১০৬.
শান্ত পৃথিবীকে অশান্ত করার জন্য, মানুষকে বিভ্রান্ত কিংবা বিভক্ত করার জন্য যে কোনো একটি ধর্মই যথেষ্ট।
১০৭.
''পড় তোমার সৃষ্টিকর্তার নামে।'' - এই ‘পড়া’ আসলে ‘পতন’।
কোরান নাজিল হবার আগেই মানুষ কেমনে কী পড়বে?
১০৮.
আল্লাহর ইচ্ছায় শুধু মাত্র পাকিস্তানেই গড়ে প্রতিদিন ২৫ জন মুসলমান বোমা হামলায় মারা যায়।
''তোমরা অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না"- (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১০২)
১০৯.
হুজুরগো এক একটা দাড়ির আগায় নাকি ৭০ টা কইরা ফেরেশতা থাকে। তাইলে ইউরোপ-আমেরিকাতে যেই সব হুজুররা বোমাবাজির দায়ে জেলে আছে, তাদের দাড়ির ফেরেশতাগুলাও কি খামাখা জেল খাটতেছে? আহারে বেচারা ফেরেশতাগুলা!
১১০.
রুগ্ন জনগোষ্ঠী বিজ্ঞানের চেয়ে ধর্মচর্চা করে বেশী। কারণ এদের মাথায় জ্ঞানের চেয়ে ধর্মানুভূতি বেশী।
১১১.
আমিই প্রত্যক্ষ দৈবসত্ত্বা, অপ্রত্যক্ষ দৈবসত্ত্বা, এবং তুরীয় দৈবসত্ত্বা। আমি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব; আবার আমিই সরস্বতী, লক্ষ্মী ও পার্বতী। আমি সূর্য, আমি নক্ষত্ররাজি, আবার আমিই চন্দ্র। আমিই সকল পশু ও পাখি। আবার আমি জাতিহীন, এমনকি তস্করও। আমি ভয়াল কর্মকারী হীন ব্যক্তি; আবার আমিই মহৎ কার্যকারী মহামানব। আমি নারী, আমি পুরুষ, আমিই জড়।( Srimad Devi Bhagavatam, VII.33.13-15, cited in Brown(a), p. 186)।
আল্লাপাকের ৯৯টি নামের মধ্যে এই সবই পাওয়া যায়। কী আশ্চর্য্য মিল!
এ কী শুনি! এ তো আল্লাহ মাবুদের বাণী। তবে আল্লাহতায়ালা কি প্রথমদিকে হিন্দু ছিলেন? পরে নবীজির হাত দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন?
দেখুন কোরান খুলে। আশ্চর্য!
১১২.
যে কোনো ধর্মগ্রন্থেই সামান্যতম ভুল খুঁজে পাওয়া মানেই ঐ ধর্ম এবং তাতে বর্ণিত ঈশ্বরের অস্তিত্ব মিথ্যা।
১১৩.
সৃষ্টিকর্তা, নবী, শয়তান, ইহকাল, পরকাল, স্বর্গ, নরক - এগুলো সব ধর্মেই কমন। তারপরও কোনো ধর্মই অন্য ধর্মকে বিশ্বাস করে না, কিন্তু সব ধর্মই অন্য ধর্মের বিশ্বাস অর্জন করতে চায়।
১১৪.
পৃথিবীতে হাজার হাজার ধর্ম আছে। অথচ কোরানে শুধু সেই ধর্মগুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে, যেগুলো কোরান নাজিল হওয়ার সময়ে আরবে প্রচলিত ছিল।
১১৫.
''মডারেট মুসলিম'' বলে আসলে কারো অস্তিত্ব নেই। কোরান একটাই। মুসলমানও এক রকম। কোরান যে মানে, সে মুসলমান; আর যে মানে না সে মুসলমান না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন