লিখেছেন অজাতশত্রু
ছোটবেলা থেকে ঈশ্বরে বিশ্বাস হত না। নিরন্তর এই ঈশ্বরকে দেখার চেষ্টা করে দেখার চেষ্টা করেছি সৃষ্টিকর্তাকে। দশ বছরের বেশি অপেক্ষা করার পর ঈশ্বরের দেখা পেলাম না। হঠাৎ মাথার ব্রেন থেকে ঈশ্বরের উদ্ভব ঘটে। সেখানে একের পর এক সূরা নাজিল হয়। সম্প্রতি ভেবে দেখলাম যে, সব ধর্মের মিশ্রণে একটি নতুন ধর্মমতের সূচনা করা যায়। সেই ধর্মের মহাপুরুষ নবী নাই। চিন্তা করলাম, সর্বধর্ম মহাপুরুষ হয়েই যাই। এই ধর্ম তো সর্বজনস্বীকৃত বৈজ্ঞানিক ধর্ম, তাই না?
সূরা আল কাবজাব
ঢাকায় অবতীর্ন, আয়াত-১০, রুকু-২
বহমান বহিনু আমার নিজের নামে
১. সব তারিফ আমার জন্য, যে এইরকম লেখা লিখতে পারে আর বিনোদন দিতে পারে।
২. আমি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছি মহাউন্মাদ হিসেবে যে ধার্মিকদের নিয়ে মজা করে আর তাদের চরিত্রকে শুধরানোর পরামর্শ দেয়।
৩. উন্মাদনা চিরকাল থাকবে এবং ধার্মিকেরা ভয় পাবে।
৪. ভণ্ড ধর্মব্যবসায়ীরা কখনই সত্য কথা বলে না, সত্য বড়ই কঠিন ব্যাপার যা ভণ্ডরা বলতে পারে না আর তাদের মুখ দিয়ে কখনই সত্য বের হয় না।
৫. তুমি কি মনে কর গুহায় গেলেই ওহী নাজিল হয়? কম্পিউটারের সামনেও হয়।
৬. ঘটনাটা ছিল এরকম যে, অনেকদিন বাসায় নিজের রুমে দরজা বন্ধ করে বই আর কম্পিউটারের সামনে বসেছিলাম।
৭. পড়তে পড়তে একদিন আস্তিক-নাস্তিকের চিন্তার পার্থক্য দেখলাম এবং দুই পক্ষের অবস্থান নির্ণয় করলাম।
৮. সবার কথা শুনলাম, দেখলাম, কেউ কাউকে মানুষ হিসেবে দেখে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান হলাম।
৯. ধার্মিকদের সৃষ্টিকর্তার বয়ান আর নির্ধার্মিকের যুক্তি চোখে পড়লো।
১০. এবার আমার উপর একের পর এক ওহী নাজিল হওয়া শুরু হল।
(ওহী নাজিল চলবে)
বিদ্যাদেবীর বিশ্লেষণ
স্বরস্বতি মহাভাগে, বিদ্যা কমললোচনে,
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী, বিদ্যাং দেহি নমহস্তুতে।
বঙ্গানুবাদ:
'স্বরস্বতি মহা ভাগে' মানে বিদ্যা চাইলে ভাগে। 'বিদ্যা কমল লোচনে' মানে বিদ্যার সময় মাথায় কেমিকেল লোচা হইলে স্বরস্বতির নাম মনে আসে। 'বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী' মানে বিশ্বের সব মানুষ তার কাল্পনিকরূপ বিশাল চোখে দেখে। 'বিদ্যাং দেহী নমহস্তুতে' মানে স্বরস্বতি বলছেন, বিদ্যা দেখি আমার হাতে নেই। নম হল নেই, হস্তুতে মানে হাতে।
(মন্ত্রের বাংলাকরণ চলবে)
এবং খ্রিষ্টান আর বৌদ্ধদের বাণী আসছে সামনেই…
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন