বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১২

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৪২

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

২০৬.
আল্লা বলেছেন, প্রিয়তম প্রাণ তাঁর উদ্দেশ্যে খুন করতে। তাহলে তিনি খুব খুশি হবেন। হাট থেকে কিনে আনা অপরিচিত একটি পশু কেমন করে কারো প্রিয়তম হতে পারে, বুঝি না!

২০৭.
আমি অনেক স্বঘোষিত নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী ও সংশয়বাদীকে দেখেছি জুম্মার নামাজ পড়তে, পূজা করতে, ঈদের নামাজ পড়তে এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করতে। তারা বলে থাকে, এসব তারা সামাজিকতা হিসেবে করে; ধর্ম পালন হিসেবে নয়। আমি বুঝি না, প্রার্থনার অভিনয় কীভাবে সামাজিকতার অংশ হয়! এটা তো ধর্মের সাথেও প্রতারণা, আবার নিজের সাথেও। তেমনি অনেক নাস্তিকই ধুমধাম করে পশু জবাই করে উল্লাস করে। জানি না, হত্যাকাণ্ডে তাদের এত আনন্দ আসে কীভাবে। 

২০৮.
আল্লাহ ওদের হৃদয় ও কর্ণে মোহর মেরে দিয়েছেন এবং ওদের রয়েছে চক্ষু পরিপর্দা, ওদের জন্য আছে শক্ত শাস্তি। (কুরান ২:৭)
যাদেরকে মোহর মেরে শ্রবণ-প্রতিবন্ধী করে রাখা হয়েছে, দোষ কি তাদের? নাকি যে এই জঘন্য অপরাধ করেছে, তার? শক্ত শাস্তি কার প্রাপ্য, অপরাধকারীর নাকি ভিকটিমের?

২০৯.
অবশ্যই স্রষ্টা আছেন। নাহলে সৃষ্টি এলো কোত্থেকে? সেই স্রষ্টার স্রষ্টার স্রষ্টার স্রষ্টার ... ... ... স্রষ্টারও স্রষ্টা আছেন। না হলে তাঁরা এলেন কোত্থেকে?

২১০,
খাদিজা যদি মুহাম্মদের পরে মারা যেত, তবে ইসলামের ইতিহাস অন্যরকম হত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন