লিখেছেন রাইট হার্ট
ধরুন, ভবিষ্যতে কখনো মুসলিমসমৃদ্ধ দেশগুলো শক্তিশালী হয়ে উঠলো, আর তারা আশেপাশের সকল বিধর্মিদের কতল (হত্যা) করতে শুরু করলো, তাহলে কিন্তু ব্যাপারটাকে কখনোই অন্যায় বা পাপ বলে বিবেচনা করা যাবে না। বলুন তো কেন? - কারণ...
মুসলিমদের সৃষ্টিকর্তা 'আল্লাহ' বলেছেন ~
তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।(কোরান ৪.৮৯)
স্পস্টভাবে আল্লাহ তার নির্দেশনা ব্যক্ত করেছেন যে, তাদের প্রথমে ইসলামে বিশ্বাস আনার দাওয়াত দিতে হবে, আনলে ভালো, নইলে আল্লাহর নির্দেশ ''তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর'' মেনে নিয়ে মাঠে নেমে পড়তে হবে! বুঝলেন মশাই?
এখন হয়তো আপনার মাথায় আসতে পারে যে, বিষয়টা তো অন্যায়, কোনো মানুষের প্রতি এমনটা করা ঠিক না অথবা কাজটা অমানবিক! তবে এখানেও আল্লাহর সান্ত্বনা আপনি পেয়ে যাবেন। আর তা হচ্ছে ~
আর তোমরা যদি আল্লাহর পথে নিহত হও কিংবা মৃত্যুবরণ কর, তোমরা যা কিছু সংগ্রহ করে থাক আল্লাহ তা’আলার ক্ষমা ও করুণা সে সবকিছুর চেয়ে উত্তম।(কোরান ৩.১৫৭)
কিংবা,
আর যারা আল্লাহর রাহে নিহত হয়, তাদেরকে তুমি কখনো মৃত মনে করো না। বরং তারা নিজেদের পালনকর্তার নিকট জীবিত ও জীবিকাপ্রাপ্ত।(কোরান ৩.১৬৯)
অর্থাৎ আল্লাহর উক্ত নির্দেশনা (৪.৮৯) মানতে গিয়ে কেউ যদি মৃত্যুবরণও করে, তবে তার সকল গুনাহ কবুল হবে এবং সাধারন মৃতদের থেকে অনেক উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হবে! বোঝা যাচ্ছে, ঘরে বসে না থেকে বাইরে বেরিয়ে দুটো বিধর্মী মারলে বা তাদের স্ত্রী-কন্যা ধর্ষণ করলে আল্লাহ বেশি খুশি হবেন। আর এসব করতে গিয়ে যদি মারাও পড়েন, তো তাতে আর সমস্যা কী! পরকালে আল্লাহর জীবিকা প্রাপ্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি তো তিনি দিয়েছেনই!! সুতরাং একজন ঈমানদার মুসলিমের জন্যেই রয়েছে দো'জাহানের নেকি হাসিলের এক অফুরন্ত সুযোগ।
কী ফাকিং সৃষ্টিকর্তা আপনার মাইরি!!!!!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন