আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১২

ধর্মীয় কু-দৃষ্টিতে নারী - ০৩

লিখেছেন দ্রাক্ষা রস

উক্ত গাঁজাখুরি কাহিনীতে (মানে জাতকে) গৌতম বুদ্ধ ছিলেন (দুর্বল চরিত্রের) সাধু-সন্ন্যাসী মানুষ, যাঁকে ঈমানদণ্ড নিষ্ক্রিয় রাখতে লোকালয়ের বাইরে ধ্যান সাধনা করতে হয়েছে!  

ঘটনা হয়েছে কী, সেই জনমে তার নাম ছিলো বোধিভদ্র। এবং তিনি গ্রামের বাইরে থাকতেন, ফলমূল খেয়ে গঙ্গার ধারে ব্রহ্মচারী হয়ে দিনাতিপাত করছিলেন। এর মাঝে ঘটে গেল বাংলা সিনেমার চরম রোমান্টিক কাহিনী। এক রাতে তরুণী কণ্ঠের আর্তনাদ শুনে তাঁকে বের হতে হল ঘরের বাইরে। এক সুন্দরী ভদ্রমহিলা পানিতে ভেসে যাচ্ছিলেন আর কি! মোহাম্মদ বুদ্ধের... দুঃখিত, গৌতম বুদ্ধের সেই জনমে হাতির মত বল ছিল (শাকপাতা খেয়ে সিসিমপুরের পাপেট হালুম কে শক্তি পালোয়ান হতে দেখেছি; তাহলে কি গৌতম বুদ্ধ হালুম ছিলেন???); তিনি পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঝড়ঝঞ্ঝা উপেক্ষা করে নায়িকাকে উদ্ধার করলেন। নায়িকার নাম বেশ সুইট। দুষ্ট কুমারী। এ রকম সেক্সি নামের মাঝে কোনো দুষ্টুমি সাধু খুঁজে পেলেন না। নেহাতই দয়া করে একজন টসটসে যুবতীকে নিজের পর্ণকুটিরে (পর্ণ! খাইসে! নাম তা চেনা চেনা লাগে!!) স্থান দিলেন। যা হবার হল, তিনদিনের মাথায় তার ধ্যান-সাধনার চোদ্দটা বেজে গেলো এবং সেই দুষ্টুকে নিয়ে সংসার স্টার্ট করলেন বনের গহীনে ।

এখন কথা হল, দুষ্টু একটু লোভী টাইপের ছিল। (সাধু নারীলোভী ছিল - সেইটা কিন্তু কয় নাই, খিয়াল কৈরা) সিরিয়াল না দেখেও অকালে পেকে যাওয়া মেয়ে মানুষ। লোকালয়ে এসে বোধিভদ্র দই বিক্রি করে সংসার চালাতো আর মাগনা উপদেশ দিয়ে বেড়াতো গ্রামের লোকজনকে। একদিন গ্রামে ডাকাত পড়লো। ডাকাতেরা মালামাল বহন করার জন্য শক্ত সমর্থ নারী-পুরুষকে বেছে নিলো এবং দুষ্টুকে যেতে হল (আমি বুঝলাম না হাতির বলে বলীয়ান মরদকে বাদ দিয়ে তার বৌকে কেন তারা মালামাল বহনের জন্য নির্বাচন করলো?) ; ডাকাতরা সবাইকে ছেড়ে দিলেও তার বৌকে রেখে দিল । ডাকাত সর্দার তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করলো। দুষ্টু তখন সুখের সায়রে স্নান করতে করতে ভুলে গেলো স্বামীর ঋণের কথা, তার জীবন বাঁচানোর কথা এবং মনে মনে পরিকল্পনা করলো তার স্বামীকে হত্যার। সে স্বামীকে খবর পাঠাল তাকে উদ্ধার করার জন্য এবং স্বামী তাকে বাঁচাতে এলে সে ডাকাতের হাতে তাকে তুলে দেয়। এবং চরম পিটুনি খেয়ে স্বামী মহান একখানা ডায়লগ দিলো, যেটা ছুঁয়ে গেলো ডাকাত সর্দারকে। বারবার মার খেয়ে সে বলছিলো, “ওহো কি নিষ্ঠুরা!” এই কথা শুনে ডাকাত সর্দার সিদ্ধান্ত নিলো দুষ্টুকে হত্যা করবে। সকালে সে দুষ্টুকে মিথ্যে বলে (তার স্বামীকে হত্যার কথা বলে) নিয়ে গেলো গ্রামের বাইরে। এবং সেখানে সে কুঠার দিয়ে আঘাত করে হত্যা করলো দুষ্টুকে তার স্বামীর উপস্থিতিতে। এবং এরপর ডাকাত এবং স্বামী দুজনেই সাধু সন্ন্যাসী হয়ে গেলো একটা জম্পেশ খানাদানার পর!

প্রশ্ন হল: 

১. ভোদাই স্বামী কী করে ডাকাতের হাতে নিজের স্ত্রীকে তুলে দিয়ে চুপচাপ বসে ছিলো? 

২. ডাকাতে আস্তানা থেকে দুষ্টু কীভাবে খবর পাঠালো? (তকন কি মুবাইল পুন চিলো নাকি কম্পুটার চিলো?) 

৩. সন্ন্যাসী দুর্বল চরিত্রের বলে বনে থাকতো, একজন মেয়ে দেখেই তার কাপড় ভিজে গেলে কিংবা ডাকাত সুন্দরী দেখে পাগল হয়ে গেলে দোষ হল নারীর রূপের। কিন্তু কেন দোষ নয় রূপমুগ্ধ সন্ন্যাসী কিংবা ডাকাতের? 

৪. স্বামীর সামনে স্ত্রীকে হত্যা করা হল, মানলাম স্ত্রী খারাপ ছিলো, কিন্তু এতো ভালো-মহান-সাধু স্বামী কেন ডাকাতকে নিষেধ করলো না? কেন ক্ষমা করলো না? 

বৌদ্ধ ধর্মে নারীকে, নারীর সুন্দর রূপকে সংসার জীবনের শ্রেষ্ঠ মায়া কিংবা মোহ বলা হয়েছে বারবার বিভিন্নভাবে। একজন নারী ছাড়া কোনো পুরুষ না পারে বুদ্ধ হতে, না পারে ডাকাত হতে! তাদের জন্ম একজন নারীর গর্ভেই। এই গল্পের উপদেশ অন্যরকম হতে পারতো। কিন্তু এই গল্পের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল একজন মেয়ে। মেয়েদের চরিত্র। 

কোনো ধর্মই নারীকে সেই সম্মান দিতে পারেনি, দিতে পারবেও না। 

(তক্ক জাতক অবলম্বনে লিখিত) 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন