সোমবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১২

মহাজাগতিক ধূলিকণা - ০১

লিখেছেন কজমিক ডাস্ট 

০১.
মোহাম্মাদ আরবে না এসে ভারতবর্ষে এলে বলতো, সব দেবদেবী ভুয়া আর কৃষ্ণই একমাত্র ভগবান আর সে তার নতুন অবতার। তারপর শিবলিঙ্গ নিয়ে তার চারপাশে চক্কর দিত। ইসলাম যেমন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তৎকালীন আরবের ইহুদী ও পৌত্তলিকদের ধর্মবিশ্বাস থেকে চোথা মেরে, তেমনি ভারতবর্ষেও ইসলাম তৈরি হত বৈদিক ধর্ম, জৈন ধর্ম আর বৌদ্ধ ধর্ম থেকে চোথা মেরে।

০২.
ইসলাম আসার আগের যুগটিকে মুসলমানেরা বলে জাহেলিয়াতের যুগ। ইসলাম এসে নাকি মানুষকে সভ্য করে তুলেছে। নামাজের সময় পেছন দিক ওপরে তুলে মাটিতে মাথা ঠেকানোর সাথে হাজার হাজার বছর আগেকার মানুষদের একই কায়দায় উপাসনা করার সাথে কী পার্থক্য আছে? গহীন বনের উপজাতিরা তাদের দেবতার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বলি দেয়, আর মুসলমানেরাও আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির আশায় দেয় কোরবানি। শামানরা মন্ত্র বিড়বিড় করে চিকিৎসা করে, তো মুমিনরাও ঝাড়ফুঁক করে চিকিৎসা করে। নেটিভ অ্যামেরিকানরা আগুনের চারপাশে চক্কর দেয়, তো মুসলমানেরাও কাবার চারপাশে চক্কর দেয়। হজে সাফা মারওয়া পাহাড়ে দৌড়াদৌড়ি আর একটা পিলারে শয়তান বাঁধা আছে মনে করে তাতে পাথর নিক্ষেপ করা আফ্রিকান উপজাতিগুলির ধর্মীয় প্রথাগুলির চেয়ে কতটা সভ্য?

০৩.
মুমিনরা তাদের সকল দুর্দশার জন্যে দায়ী করে ইসলামী খিলাফত না থাকাকে। তাদের ধারণা, একবার ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলেই তারা বিশ্ব জয় করে ফেলবে এবং তাদেরকে আর কেউ হারাতে পারবে না। আচ্ছা, খিলাফত যদি মুসলমানদেরকে এতটাই শক্তিশালী করে ফেলে, তাহলে ইসলামের শেষ খিলাফত অটোম্যান সাম্রাজ্যের পতন হল কীভাবে ৮০ বছর আগে? প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোম্যান সাম্রাজ্য গোহারা হেরেছিল নাছারা ইউরোপিয়ানদের কাছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন