আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১২

শস্যক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার

নিশ্চয়ই ইছলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদা। নারীর এই উচ্চতম সম্মান আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে চৌদি আজবের সাম্প্রতিকতম উদ্যোগের সংবাদ পেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসবাসী নবীজি নিশ্চয়ই গর্ববোধ করছে তার উম্মতদের কীর্তিতে।


পুরুষ অভিভাবক ছাড়া ভ্রমণ করার অনুমতি নেই সৌদি আরবের নারীদের, গাড়ি চালানোও তাদের জন্য নিষিদ্ধ। এবার আরও এক ধাপ নিরাপত্তার জালে আবদ্ধ হয়েছেন ইসলামি শরিয়াভিত্তিক দেশটির নারীরা। নারীদের চলাফেরা নজরদারিতে (মনিটর) রাখার জন্য নতুন এক ইলেকট্রনিক সিস্টেম চালু করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

এর ফলে গত সপ্তাহ থেকে সৌদি নারীদের পুরুষ অভিভাবকরা মোবাইলফোনে এসএমএস পাচ্ছেন তাদের নারীদের চলাফেরার ব্যাপারে। মেসেজে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা নারীরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন কিনা। এমনকি সঙ্গে অভিভাবক থাকলেও তার মোবাইলে এ মেসেজ আসবে।

এক দম্পতির কাছ থেকে এসব তথ্য জানতে পেরে টুইটারে দ্রুত ছড়িয়ে দেন মানাল আল-শেরিফ, যিনি ২০১১ সালে সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

ঐ স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে রিয়াদ আন্তর্জাতিক বিমানমন্দর ছেড়ে যাওয়ার সময় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্বামীর মোবাইলে একটি এসএমএস আসে, যাতে জানানো হয় যে তার স্ত্রী রিয়াদ বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন।

সৌদি আরবের নিয়মানুযায়ী, পুরুষ অভিভাবকের লিখিত অনুমতি ছাড়া সৌদি নারীরা দেশত্যাগ করতে পারেন না।

প্রখ্যাত কলামিস্ট বদ্রিয়া আল-বিশর এ ব্যাপারে বলেছেন, “কর্তৃপক্ষ নারীদের মনিটর করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।” তিনি রক্ষণশীল দেশটিতে নারীদের পরিস্থিতিকে দাসত্বের সঙ্গে তুলনা করে এর তীব্র প্রতিবাদ করেন।

নারীদের ওপর নজরদারি করার জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ নিন্দার ঝড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগ সাইট টুইটারে। এই সিদ্ধান্তকে ব্যঙ্গ করে আসছে একের পর এক টুইট। 

একটি টুইটে লেখা হয়েছে, “হ্যালো তালেবান, এখানে তোমরা সৌদি ই-সরকারের কাছ থেকে কিছু টিপস পেতে পারো!”

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “তোমরা তোমাদের নারীদের পায়ে বেড়ি পরাচ্ছো না কেন?”

হিশাম নামে অপর ব্যক্তি টুইট করেছেন, “আমার স্ত্রী সৌদি আরব ছাড়ছে কিনা সেটা জানার জন্য যদি আমার এসএমএস দরকার হয়, তাহলে হয় আমি ভুল নারীকে বিয়ে করেছি কিংবা আমাকে পাগলের ডাক্তার দেখানো দরকার।”

কলামিস্ট বিশর তার টুইটে বলেন, “নারীদের বন্দি করে রেখে পেছনে ফিরে যাওয়ার জন্য এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, কঠোরভাবে শরীয়ত আইনের অনুসারী সৌদি আরবই পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যেখানে নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ। 

২০১১ সালে সক্রিয় নারী কর্মীরা এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য সভা-সমাবেশ করেছিলেন, যার ফলে অনেক নারীকে গ্রেফতার করে তাদের দিয়ে ‘আর কখনো গাড়ি চালাবো না’ মর্মে একটি প্রার্থনায় সই করা হয়। যদিও নারীদের গাড়ি চালানোর বিষয়ক সরাসরি কোনো নিষেধাজ্ঞা সৌদি আইনে নেই, তারপরও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্যোগে ১৯৯০ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ হয়।

২০১১ সালে সৌদি বাদশা কিং আব্দুল্লাহ প্রথমবারের মতো সৌদি নারীদের ভোটাধিকার প্রদান করেন ও ২০১৫ সালে পৌর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটির শরিয়া আইন কার্যকরী করার প্রধান মাধ্যম পুলিশ বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় শেখ আব্দুল্লাতিফ আব্দেল আজিজ আল-শেখকে। তিনি পুলিশ বাহিনীর সৌদি নারীদের হয়রানি করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। 

এরকম কঠোর বাধা-নিষেধের কারণে দেশটিতে ক্রমে নারী বেকারত্ব বাড়ছে, যা বর্তমানে প্রায় ৩০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন