আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১২

সনাতনী বিগ্যান

লিখেছেন নিলয় নীল

পোপ যখন প্রথম বাইবেলের মধ্যে 'বিজ্ঞান' পেলেন, তখন এক বিজ্ঞানী পোপকে অনুরোধ করেছিলেন, দয়া করে এটি করতে যাবেন না, কারণ বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল, ধর্ম স্থবির। কোনো দিন আসতে পারে, যখন প্রমাণ হতে পারে যে, বিগ ব্যাং পুরো ভুল, এবং বিজ্ঞান সেটা গ্রহণ করবে, কিন্তু আপনারা আপনাদের ধর্মগ্রন্থ নিয়ে বিপদে পড়ে যাবেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা, শুধু খ্রিষ্টান ধর্মেই নয়, একে একে ইসলাম, হিন্দু এবং আরও কিছু ধর্মের ধর্মগ্রন্থে এখন বিগ ব্যাং পাওয়া যায়।

একটা ব্যাপার চিন্তা করুন, কার ধর্ম কতোটা বিজ্ঞানময়, তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করার জন্যই ব্যস্ত ধার্মিকরা। কিন্তু কার বিজ্ঞান কতোটা ধর্মময়, তা ধর্মীয়ভাবে প্রমাণ করার জন্য কিন্তু বৈজ্ঞানিকরা ব্যস্ত নয়। এর মাধ্যমেই বোঝা যায়, সাধারণ মানুষের কাছে ধর্মের গুরুত্ব হ্রাস পেয়ে বিজ্ঞানের গুরুত্ব বাড়ছে বলে ধার্মিকরা এখন তাদের ধর্মে 'বিজ্ঞান' খুঁজে পাচ্ছেন। প্রবীর ঘোষের ভাষায় বলতে হয়, আপনি প্রার্থনা করে একটা কম্পিউটার তৈরি করতে পারলে (কোনোরূপ কৌশল ছাড়া) আমি অবশ্যই আপনার প্রার্থনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আপনার ধর্ম গ্রহণ করবো, আর না হলে তা নিয়ে আমি ব্যঙ্গ, বিদ্রূপ, হাসাহাসি করলেও তা নিতান্ত অপরাধ হওয়া উচিত নয়।

ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান খোঁজায় এখন মুসলমানদের পাশাপাশি হিন্দুরাও পিছিয়ে নেই। গতকাল একটা পেইজ দেখলাম - বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম। পোস্টগুলোতে একবার চোখ বোলাতে গিয়ে দেখলাম, “রামায়ণের কাহিনী শুধু কল্পকাহিনী নয়, তার প্রমাণ রামসেতু যা ভগবান শ্রীরাম চন্দ্র লঙ্কায় পৌঁছানোর জন্য ব্যবহার করেছিলেন, আজও স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে ইহা অক্ষত আছে, NASA-এর বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর সর্বপ্রাচীন সেতু এটি এবং এটি কোন প্রাকৃতিক সেতু নয়, ভগবান রামচন্দ্র কর্তৃক সৃষ্ট সেতু।” 

এর মাধ্যমে আমরা বুঝলাম, নাসা এখন মহাকাশ গবেষণা বাদ দিয়ে সেতু আর হিন্দুধর্মের ভগবান রাম চন্দ্র নিয়ে গবেষণা শুরু করছে। আসলে পৌরাণিক সাহিত্যের অনেক কিছুই বাস্তবে কিছু ঘটনা থেকে বানিয়ে বানিয়েও তৈরি হতে পারে, তাই বলে এর মাধ্যমে সমগ্র পৌরাণিক কাহিনী সত্য হয়ে যায় না।

এর পর পেলাম, নিউটন যে মধ্যাকর্ষন শক্তির কথা বলেছেন, তা তিনি কীভাবে বেদ থেকে চুরি করছেন, তার বিবরণ। তারপর দেখলাম, শ্রীমৎ ভক্তিস্বরূপ দামোদর স্বামী মহারাজ-এর মুখ নিঃসৃত বাণী। মানুষ দিন দিন বিজ্ঞানের দিকে ধাবিত হচ্ছে দেখে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, “শ্রীকৃষ্ণই যে সমস্ত কর্মের কেন্দ্রভূমি একথা জেনেও ক্ষণস্থায়ী কলাকৌশলের প্রতি একজনের চেতনাকে নিবদ্ধ না করে প্রত্যেকেরই কর্তব্য হল তার চেতনাকে পরম বৈজ্ঞানিক শ্রীকৃষ্ণের অভিমুখী করা। একটি সাধারণ কেন্দ্রের চারপাশে অসংখ্য এককেন্দ্রিক বৃত্তের অস্তিত্ব সম্ভব। অনুরূপভাবে, শ্রীকৃষ্ণকে তাদের সমস্ত কর্মের কেন্দ্র হিসেবে রেখে সমস্ত বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ্ তথা বিভিন্ন প্রকারের ব্যক্তিগণ শ্রীকৃষ্ণভাবনায় নিযুক্ত হতে পারেন। পেশা যাই হোক না কেন, প্রত্যেকেরই কর্তব্য হল তার সমস্ত কর্মের কেন্দ্রস্থলে শ্রীকৃষ্ণকে স্থাপন করে শ্রীকৃষ্ণ বিজ্ঞান আয়ত্ত করা।”

আমরা নতুন একটা বিজ্ঞানের নাম জানলাম তা হল শ্রীকৃষ্ণবিজ্ঞান।

এর পর দেখলাম, সমুদ্রের নিচে শ্রীকৃষ্ণের লীলা স্থানের সন্ধান লাভ। “১৯৮৩ সাল থেকে ভারতীয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশিয়ানোগ্রাফি মাধ্যমে মেরিন আরকিওলজি টিম নিযুক্ত থেকে বর্তমানে তারা ভারতের উপকূলবর্তী গুজরাট এর দ্বারকা(নতুন) সমুদ্র তীর থেকে অনেক দূরে সমুদ্রের জলের নিচে পৌরাণিক শহর দ্বারকা রাজ্য অনুসন্ধান পায়। শক্তিশালী প্রত্নতাত্ত্বিক সমর্থিত দ্বারকা রাজ্য। ভারতের সবচেয়ে সম্মানিত এক আরকিওলজিস্ট Dr. S R Rao এর নেত্রিতে কাজতি পরিচালনা করা হয়। 300 খ্রিস্টপূর্বাব্দে শ্রী কৃষ্ণের এবং বলরামের স্মৃতি বিজরিত এবং তাদের বংশ এবং একটি মন্দির দেহাবশেষের ছারও শ্রী কৃষ্ণের পুত্রদের নাম খুদাই করা কিছু শিলা পাথরের অনুসন্ধান পাওয়া যায়।” 

হুবহু কপি করে দিলাম, দেখুন পোস্টটার মধ্যে রয়েছে অজস্র ভুল। ১৯৮৩ সালের পানির নিচে এত বড় একটা আবিষ্কার, অথচ আমরা কেউ জানলাম না! আর শ্রীকৃষ্ণ চরিতামৃততে আমি দেখেছি শ্রীকৃষ্ণের কতোগুলো গর্ভে কতজন পুত্র ছিল, তা শ্রীকৃষ্ণও জানতেন না। বেশীর ভাগ নারী তাঁর বীর্যে পুত্র সন্তান লাভ করে ধন্য হতেন। শ্রীকৃষ্ণ বেচারা আর কী করবেন, তিনি পাবলিক সার্ভিস প্রদান করতেন। পাবলিক ডিমান্ড বলে কথা। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন