আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১২

লুক্স লিখিত সুসমাচার - ০৩

লিখেছেন লুক্স

১৬.
যে ধর্ম নিয়া এত লাফালাফি, সত্য প্রমাণের জন্য এত গলাবাজি, বৈজ্ঞানিক লেবাস দেওয়ার জন্য কত কসরত, সেই ধর্মটা কিন্তু পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। বুঝে-শুনে তুলনা করে গ্রহণ করা না। কোনো কারনে যদি এদের জন্ম হিন্দু পরিবারে হতো, তাহলে কিন্তু এরাই আবার মহা উৎসাহে ওইটারেই একমাত্র সত্য ধর্ম বলে দাবি করে বসতো। বেদে সব আছে বলে হনুমানের মতো লম্ফ ঝম্ফ দিতো।

১৭.
মুসলমানরা যে কোনো হামলার পরিকল্পনা করে মসজিদে বসে, আর হামলা করে মসজিদ থেকে বাদ নামাজ। মসজিদই যত নষ্টের গোড়া।

১৮.
আমাদের গ্রামের বাড়ির কাঠমিস্ত্রি বরকত আলী একজন ক্লাশ থ্রি পাশ করা লোক। সে কোনো ধর্ম বিশ্বাস করে না। বরকত আলী আমাকে একবার প্রশ্ন করেছিল, ইসলাম যদি সত্য ধর্মই হবে তাহলে আল্লাহ ইসলামকে পৃথিবীর প্রথম ধর্ম হিসাবে পাঠালো না কেন?
অথচ আমাদের দেশের মুসলমান সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের মাথার ধর্মের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নাই।

১৯.
ফটোশপের মিরাকল, অন্ধবিশ্বাস, ধর্মানুভূতি, তলোয়ার আর সুইসাইড বোমা হচ্ছে ফাইভ ষ্টার ধর্মের ঈমানের ৫টা মূল স্তম্ভ।

২০.
আকাশ ও পৃথিবী কি করে বলে যে “আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম”?
“বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থির কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা। তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমারা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন – পর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে। অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধম্রকুঞ্জ, অতৎপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।” ৪১-সুরা হা-মীম:৯-১১।”

২১.
মানুষ চান্দে গেছে- এইডা আমি বিশ্বাস করি না। মানুষ চান্দ থেইক্যা আইস্যা ইসলাম গ্রহণ করে, এইডা বিশ্বাস করি।

২২.
ইসলামে বউ পিটানো, বহুবিবাহ, শিশু বিবাহ, নারী অবমাননা, কাফের হত্যা, দাসী ভোগ, যুদ্ধবন্দি নারী ভোগ, হুরের স্বপ্ন, সাম্প্রদায়িকতা, কল্লা কাটা, হাত কাটা, চক্ষু উটপাটন, ফরজ যুদ্ধ, ফরজ জিহাদ,- ইত্যাদি দেখে মুসলমানরা কষ্ট পায় না। আমরা অনলাইনে এর সমালোচনা করি, তা দেখে মুসলমানরা খুবই কষ্ট পায়।

২৩.
হযরত, আল্লামা, রহঃ, রাদিঃ, শায়খুল হাদিস - এসব টাইটেল কারা দেয়? কীভাবে পাওয়া যায়?

২৪.
অমুসলিম কোনো ব্যক্তির মৃত্যুসংবাদ শুনে মুসলমানরা বলেন,‘ফি না-রি জাহান্নামা খা-লিদিনা ফি-হা আবাদা’ (অর্থাৎ, মৃত্যুর সাথে সাথে অনন্তকালের জন্য তোমরা ঢুকে পড়ো ভয়ষ্কর জাহান্নামের অগ্নিকুণ্ডে)। ‘কাফের’ মারা গেলে মুসলমানদের তো খুশি হওয়ারই কথা। তারা কি ভুলে গেছেন নবীজির সেই হাদিস? ‘আল্ মুসলিমু আখুল মুসলিম’ অর্থাৎ মুসলমান মুসলমানের ভাই। (দ্রষ্টব্য: সহি মুসলিম শরিফ, বুক ৩২, চ্যাপ্টার ৮, নম্বর ৬২১৯); মুসলমান হিন্দুর ভাই হবে কেন? মুহাম্মদ(দঃ) তো বলেননি, সারা দুনিয়ার মানুষ ভাই-ভাই। 

২৫.
যে ধর্মের সৃষ্টিকর্তা মানুষকে বোবা করে দেন, অন্ধ করে দেন, অন্তর ও চক্ষুতে সীল মেরে দেন, কানে তালা মেরে দেন,- সেই সৃষ্টিকর্তা নিরপেক্ষ নন। সেই সৃষ্টিকর্তার সমালোচনা করা যেতেই পারে।

বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্ট-এ 'লুক লিখিত সুসমাচার'-এর আদলে সিরিজটির নামকরণ করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন