বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৩

যুক্তির কাঠগড়ায় কুরান-হাদিস - ০৩

লিখেছেন রাইট হার্ট

যুক্তি - ৭

ধরুন, আপনার কোনো এক সন্তান আপনাকে বাবা বলে স্বীকার করে না অর্থাৎ তার পিতৃপরিচয় সে দেয় না। এখন আপনি কী করবেন? 

- আপনি কি অন্য সন্তানদের নির্দেশ দেবেন তাকে হত্যা করতে? 
- অতঃপর তার সম্পত্তি আর স্ত্রী-কন্যা নিজেদের মাঝে ভাগ করে নিতে? 
- কিংবা মেয়ে হলে দাসী বানিয়ে ধর্ষণ করতে আর ছেলে হলে দাস বানিয়ে ব্যবহার করতে?

'আল্লাহ' নামক সৃষ্টিকর্তা মুসলিমদের নির্দেশ দিয়েছেন যারা অবিশ্বাসী অর্থাৎ যারা তার অস্তিত্বে বিশ্বাস আনবে না, তাদের 
- হত্যা করতে (কোরান ২:১৯১, ৪:৮৯, ৯:৫, ৪৭.৪), 
- তার সম্পত্তি আর স্ত্রী-কন্যাদের গনিমতের মাল হিসেবে নিজেদের মাঝ ভাগ করে নিতে (কোরান ৪৮:২০, ৮:৪১, ৪:২৪), 
- মেয়েদের দাসী বানিয়ে ধর্ষন করতে (কোরান ৪:৩, ২৩:৫-৬, ৭০:২৯-৩০), 
- ছেলেদের দাস বানিয়ে ব্যাবহার করতে (কোরান ১৬:৭১, ১৬:৭৫) !

এখন বলুন, কে বেশি স্নেহশীল এবং নীতিবান? - আপনি নাকি আপনার আল্লাহ? 

যুক্তি - ৮

ধরুন, আপনার জানা মতে আমি একজন দয়ালু, নীতিসম্পন্ন এবং জ্ঞানী ব্যক্তি! কিন্তু আমি আপনাকে জানালাম যে, কিছু মূহুর্ত আগে আমি আমার মামার সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাটিকে মেরে ফেলেছি! এখন কি আর আমাকে আপনার দয়ালু মনে হচ্ছে? কিংবা নীতি বোধ সম্পন্ন জ্ঞানী কেউ ? উত্তরটা সম্ভবত 'না'।

এবার আসল আলোচনায় আসা যাক । কুরান অনুসারে:

১. আল্লাহ দয়াবানদের চাইতেও সর্বশ্রেষ্ট দয়াবান ~ ২১:৮৩
২. তার ইচ্ছেয় এই দুনিয়ার যাবতিয় কিছু ঘটে থাকে ~ ৭৬:৩০-৩১
৩. তার ইচ্ছে ব্যাতিত কেউ মরতে পারে না ~ ৩:১৪৫
৪. তার কাছে কোন বিষয়ে প্রার্থনা করলে তা তিনি কবুল করে নেন ~ ২:১৮৬

এবার ধরা যাক, কোনো এক টেররিস্ট অ্যাটাকে বহু লোক মারা গেল। এখন আপনার মতে কি তারা সবাই গুনাহগার ছিল? কেউই কি সৎ, নীতিবান বা নিরীহ ছিল না? যেসব শিশুরা মারা গেল তারা? মনে রাখতে হবে, ইসলাম পুনর্জন্মের পাপ জাতীয় ধারনায় বিশ্বাস করে না যে,এটা মানতে হবে আল্লাহ পূর্ব-পাপে তাদের এমন সাজা দিলেন। যেহেতু তার ইচ্ছে ব্যতিত কিছু ঘটে না এবং তার ইচ্ছে ব্যতিত কেউ মরতেও পারে না, তাই এটা ধারণা করা যায় সহজেই যে, টেররিস্ট অ্যাটাক ঘটানো এবং নিরপরাধ মানুষ মারা দুটোই তার কর্ম। এছাড়া, মৃত্যু মুহুর্তে সবারই বেঁচে থাকার প্রতি আকুতি থাকার কারণেই আল্লাহর প্রতি সে ভক্তিভরে প্রার্থনা জানাবেই। কিন্তু যেহেতু তার মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হলই, সেক্ষেত্রে বলা যায়, প্রার্থনা করলেই আল্লাহ তা পূরণ করেন না ।

সুতরাং ওপরোক্ত বক্তব্য অনুসারে, (২+৩) is not equal to ১ or ৪ ~~ সিম্পুল ম্যাথ! 

বিঃ দ্রঃ কোনো মুমিন যদি এই বলিয়া নিজের অজ্ঞতা ঢাকতে বা আবালতা প্রকাশ করতে চান যে, আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা করার জন্যেই এমন অনেককিছু করেন, যা আমাদের বোধগম্য নয়, তাহলে আমি বলবো ~ আপনার আল্লাহ সর্বশক্তিমান বা সর্বদ্রষ্টা নন, যেহেতু পরীক্ষার ফল কী হবে, তা তাঁর জানা নেই। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন