আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৩

ইসলামোরফোসিস - ০৬

লিখেছেন কৌশিক

৭.
সাতদিন পরপর নখ ও অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা সুন্নত বলে আমি এখন অনেক ফুরফুরে। হাদিসে আছে, চল্লিশ দিন অতিক্রম হওয়া হারাম। বৃহস্পতিবার নখ কাটলে বেশী মর্তবা। কারণ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত মানে হচ্ছে শুক্রবারের রাত। সোবহানাল্লাহ! দিনের আগে রাত চলে আসার বিধান রেখেছে মহান পাক পরওয়ারদেগার। এই রাতে ফেরেশতারা খোদার সমীপে সেজদায় অবনত হয়। তবে অবশ্যই দিবাভাগে এসব কর্তন সমাপ্ত করা উচিত। 

কিউ টিভিতে কোরানিক মতে নখ কর্তন দেখে এক অমুসলিম ইমান এনেছে বলে বয়ান শুনেছিলাম রাস্তায় লাগানো মাইকে। হুজুর বলছিল, দ্যাখ বেদ্বীন, ইসলাম হচ্ছে কমপ্লিট কোড অফ লাইফ! কেমনে নখ কাটতে হবে, তাও শিখিয়ে দিয়েছেন আমাদের নবীয়ে কারীম! শুনে রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে গর্বে আবার বুক ভরে ওঠে। দুই কিলোমিটারব্যাপী রাস্তায় পঞ্চাশ মিটার পরপর মাইক ফিট করা। কোথায় ওয়াজ হয় জানি না। কিন্তু পুরো এলাকাবাসী, মুসলমান, কাফের, কীটপতঙ্গ, স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়ারা, হাসপাতালের রোগীরা সবাই মাশাল্লা সে দ্বীনি কথা শুনতে পাচ্ছিল। এটা অমুসলমান কাফেরদের হেদায়েতের পথ সুগম করে। তারপরে তারা যখন জানবে ইসলামের কী ফজিলত, ডান হাতের তর্জনী থেকে থেকে নখ কেটে ক্রমশ বাম হাতের তর্জনী পর্যন্ত কাটার নিয়ম - তারা বিমুগ্ধ হয়ে যাবে। হুজুর বলছিলো, এসবই সায়েন্টিফিক, আল্লাহর নবী হচ্ছে সাইন্টিস্টদের সাইন্টিন্স্ট! সোবহানুতায়ালা আজিজ! 

আমাদের কিউ টিভির একজন বুর্জুগানে দ্বীন বলেছেন, ইসলামের এসব নানা সায়েন্সের কথা মানুষজনকে বেশী বেশী বলতে হবে। কারণ শয়তান কাফেরদের দিলে একটা সিল লাগিয়ে দেয়। হেদায়েত আসে কান, চোখ দিয়ে। হযরত মুসা আঃ এর উম্মতেরা ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর। তারা যখন কান চোখ বন্ধ করে রাখতো নবীর কথা শোনা থেকে তখন তারা গোমরাহ হয়ে গেল। এজন্য মাইক লাগিয়ে পুরো এলাকায় শোনাতে হবে কমপ্লিট কোড অব লাইফের কথা। 

আল্লাহ জাল্লা শানুহ এভাবে আমাদের মধ্যে দ্বীনের প্রতি জজবাত তৈরী করে দেবে এবং একসময় সমস্ত মানুষ দ্বীন কবুল করে দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি অর্জন করবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন