শনিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৩

ইছলামকবলিত এলাকায় যৌনাপরাধ

অনেক মুছলিম দাবি করেন, ইছলামী আইন নারীদের জন্য অনেক বেশি নিরাপদ এবং ইছলামী দেশগুলোয় যৌনাপরাধ প্রায় শূন্যের কোঠায়। দাবিটা যে শূন্যগর্ভ, সেটা বুঝতে রকেটবিজ্ঞানী হবার প্রয়োজন নেই। যে আইনে ধর্ষিতাকে শাস্তি পেতে হয় এবং ধর্ষণ প্রমাণ করতে চারজন পুরুষের সাক্ষ্য প্রয়োজন (এমন বিধানের চিন্তা আসতে পারে শুধু নির্মগজ মস্তিষ্কেই), সেখানে অসংখ্য ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌনাপরাধ অন্যদের অগোচরেই থেকে যাবে, এতে অবাক হবার কিছুই নেই। 

চলুন, তার পরেও দেখা যাক শুধু গত ডিসেম্বর মাসে ইছলামকবলিত দেশগুলোয় ঘটা কিছু যৌনাপরাধমূলক ঘটনার ছোট একটি সংকলন।

১. 
বিরাশি বছরের এক বৃদ্ধ মেয়েদের ওপরে উপর্যুপরি যৌননির্যাতন চালিয়েছে। মেয়েদের কাছ থেকে 'মাত্র' পনেরোবার অভিযোগ পাবার পরে উপায়ন্তর না দেখেই, বোধহয়, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। 

২. 
এক বেকার ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ:  এক বালিকাসহ পাঁচজন শিশু তার যৌননির্যাতনের শিকার হয়েছে। শিশুকামী নবীর প্রকৃত শিষ্য!

৩.

৪. 
এক সেলসম্যান তেরো বছর বয়সী তরুণীকে জোর করে আলিঙ্গন করে চুমু খেতে চেষ্টা করে। আরও দুঃখের কথা এই যে, সেলসম্যানটা বাংলাদেশী।

৫. 

৬.
দুবাইয়ে এক শপিং মলের নিরাপত্তা কর্মীকে আটক করা হয়েছে মোবাইলে মেয়েদের গোপনাঙ্গের ভিডিও ও ছবি (আপস্কার্ট ধাঁচে) তোলার দায়ে।

৭.

৮.
ড্রাইভিং শেখানোর ছুতোয় চোদ্দ বছর বয়সী এক বালককে ধর্ষণ করেছে এক পুরুষ। 

৯.
মুদির দোকানের ধর্ষণের শিকার বারো বছর বয়সী এক মেয়ে সন্তানপ্রসব করেছে।

১০.
তেরো বছর বয়সী বালককে যৌনকর্মে বাধ্য করতে চেয়েছিল এক ট্যাক্সি ড্রাইভার। 

১১. 
এক ড্রাইভার তার চাকরিদাতার স্ত্রীকে যৌনলাঞ্ছিত করেছে। 

১২. 
বন্ধুকে দিয়ে নিজের ষোলো বছর বয়সী স্ত্রীকে ধর্ষণ করিয়ে এক ব্যক্তি সেই বন্ধুর সহায়তায় মেয়েটিকে হত্যা করে। 

১৩.
স্কুলবাসের ভেতরে এক বালিকাকে একাকী পেয়ে তাকে যৌননির্যাতন করেছে বাসচালক। 

১৪.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন