অনুবাদ: খেলারাম পাঠক
(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)
পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯ > পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩
ইসলামপূর্ব এবং ইসলাম-পরবর্তী আমলে অমানবিক যৌনদাসত্ব প্রথা প্রচলিত ছিল। এই প্রথাকে ইসলাম সমর্থন করে এবং ইসলামের মহামনীষীরা তাদের জীবনে তা নিষ্ঠার সাথে পালন করে গেছেন। কিন্তু মুশকিল হলো এই যে, আধুনিক ইসলামপন্থীরা এই সত্যটা স্বীকার করতে চান না। তারা খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে প্রমাণ করতে চান যে, ইসলাম দাসীদের সাথে সহবাসের অনুমতি দিয়েছে ঠিকই, তবে সহবাসের আগে দাসীটিকে বিয়ে করে নিতে হবে। তাদের এই যুক্তি যে নেহায়েতই খোঁড়া যুক্তি এবং আসল সত্যকে আড়াল করার অপপ্রয়াস, আশা করি ইসলামী শাস্ত্র ঘেটে আমি এতক্ষণে তা প্রমাণ করতে পেরেছি।
ক্রীতদাসী এবং স্ত্রী যে সম্পুর্ণ ভিন্ন ভিন্ন দুটি প্রজাতি, আশা করি পাঠক-পাঠিকরা তা ভালভাবেই অনুধাবন করতে পেরেছেন। আমি এখন শেষ তথ্যটি পেশ করে প্রসঙ্গটির এখানেই ইতি টানতে চাই। আসল সত্য এই যে, একজন মুসলমান বাজার থেকে ক্রীতদাসী ক্রয় করে তার সাথে যৌনমিলন ঘটাতে পারে, তবে তাকে বিয়ে করতে পারে না! নিজের ক্রীতদাসীকে বিয়ে করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ! বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তাহলে হেদাইয়া বর্ণিত নীচের আইনটি পড়ে নিন।
নিজের ক্রীতদাসীর সাথে বিবাহ নিষিদ্ধ, তবে সেক্স করা জায়েজ---(প্রাগুক্ত-পৃ-৩১৭)।
আইনের দৃষ্টিতে বিবাহের অযোগ্যতা:
বিবাহের ক্ষেত্রে নয়টি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যথা:-
...
(৮) এমন স্ত্রীলোক যে সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত (prohibited by reason property), তার সাথে বিবাহ নিষিদ্ধ। যথা - নিজের ক্রীতদাসীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া অবৈধ (অপরের মালিকানাধীন দাসীকে বিবাহ করা বৈধ)।
রেফারেন্সসমুহ:
১. দ্য হলি কোরান; অনুবাদ- আঃ ইউসুফ আলী, পিক্থল, শাকির।
২. সহি বুখারি; অনুবাদ- ডঃ মোহম্মদ মহসিন খান।
৩. সহি মুসলিম; অনুবাদ- আব্দুর রহমান সিদ্দিকী।
৪. সুনান আবু দাউদ; অনুবাদ- প্রফেসর আহম্মদ হাসান।
৫. ইমাম মালিক রচিত মুয়াত্তা; অনুবাদ- আ’শা আব্দুর রহমান এবং ইয়াকুব জনসন।
৬. ডিকসনারি অব ইসলাম-১৯৯৪, গ্রন্থকার- টি.পি.হাফস।
৭. ইমাম গাজ্জালির ইয়াহ্ আল উলুমেদ্দিন (আব্দেল সালাম হারুন কর্তৃক সংক্ষেপিত-১৯৯৭); ডঃ আহম্মদ এ. জিদান কর্তৃক সংশোধিত এবং অনুদিত।
৮. রিলাইয়ান্স অব দ্য ট্র্যাভেলার (সংক্ষিপ্ত সংস্করণ)-১৯৯৯, গ্রন্থকার- আহম্মদ ইবনে নাগিব আল মিসরি, সংকলক- নুহ হা মিম কেলার।
৯. শারিয়া দ্য ইসলামিক ল’-১৯৯৮, গ্রন্থকার-আব্দুর রহমান ই. ডই।
১০. ইবনে ইসহাকের সিরাত রাসুলুল্লাহ, অনুবাদ- এ. গুইলম, ১৫তম সংস্করণ।
১১. দ্য হেদাইয়া কমেন্টারি অন দ্য ইসলামিক ল’স-(পুণর্মুদ্রন-১৯৯৪); অনুবাদ- চার্লস হ্যামিল্টন।
(শেষ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন