শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৩

ইসলামোরফোসিস - ০৫

লিখেছেন কৌশিক

৬.
রাস্তায় বেগানা আওরাত দেখে আমার মনে হয়, শয়তান ইচ্ছে করে এদেরকে এই পোষাক পরাচ্ছে। মহিলাদের দেহ কোমল, তারা ঘরের মধ্যে থাকবে বলেই এত কমনীয় করা হয়েছে। যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে বোরখা পরবে, রোদ বৃষ্টির উপযোগী করে তাদের বদনমোবারক তৈরি করা হয়নি। আমাদের মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বলেন, ছিলা কলা নিয়ে কেউ যদি বাজারে বিক্রি করতে বসে, তাহলে কেউ কি কিনবে! এছাড়া পুরুষ জাতি হচ্ছে বদবখত, তাদেরকে উত্তেজিত করা মোহতারিমাদের উচিত হবে না। কথিত আছে, শয়তান যতভাবে মানুষকে ধোকা দেয় তার সিংহভাগ আসে মহিলাদের দ্বারা। ফেতনায়ে আওরাত শেষ জামানার মানুষকে ধ্বংস করে দেবে। 

আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব লম্বা পাগড়ী, পাগড়ীর নিচে একটা রুমাল পরে একরকম বোরখাওয়ালী সেজেই চলাফেরা করেন। তিনি বলেন, যে জামানা পড়েছে এখন, পুরুষদের পর্দা করা ফরজ হয়েছে। এই যে আরবী রুমাল, এর মহাত্ম হচ্ছে এটা পরিধান করলে আশেপাশের এসমস্ত কোনো ফেতনা চোখে পড়বে না। 

আমাদের সমাজে এত যে পারিবারিক অশান্তি, এটা হচ্ছে মেয়েদের অধীনে চলার কারণে। আমরা নিজেদের ইমান-আক্বীদা নষ্ট করেছি বলে একজন মহিলা এখন বাজারের আওরাত হয়ে গেছে। আমাদের ইসলামিক টিভির আবুল কালাম হুজুর বলেছেন, হাদিসে নাকি আছে, একজন জাহান্নামী আওরাত তার সাথে চারজন পুরুষকেও জাহান্নামে নিয়ে যাবে। এরা হচ্ছে, ঐ মহিলার বাবা, স্বামী, ভাই ও পুত্র সন্তান। আসতাগফিরুল্লাহ। আওরাতকে যে ছহি-কামেলী জিন্দেগীর স্বাদ দিতে পারবে কাল হাশরের ময়দানে তার জন্য থাকবে উত্তম পুরুস্কার। 

রাস্তাঘাটে বেগানা আওরাত দেখে আমার কষ্ট হয়। আমি চোখের পর্দা, মনের পর্দা করি। আজকে অফিসে এসে দেখলাম রেশমা বিশাল বুক ফাড়া এক জামা পড়ে আছে। দেখে আমি তাকে হাদিসের তালিম দিলাম। মহিলাদের হতে হবে কর্কষ কন্ঠধারী কারণ তাদের মিউজিক্যাল সুমিষ্ঠ আওয়াজ শুনে পুরুষ বিগলিত হতে পারে। এজন্য সাবধনতাবশত নারীদেরকে পরপুরুষের সাথে কথা বলার সময় অহেতুক সুমিষ্ঠ স্বর প্রদর্শন থেকে পরহেজ হতে বলা হয়েছে। রেশমা আমার কথা শুনে রিনরিনিয়ে হাসে। আমি তাকে হাদিসের এই বানী শোনাই। সে ভয়ংকরভাবে হেসে ওঠে। আমি বুঝতে পারি, কেন শেষ জামানায় আওরাতকে ফেৎনা বলা হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে ফেৎতনায়ে আওরাত হইতে সাবধনতা অবলম্বন করার তৌফিক দান করুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন