আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১২

ইসলামে কাম ও কামকেলি - ৪১

মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক

(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)

পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯ > পর্ব ৪০

বিশেষ বিশেষ শর্তসাপেক্ষে পিতা তার ক্রীতদাসীটিকে ছেলের কাছে হস্তান্তর করতে পারে।
মুয়াত্তা, বুক নং-২৮, হাদিস নং-২৮.১৫.৩৮:
......আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের বরাত দিয়ে ইবরাহিম ইবনে আবি আবলা বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (আব্দুল মালিক) জনৈক বন্ধুকে তার এক ক্রীতদাসী (ধার) দিয়েছিলেন, এবং পরবর্তীতে একদিন দাসীটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন- “আমি তাকে আমারে ছেলেকে দিতে চেয়েছিলাম, সে দাসীটির সাথে এই এই করতে পারবে, এই এই করতে পারবে না।” আব্দুল মালিক বললেন, “মারওয়ান তোমার চাইতেও বেশী খুতখুতে ছিল। সে তার ছেলেকে নিজের দাসী দিল, তারপর বলল- ‘তার কাছে যেও না, কারণ আমি উন্মোচিত অবস্থায় তার পা দেখেছি।” মনিব তার মহিলা স্লেভ কিংবা পুরুষ স্লেভের ক্রীতদাসীর সাথে সেক্স করতে পারে। (মুয়াত্তা, ২৯.১৭.৫১)।
এ এক সুকঠিন চেইন, ঠিকমতো অনুধাবন করতে পাঠকের কষ্ট হতে পারে। ধরুন, আপনার একজন ক্রীতদাস বা একজন ক্রীতদাসী আছে। সেই ক্রীতদাস বা ক্রীতদাসীর আবার একজন ক্রীতদাসী আছে। এই হাদিস অনুসারে আপনি আপনার ক্রীতদাসের ক্রীতদাসী অথবা ক্রীতদাসীর ক্রীতদাসীর সাথে সেক্স করতে পারবেন। এবার বুঝুন ঠেলা।
মুয়াত্তা, বুক নং-২৯, হাদিস নং-২৯.১৭.৫১:
.....আব্দুল্লাহ ইবনে উমর বলেছেন- “যদি কোন ব্যক্তি তার দাসকে বিয়ে করার অনুমতি দেয়, তাহলে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার ক্ষমতা উক্ত দাসের হাতে, এবং তার এই তালাক দেয়ার ক্ষমতার উপর কারও কোন হাত নেই। মনিব ইচ্ছে করলে তার পুরুষ দাসের স্লেভ-গার্ল কিংবা মেয়ে-দাসীর স্লেভ গার্লকে (নিজের অধিকারে) নিয়ে নিতে পারে, এরুপ করতে চাইলে কেউ তাকে বিরত রাখতে পারে না।”
দাসীরা আপনার চাষাবাদ করার ক্ষেত্র, আপনার ইচ্ছে হলে আপনি ক্ষেত্রের ভেতরে জল ঢালতে পারেন, ইচ্ছে হলে তাকে তৃষ্ণার্তও রাখেতে পারেন। অর্থাৎ দাসীর সাথে কয়টাস ইন্টারাপশন বা যোনির বাইরে বীর্যপাত করা আপনার ইচ্ছাধীন। (মুয়াত্তাঃ ২৯.৩২.৯৯)
মুয়াত্তা, বুক নং-২৯, হাদিস নং-২৯.৩২.৯৯:
.......আল হাজ্জাজ ইবনে আমর ইবনে ঘাজিইয়া’র বরাতে দামরা ইবনে সাইদ আল-মাজিনি কর্তৃক বর্ণিতঃ তিনি (হাজ্জাজ) জায়িদ ইবনে ছাবিতের নিকট বসেছিলেন, এমন সময় ইবনে ফাহদ তার কাছে আসল। সে ইয়েমেন থেকে এসেছিল। বলল-“আবু সাইদ, আমার কয়েকটি ক্রীতদাসী আছে। আমার যে কয়জন স্ত্রী আছে তারা কেউ আমাকে তাদের মতো (দাসীদের মতো) তৃপ্তি দিতে পারে না; (তবে) সবাই যে আমাকে এমন তৃপ্তি দেয় যে তাদের দ্বারা সন্তান উৎপাদন করতে হবে - তাও নয়। (এমতবস্থায়) আমি কি আজল অবলম্বন করতে পারি?" জায়িদ ইবনে ছাবিত বললেন, “তোমার কী মত, হাজ্জাজ!”
“আমি বললাম- ‘আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন! আপনার কাছ থেকে জানার জন্যেই আমরা আপনার কাছে আসি।’ তিনি (আবারও) বললেন- ‘তোমার মত কী’! ‘আমি বললাম, ‘সে তোমার জমি। যদি তুমি ইচ্ছে করো পানি দাও, যদি ইচ্ছে করো তৃষ্ণার্ত রাখ। জায়িদের কাছে আমি এমনটিই শিখেছি।’ জায়িদ বললেন, ‘সে ঠিক কথাটিই বলেছে।”
(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন