লিখেছেন দ্রাক্ষা রস
গৌতম বুদ্ধের অতীত জন্মের কাহিনী জাতক নামে পরিচিত। কথিত আছে, তিনি জাতিস্মর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। এবং বুদ্ধ থাকাকালীন তিনি জাতকের বিভিন্ন ঘটনা তার অনুসারীদের শুনিয়ে ব্রেইনওয়াশ করতেন। (সূত্র – চুল্লপ্রলোভন জাতক)
এই জাতকে গৌতম বুদ্ধের নাম ছিল অনিরুদ্ধ । তিনি সে সময় নারীর গন্ধ পর্যন্ত সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তার কুটনা পিতা এক নগর নটিকে দিয়ে তাঁর ধ্যান-জ্ঞান ভাঙ্গালেন এবং নটির প্রেমে মগ্ন হয়ে অনিরুদ্ধ ছাড়লেন রাজ্য সংসার। বিবাহ বহির্ভূত সংসার পাতলেন বনের ধারে। কাহিনী হলো, সেই নটি একটু বেশি মাত্রায় হার্ডকোর চিক ছিলো। একদিন অনিরুদ্ধের অবর্তমানে সিডিউস করলো খাদ্যের সন্ধানে বনের কুটিরে আসা এক মহান ভেকধারী তপস্বীকে এবং সেই ঘটনা দেখে বোধোদয় ঘটে গেলো অনিরুদ্ধের। তিনি বুঝতে পারলেন, নটি তার জীবনের সব কিছু নাশ করেছে। তিনি বললেন:
রমণীর মায়াবর্তে পড়ে যেই জনব্রহ্মচর্য ধ্রুব তার হইবে বিনাশ!
একজন নটিকে দিয়ে পুত্রের ভেতরে কাম জাগানো পিতার দোষ হলো না, অথচ একজন ভেকধারী সাধু পুরুষের ঈমানদণ্ড অল্পতেই দাঁড়িয়ে গেলো, তাতে দোষ হলো না তপস্বীর , নটিকে রক্ষিতার মত ব্যবহার করাতে অধর্ম হলো না অনিরুদ্ধের – অথচ অনিষ্ট হয়ে গেলো নটির কারণে এক নাজুক ঈমানধারী সন্ন্যাসীর পদস্খলনে! (নটিরে দেখতে মন চায়!)
কোনো ধর্মেই নারীকে শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান দেয়া হয়নি। ধর্মে নারীর পরিচয়: পুরুষদের প্রলুব্ধকারী, ছলনাময়ী কিংবা ভোগের বস্তু হিসেবে। তারা মানুষ হিসেবে পরিচিত হতে পারেনি পুরুষের দৃষ্টিতে তো নয়ই, এমনকি 'মহাপুরুষদের' দৃষ্টিতেও। সেই যুগে টরি ,লিসা এন কিংবা সানিদের মত পর্নস্টার থাকলে আজ সাধুপুরুষ নামধারী মানুষগুলো থাকতো কি না, সন্দেহ!
সব কুত্তার লেজ বাঁকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন