আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৩

ইসলামোরফোসিস - ০২

লিখেছেন কৌশিক

৩.
শুক্রবার ফজরের নামাজের পরে কিছুক্ষণ দাওয়াতী কাজ করলাম। আমাদের হুজুর বললেন, লোকমান কেন মসজিদে আসে নাই, চলেন দেখে আসি। এই দাওয়াতী কাজের জন্য আল্লাহ আমাদেরকে নাকি পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আমি একশ বার সোবহানাল্লাহ গোনা হলেই তজবিদানায় একটা চুমু খাই, এ রকম তিন চুমুতেই লোকমানরে বাড়ী পোঁছে গেলাম। হুজুর ডাক দিতে লোকমান হাজির হয়ে গড়বড় করে বলতে শুরু করলো, হুজুর ঘুম থেকে উঠতে পারি নাই, নামাজ তো কাজা হয়ে গেল! 

হুজুর তার মাথায় হাত রেখে বললো, বাবা, এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করলে নবীজীর শর্টলিস্ট থেকে নাম কাটা যায়। যাই হোক, আল্লাহ তোমাকে মাফ করুক, কাজা নামাজ পড়ে নিও! 

হুজুরকে বিদায় দিয়ে আমি বাসায় ডান পা দিয়ে ঢুকলাম। ঘরের বাইরে বাম পা দিয়ে নামতে হয়, ঢুকতে হয় ডান পা দিয়ে। কারণ ঘরের চেয়ে বাজার খারাপ। আবার মসজিদে ঢোকার সময় ডান পা দিয়ে, কারণ মসজিদ হলো আল্লাহর ঘর, পৃথিবীর সব জায়গার চেয়ে মসজিদ পবিত্র। নিরাপদ। এই যে সিডর হলো, সুনামী হলো, ভূমিকম্প হয়, আমাদের হুজুর বললেন, সব জায়গাতে মসজিদ আল্লাহ হেফাজত করেন। দেখবেন পাঁচতলা বাড়ী ধ্বংষ হয়ে গেছে কিন্তু মসজিদের কিছু হয় নাই। যে মসজিদ ধ্বংস হয়, সেগুলো নাকি হারাম পয়সার গড়া। সোবহানাল্লাহ। আল্লাহর কী কুদরত। 

বাসায় ঢুকেই সবাইকে সালাম দিলাম, আচ্ছালামুআলাইকুম। ঘর খালি হলেও সালাম দেয়া উচিত, কারণ ফেরেশতা থাকে, তারা সালামের জবাব দেয়। আমি এক গ্লাস পানি ঢেলে ডান হাতে গ্লাসটা রেখে চেয়ারে বসে তিন চুমুকে খেলাম। প্রথম চুমুকে অল্প, এরপরে মাঝারি, তারপরে পুরোটুকু। এটা নবীজির সুন্নত, আর এখন জানা গেছে, এটা সাইন্টেফিক। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের নবী সেই চোদ্দশ বছর আগে আমাদের জন্য উত্তম জীবনবিধান রেখে গেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন