আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১২

কুরানে বিগ্যান (সপ্তদশ পর্ব): এ সেই কিতাব যাতে কোনোই সন্দেহ নেই! – এক

লিখেছেন গোলাপ


সংকলিত কুরানের প্রথম চ্যাপ্টার হল সুরা ফাতেহা। যা মূলত: প্রার্থনা বা দোয়া। বিছমিল্লাহ হির-রাহমা-নের-রাহিম এবং সুরা ফাতেহা কুরানেরই অংশ কি না, এ ব্যাপারে সাহাবীরাও একমত ছিলেন না (বুখারী-৬:৬০:২২৬-২২৭)। বিশিষ্ট সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ সুরা ফাতিহাকে কোরানের সুরা হিসেবে কোনোদিনই স্বীকার করেননি। প্রবক্তা মুহাম্মদ (আল্লাহ) যা বলেছেন তা হলো,

১৫:৮৭ - আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।    

সুরা-ফাতিহার এই প্রার্থনাটির পর কুরানের সর্বপ্রথম যে বাণী তা হলো “হিং-টিং-ছট” জাতীয় শব্দ। "আলিফ-লাম-মীম” (২:১)। এই উদ্ভট হিং-টিং-ছট জাতীয় শব্দটির পরেই কুরানের সর্বপ্রথম বোধগম্য যে বাণী' তা হলো, এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই”( ২:২) ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যার প্রকাশ্য যাত্রা শুরু হয়েছে প্রবর্তকের "অভিশাপ"(দ্বাদশ পর্ব) আর এর ধর্মগ্রন্থটির শুরুতেই রয়েছে 'সন্দেহ'-এর আলামত! প্রবক্তা মুহাম্মদ তাঁর আল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন যে, এ গ্রন্থে কোনোই সন্দেহ নেই। শুরুতেই "সন্দেহ" শব্দ থাকার কারণে পাঠকরা যা সহজেই অনুধাবন করতে পারেন, তা হলো প্রবক্তা মুহাম্মদ এবং তাঁর বাণীকে তাঁর পরিপার্শ্বের মানুষেরা সন্দেহাতীত মনে করতেন না। 'নকল হইতে সাবধান' বাক্যটি যেমন নকল-বিহীন পরিবেশ ও সমাজে বেমানান, 'এই কিতাবে কোনই সন্দেহ নেই' বাক্যটিও তেমনি। মুহাম্মদ তাঁর আল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে যে বাণীগুলো প্রচার করেছিলেন, তাতে মানুষ "সন্দেহ পোষণ" করতেন। তাঁদের সেই সন্দেহের বিপরীতে আত্মরক্ষার খাতিরেই মুহাম্মদকে (আল্লাহ) বলতে হয়েছে এই বাক্যটি। কিন্তু সাক্ষ্যের আগে সাক্ষীর শপথ বাক্য "যাহা বলিব সত্য বলিব এবং সত্য বই মিথ্যা বলিব না" যেমন সাক্ষীর সত্যবাদিতার প্রমাণ নয়, পণ্যের প্যাকেটে "নকল হইতে সাবধান" সিলটি যেমন পণ্যটির নকলের সম্ভাবনাকে নাকচ করে দেয় না। তেমনি প্রবক্তা মুহাম্মদের "এই সেই কেতাব যাহাতে কোন সন্দেহ নাই" বাক্যটিও মুহাম্মদের (আল্লাহ) উক্তির সত্যতার প্রমাণ নয়। সত্য-মিথ্যা নির্ধারনের জন্য প্রয়োজন প্রমাণ, যুক্তি ও তথ্যবিচার। একই ভাবে পণ্য আসল না নকল, তা নির্ধারণ হয় গুণগত মানের বিচারে। মুহাম্মদের পরিপার্শ্বের মানুষ (অবিশ্বাসীরা) মুহাম্মদের দাবীকে যেভাবে মূল্যায়ন করতেন, তা ছিল মূলতঃ নিম্নরূপ:
 
১) পূর্ববর্তীদের উপকথা
২)মুহাম্মদ নিজে কুরান রচনা করেছেন এবং অন্যেরাও তাকে সাহায্যে করেছে
৩) মুহাম্মদ প্রেরিত ব্যক্তি নন, সে মিথ্যাবাদী, উন্মাদ/যাদুগ্রস্থ

পাঠক, আসুন আমরা নিরপেক্ষ মানসিকতা নিয়ে মুহাম্মদেরই জবানবন্দীরআলোকে অবিশ্বাসীদের এ সকল দাবীর কারণ এবং তার যথার্থতা/অসাড়তা নিরূপণের চেষ্টা করি। সত্যকে জানার চেষ্টা করি।

প্রথম অভিযোগ: পূর্ববর্তীদের উপকথা

প্রবক্তা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ঘোষণা দিয়েছেন যে, অবিশ্বাসীরা তাঁর দাবীকে নাকচ করতেন এই অভিযোগে যে, তিনি যা প্রচার করছেন, তা “সেকালের উপকথা মাত্র”। তাঁদের কাছে তা নতুন কোনো খবর নয়। তাঁরা এ সকল কিচ্ছা-কাহিনী শুনে এসেছেন বংশ পরস্পরায়!

মুহাম্মদের (আল্লাহ) ভাষায়,

:২৫ - তাদের কেউ কেউ আপনার দিকে কান লাগিয়ে থাকে| আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ রেখে দিয়েছি যাতে একে না বুঝে এবং তাদের কানে বোঝা ভরে দিয়েছি| যদি তারা সব নিদর্শন অবলোকন করে তবুও সেগুলো বিশ্বাস করবে না| এমনকি, তারা যখন আপনার কাছে ঝগড়া করতে আসে, তখন কাফেররা বলে: এটি পুর্ববর্তীদের কিচ্ছাকাহিনী বই তো নয়।   

২৭:৬৮ -এই ওয়াদাপ্রাপ্ত হয়েছি আমরা এবং পূর্ব থেকেই আমাদের বাপ-দাদারা। এটা তো পূর্ববর্তীদের উপকথা বৈ কিছু নয়।

৪৬:১৭ - তখন সে বলে, এটাতোপূর্ববর্তীদেরউপকথা বৈ নয়  

৬৮:১৫ - তার কাছে আমার আয়াত পাঠ করা হলে সে বলে; সেকালের উপকথা।

৮৩:১৩ - তার কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হলে সে বলে, পুরাকালের উপকথা

>>> প্রশ্ন হচ্ছে,   কেন অবিশ্বাসীরা মুহাম্মদের (আল্লাহ) কথাগুলোকে বলতেন"এটা পূর্ববর্তীদের উপকথা/পুরাকালের উপকথা"?  অবিশ্বাসীদের অভিযোগের ভিত্তি কীশত্রুতা?  নাকি অন্য কোনো কারণএকটা গল্প শোনা  যাক:

---------------------------------------------------------------------------------------------

পিপীলিকা, জনৈক দৈত্য ও  হুদ-হুদ পাখীর গল্প:

বাদশাহ বলেছিলেন, ‘হে লোক সকল, আমাকে উড়ন্ত পক্ষীকুলের ভাষা শিক্ষা দেয়া হয়েছে এবং আমাকে সব কিছু দেয়া হয়েছে। নিশ্চয়এটা সুস্পষ্ট শ্রেষ্ঠত্ব।’  বাদশাহর সামনে তার সেনাবাহিনীকে সমবেত করা হল। জ্বিন-মানুষ পক্ষীকুলকে, অতঃপর তাদেরকে বিভিন্ন ব্যূহে বিভক্ত করা হল।

যখন তারাপিপীলিকা অধ্যূষিত উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিপীলিকা বললহে পিপীলিকার দল, তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ কর। অন্যথায় বাদশাহ তার বাহিনী অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পিষ্ট করে ফেলবে।”

তার কথা শুনে বাদশাহ মুচকি হাসলেন এবং বললেন, “হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও যাতে আমি তোমার সেই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, যা তুমি আমাকে আমার পিতা-মাতাকে দান করেছ এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকর্ম করতে পারি এবং আমাকে নিজ অনুগ্রহে তোমার সৎকর্মপরায়ন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর।”

বাদশাহ পক্ষীদের খোঁজ খবর নিলেন, অতঃপর বললেন, “কি হল, হুদহুদ পাখীকে দেখছি না কেন? নাকি সে অনুপস্থিত? আমি অবশ্যই তাকে কঠোর শাস্তি দেব কিংবা হত্যা করব অথবা সে উপস্থিত করবে উপযুক্ত কারণ।” 

কিছুক্ষণ পড়েই হুদহুদ এসে বলল, আপনি যা অবগত নন, আমি তা অবগত হয়েছি। আমি আপনার কাছে সাবা থেকে নিশ্চিত সংবাদ নিয়ে আগমন করেছি। আমি এক নারীকে সাবাবাসীদের ওপর রাজত্ব করতে দেখেছি (রাণী বিলকিস)। তাকে সবকিছুই দেয়া হয়েছে এবং তার একটা বিরাট সিংহাসন আছে। আমি তাকে তার সম্প্রদায়কে দেখলাম তারা আল্লাহর পরিবর্তে সূর্যকে সেজদা করছে। শয়তান তাদের দৃষ্টিতে তাদের কার্যাবলী সুশোভিত করে দিয়েছে। অতঃপর তাদেরকে সৎপথ থেকে নিবৃত্ত করেছে। অতএব তারা সৎপথ পায় না। তারা আল্লাহকে সেজদা করে না কেন, যিনি নভোমন্ডল ভুমণ্ডলের গোপন বস্তু প্রকাশ করেন এবং জানেন যা তোমরা গোপন কর যা প্রকাশ কর। আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি মহা আরশের মালিক।”

বাদশাহ বললেন, “এখন আমি দেখব হুদহুদ তুমি সত্য বলছ, না তুমি মিথ্যবাদী। তুমি আমার এই পত্র নিয়ে যাও এবং এটা তাদের কাছে অর্পন কর। অতঃপর তাদের কাছ থেকে সরে পড় এবং দেখ, তারা কি জওয়াব দেয়।”

হুদহুদ পত্র নিয়ে রাণী বিলকিসের কাছে পৌঁছে দিল। রাণী  বিলকিস বলল, “হে পরিষদবর্গ, আমাকে একটি সম্মানিত পত্র দেয়া হয়েছে। সেই পত্র বাদশাহর পক্ষ থেকে এবং তা এই: সসীম দাতা, পরম দয়ালু, আল্লাহর নামে শুরু; আমার মোকাবেলায় শক্তি প্রদর্শন করো না এবং বশ্যতা স্বীকার করে আমার কাছে উপস্থিত হও”।(রাণী) আরও বলল, “হে পরিষদবর্গ, আমাকে আমার কাজে পরামর্শ দাও। তোমাদের উপস্থিতি ব্যতিরেকে আমি কোন কাজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি না”। পরিষদবর্গ বলল, “আমরা শক্তিশালী এবং কঠোর যোদ্ধা। এখন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা আপনারই। অতএব আপনি ভেবে দেখুন, আমাদেরকে কি আদেশ করবেন”। রাণী বিলকিস বলল, “রাজা বাদশারা যখন কোন জনপদে প্রবেশ করে, তখন তাকে বিপর্যস্ত করে দেয় এবংসেখানকার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গকে অপদস্থ করে। তারাও এরূপই করবে। আমি তাঁর কাছে কিছু উপঢৌকন পাঠাচ্ছি; দেখি প্রেরিত লোকেরা কী জওয়াব আনে।”

অতঃপর যখন দূতবাদশাহর কাছে আগমন করল, তখন বাদশাহ বললেন, “তোমরা কি ধনসম্পদ দ্বারাআমাকে সাহায্য করতে চাও? আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন, তা তোমাদেরকে প্রদত্তবস্তু থেকে উত্তম। বরং তোমরাই তোমাদের উপঢৌকন নিয়ে সুখে থাক। ফিরে যাওতাদের কাছে। এখন অবশ্যই আমি তাদের বিরুদ্ধে এক সৈন্যবাহিনী নিয়ে আসব, যারমোকাবেলা করার শক্তি তাদের নেই। আমি অবশ্যই তাদেরকে অপদস্থ করে সেখান থেকেবহিষ্কৃত করব এবং তারা হবে লাঞ্ছিত”। তিনি আরও বললেন, “হে পরিষদবর্গ, তারা আত্নসমর্পণ করে আমারকাছেআসারপূর্বে কে বিলকিসের সিংহাসন আমাকে এনে দেবে?”

জনৈক দৈত্য-জিন বলল,আপনি আপনার স্থান থেকে উঠার পূর্বে আমি তা এনে দেব এবং আমি একাজে শক্তিবান, বিশ্বস্ত।” আরও বললো, “আপনার দিকে আপনার চোখের পলক ফেলার পূর্বেই আমি তা আপনাকে এনে দেব।”

অতঃপর বাদশাহ --যখন বিলকিসের সিংহাসন তার সামনে রক্ষিত দেখলেনতখন বললেন, এটা আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ, যাতে তিনি আমাকে পরীক্ষা করেন যে, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, না অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, সে নিজের উপকারের জন্যেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং যে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে জানুক যে, আমার পালনকর্তা অভাবমুক্ত কৃপাশীল। বাদশাহ বললেন, “বিলকিসের সামনে তার সিংহাসনের আকার-আকৃতি বদলিয়ে দাও, দেখব সে সঠিক বুঝতে পারে, না সে তাদের অন্তর্ভুক্ত, যাদের দিশা নেই ?” অতঃপর যখনবিলকীস এসে গেল, তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, “তোমার সিংহাসন কি এরূপই?” ( বিলকিস) বলল, “মনে হয় এটা সেটাই। আমরা পূর্বেই সমস্ত অবগত হয়েছি এবং আমরা আজ্ঞাবহও হয়ে গেছি”।আল্লাহর পরিবর্তে সে যার এবাদত করত, সেই তাকে ঈমান থেকে নিবৃত্ত করেছিল। নিশ্চয় সে কাফের সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল। (বিলকিসকে) বলা হল,এই প্রাসাদে প্রবেশ কর”। যখন রাণী তার প্রতি দৃষ্টিপাত করল সে ধারণা করল যে,এটা স্বচ্ছ গভীর জলাশয়। সে তার পায়ের গোছা খুলে ফেলল।

বাদশাহ বলল, “এটাতো স্বচ্ছ স্ফটিক নির্মিত প্রাসাদ”।
রাণী বলল, “হে আমার পালনকর্তা, আমিতো নিজের প্রতি জুলুম করেছি। আমি বাদশাহর সাথে বিশ্ব জাহানের পালনকর্তা আল্লাহর কাছে আত্নসমর্পন করলাম”।  

---------------------------------------------------------------------------------------------

>>> এ ধরনের গল্পকে "পুরাকাল উপকথা" ছাড়া আর কীভাবে আখ্যায়িত করা যায়? আরব্য উপন্যাসে এ ধরনের অনেক অনেক গল্প আছে। এহেন গল্পকে কোনো ব্যক্তি যদি “সৃষ্টিকর্তার বাণী" বলে জনগণের কাছে প্রচার করে নিজেকে সৃষ্টি-কর্তার বিশেষ অনুগ্রহ ভাজন বলে ঘোষণা দেন, তারপর জনগণকে তাদের "বাপ-দাদার ধর্ম-আচার-অনুষ্ঠান' বিসর্জন দিয়ে তাঁকে অনুসরণ করার আহ্বান জানান, আর তা না করলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হুমকি-ধমকি-শাসানী দেয়া শুরু করেন, তাহলে জনগণ সে ব্যক্তির মানসিকতাকে কীভাবে মূল্যায়ন করতে পারেন?

হ্যাঁ, উক্ত গল্পটি কুরানের। সূরা নমল(২৭), আয়াত ১৬ থেকে ৪৪। বাদশাহ সোলায়মানের গল্প। কুরানে এরূপ অবাস্তব অশরীরী অনেক গল্প আছে, যেগুলো অনেক রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এ গল্পটিকে সৃষ্টিকর্তার বাণী বলে প্রচার করে তাকে সৃষ্টিকর্তার প্রেরিত পুরুষ বলে স্বীকার করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আর মক্কাবাসীরা এ গল্পগুলোকে পূর্ববর্তীদের উপকথা  বলে  আখ্যায়িত করেছিলেন।

পৌরানিক নবী সম্বন্ধীয় মক্কায় আয়াত সংখ্যা নুন্যতম ১২৪০। মক্কায় মুহাম্মদের প্রতি চারটি বাক্যের একটি ছিল পূর্ববর্তী নবীদের উপকথা। কুরানে পৌরাণিক নবীদের গল্প বারংবার বলা হয়েছে। যেমন (ন্যূনতম সংখ্যা):
)   মুসা  (আঃ) ফেরাউনের গল্প ২১ বার,

)   নূহের গল্প ১২ বার,

)   ইবরাহিম (আঃ) এর গল্প ১২ বার,

)   লূত (আঃ) এর গল্প  বার,

)   'দের গল্প ৮ বার,

)   সালেহ সামুদের গল্প বার,

)  আদম হাওয়া ইবলিস এর গল্প ৫ বার,

)    দাউদ সোলায়মান (আঃ) এর গল্প ৫ বার,

) মাদায়েনের শোয়েব (আঃ) এর গল্প   বার

গবেষণায় (Research)আগ্রহী পাঠকদের জন্য বিস্তারিত: 

১)   মুসা  (:) ফেরাউনের গল্প, মোট আয়াত (কমপক্ষে) = ৪৯৭
:১০৩-১৬৮, ১০:৭৫-৯২, ১৪:-১৭:১০১১০৪১৮:৬০-৮২১৯:৫১-৫৩২০:-৯৭২১:৪৮২৩:৪৫-৪৯২৫:৩৫-৩৬২৬:১০৬৮, ২৭:-১৪২৮:- ৪৬৩৭:১১৪-১২২৪০:২৩-৪০, ৪৩:৪৬-৫৬, ৪৪:১৭-৩৩, ৫১:৩৮-৪০, ৫৪:৪১-৪৩, ৬৯:-১০৭৯:১৫-২৬।

২)   ইবরাহিম (:) এর গল্প,  মোট আয়াত (কমপক্ষে)= ১৪৭
১১: ৬৯, ১৪:৩৫, ১৫:৫১-৬০, ১৬: ১২০, ১৯:৪১-৫০, ২১:৫১-৭৩ (টুকরা টুকরা করে মূর্তিগুলো ভেঙ্গেছিল - ২১:৫৭), ২৬:৬৯-১০৪, ২৯:১৬-২৭, ৩৭:৮৩-১১৩, ৩৮:৪৫-৪৮, ৪৩:২৬-৩০, ৫১:২৪- ৩৬।

৩)  নূহের গল্প, মোট আয়াত (কমপক্ষে)= ৯৯
:৫৯-৬৪, ১০:৭১-৭৩, ১১: ২৫-৪৮ (নূহের নৌকা), ১৪: , ২১:৭৬-৭৭, ২৩:২৩-৩০২৫:৩৭২৬:১০৫-১২২২৯:১৪-১৫ (নূহ বেঁচেছিলেন ৯৫০ বছর৩৭:৭৫-৮২, ৫৪:-১৫ (নূহের নৌকা), ৭১: -২৮।

৪)  আদম হাওয়া ইবলিস এর গল্প, মোট আয়াত(কমপক্ষে)  = ৮২
:১১:২৫, ১৫:২৬-৫০, ১৮:৫০, ২০:১১৫, ৩৮:৭১-৮৫।

৫)  হুদ এবং আ'দের গল্প, মোট আয়াত (কমপক্ষে)  =  ৭০
:৬৫-৭২, ১১:৫০ -৬০, ২৫:৩৮, ২৬:১২৩-১৪০, ২৯:৩৮, ৪৬:২১-২৬, ৫৪:-২১, ৬৯:- ৮।

৬)   লূত (:) এর গল্প, মোট আয়াত  (কমপক্ষে)৬৪
:৮০-৮৪, ১১: ৭৭-৮৩, ১৫:৬১-৭৫, ২১:৭৪-৭৫, ২৬:১৬০-১৭৫, ২৭:৫৪-৫৮, ২৯:২৮-৩৪, ৩৭:১৩৩-১৩৮, ৫৪:৩৩।

৭)  দাউদ সোলায়মান (:),  মোট আয়াত (কমপক্ষে) = ৬১ 
২১:৭৮-৮২, ২৭:১৫-৪৪, ৩৪:১০-১৪, ৩৮:১৭-২৬, ৩৮:৩০-৪০।

৮)  সালেহ সামুদের গল্প,  মোট আয়াত  (কমপক্ষে) = ৬০
:৭৩-৭৯, ১১:৬১-৬৮, ২৬:১৪২-১৫৯, ২৭:৪৫-৫৩, ৫১:৪১-৪৫, ৫৪:২৩-৩১, ৯১::১১-১৪।

৯) মাদায়েনের শোয়েব (:),  মোট আয়া(কমপক্ষে)  = ৩৮
:৮৫-৯৪, ১১:৮৪- ৯৫, ২৬:১৭৬-১৯১।

১০)  ঈসা মাতা মরিয়ম, মোট আয়াত  (কমপক্ষে) = ২০
১৯:১৬-৩৪, ২১:৯১।

১১)  জুল-কারনাইনের গল্প, মোট আয়াত (কমপক্ষে) = ১৮
১৮:৮৩-৯৮, ২১:৮৭- ৮৮।

১২)   জাকারিয়া (:),  মোটআয়াত  (কমপক্ষে) = ১৫ :
১৯:-১৫. ২১:৮৯।

১৩)  নূহের পরে আরেক সম্প্রদায়ের গল্প, মোট আয়াত  (কমপক্ষে)= ১১
 ২৩:৩১-৪১।

১৪)  ইউনুস (:) এর গল্প,  মোটআয়াত (কমপক্ষে) = ১০
  ৩৭:১৩৯-১৪৮।

১৫)  ইলিয়াস (:),  মোটআয়াত (কমপক্ষে)  = ১০ 
৩৭:১২৩-১৩২।

১৬) অন্যান্য গল্প:
আয়ুব (আ:), ইসমাইল (আ:), ইদ্রিস (আ:), ঈসা (আ:), লোকমান (আ:), ইউসুফ (আ:), সাবাহর বাসিন্দাদের গল্প, ইয়াযুদ–মাযুদ:, কারুন - ইত্যাদি।

>>> বংশ পরম্পরায় শুনে আসা পুরাকালের এহেন মুহাম্মদের গল্পগুলোকে তার “নবুয়তের প্রমাণ” এবং তাঁকে নবী বলে স্বীকার করে না নেয়াকে অপরাধ আখ্যা দেয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কিন্তু প্রবক্তা মুহাম্মদ কুরাইশদেরকে শুধু অপরাধী সাব্যস্ত করেই ক্ষান্ত হননি। করেছিলেন উপর্যুপরি তাচ্ছিল্য, ভীতি প্রদর্শন, হুমকি, শাসানী, ত্রাস, হত্যা, হামলা ও সম্পর্কচ্ছেদের আদেশ। পাঠক, আপনারা এহেন গল্পগুলোকে পূর্ববর্তীদের উপকথা ছাড়া আর কীভাবে মূল্যায়ন করতেন? আপনারা কি এহেন গল্পকারকে নবী হিসাবে স্বীকার করে নিতেন?

দ্বিতীয় অভিযোগ: মুহাম্মদ নিজে কুরান রচনা করেছেন এবং অন্যেরাও তাকে সাহায্যে করেছে

মুহাম্মদের দাবীর অসারতার স্বপক্ষে অবিশ্বাসীরা তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় যে অভিযোগটি করতেন তা হলো,  'মুহাম্মদ যা প্রচার করছেন, তা তার নিজেরই কথা' মুহাম্মদ নিজে তা রচনা করেছে এবং অন্য  লোকেরাও তাকে সাহায্য করেছে”। মুহাম্মদের (আল্লাহ) ভাষায়:

২৫:৪ - কাফেররা বলে, এটা মিথ্যা বৈ নয়, যা তিনি উদ্ভাবন করেছেন এবং অন্য লোকেরা তাঁকে সাহায্য করেছে। অবশ্যই তারা অবিচার মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।  

৪৪:১৪ - অতঃপর তারা তাকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে এবং বলে, সে তো উম্মাদ-শিখানো কথা বলে।  

১১:৩৫ - তারা কি বলে? আপনি কোরআন রচনা করে এনেছেন? আপনি বলে দিন আমি যদি রচনা করে এনে থাকি, তবে সে অপরাধ আমার, আর তোমরা যেসব অপরাধ কর তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।  

৪৬:-৮ - যখন তাদেরকে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনানো হয়, তখন সত্য আগমন করার পর কাফেররা বলে, তো প্রকাশ্য জাদু।   তারা কি বলেযে, রসূল একে রচনা করেছে? বলুন, যদি আমি রচনা করে থাকি, তবে তোমরা আল্লাহরশাস্তি থেকে আমাকে রক্ষা করার অধিকারী নও। ---

৫২:৩৩ এই কোরআন সে নিজে রচনা করেছে? বরং তারা অবিশ্বাসী।  

এহেন অভিযোগের জবাবে প্রবক্তামুহাম্মদ (আল্লাহ) আত্মপক্ষ সমর্থনে দিচ্ছেন  কৈফিয়ত:

৬৯:৪০-৪৩ -  নিশ্চয়ই এই কোরআন একজন সম্মানিত রসূলের আনীত।  এবং এটা কোন কবির কালাম নয়; তোমরা কমই বিশ্বাস কর। এবং এটা কোন অতীন্দ্রিয় বাদীর কথা নয়; তোমরা কমই অনুধাবন কর।  এটা বিশ্বপালনকর্তার কাছ থেকে অবতীর্ণ।  

২১: -এছাড়া তারা আরও বলেঃ অলীক স্বপ্ন; না সে মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে, না সে একজন কবি। অতএব সে আমাদের কাছে কোন নিদর্শন আনয়ন করুক, যেমন নিদর্শন সহ আগমন করেছিলেন পূর্ববর্তীগন।  

>>> যে কোনো চিন্তাশীল মানুষই জানেন যে, আলোচ্য কৈফিয়তগুলো স্বগতোক্তি। সদুত্তর নয়। কুরাইশরা মুহাম্মদের (আল্লাহ) এহেন জবাবে স্বাভাবিকভাবেই কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা খুঁজে পাননি। তাঁরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে, মুহাম্মদ নিজে বানিয়ে বানিয়ে আল্লাহর নামে তার নিজেরই 'বাণী' প্রচার করে চলেছেন। তাঁরা মুহাম্মদের কাছে তার নবুয়তের প্রমাণ দাবী করলেন। নিঃসন্দেহে যুক্তিসংগত দাবী। প্রত্যুত্তরে মুহাম্মদ তাদেরকে কী জবাব দিয়েছিলেন, তার বিস্তারিত বর্ণনা কুরানে লিপিবদ্ধ আছে। মুহাম্মদ যে শুধু পূর্ববর্তী নবীদের অনুরূপ 'নিদর্শন' আনয়নে ব্যর্থ হয়েছিলেন তাইই নয়, জবাবে হুমকি-শাসানি ও ভীতি প্রদর্শনও বাদ রাখেননি। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো 'মোজেজা তত্বে'।

মুহাম্মদ আরও দাবী করেছেন যে, সম্পূর্ণ কুরান তার আল্লাহর কাছে লিখিত আছে "সম্মানিত, উচ্চ পবিত্র পত্রসমূহে" (৮০:১৩-১৫)। তার এই দাবীর সত্যতার প্রমাণস্বরূপ কুরাইশরা মুহাম্মদকে আহ্বান করেছিলেন 'সম্পূর্ণ কিতাবটি' একবারে নাজিল করতে। যদি বাণীগুলো আগে থেকেই লেখা থাকে, তবে মুহাম্মদ সম্পূর্ণ কুরান একসঙ্গে অবতীর্ণ করতে পারবেন। আর যদি সে "বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে" একটু একটু করে তা অবতীর্ণ করেন তবে তা মুহাম্মদের নিজের বা অন্যের সাহায্য বানানো।  প্রবক্তা মুহাম্মদের (আল্লাহ) ভাষায়,

২৫:৩২ - “ সত্য প্রত্যাখানকারীরা বলে, তাঁর প্রতি সমগ্র কোরআন একদফায় অবতীর্ণ হল না কেন?”

জবাবেমুহাম্মদের (আল্লাহ) কৈফিয়ত,

“আমি এমনিভাবে অবতীর্ণ করেছি এবং ক্রমে ক্রমে আবৃত্তি করেছি আপনারঅন্তকরণকে মজবুত করার জন্যে” (২৫:৩২)।

>>> এহেন কৈফিয়ত কী আদৌ বিশ্বাস যোগ্য? এক দিকে মুহাম্মদ দাবী করছেন, তিনি সৃষ্টিকর্তার বিশেষ সৃষ্টি, শ্রেষ্ঠ নবী। কিন্তু সেই বিশেষ সৃষ্টির ৪০ পরবর্তী বয়সেও তাঁর বর্ণিত সৃষ্টিকর্তাটি তাঁকে"মজবুত" অন্তঃকরণের অধিকারী করতে ব্যর্থ!  ব্যর্থ সেই সৃষ্টিকর্তাটি  -মজবুত অন্তঃকরণের অধিকারী মুহাম্মদের উপর  সম্পূর্ণ কুরান এক সঙ্গে অবতীর্ণ না করে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটু একটু নাজিল করছেন! কারণ? যাতে তাঁর নবীর অন্তঃকরণ মজবুত হয়”! এ উদ্ভট দাবী কী আদৌ বিশ্বাসযোগ্য? এখানেই শেষ নয়! যে সৃষ্টিকর্তা নবীর মনকেই মজবুত করতে ব্যর্থ,  সেই  আবার পরক্ষণেই  তার সেই বানী যদি সাধারণ জনগণ” বিশ্বাস না করেন তবে তাদেরকে করছে অভিশাপ! করছে কানে-চোখে-অন্তঃকরনে সিল মেরে হেদায়েত থেকে বঞ্চিত, হুমকি দিচ্ছে কঠোর শাস্তির (২:৭)!  এসব উদ্ভট যুক্তি বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তাকে (যদি থাকে) নিয়ে স্রেফ তামাসা বই আর কিছু কি হতে পারে?

প্রবক্তা মুহাম্মদ (আল্লাহ) আত্মপক্ষ সমর্থনে আরও কৈফিয়ত দিয়েছেন,   

১৬: ১০৩ - আমি তোভালভাবেই জানি যে, তারা বলেঃ তাকে জনৈক ব্যক্তি শিক্ষা দেয়। যার দিকে তারা ইঙ্গিত করে, তার ভাষা তো আরবী নয়  এবং কোরআন পরিষ্কার আরবী ভাষায়  

>>> মক্কায় বসবাসকারী এক বিদেশী খ্রিষ্টানের কামারের (Blacksmith) দোকান ছিল। যেখানে তিনি ঘোড়ার ক্ষুর তৈরি করতেন। মুহাম্মদ সেই দোকানে প্রায়শঃই আনাগোনা করতেন। কুরাইশদের দাবী, ঐ অনারাবীর কাছে মুহাম্মদ ধর্মীয় অনেক কাহিনী শিখে পরবর্তীতে তা আল্লাহর বাণী বলে প্রচার করতেন। কুরাইশদের এহেন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেই বিদেশী লোকটিকে উদ্দেশ্য করেই উপরিউক্ত আয়াতটি নাজিল হ্য়। যেহেতু লোকটি সেখানে কামারের ব্যবসা করতেন, যৌক্তিকভাবেই ধারণা হয় যে, লোকটি আরবি ভাষা রপ্ত করেছিলেন। যদি ধরেও নিই যে, ব্যক্তিটি আরবি ভাষায় অনভিজ্ঞ, তথাপি মানুষটির কাছ থেকে দোভাষীর মাধ্যমে তথ্য জেনে তা আরবি ভাষায় বয়ান করা যাবে না, এমন যুক্তি খুবই হাস্যকর।

মুহাম্মদ ছাড়াও কুরানের অন্যান্য সম্ভাব্য রচনাকারীদের সম্মন্ধে জানতে আগ্রহী পাঠকদের লেখক আবুল কাশেমের তথ্যসমৃদ্ধ গবেষণাধর্মী "Who Authored theQuran" প্রবন্ধটি পড়ার অনুরোধ করছি।

কোনো মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষই মুহাম্মদের (আল্লাহ) প্রচারিত এহেন গল্প ও কৈফিয়তকে সৃষ্টিকর্তার বাণী বলে বিশ্বাস করবেন না। কুরাইশরাও বিশ্বাস করেননি। তাঁরা মুহাম্মদের কাছে পৌরাণিক নবীদের অনুরূপ অলৌকিক কিছু তার নবুয়তের প্রমাণ হিসাবে উপস্থাপন করতে বলেছিলেন। এ ক্ষেত্রে কুরাইশদের আচরণ ছিল খুবই যুক্তিসম্মত। যে কোনো মুক্তবুদ্ধির মানুষই এহেন দাবিদার ও গল্পকারের কাছে অনুরূপ প্রমাণস্বাভাবিকভাবেই চাইতে পারেন। প্রত্যুত্তরে প্রবক্তা মুহাম্মদ তাদেরকে কী জবাব ও হুমকি-শাসানী-ভীতি প্রদর্শন করেছিলেন, তার বিশদ বিবরণ কুরানে লিপিবদ্ধ আছে।

মুহাম্মদ এবং তাঁর বিশ্বাসে বিশ্বাসী মুসলমানেরা কুরাইশ/অবিশ্বাসীদের "জাহিলিয়া (অন্ধকার-যুগ/জীব)" আখ্যা দেয়। যে কোনো ইসলামী প্রচারণায় তাঁদেরকে করা হয় তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য! সত্যিই কি তাঁরা অসাধু-অমানুষ-অসহনশীল-মানবতাহীন নির্বোধ ছিলেন? এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো 'আইয়ামে জাহেলিয়াত তত্ত্ব' পর্বে।

[কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হেরেম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া; অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট অনুবাদকারীর পাশাপাশি অনুবাদ এখানে।

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন