আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৩

ইসলামোরফোসিস - ০১

লিখেছেন কৌশিক

১.
বারো বছর আগে নামাজ পড়তাম। তারপরে কালেভদ্রে। বিগত দু'বছরে মসজিদে যাওয়া হয়নি। তবে এর আগে ঈদ, মাঝেমাঝে জুম্মাবারে নামাজে যাওয়া লাগতো বাধ্য হয়ে। কোনো সময়েই ওজু করা হতো না। 

এখন মনে হচ্ছে, বড় ভুল করেছি। মনের মধ্যে কেমন কেমন টান বোধ করি। হায় আল্লাহ! আমারে কি মাফ করবে? মাফ করবে কি এক নাস্তিককে?

হঠাৎ সেদিন রাতে কিছু একটা হলো। 

একজন বললো, তুই হেদায়েত হ! 

সারাদিন আমার অশান্তিতে গেল। ইহ-পরলৌকিক জগতের চিন্তায় রাতভর আমার ঘুম হলো না। 

আমি ভুলে যাওয়া কলেমা খোঁজ করলাম। বই ঘেটে পড়লাম লা-ইলাহা-ইল্লাললাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। তওবা করলাম, আসতাগফিরুল্লাহ........ আরবীতে করা জরুরী নয়, মনের মধ্যে ঐকান্তিকভাবে চাইলে আল্লাহ শুনবেন নিশ্চয়। মনে হলো তিনি শুনলেন। 

আমার মন ভালো হয়ে গেল। 

আলহামদুলিল্লাহ!

২. 
প্রথম দিন কষ্ট হয়েছে। সারাক্ষণ অজু করে থাকা, কখনও বায়ু নির্গত হয়ে যায় কি না, এসব নিয়ে তটস্থতা, রাস্তাঘাটে কোথায় তাকাবো, সেটা নিয়ে অহেতুক টেনশনে মোটামুটি দিনটা গেল। 

বাসায় ফিরে নামাজ পড়লাম। মনটা ভাল হয়ে গেল। কুরআনুল মোবারক নিয়ে বসলাম। সুর করে পড়লাম, ইয়া সিনন ওয়াল কুরআনুল হাকিম... সে এক অপার্থিব অদৃশ্য জগত চোখের সামনে ভেসে উঠলো! কী সেই অপার মহিমা, যদি জানতো নাস্তিকেরা! 

মনে পড়ে গেলো গোলাম আজম, কামরুজ্জামানসহ ইসলামী আন্দোলনের প্রধান সৈনিকদের কথা। তারা সারাদিন কত দ্বীনি জীবন যাপন করে। কী সুন্দর দাড়ি! শুভ্র ও লম্বা। আমারও একদিন এমন দাড়ি হবে! 

টিভি খুলে ইসলামিক চ্যানেল টিউনিং করি। একজন বুজুর্গানে দ্বীন আজীমুশ্বানের শান-শওকত বর্ণনা করছেন। আমার চোখ ভিজে গেল। এই সেই মহান রাব্বুল আলামীন - তাকে ভুলে এতদিন এ আমি কোথায় ছিলাম! আমি তাকে ভালবাসি, আমি তাকেই ভালবাসি! 

হে আল্লাহ, আপনি না-বুঝদারদের বুঝ প্রদান করুন। সমস্ত মানবজাতির কল্যাণ করুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন