আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১২

ইসলামী ইতরামি: দুই হালি

১.
পত্রিকার হেডিং-এ লিখছে - ইসলামের নকল নবী গ্রেপ্তার। আর আমি ভাবি, আসল নবী বলে কিছু আছে নাকি! সব নবীই তো নকল ও ভণ্ড। ঘটনাটা ছিলো এরকম: ইসলামের আত্মঘোষিত নবীজির পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চেয়েছিল তারই এক উম্মত। তবে স্ট্র্যাটেজিটা দুর্বল ছিলো বলে ধরা খেতে হয়েছে তাকে। অনুসারীদের পাপস্খলনের নামে নিজের বীর্যস্খলনের ব্যবস্থা করে ফেলেছিল সে। বেহেশতে যেতে চাইলে সে টাকা দাবি করতো। অর্থপ্রদানে অপারগদের সে 'সাহায্য করতো' তাদের স্ত্রী-কন্যাদের সঙ্গে ছহবত করে। 

২. 
কোনও মুসলিম আল্যাফাক, কোরান, সব নবী ও মহাম্মকের স্ত্রীদের কোনওরকম সমালোচনা করলে তার মৃত্যুদণ্ড অবধারিত। ঠিক এই আইনটিই সম্প্রতি গৃহীত হয়েছে কুয়েতে। তবে অমুসলিমদেরকে যথেষ্ট কৃপা করা হয়েছে এই আইনে। ওপরোক্ত অপরাধে অভিযুক্ত অমুসলিমের সাজা হবে নিদেনপক্ষে দশ বছরের কারাবাস। 

৩.
খতনা প্রথাটাই বর্বর, আর সেটা নারীর ওপরে প্রয়োগ করাটা বর্বরতার চূড়ান্ত। আপনি কি জানেন, উদারপন্থী মুসলিম দেশ হিসেবে নাম কুড়নো মালয়েশিয়ার নব্বই শতাংশ মুসলিম নারী খতনা প্রথার শিকার

৪. 
আল্যাফাকের নির্বীর্যতা ও অক্ষমতা সম্পর্কে মুছলিমদের পরিষ্কার উপলব্ধি এসেছে বলেই মনে হয়। দোয়া-মোনাজাত করে নবীজির ন্যাংটো কার্টুন প্রকাশ করা ফরাসী পত্রিকার একটি কেশও স্পর্শ করতে না পেরে উপায়ন্তর না দেখে দুই মমিন আদালতের আশ্রয় নিচ্ছে। 

৫. 
অনেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ড্রেস কোড থাকে। সেখানে কর্মরত সবাইকে সেটা মেনে চলতে হয়। সেটাই সভ্য রীতি। কিন্তু অসভ্য মুছলিমরা তা মানবে কেন! এক মুছলিম ক্যাব-ড্রাইভার অভিযোগ করেছে, কর্মস্থলে ইছলামী পোশাক পরার কারণে কী হেনস্থাই না তাকে হতে হয়েছে! ভাবছিলাম, সামরিক বাহিনীতে কর্মরত মুছলিমরা এমন ঘ্যানঘ্যানানি শুরু করার দুঃসাহস পাবে কি? 

৬. 
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে মুছলিমদের সংখ্যা শতকরা পাঁচ জনেরও কম। কিন্তু জেলখানায় তরুণ কয়েদিদের শতকরা কুড়ি ভাগ মুছলিম। কী বুঝলেন? মুছলিম অভিবাসীবহুল অধিকাংশ ইয়োরোপীয় দেশেই এই অবস্থা। 

৭. 
'ইছলাম ও বিবর্তনবাদ' বিষয়ক অনুষ্ঠিতব্য বিতর্ক বাতিল করতে হয়েছে মমিন মুছলিমদের জোর প্রতিবাদের মুখে। সভ্য উপায়ে আলোচনার পথও ইছলাম খোলা রাখতে চায় না। 

৮. 
শত প্রচার সত্ত্বেও 'ইছলাম - শান্তির ধর্ম' শুনলে হাসি চেপে রাখা দায় হয়ে পড়ে। এখন বক্রহাস্যজাগানিয়া আরও একটি ইছলামী প্রচারাভিযান শুরু হবে আমেরিকায়। সেটির নাম - আমার জিহাদ। জিহাদ বস্তুটি কতো নিরীহ, কতো শান্তিকামী, কতো বন্ধুবৎসল (হাইসেন না!), সেটা প্রমাণ করার ব্যর্থ উদ্যোগই হবে এই প্রচারাভিযানের লক্ষ্য। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন