আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১২

লুক্স লিখিত সুসমাচার - ২০

লিখেছেন লুক্স

১৮৬.
২০টি শক্তিশালী রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে হত্যা করার জন্য একজন আত্মঘাতী তালেবানই যথেষ্ট।

১৮৭.
দুইটা ব্যাপারে আমার খুব মেজাজ খারাপ হয়: একজন নারী যখন ইসলামের পক্ষে কথা বলে, আর একজন মুসলমান যখন কাফেরদের দেশে বাস করে ইসলামকে ডিফেন্ড করতে চায়। শুধু তা-ই নয়, ইসলামকে একমাত্র সত্য ধর্ম দাবী এবং প্রচার করে, আর মোহাম্মদের জীবনী না জেনেই তার জীবনাদর্শ অনুসরণ করার কথা বলে।

১৮৮.
মুসলিম হতে হলে কোরান-হাদিস পড়তে হয় না। অন্ধবিশ্বাসই (ঈমান) যথেষ্ট। আদম, ঈসা, মুসা - এরা কোরান-হাদিস না পড়েই মুসলিম ছিলেন।

১৮৯.
হিন্দুরা ভগবান ডেকে যাকে পুজো করেন – সেই ভগবান ব্যাপারটাই অশ্লীল। ‘ভগবান’ বলতে ঈশ্বরকে বোঝানো হলেও এটি আসলে হচ্ছে দেবরাজ ইন্দ্রের একটি কুখ্যাত উপাধি। তিনি তার গুরুপত্নী অহল্যার সতীত্ব নষ্ট করায় গুরুর অভিশাপে তার সর্বাঙ্গে একহাজার ‘ভগ’ (স্ত্রী যোনি) উৎপন্ন হয় এবং তাতে ইন্দ্রের নাম ‘ভগবান’ (ভগযুক্ত) হয়। ‘ভগবান' শব্দটি তাই ইন্দ্রের ব্যভিচারের একটি স্মারকলিপি, নিন্দনীয় বিশেষণ।

১৯০.
শুধুমাত্র পোষাকের জন্য মানুষ নষ্ট হয়ে যায় - এমন উদ্ভট ধারণা আমার বহু আগেই ভেঙেছে।

১৯১.
ইসলামের সমালোচনা মানেই কি অন্য কোন ধর্মকে প্রমোট করা? আজ হিন্দুধর্মের কোন পণ্ডিত এসে সতীদাহ বা বর্ণবাদের পক্ষে সাফাই গাইলেও একইভাবেই সমালোচনা করা হবে, কেউই ছাড়া পাবে না। অন্য ধর্মের সমালোচনা করা যাবে, আর ইসলামের করা যাবে না? অন্য ধর্মের লোকেরা বহু আগেই তাদের ধর্মের কালো কালাকানুন যেগুলি এ যুগে বাতিল বুঝতে পেরেছে, তাই তারা সেগুলি নিয়ে বাড়াবাড়ি করে না। বৈদিক বা বিবলিক্যাল সমাজ গঠনের দাবী তোলে না। তাদের কৃতিত্ব তো এ ক্ষেত্রে দিতেই হবে।

১৯২.
এই দায়িত্ব অবশ্যই আল্লাহকে নিতে হবে - তার ভুলে ভরা কোরান, তার সাম্প্রদায়িক বান্দা, আর মানুষের ১৪০০ বছরের অপব্যবহার।

১৯৩.
কোরানে কাফেরদেরকে “অকৃতজ্ঞ”, “অবাধ্য”, “জঘন্য” বিশেষণে বিশেষিত করা হয়েছে। বইটি পড়ে আমি শিখলাম যে, আমার সাথে কারও মতবিরোধ থাকলে তাকে মনে-প্রাণে ঘৃণা করা উচিত। আরো বলা হয়েছে যে, শিরক ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ, তবে কোনো মুশরিক নিবেদিত প্রাণে ক্ষমা প্রার্থনা করলে এবং আল্লাহর সুমতি হলে আল্লাহ এই পাপ ক্ষমা করে দিতে পারেন। এখানে আমি “ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ” অংশটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করছি। এ থেকে আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারি, হিন্দু ও অন্য সব পৌত্তলিকদের ব্যাপারে একজন আদর্শ মুসলমানের দৃষ্টিভঙ্গি কীরকম হওয়া উচিত।

১৯৪. 
পেট্রোল ডিজেল ব্যবহারকারী গাড়ির থেকে উট যানবাহন হিসেবে অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব ছিল, তাই বলে আপনি এখন গাড়ি ফেলে উটের পিঠে চড়ে বসবেন?

১৯৫.
উমর এতই ন্যায়পরায়ণ ছিলেন যে, তিনি মদ্যপানের অপরাধে তাঁর পুত্র আবু শাহমাকে কঠোর শাস্তি দিয়েছিলেন। 
কাজী নজরুলের “ওমর ফারুক” কবিতা থেকে আমরা জানতে পারি, তিনি আবু শাহমাকে চাবুক মারতে মারতে মেরেই ফেলেছিলেন। (কবি নজরুল এর মধ্যে ওমরের “ন্যায়পরায়নতা” দেখতে পেয়েছিলেন।) 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন