২৩৬.
বীরাঙ্গনারাও মুক্তিযোদ্ধা, পরম শ্রদ্ধেয় এবং জাতির গৌরব। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁরাও তাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, যা দেশের মানুষ চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। কিন্তু কোন বীরঙ্গনা যদি স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি রাজাকারদের পক্ষে কথা বলেন, তাহলে তিনি সত্যিকারের বীরঙ্গনা নন; তিনি একজন তুচ্ছ নারী, যিনি ৭১-এ পাকিস্তানী হানাদারদের ক্যাম্পে তার বন্দী সময়টুকু উপভোগ করেছিলেন।
২৩৭.
যে নবীর জীবন ও চরিত্র নিয়ে আপনার ক্ষোভ আছে বা সন্দেহ আছে, সে নবীর ওপর নাজিল হওয়া কোরানের সত্যতা নিয়ে আপনার সন্দেহ কেন আসে না, তা তো বুঝতে পারছি না।
২৩৮.
মুসলমানরা দাবি করে, ইসলাম একটি জীবনব্যবস্থা। আসলে ইসলাম একটি মতবাদ। স্রেফ বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে কীভাবে মানুষ একটি জীবনব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে, সেটি আমার বোধগম্য নয়। ইসলামের প্রতি অবিশ্বাস পোষণ করে যারা, তারা হল কাফের। কাফেরদের বিরুদ্ধে বইটিতে যে কী পরিমান ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে, তা না পড়লে বিশ্বাস করা যায় না। একটা মতবাদের বিরোধিতা করা তো পাপ না। কোনো বিশেষ জীবনব্যবস্থার বিরোধিতা করাও তো পাপ না। জাপানীদের জীবনব্যবস্থার সাথে আমাদের জীবনব্যবস্থার আকাশপাতাল পার্থক্য রয়েছে, তাই বলে কি আমরা জাপানীদের ঘৃণা করি?
২৩৯.
ইসলামে মানবাধিকারের সংজ্ঞা: তিন হাত লম্বা চকচকে ধারালো তলোয়ার দিয়ে এক কোপে অপরাধীর কল্লা ফেলে দিতে হবে যেন অপরাধীর কষ্ট কম হয়। সূত্র: হেরা গুহা।
২৪০.
যে দেশে আরবিতে সবাই অজ্ঞ, সে দেশে কোরানে সবাই বিশেষজ্ঞ।
২৪১.
হাজার হাজার শিক্ষিত মানুষের উপস্থিতিতে প্রকাশ্য জনসভায় মুসলমান আলেম কর্তৃক রবীন্দ্রনাথের দাড়ি নিয়ে কটাক্ষ-উপহাস-তিরস্কার করতে দেখেছি, কোরান-হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে আহমেদ শরীফ ও তসলিমা নাসরিনকে হত্যার ফজিলতও নিজের কানে শুনেছি। আমরা কি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত জঙ্গীদের দ্বারা যত মানুষ খুন হয়েছেন, যত সন্ত্রাসী কাণ্ড ঘটেছে তার সাথে কোরান-হাদিসের কোনো সম্পর্ক নেই?
২৪২.
আন্তঃধর্ম সংলাপে যতক্ষণ বক্তারা কথা বলবে, ততক্ষণ মনে হবে - সব ধর্ম কত মহান। ওদের একবার জনগণের প্রশ্নের হাতে ছেড়ে দিন, মুখোশ খুলে যাবে।
২৪৩.
হিজাব-নিকাব কখনই ধর্ষণ কমাতে পারেনি, পারবেও না। কারণ আপনি যে ধর্মমতে হিজাব ও নিকাবের পক্ষে কথা বলছেন, সে ধর্মেই নারীকে চরম অবমাননা করা হয়েছে, লাঞ্ছিত করা হয়েছে। দেয়া হয়েছে ধর্ষণের অনুমোদন ও উৎসাহ। ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীকে ধর্ষণ করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত এবং নীরবে। ইউরোপের দেশগুলোর দিকে তাকান, এখানে নারীরা তুলনামূলক ভাবে অনেক খোলামেলা পোশাক পরে। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে খুবই কম। শুধু ধর্ষণ কেন, যে কোনো অপরাধ কমানোর জন্য একটি রাষ্ট্রের মানুষকে শিক্ষিত, সচেতন ও সভ্য হওয়া এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সবকিছুর আগে দূর করতে হবে ধর্মান্ধতাকে। নারীর পোশাক ভারি করার চেয়ে ধর্মকে ঠিক করা অনেক বেশি জরুরি।
২৪৪.
মুসলমানরা রাসুলের আদর্শ বলে খুব গলা ফাটায়। কিন্তু রাসুলের আদর্শটা কী? রাসুল জীবনে কী কী ভালো কাজ করেছেন, সেটা বলে না। সত্য কথা বলতে এতো শরম কেন?
২৪৫.
একটা গণতান্ত্রিক দেশের বারোটা বাজানোর জন্য একটা কাকরাইল মসজিদই যথেষ্ট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন