আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৩

দুর্বচন - ০৫

লিখেছেন সাদিয়া সুমি

২১.
আজ পর্যন্ত আমি বুঝতে পারলাম না, কেন আমাকে কাজ ফেলে স্রষ্টার গুনকীর্তন গাইতে হবে! আর স্রষ্টাই বা কেমন যে, নিজের গুনকীর্তন নিজে শুনতে যার আগ্রহের কোন শেষ নেই! সত্যিকারের জ্ঞানী লোকেরা কি কখনো তোষামোদ পছন্দ করতে পারেন?

২২.
আধুনিক মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল মোটামুটি ৫০ হাজার বছর আগে। আর আল্লার নবীরা দুনিয়াতে আসতে শুরু করলেন মোটামুটি ৫ হাজার বছর আগ থেকে। সভ্যতার ঊষালগ্নে, যখন মানুষ সবচেয়ে বেশী অসহায় এবং সমস্যাগ্রস্থ ছিল, তখন আল্লা কি শীতনিদ্রায় মগ্ন ছিলেন?

২৩.
ঈশ্বর-আল্লা-ভগবানেরা শুধুমাত্র অনুন্নত ভারতবর্ষ আর মধ্যপ্রাচ্যে জন্ম নেন কেন, আমি বুঝি না। উন্নত বিশ্ব তথা ইউরোপ-আমেরিকায় কি তারা যেতে ভয় পান?

২৪.
মানুষ একক কোনো প্রাণী নয়, বরং ৫ ট্রিলিয়ন কোষের ৫ ট্রিলিয়ন life-এর একটি সমষ্টি। এই ৫ ট্রিলিয়ন কোষ মানব দেহ থেকে আলাদা হয়ে ৫ ট্রিলিয়ন জীব হিসেবে বেঁচে থাকতে সক্ষম। এই কোষগুলো বংশবৃদ্ধি করতে পারবে কিন্তু মৃত্যুর পর আর পুনর্জন্ম নিতে পারবে না। কারণ কোষের নিউক্লিয়াস মৃত্যুকালে সম্পূর্ণ lysis হয়ে যায় যা irreversible. ক্লোনিং করে ঐ কোষটি যদিওবা copy করা হয়, তবুও সেটি original কোষ কখনই আর হবে না। আমার প্রশ্ন: তাহলে মৃত্যুর পর মানুষের পুনর্জন্ম কেমন করে সম্ভব হবে?

২৫.
৫০ বছর আগেও মানুষের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৫০ বছর, যা এখন ৭০ এর উপরে। ১০০ বছর আগে মানুষ বেশি মারা যেত সংক্রামক ব্যাধিতে, আর এখন মারা যায় হৃদরোগে। প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যু এবং নবজাতক মৃত্যুর হার প্রায় ৮০ শতাংশ কমে এসেছে। পাশাপাশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও উল্লখযোগ্য হারে কমে এসেছে। এসব ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো কি আল্লার ইশারায় সম্ভব হয়েছে, নাকি অ্যান্টিবায়োটিক ও আধুনিক চিকিত্‍সা ব্যবস্থাপনার সুফল? এ ব্যাপারে পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলোতে কী লেখা আছে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন