৬.
সর্বকালের সবচেয়ে বড় ধর্ম ব্যবসা হচ্ছে হজ্ব। হজ্ব করলে পাপমুক্ত হওয়া যায়। তাই পাপীদের জন্যই এই হজ্ব, ভালো মানুষের জন্য নয়। আর বাংলাদেশের মানুষের হজ্বে যাবার দরকারটা কী? যে দেশের মানুষ ঠিকমতো খেতে পায়না, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবা থেকে বঞ্চিত, একটা বড় সেতু বানাতে কাফেরদের কাছে হাত পাততে হয়, সেই দরিদ্র দেশের মানুষের জন্য হজ্ব বিলাসিতা এবং হারাম। নামাজ-রোজা ঘরে করা গেলে হজ্বও ঘরে বসেই করা সম্ভব। আর শয়তানকে পাথর মারবেন? বাংলাদেশের চেয়ে বেশি শয়তান আপনি পাবেন কোন দেশে? এ কাজটাও দেশের ভেতরেই করা সম্ভব। সারা বিশ্বে মুসলমানদের শিক্ষা, উন্নয়ন আর চরিত্রের যে অবস্থা, আজ পর্যন্ত আল্লাহ কোনো মুসলমানের হজ্ব কবুল করেছে বলে আপনি বিশ্বাস করেন?
৭.
ইসলামের সমালোচনাকারীদের মাথার দাম লাখ লাখ ডলার-ই হয়। মাথায় গোবর ভর্তি ইসলামিক সন্ত্রাসীদের মাথার কোনো দামই নাই।
৮.
হজ্বের সময় হাজিরা মক্কার কাবা ঘর থেকে কয়েকশো গজ দূরে সাফা-মারওয়া পাহাড়ের মধ্যবর্তী উপত্যকা অঞ্চলে সাতবার দৌড়াদৌড়ি করেন, মিনাতে কংক্রিটের তিনটি স্তম্ভকে ‘শয়তান’ বানিয়ে সাতবার করে মোট একুশটি ঢিল ছোঁড়েন। সেই ঢিলে আহত হয়ে এতোদিনে শয়তান মারা গিয়েছে কি না, জানা যায়নি, তবে শয়তানকে মারতে গিয়ে নিজেদের প্রচণ্ড অন্ধবিশ্বাস আর আবেগের আতিশয্যে সৃষ্ট হুড়োহুড়ির কারণে পদপিষ্ট হয়ে নিরীহ হাজীরা প্রায়শঃই মারা যান!
৯.
যেসব মুসলমান কোরান পড়েনি বা পড়তেই জানে না, কোরানের সমালোচনা শুনে তারাই রেগে যায় বেশি।
১০.
মুহম্মদের কাছে পৃথিবী মানেই ছিলো আরব উপদ্বীপ। তাই কোরানের মধ্যে ভারত, চীন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের কোনো কথা নেই। আল্লাও বোধহয় জানতেন না যে, আরব ছাড়াও পৃথিবীতে আর কোনো জায়গা আছে, আর সেখানে মানুষ আছে। জানলে তিনি সেই সব জাতির মধ্যেও দু'-একজন করে নবী পাঠাতেন। অথচ এতসব কিছু না জেনেই আল্লা কোরানে বলে ফেললেন, আমি সব জাতির মধ্যে নবী পাঠিয়েছি। কী হাস্যকর সব কথাবার্তা।
১১.
আব্রাহাম তিনটা ধর্মের নবী ছিলেন, অথচ আপনি চাইলেও একসাথে দুটো ধর্ম বিশ্বাস করতে পারবেন না।
১২.
সৌদি আরব বিশ্বের সব কাফের দেশগুলোতে মসজিদ নির্মাণ করে দিচ্ছে, অথচ তাদের দেশে একটিও মন্দির বা গির্জা তৈরি করতে দেয় না। ইসলাম তার জন্মলগ্ন থেকেই হিপোক্রেট; মুসলমানের জন্য এক আইন, অমুসলিমদের জন্য অন্য আইন। এ বিশেষ ধর্মটির আরেকটি মারাত্মক দোষ হলো - এ ধর্মের মধ্যে যতো অন্যায়, অসত্য, বানোয়াট, মিথ্যাচার, হিংস্রতা আছে তা অস্বীকার করতে গিয়ে আরো হাজারো মিথ্যা এবং হিংস্রতার আশ্রয় নেয়া।
১৩.
কোরানে অনেক ভুল ও অবৈজ্ঞানিক কথা লেখা আছে। আছে অনেক সাম্প্রদায়িক ও অমানবিক আয়াত। আর অমুসলমানদেরকে গালাগালি তো আছেই। তা, আফনেরা কোরান Block করবেন কবে, জানতে পারি কি?
১৪.
মুসলমানরা (হাস্যকরভাবে) ডারউইন-এর বিবর্তনবাদকে (না বুঝেই) ভুল প্রমাণিত করতে উঠে-পড়ে লেগেছে, অথচ কোরানের সহজ সরল ভুলগুলো তাদের চোখে পড়ে না।
১৫.
জ্ঞানে-বিজ্ঞানে মুসলিমরা এতটাই পিছনে যে, আজ এই একবিংশ শতাব্দীতে বাস করেও মুহাম্মাদ তার অঙ্গুলি হেলনে চাঁদ দ্বিখণ্ডিত এবং স্ব-শরীরে সপ্ত আসমান (?) ভ্রমণ করেছিল কি না, তা নিয়ে ইন্টারনেটে আধুনিক বিজ্ঞান ব্যবহারকারী বিদ্বান (কোনো নিরক্ষর/অশিক্ষিত নয়) বিশ্বাসীদের সাথে বিতণ্ডায় যেতে হয়। এর চেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে!
* বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্ট-এ 'লুক লিখিত সুসমাচার'-এর আদলে সিরিজটির নামকরণ করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন