- সহীহ আল-ধর্মকারী
পাঠিয়েছেন নিষ্কর্মা
হাঁচির বিশদ বৈজ্ঞানিক কারণ বিষয়ক একটি নিবন্ধ পেলাম প্রথম আলোয়।
হাঁচি একধরনের স্নায়ুতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। মুখমণ্ডল ও মাথার চারপাশে স্নায়ুর সূক্ষ্ম শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে থাকে। বিশেষভাবে মুখের চামড়ার স্নায়ুগুলো খুব সংবেদনশীল। রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ, কোনো কিছুর সঙ্গে ঘষা লাগা বা স্পর্শ, তাপ বা ব্যথার সামান্য অনুভূতিতেই এগুলো উদ্দীপ্ত হয়। এসব স্নায়ুর শাখা-প্রশাখা নাসারন্ধ্রের ভেতরেও বিস্তৃত থাকে। ফলে নাকের ভেতর অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য হাঁচি আসে। নাকের ভেতর ধুলাবালু ঢুকলে তো বটেই, যদি তা না-ও হয়, শুধু ঠান্ডায় কাঁপুনি বা তাপমাত্রার আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে স্নায়ুগুলো উদ্দীপ্ত হতে পারে। এর প্রতিক্রিয়া মস্তিষ্কের অভ্যন্তরের ‘হাঁচিকেন্দ্রে’ গিয়ে জড়ো হয়। তখন শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের স্নায়ুগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং হাঁচি আসে। হাঁচির কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করছেন। এর সব কারণ এখনো পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে জানা যায়নি। তবে এটা ঠিক যে নাকের ভেতর সুড়সুড়ির অনুভূতির জন্য হাঁচি আসে, যেন নাকের ভেতর অস্বস্তিকর কিছু থাকলে তা বেরিয়ে যায়।
বিজ্ঞান যেখানে ফেল, সেখানেই ধর্ম।
আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্ণিত:আল্লহার নবী বলেছেন, “আল্লাহ হাঁচি পছন্দ করেন এবং হাই তোলাকে ঘৃণা করেন। তাই কেউ যদি কারো হাঁচির শব্দ শুনে, তাহলে তার উচিত হবে সেই হাঁচির জবাব দেওয়া। সেই জবাব যারা শুনতে পারবে, তাদের সকলেরই ‘ইয়া হামুকাল্লা’ বলতে হবে। আর হাই তোলা শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। তাই যে কারোই উচিৎ তা বন্ধ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। যে হাই তোলে, শয়তান তাকে দেখে হাসে।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন