আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১২

লুক্স লিখিত সুসমাচার - ০৫

লিখেছেন লুক্স

৩৬.
হজ্জ্ব করতে যে পরিমাণ টাকা এবং সময় লাগে, প্রায় সেই একই পরিমাণ টাকা আর সময় দিয়ে প্যারিস এ লুভর মিউজিয়াম দেখা সম্ভব। কাবা ঘরে আছে মাত্র একটি কালো পাথর আর লুভর এ দেখার মতো আছে ৩৫ হাজার বিশ্বনন্দিত শিল্পকর্ম। অবশ্য হজ্জ্ব করার আগে পর্যাপ্ত পাপ করতে হয় আর লুভর দেখার আগে করতে হয় পর্যাপ্ত পড়াশুনা। Choice is yours. 

৩৭. 
হাশীশের প্রভাব সব সময়ই সবার ওপরে একই হয়। সে কারনেই কোনো ধর্মগ্রন্থেই পৃথিবী ঘোরে না।

৩৮.
কেউ যখন হজ্জ্বে যাবার আগে সবার কাছে দোয়া চায়, তখন বুঝতে হবে তিনি আসলে ব্যাপারটা সবাইকে জানাতে চান। আমরা যেমন London বা Paris যাবার আগে সবাইকে শোনাই, ঐ রকমই। এটা মুসলমানদের একটা ফুটানি আরকি। আরে ভাই. নামাজ পড়ার আগে যেমন কারো দোয়া লাগে না, তেমনি হজ্জ্ব করার আগেও কারো দোয়া লাগে না। অবশ্য সবাইরে না জানাইয়া গেলে হঠাৎ করে আপনার নামের সাথে আলহাজ্জ্ব টাইটেলটা নিয়া মানুষ চ্যালেঞ্জ করতে পারে। কিন্তু ভালো কাজ গোপনে করতে হয়, একথা আমি মুসলমানদেরকেই বেশি বলতে শুনেছি। আচ্ছা, মুসলমানদের কথায় আর কজে মিল নাই কেন? মুসলমানরা বড় গরু কুরবানী দেয় মানুষরে দেখাইয়া, সীমান্তে আটক ইন্ডিয়ান শাড়ী দিয়া যাকাত দেয় দেখাইয়া, হজ্জ্বও করে দেখাইয়া। 

৩৯.
একজন সৃষ্টিকর্তাকে কি এমন অক্ষম মনে হয় যিনি প্রায় ১২৪,০০০ ব্যর্থ নবী প্রেরণের পর শেষনবী মুহম্মদ কতৃক সফল হলেন ?

৪০.
হজ্জ্ব আর কুরবানী মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটি বিলাসিতা ও অপচয়। হজ্জ্ব মানেই হচ্ছে দরিদ্র দেশের মুসলানদের কষ্টার্জিত বিপুল পরিমান অর্থ প্রতি বছর সৌদি আরবকে উপহার হিসেবে দিয়ে আসা। গত দেড় হাজার বছরের ইতিহাসে হজ্জ্ব যে মুসলমানদের চরিত্রে বিন্দু মাত্র পরিবর্তন আনেনি, তা কাফেরদের সাথে তাদের চরিত্র ও আচরণের তুলনা করলেই বোঝা যায়। আর কুরবানী মানেই ভিক্ষাবৃত্তিকে প্রশ্রয় দেয়া। প্রতি বছর শুধুমাত্র কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে যে লক্ষ লক্ষ পশু হত্যা করা হয়, তা না করে সারা বছর ধরে এ পশুগুলো বাজারে সরবরাহ করা হলে বাজারে পশুর মাংশের দাম দরিদ্র ও সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকতো। দরিদ্রদেরকে বছরে একদিন মাংস খাওয়ার জন্য ভিক্ষা করতে হতো না। 

৪১.
ইসলামে মানুষকে কেটে ফেলার উৎসবই বন্ধ করা করা গেল না, পশু কাটার উৎসব কি আর এতো সহজে বন্ধ করা যাবে! মুসলমানদের সভ্য হতে আরো সময় লাগবে। ইউরোপিয়ান দেশগুলোর সভ্য হতে অনেক সময় লেগেছিল। খুন আর রক্তের উৎসব বন্ধে শিক্ষার বিকল্প নেই। 

৪২. 
বিশ্বাস করুন আর না করুন, এটি কোরানের একটি সূরা। সূরা লাহাব।
[1] আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে,
[2] কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে।
[3] সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে
[4] এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে,
[5] তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে।
৪৩. 
কোরান যে কত ভালো সেটা মুসলমানদের দেখলেই বোঝা যায়।

৪৪. 
নবীরা সাড়ে নয়শো বছর বাঁচতেন, তক্তার নৌকায় কইরা তিমি আর হাতি সহ ৮৭ হাজার প্রজাতির লক্ষ লক্ষ প্রাণীদের নিয়ে সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়াইতেন, পাঙ্খাওয়ালা ঘোড়ায় চইড়া পুরা গ্যালাক্সী রাতারাতি ভ্রমণ কইরা আল্লার সাথে দেখা কইরা আসতেন, এইসব রুপকথার গল্পকে গোঁজামিল দিয়া সত্য প্রমাণ করার যে বিশেষ বিজ্ঞান, তাহাকেই পিছলামিক বিজ্ঞান বলা হয়।

৪৫.
আল্লাহ আর রসুলের ওপর ঈমান এনে নিজের আর বিজ্ঞানের উপর ঈমান হারাতে পারবো না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন