লিখেছেন দিগম্বর পয়গম্বর
১.
মুসলমানরা নাস্তিকদের ঘৃণার চোখে দেখে। ইনসেস্ট থেকে শুরু করে তাবৎ যৌনাচার ও অশ্লীলতার জন্য দায়ী করে নাস্তিকদের। অথচ এসব গুরুতর অভিযোগের বিষয়গুলো কিন্তু নাস্তিকরা পেটেন্ট করে রাখেনি। যখন কোনো ধর্ষণ বা অন্য যে কোনো নিপীড়নের জন্য কোনো ধার্মিক এবং তার ধর্মকে দায়ী করে কেউ, তখন পূর্বোক্ত আস্তিক অভিযোগকারীরা সুর পালটে বলে, ক্রিমিনাল সত্যিকারের ধার্মিক না। এখন মজার বিষয় হচ্ছে, পৃথিবীর বেশির ভাগ অপরাধের সাথে কিন্তু যারা জড়িত, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ আস্তিকদের দলেই পড়ে। জেলখানায় বন্দিদের মধ্যে কিন্তু নাস্তিক অপেক্ষাকৃত কম।
আমার পয়েন্ট হচ্ছে, অপরাধীরা যদি স্রষ্টায় বা ধর্মে বিশ্বাসী হয়েও অপরাধ করে থাকে, তাহলে ধর্মের significance কোথায় রইল আর? এতে কি দেখা যাচ্ছে না, ধর্মের কোনো হাত নেই, ভাল কিংবা মন্দ, কোনটাই না। তাহলে ধর্মের বর্জনই শ্রেয়। এতে সমাজের অনেক সময় ও পয়সা বেঁচে যায়। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
২.
যাকির নায়েক ১০ মিনিট খাড়ায়া থাইকা ঝড়ের বেগে যে চাপা ঝাড়বে, আপনার ১০ বছর লাগবে সেগুলো খণ্ডাতে।
৩.
বিধবা বিবাহ মোহাম্মদ চালু করেনি। সেটা প্রাক ইসলামিক যুগেও চালু ছিল। কীভাবে বুঝলাম? কারণ এই দাবি এক্সক্লুসিভলি কাউকে করতে শুনিনি এখন পর্যন্ত। খাদিজা ছিলেন দুইবারের বিধবা যখন মোহাম্মদ তাঁকে বিয়ে করে, তখনও ইসলাম প্রচার হয়নি, তাই এটার ক্রেডিট মোহাম্মদের ভাষায় জাহেলিয়ার আরবদের। আর তাছাড়া মোহাম্মদ নিজেই নিজের বিধবা স্ত্রীদের বিবাহ নিষিদ্ধ করে গেছে। এক মুখে বলে আল্লার রসুল, আরেক মুখে বলে আমি একজন সাধারণ মানুষ। অক্ষমতার ক্ষেত্রে সাধারণ, আর হিংসুক স্বার্থ উদ্ধারের সময় অসাধারণ।
৪.
পশ্চিমে নাস্তিক মেয়েরা প্রকাশ্যে ইউটিউবে যিশুর গুষ্টি উদ্ধার করছে, বাঙালি মেয়ে ইউটিউবে মোহাম্মদের গুষ্টি উদ্ধারের কথা এখনো স্বপ্নের মত।
৫.
আমি বিচারক হলে ৪২০ ধারায় সব ধর্মপুস্তক বাজেয়াপ্ত করতাম। আর সব হুজুর, পুরোহিত, প্রিস্ট, লামা, পীর, দরবেশ ধইরা ১৪ শিকের ভিত্রে ভরতাম। মন্দির মসজিদ গির্জা সব গরীবের থাকনের কমপ্লেক্স বানানির অর্ডার দিতাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন