আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৩

ধর্মাতুল কৌতুকিম – ৫৫

পাঠিয়েছেন সায়ন

১৫৭.
বাসর রাতে ৯ বছর বয়সী বিবি আয়েসা নবী করিম মোহাম্মদ (সঃ) কে জিজ্ঞেস করল,”শয়তান, দোজখ আর বেহেস্তের সুখ কোথায় পাওয়া যায়, আর কীভাবে পাওয়া যায়?”
মোহাম্মদ (সঃ) উত্তর দিলেন, “আমার দুই পায়ের মাঝে তুমি শয়তানকে পাবে। তোমার দুই পায়ের মাঝে পাবে দোজখ। আর যদি তুমি দোজখে শয়তানকে বন্দি করতে পার, তবেই তুমি পাবে বেহেস্তের সুখের অনুভূতি।" 

১৫৮.
রাস্তার মধ্যে এক লোকের হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলো। চোখ মেলে দেখলো, সে এক হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে। জানতে পারলো, কিছুক্ষণ আগেই তার বড়সড় এক বাইপাস সার্জারি হয়েছে। কিছুক্ষণ পর লোকটার কাছে এক যাজিকা এলেন হাতে একটা লম্বাটে কাগজ নিয়ে।
“এটা একটা মিশনারী হাসপাতাল, জনাব।” বললেন যাজিকা। “যদিও এটা চালাতে রোগীদের কাছ থেকেও কিছু টাকা নেয়া হয়। আপনার কাছে কি এই অপারেশনের ব্যয়ভার বহন করার মত যথেষ্ট পরিমাণ টাকা আছে?”
লোকটা অসহায়ের মত তাকিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে জবাব দিল, "নেই।"
“এখানে হয়তো নেই, কিন্তু ব্যাঙ্কে তো আছে?”
এবারও লোকটার একই উত্তর: "নেই।"
“হুম,” বললেন যাজিকা। “তবে আপনার কি কোনো স্বাস্থ্যবীমা করা আছে?”
লোকটা আবারও না-বোধক মাথা নাড়লো।
“বড়ই সমস্যা দেখছি। তো এই অপারেশনের বিল শোধ করার মত কোনো সামর্থ্যবান আত্মীয় কি আপনার আছে?”
লোকটা এবার ক্ষীণকণ্ঠে বললো, “আত্মীয় বলতে আছে শুধুমাত্র আমার এক বোন।”
“তার কি আপনার অপারেশনের খরচ বহন করার টাকা আছে? সে কী করে?”
“কী আর করবে! সে দেখতে এতই বিশ্রী যে, কোনো ছেলে তাকে বিয়েই করছিল না। তাই সে হয়ে গেল এক ক্যাথলিক চার্চের যাজিকা।”
ইজ্জতে লাগলো উপস্থিত যাজিকাটার। “আপনি কি জানেন, একেকটা যাজিকার পতিভাগ্য কীরূপ? প্রত্যেকটা যাজিকা হলেন স্বয়ং ঈশ্বরের স্ত্রী।”
লোকটা চটপট বললো, “ঠিকাছে। অপারেশনের বিলটা তাহলে আমার দুলাভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিন।”
© ঐশ

১৫৯.
একদা রাতে নবীজী হযরত মুহাম্মদ হেরা গুহায় বসে ধ্যান করছিলেন। হঠাত তিনি দেখলেন এক পেষল, ইয়া বড় ষণ্ডামার্কা সুদর্শন যুবাপুরুষ তার সামনে দাঁড়িয়ে। নবীজী যুবককে বললেন, "হে মহামহিম, নিশ্চয়ই আপনি ফেরেস্তা জিব্রাইল হবেন।" 
যুবক উত্তর করলো- "না, আমি জিব্রাইল না।" 
নবীজী বললেন, "কিন্তু এই গুহায় তো কেউ ছিলো না আর আমি ছাড়া। কীভাবে আপনি এখানে আসলেন? অবশ্যই আপনি অশরীরী কেউ। আমার ধ্যানে তুষ্ট হয়ে আমার মনোবাঞ্ছা পুরণের লক্ষ্যে আপনি এই গুহায় এসেছেন। অবশ্যই আপনি ফেরেস্তা জিব্রাইল। নিজেকে আর লুকিয়ে রাখবেন না। এইবার দয়া করে আমার মনোবাঞ্ছা পুরণ করুন।" 
যুবক বললো তখন, "আচ্ছা, ঠিকাছে। আমিই ফেরেস্তা জিব্রাইল। এইবার বলো, কী তোমার মনোবাঞ্ছা।" হযরত বললেন, "আমার মনোবাঞ্ছা হচ্ছে, আমি পৃথিবীর তামাম সুদর্শন নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধের সঙ্গে যৌনসঙ্গম করতে চাই; পৃথিবীতে যতো টাকা-পয়সা-ধন-দৌলত আছে এর সব চাই; এবং চাই সর্বোপরি ক্ষমতা যাতে আমি যা খুশি তাই-ই করতে পারি।" 
জিব্রাইল বললেন, "আচ্ছা ঠিকাছে তোমার মনোবাঞ্ছা পুরণ করা হলো। তোমার মনোবাঞ্ছাগুলো কাল সকালে বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু এক শর্তে। শর্তটা হচ্ছে - সারারাত আমাকে তোমার পু* মারতে দিতে হবে।" 
প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলেন নবীজি কিন্তু পরিশেষে ভেবেচিন্তে দেখলেন, ফেরেস্তা মানুষ, তারপর আবার সুদর্শনও বটে; ক্ষতি নেই কোনো একে একরাত আমার পু* মারতে দিলে। রাজি হলেন আমাদের নবীজি এবং তেল-টেল মেরে একদম রেডি হয়ে বসলেন। সারারাত তুমুল পু* মারামারি করে ক্লান্ত হয়ে গুহাতেই ঘুমিয়ে পড়লেন তাঁরা। 
সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হযরত বললো, 'সকাল তো হয়েছে, এইবার আমার মনোবাঞ্ছা বাস্তবায়িত করুন।"
জিব্রাইল আড়মোরা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বললো, "বয়স কতো হইছে তোমার?" 
নবীজী বললেন, "আজ্ঞে হুজুর চল্লিশ বছর।" 
হাসতে হাসতে বললো তখন জিব্রাইল, "চল্লিশ বছর বয়স হইছে তোমার, এখনও তুমি মিয়া ফেরেস্তায় বিশ্বাস করো?" 
[বি.দ্র.- ঐতিহাসিকদের ধারণা এই যুবকটির নাম আবু জেহেল।] 

* সবগুলোই বড়বাবুদের কৌতুক: ছোটবাবুরা খেলতে যাও নামের ফেসবুক পেজ থেকে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন