আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১২

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৪৯

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

২৪১.
নবীজি হজরত আলির খেতাব দিয়েছিলেন "আসাদুল্লাহ" বা আল্লাহর সিংহ।
নবীজি নিজেই তার জামাতাকে হিংস্রতম জন্তুর খেতাব দিয়েছিলেন। কারণ তিনি ভাল করে জানতেন মানুষের মত দেখতে হলেও এ প্রাণী মোটেই মনুষ্যশ্রেণীর পর্যায়ভুক্ত নয়। 


২৪২.
"...জান্নাতের পাদদেশে নদনদী প্রবাহিত।"
সাগরগর্ভে বিপুল জলধির মাঝে যার জন্ম, তাকে ক্ষুদ্র নদীর জলের লোভ দেখিয়ে কী লাভ? 

২৪৩.
স্রষ্টারা সকলে অজ্ঞাতবাসে থাকেন। নিজ নিজ সৃষ্টিকে তাঁরা খুবই ভয় পান। তাঁদের মাত্রাতিরিক্ত স্বৈরাচার ও অন্যায়ের কারণে যে কোনো মুহূর্তেই সৃষ্টির হাতে তাঁদের প্রাণনাশের আশঙ্কায় তাঁরা সৃষ্টি হতে নিরাপদ দূরত্বে বাস করেন। সেই অজ্ঞাত ঠিকানার উদ্দেশ্যে ভিন্ন ভিন্ন স্রষ্টার ভিন্ন ভিন্ন মুরিদগণ আপন আপন স্রষ্টার শেখানো স্তুতিবাক্য শূন্যে ছুঁড়ে দেয়। 

২৪৪.
একবার এক সাধারণ আরব হজরত আলির সামনে এক মসজিদে নামাজ পড়ল। তবে পড়ল অত্যন্ত ভুল উচ্চারণে ও ভুল ইলহানে। শুনে আলির ভয়ানক রাগ হল। নামাজ শেষে তিনি লোকটিকে শুধু ভর্ৎসনাই করলেন না, মারতে উদ্যত হলেন। হুকুম দিলেন নামাজটা আবার শুদ্ধ করে পড়তে। এবার হজরত আলি খুশি হয়ে বললেন, 'তোমার শেষের নামাজটা আগেরটার চেয়ে ভাল হয়েছে।' লোকটা বলল, হুজুর প্রথমবার আমি পড়েছিলাম স্রেফ আল্লার ভক্তিতে উদবুদ্ধ হয়ে, শেষবার পড়েছি আপনার ভয়ে, আপনার মারের কথা ভেবেই।'
(বই--হজরত আলি, লেখক আবুল ফজল, পৃষ্ঠা ১৮১)
উক্ত ইতিহাস থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, সাধারণ ধর্মান্তরিতদের আল্লার ওপর ভক্তির চেয়ে নবী ও তার ছাহাবীদের প্রতি ভয়ভীতিই বেশি ছিল। ওরা আল্লার ভক্তিতে নয়, বরং ওই ভয়ংকরীদের ভয়েই ধর্ম পালন করত বা পালন করার ভান করত। 
আরেকটি কথা। নামাজ পড়া ভুল হলেই একজন মানুষকে মারতে হবে? সুন্দরভাবে, সুন্দর ব্যবহারে তাকে শিখিয়ে দেয়া বা ভুল শুধরে দেয়া যেত না কি? আল্লার নবীর ভাই, জামাতা ও ছাহাবার আচরণ এমন জঘন্য ও হীন হতে পারে? 

২৪৫.
জ্বীন দিয়ে কয়েকটি বাক্য রচনা করো।
১. জ্বীনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে, এ জীবন পূণ্য করো।
২. তুমি যে সুরের জ্বীন লাগিয়ে দিলে মোর প্রাণে, এ জ্বীন ছড়িয়ে গেল সবখানে।
৩. বসন্তে ফুল গাঁথল আমার জয়ের মালা, বইল প্রাণে দখিণ হাওয়া, জ্বীন জ্বালা। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন