আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৩

লুক্স লিখিত সুসমাচার - ২৪

লিখেছেন লুক্স

২২৬.
মোনাজাত আর আমিন-আমিন ধ্বনির মাধ্যমে ইহলোকের মঙ্গল, পরলোকের ক্ষমা, দেশের কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করা কখনোই যায়নি এবং যাবেও না। বড়জোর বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের মতো উন্নত করা যেতে পারে।

২২৭.
বাংলাদেশে কারো ঘরে আগুন দিলে ঘর পুড়ে যায়। বাসে আগুন দিলে বাস পুড়ে যায়। এমনকি বিশাল একটি কারখানাতে আগুন দিলেও সম্পূর্ণ কারখানাটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিন্তু কোরানে আগুন দিলে কোরান কখনও পোড়ে না। এ হচ্ছে মুসলমানদের প্রতি আল্লাহর ভালোবাসা প্রকাশের নমুনা।

২২৮.
মুসলমানদের একটা মৌলিক শিক্ষা হিসেবে সবার মাথাতেই ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যে, কোরান অক্ষরে অক্ষরে মানা ছাড়া পাক্কা মুসলমান হওয়া যাবে না। আমার মতে, এখান থেকেই যত সমস্যার সৃষ্টি। মুশকিল হল, অন্ধবিশ্বাসের মোহে এর প্রযোয্যতা যাচাই বাছাই না করেই সবাই এটা বিশ্বাস করতে চায়। যে কোরানের পুরো বাংলা অনুবাদ হয়ত পড়েনি, সেও এটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। কিছু না বুঝলেও অন্তত গুনাহর ভয়ে হলেও সে এটা বিশ্বাস করতে চায়। জিহাদী ফ্যানাটিসিজম প্রচারকারী মোল্লা-আলেমের দল ঠিক এই দুর্বলতাটুকুরই সফল সুযোগ নেয়। কোরান সংস্কার তো সম্ভব নয়, আরো বেশে আবেগের বিষয়। তবে সবার বোঝা উচিত যে, কোরানের সব বাণী বা শিক্ষা সব যুগে সব দেশে প্রযোজ্য নয়। অনেক আয়াত সে সময়কার আরববাসীদের জন্যই কেবল খাটে। এটা ভালভাবে না বুঝলে এ সমস্যার কোনো সহজ সমাধান নেই।

২২৯.
খুব জানতে ইচ্ছে করে, কোরানের কোন বিশেষ আয়াতগুলোর জন্যে কোরান সেরা ধর্মগ্রন্থ? পুরো কোরান তো আর সেরা হতে পারে না। কারণ কোরানে রয়েছে অসংখ্য ভুল আর অমুলমানদের প্রতি ঘৃণা আর হত্যার উসকানিমূলক প্রায় ৫০০ আয়াত।

২৩০.
১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, মানবতাবাদী, মুক্তমনা দাবীদার কোনো ব্যক্তি মানুষকে ঘৃণা করে না, হোক সে যে কোনো ধর্মের, বর্ণের বা সম্প্রদায়ের। আমরা ঘৃণা করি সেই মতবাদকে, যে মতবাদ মানুষকে ঘৃণা করতে শেখায়। ধর্মের জন্মলগ্ন থেকে ধর্মের নামে পৃথিবীতে যত মানুষ খুন হয়েছে অন্য কোও কারণে তত মানুষ খুন হয়নি। ধর্মের জন্যে মানুষ মানুষকে যত সহজে স-উল্লাসে নির্দ্বিধায় হত্যা করতে পারে, অন্য কোনো কারণে সেভাবে পারে না। ধর্ম মানুষকে বন্য-হিংস্র পশুত্ব শিক্ষা দেয়, সে হোক যে কোনো ধর্ম - হিন্দু, ইহুদি, খ্রিষ্টান কিংবা ইসলাম। ধর্ম যতদিন থাকবে, মানুষে-মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িকতা, বর্ণবৈষম্য, শ্রেণীবৈষম্য ততদিন থাকবে।

২৩১.
ধর্মই প্রতারণার বৈধ আবাসস্থল। 

২৩২.
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ বলে দাবিকৃত পবিত্র কোরান শরিফে ‘দাসপ্রথা উঠে যাক' এই মর্মে কোনো স্পষ্ট বিধান নেই, যদিও দাসত্বের চেয়ে হাজারগুণে কম ক্ষতিকর ও কম লজ্জাজনক, যথা শূকরমাংস ও মদ, সেগুলোর বিরুদ্ধে অত্যন্ত স্পষ্ট ও কঠোর ভাষায় সাবধানবানী ঘোষণা করা হয়েছে একাধিক জায়গায়।

২৩৩.
সৌদি আরবে অন্য ধর্ম পালন নিষিদ্ধ! মন্দির তৈরি করা তো দূরের কথা। বাক্সের মধ্যে লুকিয়ে ওখানকার হিন্দুরা দেবদেবীর ফটো নিয়ে যায়। আর মুসলমানরা খ্রিষ্টানদের দেশে আইস্যাই সৌদি আরবের ট্যাকায় মসজিদ বানায়।

২৩৪.
বেহেস্তে পুরুষের যাবতীয় সেবার জন্যে নিয়োজিত থাকবে চির কিশোরগন (Quran 52:24, 56:17, 76:19)! কেন কিশোরেরা? এর মাধ্যমে কি সেখানে পুরুষ-কিশোর যৌনতা যে বৈধ, তারই ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে না? প্রকৃতপক্ষে, জিহাদী আরবদের মাঝে অনেকেই ছিল সমকামী (homosexual) এবং তাদের কাছে উন্নতবক্ষা হুরদের পাশাপাশি অল্প-বয়স্ক সুন্দর বালক ছিল আকর্ষণীয়, যার লোভ দেখিয়েছেন আল্লাহ।

২৩৫.
মুহাম্মদ তার জীবদ্দশাতে মানুষের মনে আল্লাহর যে চরিত্র অঙ্কন করে গেছে, আমরা আমাদের জীবদ্দশাতে মানুষের মন থেকে সেই কাল্পনিক চরিত্র কেন মুছে দিতে পারব না? এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে যদি এক তলোয়ারধারী মধ্যযুগের আরবের কাছে হেরে যেতে হয়, তবে আধুনিক মানুষের মর্যাদাটুকু কি আর শরীরে থাকবে? লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য শুধু চাই মুহম্মদের মতো আপোষহীন একাগ্রতা। ঈশ্বরমুক্ত পৃথিবী দেখার প্রতীক্ষায় রইলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন