পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০
স্বামী দ্বারা স্ত্রীকে তালাক দেওয়া (বিবাহবিচ্ছেদ)
ইসলামে বিবাহবিচ্ছেদ খুবই মামুলী ব্যাপার - বিশেষতঃ বিবাহবিচ্ছেদ যদি স্বামী দ্বারা হয়। দু’জন সাক্ষীর সামনে স্বামীকে শুধু বলতে হবে ‘তোমাকে তালাক দিয়ে দিলাম।’ ব্যস, সেই মুহূর্ত থেকেই স্ত্রী স্বামীর জন্য হারাম হয়ে যাবে। এই তালাক মৌখিক অথবা লিখিতভাবেও হতে পারে। আজকাল মুঠোফোনেও ইসলামী তালাক দেওয়া জায়েজ হচ্ছে - অনেক ইসলামী দেশেই - হয়ত বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এভাবেই, অতি সহজে, অতি অল্প পয়সা খরচ করে এক নিমেষের মাঝে একজন স্বামী পারবে তার স্ত্রীকে দূর করে দিতে।
শুধু শর্ত হল এই যে, ইদ্দতের (তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী গর্ভবতী কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হবার জন্য) সময় পর্যন্ত তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ঘরে ভরণপোষণ দিয়ে রাখতে হবে - তাও যদি তালাক এক অথবা দুই হয়। তার মানে হল এই: ইদ্দতের সময় স্বামী চাইলে স্ত্রীকে ফেরত নিতে পারে।
কী মারাত্মক ব্যাপার! এক নারীর জীবনের ভার আল্লাহপাক সম্পূর্ণভাবে তুলে দিয়েছেন এক পাষণ্ড স্বামীর হাতে। স্বামীর দয়া, ইচ্ছা, করুণার ওপর নির্ভর করছে এক নারীর অস্তিত্ব। এ চিন্তা করলে ইসলামী সভ্যতা নিয়ে যাঁরা বড়াই করেন, তাঁদের মুখে থুথু দিতে ইচ্ছে করে। এ ব্যাপারে আমি আগেই লিখেছি যে, স্বামী যদি স্থায়ী তালাক দেয় (অর্থাৎ তিন তালাক) তবে স্ত্রীকে এক কাপড়ে ঐ মুহূর্তে স্বামীর ঘর ত্যাগ করতে হবে। কী নিষ্ঠুর! কী অমানবিক! কী অসভ্য এই ইসলামী আইন, যা আল্লার আইন হিসেবে পরিচিত।
শুধু শর্ত হল এই যে, ইদ্দতের (তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী গর্ভবতী কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হবার জন্য) সময় পর্যন্ত তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ঘরে ভরণপোষণ দিয়ে রাখতে হবে - তাও যদি তালাক এক অথবা দুই হয়। তার মানে হল এই: ইদ্দতের সময় স্বামী চাইলে স্ত্রীকে ফেরত নিতে পারে।
কী মারাত্মক ব্যাপার! এক নারীর জীবনের ভার আল্লাহপাক সম্পূর্ণভাবে তুলে দিয়েছেন এক পাষণ্ড স্বামীর হাতে। স্বামীর দয়া, ইচ্ছা, করুণার ওপর নির্ভর করছে এক নারীর অস্তিত্ব। এ চিন্তা করলে ইসলামী সভ্যতা নিয়ে যাঁরা বড়াই করেন, তাঁদের মুখে থুথু দিতে ইচ্ছে করে। এ ব্যাপারে আমি আগেই লিখেছি যে, স্বামী যদি স্থায়ী তালাক দেয় (অর্থাৎ তিন তালাক) তবে স্ত্রীকে এক কাপড়ে ঐ মুহূর্তে স্বামীর ঘর ত্যাগ করতে হবে। কী নিষ্ঠুর! কী অমানবিক! কী অসভ্য এই ইসলামী আইন, যা আল্লার আইন হিসেবে পরিচিত।
দেখা যাক আল্লাহ পাক কী বলেছেন তালাকের ব্যাপারে।
কোরান সুরা বাকারা আয়াত ২২৮ (২:২২৮):আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। আর যদি সে আল্লাহ্র প্রতি এবং আখেরাত দিবসের উপর ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ্ যা তার জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন তা লুকিয়ে রাখা জায়েজ নয়। আর যদি সদ্ভাব রেখে চলতে চায়, তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার অধিকার তাদের স্বামীরা সংরক্ষণ করে। আর পুরুষদের যেমন সস্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম অনুযায়ী। আর নারীদের উপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ্ হচ্ছে পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ।
ইসলামের এহেন বর্বরোচিত নিয়ম ঢাকার জন্য অনেক ইসলামী পণ্ডিত বলে থাকেন যে, আল্লাহপাকের নিকট তালাক নাকি সবচাইতে অপ্রীতিকর শব্দ। তাই স্বামীর উচিত হবে তালাক একেবারে শেষ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা। অর্থাৎ স্ত্রী একান্তই অবাধ্য ও অপ্রীতিকর কর্ম না করলে তাকে তালাক না দেওয়া ভাল। কিন্তু এই ধরনের কথা কোরানের কোথাও লেখা নাই। সুনান আবু দাউদে এই ব্যাপারে দুটো হাদিস দেখা যায়। পড়া যাক এই হাদিসগুলো।
সুনান আবু দাউদ, বই ১২ হাদিস ২১৭২মুহারিব বর্ণনা করলেন:নবী বলেছেন (দঃ): আল্লাহ্র আইনগত বিধানের মধ্যে তাঁর কাছে সবচাইতে জঘন্য হচ্ছে তালাক।
সুনান আবু দাউদ, বই ১২ হাদিস ২১৭৩আবদুল্লাহ ইবনে ওমর বর্ণনা করেছে:নবী (দঃ) বলেছেন: ‘আইনসম্মত কার্য্যকলাপের মধ্যে আল্লাহ্র কাছে সবচাইতে অপ্রীতিকর কর্ম হচ্ছে তালাক।”
এই হাদিসগুলো যে পরিষ্কার ভাবে কোরান লঙ্ঘন করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এ ছাড়াও, এই হাদিস শুধু হাস্যকরই নয় - এই হাদিসে আল্লাহ্র মতিগতি এবং প্রকৃতিস্থতা নিয়ে সন্দেহ হয়। আল্লাহ্ কি পাগল, তাঁর কি মাথাখারাপ? যে কর্মকে আল্লাহ্ সবচাইতে জঘন্য বলেছেন, সেই কর্মকেই আল্লাহ্ আইনসম্মত করে দিয়েছেন!
চিন্তা করুন: খুন করা যদি সবচাইতে ঘৃণ্য কাজ হয় এবং তা সত্ত্বেও কোনো দেশে যদি খুন করা আইনসম্মত করা হয়, তবে আমরা সেই দেশের আইনকে কী বলবো?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন