশ আছে? মানুষের বেঁচে থাকার সবচেয়ে অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হলো অক্সিজেন। যা না থাকলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই মানুষ সহ যাবতীয় অক্সিজেন-নির্ভর প্রাণীর ভবলীলা সাঙ্গ হবে। এই অক্সিজেনের তৈরি হয় দিনের আলোতে। সবুজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। তাই দিনের আলো না থাকলে অক্সিজেনের অভাবে মানুষসহ যাবতীয় অক্সিজেন-নির্ভর প্রাণীর মৃত্যু ঘটবে।
সুতরাং, নিশ্চিতরূপেই বলা যায় যে, অক্সিজেন, তার অত্যাবশ্যকীয়তা এবং সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার বিষয়ে প্রবক্তা মুহাম্মদ স্বাভাবিক ভাবেই সামান্যতম ধারণারও অধিকারী ছিলেন না। থাকলে তিনি আল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে "রাত্রিকে কেয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করার" উদাহরণ মনুষ্যকুলকে শোনাতেন না!
৭) আদি মানুষের আয়ুষ্কাল ছিল ৯৫০ বছর!
২৯:১৪ - আমি নূহ (আঃ) কে তাঁর সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছিলাম। তিনি তাদের মধ্যে পঞ্চাশ কম এক হাজার বছর অবস্থান করেছিলেন। অতঃপর তাদেরকে মহাপ্লাবণ গ্রাস করেছিল। তারা ছিল পাপী।
>>> ৯৫০ বছর বয়সের জীবিত মানুষ! কবে? কখন? কোথায়? বিজ্ঞানের বদৌলতে আজ আমরা নিশ্চিতরূপে জানি যে, এ তথ্য একেবারেই উদ্ভট! বিজ্ঞান এর সম্পূর্ণ বিপরীত সাক্ষ্যবাহী। খোলা আকাশের নিচে বন-জংগল-গুহায় অবস্থান, প্রকৃতির প্রতিকূলতা ও বন্য পশুর আক্রমণের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রতিরক্ষার অভাব, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে অজ্ঞতা এবং জীবাণুনাশক ঔষধ (Antibiotic) বঞ্চিত পরিবেশে শিশু ও মা মৃত্যু (Infant and Maternal mortality rate) সহ অন্যান্য যাবতীয় মৃত্যুর হার আদি যুগে ছিল এখনকার তুলনায় অনেক অনেক বেশী। বিজ্ঞান জানাচ্ছে, সে রকম পরিবেশে আমাদের পূর্ব পুরুষদের গড় আয়ু ছিল মোটামুটি ১৫-২৫ বছর। ৩০,০০০ বছরের বেশী আগের পৃথিবীর মনুষ্য পরিবারে জীবিত দাদা-দাদী/নানা-নানীদের (Grand parents) সংখ্যা ছিল স্বল্পই। অল্প বয়সে বেশির ভাগ মানুষেরই মৃত্যু হবার কারণে কোনো পরিবারে একই সাথে জীবিত তিন-পুরুষের (Three generation) অবস্থান ছিল অত্যন্ত নগণ্য। তাই নুহ (আঃ) এর ৯৫০ বছর জীবিত থাকার বয়ান মুহাম্মদের বহু "প্রলাপ"-এরই একটি!
৮) জ্যান্ত মাছের পেটের ভিতরে বসে তসবীহ পাঠ!
৩৭:১৪২-১৪৪ - অতঃপর একটি মাছ তাঁকে (ইউনুস আঃ) গিলে ফেলল, তখন তিনি অপরাধী গণ্য হয়েছিলেন। যদি তিনি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন, তবে তাঁকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত।
>>> জীবন্ত মাছের পেটের মধ্যে বসে বসে মানুষের তসবিহ পাঠ! কিয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটে জীবন্ত মানুষ! বর্ণান্ধ (Color Blind) ও ধর্মান্ধ (Religious Blind) ব্যক্তির মধ্যে মিল এই যে, প্রথম জন শারীরিক প্রতিবন্ধী, আর দ্বিতীয়জন মানসিক প্রতিবন্ধী। বর্ণান্ধ ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট "রং" দেখতে পান না। সেই নির্দিষ্ট রংটি ছাড়া অন্যান্য রং চিনতে তার কোনই অসুবিধা হয় না। তার "অন্ধত্ব" শুধু একটি নির্দিষ্ট রংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তেমনি একজন ধর্মান্ধ ব্যক্তি তাঁর নিজ ধর্মগ্রন্থে "উদ্ভট" কোন কিছুই খুঁজে পান না। কিন্তু তাঁর বিশ্বাসের ধর্মটি ছাড়া অন্য ধর্মগ্রন্থের যাবতীয় উদ্ভট গল্প তিনি অবলীলায় শনাক্ত করতে পারেন। একজন ধর্মান্ধ মুসলমান বেদ ও বাইবেলের যাবতীয় অসংগতি, অবাস্তবতা ও অবৈজ্ঞানিক বিষয় অতি সহজেই বুঝতে পারেন। কিন্তু তিনি 'কোরানের' অসংগতি, অবাস্তবতা ও অবৈজ্ঞানিক কোন কিছুই বুঝতে পারেন না। একইভাবে কোনো ধর্মান্ধ খ্রিষ্টান পারেন না তাঁর বাইবেলের অসংগতি ও অবাস্তবতা বুঝতে। তিনি পারেন কোরান ও বেদের বাণীর অসারতা বুঝতে। জ্যান্ত মানুষকে কোনো মাছ গিলে ফেললে অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষটির ভবলীলা সাঙ্গ হবে, তা যে কোনো সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন মানুষ অতি সহজেই বুঝতে পারেন। তা সে তসবিহ পাঠ করুন আর না-ই করুন! কী উদ্ভট বর্ণনা, "যদি তিনি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন, তবে তাঁকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত”! পৃথিবীতে এমন কোনো মাছ আছে কি, যার আয়ু হতে পারে "কিয়ামত তক"?
উদ্ভট! উদ্ভট! উদ্ভট! এহেন বহু উদ্ভট ও অবাস্তব গল্পে ভরপুর মুহাম্মদের (আল্লাহ) বাণী সমষ্টির সঙ্কলনকে যারা "অভ্রান্ত বিজ্ঞানময় কেতাব" রূপে আখ্যায়িত করেন, সে জনগোষ্ঠী যে জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা ও প্রগতিতে পৃথিবীর সর্বনিম্ন স্থানটি অধিকার করবেই সে ব্যাপারে আদৌ কি কোনো সন্দেহের অবকাশ আছে?
পুনশ্চ: "একটিই যথেষ্ট, দুইটি অতিরিক্ত"
শুধু “একটি মাত্র” ভুল-অবাস্তব অথবা অসামঞ্জস্য থাকলেই একশত ভাগ সুনিশ্চিত ভাবেই বলা যাবে যে কুরান 'বিশ্ব-স্রষ্টার' বাণী হতে পারে না । সেক্ষেত্রে, মুহাম্মদের দাবি মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অথবা মানসিক বিভ্রম।
[কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হেরেম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া; অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট অনুবাদকারীর পাশাপাশি অনুবাদ এখানে।
(চলবে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন