আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১২

ধর্মীয় কু-দৃষ্টিতে নারী - ০৫

লিখেছেন দ্রাক্ষা রস

(উন্মাদয়ন্তী জাতক অবলম্বনে লিখিত) 

শিবি নামক এক রাজা নগর ভ্রমণে বের হলেন। তাঁর প্রধান সেনাপতি ছিলো অহিপারক। তাঁর স্ত্রী ছিলো উন্মাদয়ন্তী নামক এক অপূর্ব সুন্দরী রমণী। সেই রমণীর সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল শিবি রাজার। কিন্তু তাঁর সাথে বিয়ে হয় সেনাপতির। কারণ মহিলা এতোই হট ছিলেন যে, রাজার বিয়ে প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া ব্রাহ্মণদের ঈমান দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো ম্যাডামকে দেখে (গুলাফিরে দেকতে মুঞ্চায়!) । মেয়ের মনে ছিল রাজরাণী হবার বাসনা। 

রাজা এবং সেনাপতি বাল্যসখা। কিন্তু এরপরও রাজা নগর প্রদক্ষিণের সময় সেনাপতি তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে রাজার সম্মুখে না আসার অনুরোধ করলো। কিন্তু হট চিক স্বামীর নির্দেশ অমান্য করে, হেভি মেকআপ লাগিয়ে বারান্দা থেকে একটা সিডাক্টিভ লুক দিয়ে দিলো রাজাকে! রাজাও প্রস্তুত ছিলেন, বোধ করি, কাত হবার জন্য... ফার্স্ট সাইটে, ফাস্ট লাভ হয়ে গেলো বন্ধুপত্নীর জন্য। হট চিককে দেখে রাজা শয্যা নিলো। এই ঘটনা জানতে পেরে সেনাপতি একটা অতি নিম্নমানের ফাজলামি করলো। সে প্ল্যান করলো, বৃক্ষ দেবতা হয়ে গাছের কোটরে লুকিয়ে থাকবে। এবং রাজাকে শিক্ষা দেবে ভদ্র ভাষায়। বেকুব রাজার কামমত্ত মন থেকে মুক্তির জন্য বৃক্ষ দেবতার স্মরণে পূজা করতে গেলো তার আমত্যবর্গ। সেখানে সেনাপতির চাকর সনাতন গাছের কোটর থেকে বললো, রাজা সেনাপতি-পত্নীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। বেকুবগুলো সেই সমাচার জানালো রাজাকে। দুর্বল মহাপুরুষ রাজা এসব শুনে ভেবে নিলো, তার এরকম কামুক চরিত্র ফাঁস হয়ে গেছে দেবতাদের কাছে! (হা হা হা ... হাসতে হাসতে ***** খুলে গেলো!) সে খুব লজ্জিত হল। 

সেই চান্সে সাধু সাজলো সেনাপতি। চালু মাল। সে বলল, সে রাজার জন্য তার স্ত্রীকে রাজার কাছে দান করতে প্রস্তুত! রাজা তাকে যত খুশি ভোগ করুক, এই ঘটনা তাদের তিনজনের মধ্যে থাকবে। কিংবা রাজা চাইলে সরাসরি হট চিকের শয়নকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে! (ছিঃ ছিঃ) রাজা এসব শুনে লজ্জিত হল। তার ধর্মচক্ষু খুলে গেল! মানে উপরের মাথা জেগে গেল আর নিচের মাথা থেমে গেল! (হোলি শিট!) 

চরিত্র পরিচিতি:

শিবি রাজা - গৌতম বুদ্ধ (!!!)

সেনাপতি - সারিপুত্র (গৌতম বুদ্ধের প্রধান অগ্রস্রাবক) 

উন্মাদয়ন্তী - (গৌতম বুদ্ধের প্রধান মহিলা অগ্রস্রাবিকা উৎপলাবর্ণা) 

এখন প্রশ্ন হলো:

১. এ ধরনের অসামান্য রূপ-লাবণ্যর জন্য কি নারীকে ঘরে বসে বসে ডিম পাড়তে হবে? তার মানে যেসব পুরুষের বউ বেশি সুন্দর, তাদেরকে গৃহে বন্দী অবস্থায় থাকতে হবে চিরদিনের জন্য? (এতো সমান অধিকার কই রাখি!) 

২. রাজা হয়ে কীভাবে অন্যের স্ত্রীর প্রতি কামাতুর দৃষ্টি দিতে পারে? তার ঈমান এতোই নড়বড়ে? 

৩. বাল্যসখা হওয়া সত্ত্বেও সেনাপতি রাজাকে বিশ্বাস করতে পারলো না একমাত্র তার স্ত্রীর রূপের জন্য। এরকম দুর্বল চিত্তের পুরুষকে বন্ধু না বলে লুইচ্চা বলা কি উচিত না? (হোক সে রাজা, তাতে কি লুইচ্চামি কমে যায়?) 

৪. গৌতম বুদ্ধ কি এরকম সুন্দর সুন্দর মেয়েদের জ্বালায় থাকতে পারেননি সংসারে? নাকি অন্য ঘটনা? 

৫. রাজাকে পুরোদমে বেকুব বানানো সেনাপতি প্রতি জন্মে বুদ্ধের আশেপাশে ছিলো। এসব চালু মালের সাথে এতো জীবন কাটানোর পরও কেন বুদ্ধের মাথা খুলল না? 

৬. সেক্সি মাইয়াদের কাপড় খুলতে খুলতে ক্লান্ত হয়ে কেন ঘোষণা দিলো – জগৎ দুঃখময় ? কিংবা সংসারের চেয়ে সন্ন্যাস ভালো? 

বৌদ্ধ নারীদের বলি, আপনারা তো বোরকা পরবেন না, তাই একটু সুন্দরী–রূপসী হলে ঘরে বসে থাকবেন। পারতপক্ষে জামাই ছাড়া কারো সামনে আসবেন না। আপনার সম্মান রক্ষা করার জন্য ধর্ম আছে। সাধু সাধু সাধু (গাধুর দল!)!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন