আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১২

লুক্স লিখিত সুসমাচার - ১১

লিখেছেন লুক্স

৯৬.
মুহাম্মদ নিজ মুখেই স্বীকার করেন, তিনি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছেন সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যার নির্দেশ বা অনুপ্রেরণা এসেছে আল্লাহ/কুরান থেকেই! তাহলে আপনার দাবি ‘ইসলাম মানেই শান্তি’ কথাটির যুক্তি কোথায়?
(Sahih Bukhari 4:52:220, 5:59:512, 9:87:127 Sahih Muslim 4:1062-63, 4:1066-67), (Quran 7:4, 8:12, 8:57, 8:67, 33:26, 59:2)

৯৭.
ইসলামে পুরুষাধিকার সবচেয়ে ভালো, কিন্তু মানবাধিকার বলে কিছু নেই।

৯৮.
ভারতবর্ষের নদীগুলো পবিত্র হলেও নোংরা; আর ইউরোপ-আমেরিকার নদীগুলো অনেক পরিষ্কার। হিন্দুধর্মে ৩৩ কোটি দেবতা আছে, কিন্তু স্বাস্থ্যকর মাটির দেবতা নাই। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে হিন্দুদেরকে মূর্তিপূজার ডিজিটাল পদ্ধতি সম্পর্কে ভাবতে হবে।

৯৯. 
জুম্মার নামাজে, ঈদের নামাজে, মিলাদ মাহফিলে বা অন্য কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা বিশ্ব ইস্তেমায় কখনো শুনেছেন কি একমাত্র মুসলমান ছাড়া ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষদের জন্য দোয়া কামনা করতে?

১০০.
বাংলাদেশের মতো অনুন্নত দেশগলোতে সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী ব্যক্তিরাও বির্বতনকে মানেন না বা মানতে চান না। বিজ্ঞান এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাঁরা বিজ্ঞানমনস্ক হচ্ছেন না বা মুক্তমনের অধিকারী হতে পারছেন না। শুধু তা-ই নয়, বারবার বিজ্ঞানমনস্কতার প্রতি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। আহবান করা হচ্ছে ১৪০০ বছর আগের বইতে ফিরে যেতে। আর এই আহবানে ডাক দেন কিছু ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়ার, যারা তাবলিগ জামাতের সাথে সংশ্লিষ্ট।
একবার আমাদের পাড়ার মসজিদে তাবলিগ জামাতের দল এলো। আমির সাহেব ছিলেন একজন এম বি বি এস ডাক্তার। বাড়িতে এসে দাওয়াত দিলেন, “বাদ মাগরিব কিছু বয়ান হবে, আসুন, বহুত ফায়দা হবে।” তাঁকে বললাম, "আপনি যেমন আমাকে দাওয়াত দিতে এসেছেন, আমিও আপনাকে দাওয়াত দেই ডারউইনের বিবর্তনের প্রতি।” সাথে সাথে তিনি জবাব দিলেন, “মানুষ সরাসরি আল্লাহর সৃষ্টি, কোরানে এ কথা স্পষ্ট লেখা আছে। যারা অস্বীকার করবে তাদের আর ঈমান থাকবে না। বিবর্তন একটি ভ্রান্ত মতবাদ।”

১০১.
মুসলমানরা কথায় কথায় বলে, কোরা সমস্ত মানব জাতির জন্য নাজিল হয়েছে। কিন্তু অন্য ধর্মগ্রন্থগুলো কোন প্রাণীর জন্য নাজিল হয়েছে সেটা বলে না।

১০২.
স্বর্গের হুরগন কী সাইজের হবে? যদি আদমের সাইজের হয়, তখন আমার কী হবে? আর যদি আমার সাইজের হয়, আদমের কী হবে?

১০৩.
মুসলমানরা মুখস্থ কিছু সূরা দিয়ে নামাজ পড়ে যে পরিমাণ সময় ব্যয় করে, সে সময়টা পড়াশুনা করে কাজে লাগালে পৃথিবীর বর্তমান চিত্র অন্য রকম হতে পারতো।

১০৪. 
আপনি একবার বিশ্বাসী হয়ে গেলে আপনার প্রিয় নবী মিথ্যে বলতে পারে সেই সম্ভবনাই উড়িয়ে দেবেন। সাইকোপ্যাথরা বিবেকশূন্য হয়। কোনো প্রকার অনুশোচনা ছাড়াই এরা মিথ্যে বলতে পারে, মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ হত্যা করতে পারে। এই কাজটাকে তারা তাদের দায়িত্ব মনে করে। হিটলার বিশ্বাস করত, সে ঈশ্বরের কাজ করছে। বস্তুত, তার প্রকাশিত বক্তব্যের মধ্যেই সেটা পরিষ্কার দেখা যায়। তার বই মেইন কেম্ফ-এ লিখেছে:
“সেজন্য আজ আমি বিশ্বাস করি, ইহুদিদের প্রতিরোধ করে আমি সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে অনুযায়ী কাজ করছি, আমি পালনকর্তার জন্য যুদ্ধ করছি।"

১০৫.
যে ধর্মের সৃষ্টিকর্তা (?) ধর্মগ্রন্থে গালাগালি লিখে রেখেছেন, যে ধর্মের নবী অন্য ধর্মের মানুষকে গালাগালি করেছেন, সে ধর্মের অনুসারীরাও মানুষকে গালাগালি করবে, এটাই স্বাভাবিক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন