আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১২

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৪৪

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

২১৬.
বললাম, হে আদম তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বাস কর এবং খাও যেখানে যা ইচ্ছা; কিন্তু এই গাছের নিকটে যেওনা, তা হলে উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (২:৩৫)
যে জিনিস খেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবার নিশ্চয়তা আছে, সে জিনিস জ্ঞানী আল্লাহ বানালেন কেন? বানালেনও যদি, সে মারাত্মক অখাদ্য আদম হাওয়ার চোখের সামনে জান্নাতে রাখলেন কেন? 

২১৭.
আল্লাহ আসলে দুইজন। একজন কাবাঘরে থাকেন। আরেকজন থাকেন সাত আসমানে।

২১৮.
যখন ফেরেশতাদিগে বললাম, আদমকে সেজদা কর, তখন ইবলীস ছাড়া সবাই সেজদা করল। সে অস্বীকার ও গর্ব করল, আর হল কাফের। (২:৩৪)
উক্ত আয়াতে আল্লার স্বৈরাচার এবং ইবলীসের প্রবল আত্মসম্মানবোধ, সূক্ষ্ম রুচিবোধ ও যুক্তিবাদ লক্ষণীয়।আল্লাহ ইবলীসকে তার বয়েসে হাজার হাজার বছরের ছোট একটা মাটির পুতুলকে সেজদা করতে বললে সে যুক্তিসঙ্গতভাবেই তা প্রত্যাখ্যান করেছে। আর এ জন্যই সে হল দয়াময়ের অভিশাপের স্বীকার!
আসলে জগতের সর্ব প্রথম পৌত্তলিকতার প্রবর্তক হচ্ছেন আল্লাপাক। তিনি নিজেই সেই ইতিহাস এই আয়াতে বর্ণনা করেছেন। 

২১৯.
যুক্তিবাদিতার প্রচার ও প্রসারে আস্তিকদের অনুভূতিতে আঘাত লাগে কেন? যুক্তি, প্রমাণে তাদের এত ভয় কেন? তাদের অনুভূতি এত ঠুনকো কেন? 

২২০.
তিনি দুনিয়ার সবকিছু তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। পরে দৃষ্টি দেন আকাশ সৃষ্টির দিকে এবং সপ্ত আকাশ নিয়ন্ত্রিত করেন; এবং তিনি সর্ব বিষয়েই সুপরিজ্ঞাত। (২:২৯)
'দুনিয়ার সবকিছু তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন', যেমন; ছারপোকা, উকুন, মাছি, মশা, উইপোকা ইত্যাদি নেয়ামত তিনি তোমাদেরই জন্য সৃষ্টি করেছেন। আমীন বল।
তিনি আকাশ সাতটা পর্যন্ত বানিয়ে ক্ষান্ত দিয়েছেন। আর উপরের দিকে যেতে পারেননি। আকাশ বানান কি যেনতেন কথা! সে বিষয়ে তিনি অবশ্যই সুপরিজ্ঞাত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন