▼
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৬৩
লিখেছেন কবীর উদ্দীন
৩১১.
হিন্দুদের দেবী দূর্গার মাত্র দশখানা বাহু আছে। মানে সাধারণ মানুষের চেয়ে মাত্র পাঁচগুণ বেশি। সেই হিসেবে তার অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গগুলোও সাধারণের পাঁচগুণ হওয়া উচিত ছিল না কি? দূর্গা দেবীর শারীরিক ডিজাইনার তার অন্যান্য অঙ্গের প্রতি এতো কার্পণ্য ও অবিচার করলো কেন?
৩১২.
হাদিছে বর্ণিত আছে, প্রেমিক পুরুষ নবীজি তাঁর নাতি হাছান ও হোছেইনের জিহবা চুষতেন। নবীজি একজন ঘেটুনানা ছিলেন। ঘেটুনানা মোহাম্মদা। তাঁর নাতিরা ছিলেন ঘেটুনাতি। ঘেটুনাতি হাছানা ও ঘেটুনাতি হোছেইনা।
৩১৩.
ফেরেশতারা নূরের তৈরি। জ্বীনেরা আগুনের তৈরি। পশুপাখি পানির তৈরি। মানুষ মাটির তৈরি। নবী-রছুলেরা বালির তৈরি। কারণ নবী-রছুলদের জন্ম মরুভূমিতে। আর মরুভূমিতে কোনো মাটি নেই। কয়েকজন বালির তৈরি নবী-রছুলের উদাহরণ হচ্ছে, ইব্রাহিম আঃ, ইছমাইল আঃ, ইউনুছ আঃ, দাউদ আঃ, ইদ্রিছ আঃ প্রমুখ ও মহাবদ সঃ এবং তার ছাহাবিরা। শরীর বালির তৈরি হবার কারণে তাদের স্বভাব-চরিত্রও ছিল বালির মতন রুক্ষ।
৩১৪.
জীবনে যা কিছু বানানোর ছিল আল্লাপাক তা ৬-৮দিনে বানিয়ে ফেলেছেন। সাতটি আকাশ বানিয়েই রিটায়ার্ড। তিনি জীবনে আর কিছুই বানাবেন না। যা কিছু বলার ছিল, তা তিনি নবী রছুলের যুগে বলে ফেলেছেন। যা কিছু লিখার ছিল, তা তিনি নবী রছুলের যুগে লিখে ফেলেছন। তাঁর আর কিছু বানানোর, বলার বা লিখার নেই। তিনি এখন পুরোপুরি অবসর জীবন যাপন করছেন। তাঁকে কেউ ডিস্টার্ব করবেন না যেন!
৩১৫.
আল্লা ইছলাম ধর্মের মালিক। সেই দিক বিবেচনায় তিনি একজন মুছলমান। কিন্তু তিনি অন্য কোনো আল্লায় বিশ্বাস করেন না।সেই বিবেচনায় তিনি একজন নাস্তিক। তাই তিনি একজন মুছলমান নাস্তিক।
চিত্রপঞ্চক - ৪৮
পূর্ণাকারে দেখতে ছবিগুলোর ওপরে ক্লিক করতে হবে।
আল্যার ইশারা ছাড়া মমিনের একটা জুতাও চুরি হয় না
চান-তারারটা কই?
চৌদি আজবে ছাগুর কদর ও সম্মাননা
শব্দদোষ ও তার প্রতিকার
মনে পড়লো, ধর্মকারীতে জুপিটার জয়প্রকাশের একটি বাণী প্রকাশিত হয়েছিল:
"সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে সিলিং ফ্যান"
কোরানের রসময় তফসির - ০১
তফসির করেছেন খ্যাতিমান চটিপতি রসময় গুপ্ত
কোরান একটি হলেও তার তফসিরের সংখ্যা অগণ্য। সেসব পড়লে দেখা যায়, একজনের তফসিরের সঙ্গে আরেকজনের তফসিরের মিল তো নেইই, বরং সেগুলো প্রায়শই ভিন্ন অর্থবাহী ও ক্ষেত্রবিশেষে পরস্পরবিরোধেও। অনুমান করা দুরূহ নয় যে, তফসিরকারীরা যার যেভাবে খুশি আপন মনের মাধুরী মিশায়ে বিশ্লেষণ করেছে একেকটি আয়াত। তফসিরের সময় আমি অবশ্য মন নয়, তবে প্রায় 'মন'-এর মতোই উচ্চার্য একটি প্রান্তিক অঙ্গ ব্যবহার করি। আর তাই কোরানের কোনও আয়াত পড়ে আমার ধনের ডগায় মাথায় যে-চিন্তাটি আসে, সেই চিন্তার বীজপাত ঘটাই তফসিরে। আমার তফসির আকারে ছোট হলেও দৃঢ় এবং ব্র্যাকেট-পরা অবস্থায় মূল সুরার ফাঁকে ফাঁকে ঢোকানো।
সুরা আল যিলয্যাল
শুরু করছি আল্যার নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
যখন পৃথিবী তার কম্পনে (ভাইব্রেটর দ্বারা) প্রকম্পিত হবে, যখন সে তার বোঝা (মাল) বের করে দেবে।
এবং মানুষ বলবে, এর কি হল () ?
সেদিন সে তার বৃত্তান্ত (যৌবনজ্বালার বিবরণ) বর্ণনা করবে, কারণ, আপনার পালনকর্তা তাকে আদেশ করবেন (পর্ন দেখার উদ্দেশ্যে) ।
সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে প্রকাশ পাবে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম (কর্ম অর্থ কাম, মানে সেক্স অর্থাৎ সেক্স হিস্ট্রি) দেখানো হয়।
অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম (বৈধ সেক্স) করলে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম (ধর্ষণ) করলে তাও দেখতে পাবে।
* শিক্ষা: কুরান একখান, অর্থ অনেক।
বৌদ্ধশাস্ত্রে পুরুষতন্ত্র: নারীরা হল উন্মুক্ত মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত - ০২
লিখেছেন নিলয় নীল
পর্ব ১
পর্ব ১
আমরা প্রথমে আলোচনা করবো ৫৩৬ নম্বর জাতক, যার নাম কুণাল জাতক। এই জাতকের প্রধান চরিত্র হল কুণাল, যিনি নারীদের সম্পর্কে নীতিকথা বলেন। কুণাল বলেন নারী কখনই বিশ্বাসযোগ্য নয়, নারী স্বভাবতই বিশ্বাসঘাতিনী। নারী কোনোভাবেই প্রশংসার যোগ্য নয়। পৃথিবী যেমন সকলের আধার, তেমনি নারীও কামাচারে পাত্রাপাত্র বিচার করে না। কুণালের মুখে উচ্চারিত হয় নীতি গাথা:
সদা রক্তমাংস প্রিয়, কঠোর হৃদয়,
পঞ্চায়ুধ, ক্রূরমতি সিংহ দুরাশয়।
অতি লোভী, নিত্য প্রতিহিংসা পরায়ণ,
বধি অন্যে করে নিজ উদর পূরণ।
স্ত্রীজাতি তেমতি সর্বপাপের আবাস,
চরিত্রে তাহাদের কভু করো না বিশ্বাস।
কুণালের মতে, নারীকে বেশ্যা, কুলটা বললেই সব বলা হয় না, নারী প্রকৃত পক্ষে এর অধিক কিছু।
নারীরা হল:
নারীরা হল:
- উন্মুক্ত মলভাণ্ডের মতো দুর্গন্ধ যুক্ত।
- বিষমিশ্রিত মদিরার মতো অনিষ্টকারী।
- কুটিলা সাপের মতো দুই জিহ্বা বিশিষ্ট।
- পাতালের ন্যায় অতল গভীর।
- রাক্ষসীর ন্যায় সন্তোষহীন।
- অগ্নির ন্যায় সর্ব গ্রাসিনী।
- নদীর ন্যায় সর্ব বাহিনী।
- বায়ুর ন্যায় যথেচ্ছা গামিনী।
- বিষবৃক্ষের ন্যায় বিষফল প্রসবিনী।
কুণাল বলেন, নারী হল উন্মুক্ত মলভাণ্ডের ন্যায়। উন্মুক্ত মলভাণ্ড দেখিলে মাছি সেখানে ঝাঁপ দিবেই, তাকে রোহিত করা কষ্টকর। কিন্তু একজন জ্ঞানী মানুষ সব সময় এই মলভাণ্ডের দুর্গন্ধ উপলব্ধি করে তা এড়িয়ে চলে। তদ্রূপ নারীরূপ মলভাণ্ডে মাছিরূপ পুরুষ ঝাঁপ দিবেই, কিন্তু একজন জ্ঞানী ভিক্ষু এই উন্মুক্ত মলভাণ্ডরূপ নারীদের দুর্গন্ধ উপলব্ধি করিয়া তাদের সদাই পরিত্যাগ করেন। কুণাল নীতিগাথায় বলেন-
চৌর, বিষদিগ্ধসুরা, বিকত্থি বণিক
কুটিল হরিণ শৃঙ্গ, দ্বিজিহ্বা সর্পিণী
প্রভেদ এদের সঙ্গে নেই রমণীর।
প্রতিচ্ছন্ন মলকুপ, দুষ্কর পাতাল
দুস্তোস্যা রাক্ষসী, যম সর্বসংহারক
প্রভেদ এদের সঙ্গে নাই রমণীর।
অগ্নি, নদী বায়ু, মেরু (পাত্রাপাত্রভেদ
জানে না যে) কিংবা বিষবৃক্ষ নিত্যফল
প্রভেদ এদের সঙ্গে নাই রমণীর।
নাশে নারী ধনরত্ন, ভোগের সামগ্রী
গৃহে যাহা আনে পতি করিয়া যতন।
(চলবে)
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
ভূত-বিশ্বাস, কিম্ভূত বিশ্বাস ও চর্মপুরুত্ব
"কেউ যদি ধর্ম বা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে শান্তি পায় বা অবলম্বন খুঁজে পায় তাতে, তার সেই বিশ্বাসকে এভাবে ব্যঙ্গ করার দরকার কী? তাকে তার মতো থাকতে দিন না!" - এমন আপাত সুশীল তবে বাস্তবে ত্রুটিপূর্ণ যুক্তিযুক্ত বাণী আস্তিকপক্ষ থেকে উচ্চারিত হয় প্রায়ই।
একটা তুলনায় যাওয়া যাক। কখনও ভেবে দেখেছেন কি, ঈশ্বর- ও ধর্মবিশ্বাসকে ভয়াবহ পচানো হয় বটে, অথচ ঈশ্বর-ধর্মের মতোই কিম্ভূত ধারণা ভূতে যারা বিশ্বাস করে, তাদের বিশ্বাসকে কেন এভাবে ব্যঙ্গ করা হয় না?
উত্তর একেবারেই সহজ: কারণ ভূত-বিশ্বাসীরা তাদের বিশ্বাস অন্যের ওপরে চাপাতে যায় না। তারা দাবি করে না ভূত-বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হোক পারিবারিক-, সামাজিক- ও রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং ভূত-বিশ্বাসের নিয়মাবলী সকলেই মেনে চলুক। ভূত-বিশ্বাসের কারণে কখনও কোথাও রক্তপাত হয়নি এক ফোঁটাও। নারীদেরকে অধিকারবঞ্চিত করে দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রাণীর 'মর্যাদা' দেয়া হয়নি। কারো ভূত-বিশ্বাস তার পরিপার্শ্বের জন্য কোনও ক্ষতির কারণ হয়েছে বলে জানা যায় না। ভূত-বিশ্বাসীরা ভূত-অবিশ্বাসীদের হত্যা করে না, তাদের ওপরে চালায় না নির্যাতন-নিপীড়ন...
আহা! ধর্মবিশ্বাসীরা যদি ভূত-বিশ্বাসীদের মতো আচরণ করতো! বিদ্রূপের দোকান তাহলে আমরা কবেই বন্ধ করে দিতাম! কিন্তু বাস্তবতা তো তেমন নয়।
আরও একটি কথা: ধর্মবিশ্বাস ব্যাপারটি আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য হলেও তা নিয়ে বিশেষ শীরঃপীড়া আমাদের নেই - যদি তা ব্যক্তিগণ্ডির বাইরে প্রচারিত ও আরোপিত না হয়। আমরা বিরোধিতা করি সংগঠিত ধর্মের, ধর্মবিশ্বাসীদের যত্রতত্র অনধিকার নাক গলানোর প্রবণতার এবং ধর্মকে পারিবারিক-, সামাজিক- ও রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োগের।
যেদিন ধর্মবিশ্বাসীরা তাদের ধর্মাচার একান্ত ব্যক্তিগত গণ্ডিতে সীমিত রাখতে শিখবে, সেদিন থেকেই তা আর ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের লক্ষ্য থাকবে না, আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে ধর্মপচানোর ভিত্তি ও যৌক্তিকতা। কিন্তু তেমন দিন তো সহসা আসছে না, ফলে তার আগ পর্যন্ত ধর্মপোন্দন অব্যাহত থাকবে এবং তা আপনাদের সহ্য করে যেতেই হবে। সব নাস্তিকের কল্লা ফেলে দেয়া তো সম্ভব নয়, তাই না? অতএব চর্মপুরুত্ব বৃদ্ধি করুন। আর কোনও উপায় তো নেই।
হা-হা-হাদিস – ৮৩
হে ঈমান্দার বান্দাসকল, তোমাদের জন্য অজস্র রসময় কথা গুপ্ত রহিয়াছে হাদিস শরিফে।
গ্রন্থ: সহীহ বুখারি, অধ্যায়: তাওহীদ, প্রসঙ্গ হাদিস নাম্বার: ৬৯৬৩
- সহীহ আল-ধর্মকারী
সূর্য উদয় হবার পর তার রঙটি কেমন থাকে? কারো চোখে তা কমলা, ক্লেউ বলে লালচে, কারো মতে গাঢ় হলুদ ইত্যাদি। কিন্তু সাদা সূর্য কেউ কখনও দেখেননি নিশ্চয়ই। তবে শ্বেতবর্ণের সূর্য দেখেছিল ইছলামের নবী। হাদিসটা পড়লে এমত বোধ হয় যে, ভোরে অজু সারার ফলে সূর্য সাদা হয়ে গিয়েছিল।
ইবন সালাম (রহঃ) আবূ কাতাদা তাঁর পিতা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। যখন তারা সালাত (নামায) থেকে ঘুমিয়ে ছিলেন তখন নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছিলেনঃ আল্লাহ তাঁআলা যখন ইচ্ছা করেন তোমাদের রুহকে নিয়ে যান, আর যখন ইচ্ছা ফিরিয়ে দেন। এরপর তারা তাদের প্রয়োজন সেরে নিলেন এবং উযূ করলেন। এতে সূর্য উদিত হয়ে শ্বেতবর্ন হয়ে গেল। নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উঠলেন সালাত (নামায) আদায় করলেন।
বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
হ্রস্বরসবাক্যবাণ – ৭৪
১.
(সবক'টিই সংগৃহীত ও অনূদিত)
উত্তর জানা থাকা সত্ত্বেও আল্যা তার বান্দাদের ঈমান পরীক্ষা করা নামক প্রহসনের আশ্রয় নেয় কেন?
২.
যিশু কখনও পর্ন বানালে সেটার নাম হতে পারতো 'দ্য সেকেন্ড কামিং'।
৩.
রোগমুক্তির জন্য আল্যা প্রশংসা পাবার যোগ্য হলে রোগসৃষ্টির জন্য গালিগালাজও তার প্রাপ্য।
নাস্তিকতা প্রচার একটি ঈমানী দায়িত্ব
লিখেছেন ব্ল্যাক হোল
যারা বলে থাকেন, "নাস্তিকতা নিয়ে লাফায়ে লাভ নাই। তারচেয়ে পড়ালেখা করো, এনার্জি প্রবলেম নিয়ে ভাবো, মহাবিশ্ব নিয়ে ভাবো" - তাদের উদ্দেশে বলছি।
পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য অনেক আবিষ্কার নাস্তিকদের হাত ধরেই এসেছে। এবং বর্তমানে বিজ্ঞানীদের অধিকাংশ, বিশেষ করে প্রথম শ্রেণীর বিজ্ঞানীদের প্রায় সবাই নাস্তিক। কিন্তু আপনি নাস্তিক হয়ে যদি আপনি অন্যান্য ধর্মের দিকে নজর না দেন, তাহলে কী হবে, তা আজ আমরা নিজ চোখেই দেখতে পাচ্ছি। আজকাল বিগ ব্যাং-কে ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত বলে বিজ্ঞানীদের খোঁটা দিয়ে বলা হচ্ছে, "যা গত শতাব্দীতে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে তা আমাদের গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে আরও অমুক বছর আগে। সো ফাক দ্য বিজ্ঞান, ফাক দ্য বিজ্ঞানী!" (কথাটা অনেকের মনে আঘাত হানতে পারে। বলতে পারেন, আমি মিথ্যা বলছি। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এমন কথা অনেক শুনেছি জীবনে)
এখন ধরে নিন, আপনি নিজে হাবল (বিগ ব্যাং-এর আবিষ্কারক); কৌতূহলী হয়ে আপনি ধর্মগ্রন্থটা খুলে একটু ঘেঁটে পেলেন, একসময় পৃথিবী এবং আসমান কেন্দ্রীভূত ছিল। এবং আসমান এর পূর্বে জমিনকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তখন আপনার তত্ত্বের এমন অপব্যাখ্যা এবং অবহেলা দেখে যে আপনার কী পরিমাণ কষ্ট হবে, তা কি বুঝতে পারছেন? নিশ্চয় বুকটা ফেটে যাবে। অন্যান্য বৈজ্ঞানিক তত্ত্বগুলি নিয়েও কিন্তু সমান ক্যাচাল লেগে আছে। যখন মানুষ ধর্মগ্রন্থে সূচের ফুটোর মধ্য দিয়ে উট ঢুকিয়ে দেয়ার মধ্যে ব্ল্যাক হোল খুঁজে পান, আধা মানুষ আধা মহিলা একটি প্রাণীর মধ্যে রিলেটিভিটি খোঁজেন, তখন আমি ভাবি, তারা তাদের মস্তিষ্ক কোথায় খুঁইয়ে এসেছেন? আমি ভাবি, কবে যেন আবার ড্রোন বানানোর সূত্র খুঁজে পায় তারা।
সে যুগ আর এ যুগের নাস্তিক
যাই হোক, মূল যে কথাটি বলার জন্য এত ঘ্যানরঘ্যানর, তা হল, বিজ্ঞানের অপব্যাখ্যা ও বিকৃতি রোধ করতেই আপনার উচিত ধর্মকে না বলা। অপ্রয়োজনীয় ভেবে পাশ কাটিয়ে গেলে তারা নাস্তিকের আবিষ্কৃত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে প্রার্থনায় বসে নাস্তিকেরই তৈরি মাইক দিয়ে নাস্তিকের তত্ত্বকেই খোটা দেবে এবং নাস্তিকদের অভিসম্পাত দেবে ও শব্দদূষণ করে আপনারই মাথা ব্যাথা করে দেবে। নাস্তিক বলে আপনাকে হত্যার ফতোয়া দিলেও আমি অবাক হব না মোটেও।
তাই বলছি, শুধু নাস্তিক হলেই হবে না, তাকে চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখতে হবে, যেমন বিমান চালু করার পরেও বিমানকে আকাশে ভাসিয়ে রাখার জন্য ইঞ্জিন চালিয়ে রাখতে হয়। আর আপনার যদি প্রক্রিয়াটিকে চলমান রাখতে আগ্রহ না থাকে, তবে কেউ আপনাকে কিচ্ছুটি বলবে না। তাই বলে আমরা যারা নাস্তিকতা প্রচার ও প্রসারে ব্যস্ত, তাদেরকে আপনার এই বলার অধিকার নেই যে, "আপনারা নাস্তিকতাকে পচিয়ে দিয়েছেন।" কারণ আমরা যা করছি, তা হয়তো একদিন আপনাকেই খুঁটি দেবে দাঁড়ানোর। দয়া করে আমার কথায় কেউ কষ্ট নেবেন না। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও মতামতের কথাটাই আমি বললাম কেবল।
হেফাজতের সৈনিক
লিখেছেন এম এস নিলয়
রিক্সা থেকে নামতে গিয়ে রিক্সার নাট-বল্টুতে মহিলাটির শাড়ির আঁচল আটকে গেলো। টান লেগে কিছুটা ছিঁড়ে গেলো কি না, বোঝা গেল না, কিন্তু সেই টানে তার পেটের কাছের কিছুটা অংশ যে উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছিলো, তা নিঃসন্দেহ। কেননা নয়তো রাস্তার পাশে হেফাজতের তিন ছাগল-দাড়ির সদস্য মহিলাটির দিকে এগিয়ে আসতো না।
মুখে রাগ আর চোখে হিংস্রতা নিয়ে তারা মহিলাটির কাছে এগিয়ে গেলো। কাছে যেতেই তাদের চোখে মুখের রাগ আর হিংস্রতা বদলে গেলো কামাতুক দৃষ্টিতে। মহিলার উন্মুক্ত ফর্সা পেট আর কোমর থেকে তাদের তিনজনের কারোরই চোখ সরছে না। মহিলার কোমরে সুন্দর একটা তিল, একবার তাকালে আর চোখ ফেরানো যায় না। হাসনাতের খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো মহিলার ফর্সা কোমরে একটু হাত বোলাতে।
বড় হুজুর তাদের তিনজনকে এই রাস্তাটার ইসলামী পরিবেশ হেফাজত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইহুদী-নাসারাদের আধুনিক পোশাকে বা হিন্দুয়ানী পোশাক শাড়ি দেখলেই তাদের সেই নারীকে ১০-১২ টা বেত মারার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বড় হুজুর। দেশে ইসলাম কায়েম করতে নাকি এই ব্যবস্থার বিকল্প নেই। ওরা তিনজন কথাটা হৃদয় দিয়েই মানে। আল্লার ধর্ম ইসলাম যেভাবেই হোক প্রতিষ্ঠা করতেই হবে; তার জন্য যদি জান যায়, তাও কোনো পরোয়া নেই। দেশটা মালাউন সংস্কৃতিতে ভরে যাচ্ছে।
তাই গত চার দিন তারা পালা করে এই রাস্তাটা পাহারা দিচ্ছে। হুজুর টাইপের চেহারার হাসনাত কিছুটা এগিয়ে মহিলাটির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। মহিলাটি ঘুরে দাঁড়ালো। হাসনাতের চোখ এখনো মহিলার নাভিতে আটকানো। অনেক চেষ্টা করেও সে চোখ ফেরাতে পারছে না বেহেস্তী শরাবের সেই কুয়ো থেকে। মহিলাটি অবাক চোখে হাসনাতের দিকে তাকিয়ে আছে, ছেলেটা এভাবে কী দেখছে, সে বোঝার চেষ্টা করেও বুঝতে পারছে না।
ওদিকে হাসনাতের চোখে কামের আগুন। ভাগ্য ভালো, আজ সে নতুন একটি জাঙ্গিয়া পরে বের হয়েছিলো, নয়তো এখন তার ঈমানদণ্ডের কুতুবমিনার-অবস্থা জুনিয়র দুই হেফাজতির সামনে প্রকাশিত হয়ে পরে একটা লজ্জাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে যেত। নিজেকে আর আটকে রাখতে না পেরে যা আছে কপালে ভেবে মহিলার কোমরে হাতটা সে গলিয়েই দিলো।
এটাও ইসলাম রক্ষার একটা কৌশল, এতে কোনো গুনাহ নাই; খালি সোয়াব আর সোয়াব। সাথে ফ্রি আরাম আর আরাম। আল্লার রাস্তায় ইসলামের জন্য যা করা হয় সবই হালাল, আমরা তো আল্লার সৈনিক। আমাদের জন্য সব জায়েজ। এতক্ষনে হাসনাতের মহিলার মুখ দেখার ফুসরত মিলল। অবশ্য চেহারা কোনো বিষয়ই না, অন্ধকারে সব একই রকম লাগে তার কাছে। তার এই ২৪-২৫ বছরের জীবনে গনিমতের মাল নাম করে কম তো যায়নি সে অন্ধকার ঘরে। অবশ্য বড় হুজুরদের উচ্ছিষ্টই জুটেছে সব সময় তার ভাগ্যে। বড় হুজুরদের উচ্ছিষ্টেও নাকি বরকত থাকে। তাই সে উচ্চবাচ্য না করে সব সময় হাসিমুখে সেই উচ্ছিষ্টের ওপরে হামলে পরেছে। ছিঁড়ে-কুটে খেয়েছে বড় হুজুরদের উচ্ছিষ্টের অবশিষ্টাংশ।
মহিলার মুখটা এখনো দেখা হয়নি হাসনাতের। তার চোখ মহিলার কোমর থেকে স্তন পর্যন্ত উঠতে না উঠতেই প্রচণ্ড এক শব্দের সাথে সাথে হাসনাত চোখে সর্ষে ফুল দেখলো। অবস্থা বেগতিক দেখে পাশে দাঁড়ানো অন্য দুই হেফাজতি এক ছুটে তাকে রেখেই পাশের গলিতে লুকিয়ে গেলো। মহিলার মুখ রাগে ও অপমানে লাল।
- ছি ছি হাসু, এখন তুই নিজের বড় বোনের দিকেও নজর দিচ্ছিস। ছি ছি ছি। তোর লজ্জা করে না?
মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
একটি নিরীহ পোস্টার
বানিয়েছেন ডিউক আকিতা
এই নিরীহ পোস্টার দর্শনে কাহারও মস্তিষ্কে কুচিন্তার উদয় হইলে উহার দায়ভার বহন করিতে হইবে উক্ত মস্তকধারীকেই।
লুক্স লিখিত সুসমাচার - ৩০
লিখেছেন লুক্স
২৮৬.
মুরগীর বার্ড-ফ্লু হলে বিলম্ব না করে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হয়। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বাংলাদেশের জন্য সর্বকালের ভয়াবহতম ফ্লু।
২৮৭.
কোটি কোটি মুসলমান সারা জীবন শুধু ইসলাম প্রচার করতে পারলে আমি সারা জীবন শুধু ইসলামের সমালোচনা করতে পারবো না কেন? অধিকার তো সমানই সবার কথা, কী বলেন?
২৮৮.
ধার্মিকরা যখন নিজেদের উপাসনালয়ে বোমা ফাটিয়ে এক দল আরেক দলকে হত্যা করে, তখনই ঈশ্বরের অনঅস্তিত্ব প্রমাণিত হয়ে যায়।
২৮৯.
মুসলমান হলেই কি সত্যি কথা বলা যাবে না? মুসলমান হলেই কি মিথ্যাকে মেনে নিতে হবে? ইসলামের সব ভুল আর অনৈতিক বিষয়ের বিরুদ্ধে কি শুধু নাস্তিকদেরকেই কথা বলতে হবে? মুসলামানদের কি কোনো দায়িত্ব নেই ইসলামকে মানবিক, বিজ্ঞানসম্মত আর সময়োপযোগী করার?
ইসলামে পুরুষের বহুবিবাহের বিরুদ্ধে, নারী অধিকারের পক্ষে, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে, কিংবা শরিয়া আইনের বিপক্ষে শিক্ষিত মুসলমানদেরকেও কথা বলতে দেখা যায় না। বরং তারা বিপরীতটিই করে। ইসলামকে রক্ষা করার জন্য কোরান ও হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে সঠিক ও সেরা বলে দাবী করে। নিজে মিথ্যাকে ধারণ করে থাকে এবং একটা মিথ্যাকে ঢাকার জন্য হাজারটা মিথ্যা বলে। যেন সত্য ও মানবতার চেয়ে তার ভুলে-ভরা মধ্যযুগীয় বর্বর ধর্মই বড়।
২৯০.
ইসলামিক রাষ্ট্র প্রধানের ইমামতি করার যোগ্যতা থাকতে হবে। মহাত্মা গান্ধী, নেলসন ম্যান্ডেলা, আব্রাহাম লিংকন কিংবা জর্জ ওয়াশিংটন এর মতো কাফের হলে চলবে না।
২৯১.
হিটলার আর মোহাম্মদের মধ্যে সাদৃশ্য আছে। হিটলার জার্মানদের বিপুল সমর্থন আদায় করেছে শুধুমাত্র তার মিথ্যাগুলোকে খাইয়ে। সে ছিল একজন মনোমুগ্ধকর বক্তা। যখন সে বক্তৃতা দিত, তার কন্ঠ প্রবল থেকে প্রবলতর হত এবং জার্মানীর ভেবে-নেয়া শত্রুদের দিকে তার রোষ উগরে দিত। জার্মানদের মধ্যে সে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলেছিল। যত বড় মিথ্যা, তত বেশি বিশ্বাসযোগ্য, তার এই বিশ্বাস প্রমাণিত হয়েছিল। তারা তাকে ভালোবাসত এবং তার অগ্নিবৎ ভাষণে কান্নাসিক্ত হত।
২৯২.
অবৈজ্ঞানিক, সামঞ্জস্যহীন, বর্বর মধ্যযুগীয় গ্রন্থ ও নীতিমালা স্রষ্টার ফিসফিস নির্দেশ নয়, মানুষের রচিত - এটা বুঝতে হলে ঘাড়ের ওপর মাথা থাকা দরকার।
২৯৩.
অনেকে বলে থাকেন মডারেট মুসলমান বলে কিছু নেই। আমি ফেসবুকে অসংখ্য মুসলমান পেয়েছি, যারা নিজেদের মডারেট মুসলমান হিসেবে দাবী করেন। এদের সম্পর্কে আমার আমার অনুধাবন হচ্ছে: এরা আসলে নিজেকে পুরোপুরি মুসলমান দাবী করতে লজ্জা পান। আবার বাবা-মার ধরিয়ে দেয়া ইসলামকেও পুরোপুরি অস্বীকার করতে সাহস পান না। এরা হাদিসকে একবারেই অস্বীকার করেন। কারণ হাদিস পড়লে মোহাম্মদের অনৈতিক ও যুদ্ধময় জীবনী, লালসা আর নারীলোভী জীবন সম্পর্কে জেনে এরা লজ্জিত হন। আর হাদিস মানলে লম্বা দাড়ি রাখতে হবে, দাড়িতে মেহেদী মাখতে হবে, এটা একটা বড় সমস্যা। এরা পুরোপুরি কোরানও মানেন না। কোরানের অর্ধেকটা অস্বীকার করেন। কারণ কোরানের অবৈজ্ঞানিক, অমানবিক, সাম্প্রদায়িক বর্বর ও হিংস্র আয়াতগুলো তারা মেনে নিতে পারেন না। পুরো কোরান মানলে আবার মোহাম্মদকে সম্পূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে। প্রেম করা যাবে না, মদ খাওয়া যাবে না, সিল্কের পাঞ্জাবী পরে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়া যাবে না, পহেলা বৈশাখে রমনা পার্কে রবীন্দ্র সংগীত শুনতে যাওয়া যাবে না, এমনকি কাফেরদের সঙ্গে বন্ধুত্বও করা যাবেনা। এ ছাড়াও রয়েছে আরো অনেক সমস্যা। বাংলা কোরান পড়লে কোরানের অসঙ্গতিগুলো স্পষ্ট চোখে পড়ে, তাই তারা বাংলা কোরানও মানেন না। বাংলায় নাকি আজ পর্যন্ত ভালো অনুবাদই হয়নি। আবার তারা আরবীও বোঝেন না। বিশ্বের বেশির ভাগ মুসলমানরাই যেখানে মাতৃভাষাতেই কোরান পড়ে না, সেখানে তারা মুসলমানদের ইংরেজিতে কোরান পড়ানোর কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন।
আসল কথায় আসি, আমরা আসলে আপনাদেরকে বাংলায় কোরান-হাদিস পড়াতে সক্ষম হয়েছি। তার প্রমাণ - আপনারা হাদিস ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন, কোরানের অর্ধেক ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে ইসলামকেও ছুঁড়ে ফেলে দিবেন। আমাদের কাজ এগুচ্ছে।
২৯৪.
ইসলামী দেশগুলোয় বসবাসকারী ইয়োরোপীয়ান বা আমেরিকান নারীরা যদি মিনি-স্কার্ট পরে অফিসে কাজ করার অধিকার দাবি করে, সেটা কি মঞ্জুর হবে? নিশ্চয়ই হবে না। তবে মুসলিম নারীরা কেন ইয়োরোপ বা আমেরিকায় এসে কর্মস্থলে হিজাব পরার অধিকারের দাবি জানায়?
২৯৫.
অনেককেই লিখতে দেখেছি, ধর্ষকের কোনো ধর্ম নাই। ধর্ষক সব সময়ই ধর্ষক। ভাই, থামেন। ধর্ষকের ধর্ম কী, সেটা সিদ্ধান্ত নেবার আপনি কে? ধর্ষককে জিজ্ঞাসা করুন, তার ধর্মের নাম সে নিজেই বলবে। ধর্ষকের ধর্মের সাথে আপনার ধর্ম মিলে গেলেই কি আপনার ধর্মকে ডিফেন্ড করতে এই কথা? ধর্ষকের ধর্ষণের ধরণের সাথে যদি কোনো ধর্মগ্রন্থের বা ধর্মীয় বিধানের মিল পাওয়া যায়, তাহলে ধর্ষকের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে বিতর্ক থাকবে কেন?
দাঁড়িপাল্লার ঝাড়ি - ০১
লিখেছেন দাঁড়িপাল্লা
১.
- আপ্নে খালি মুসলমানদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেন কেন?
- এই দেশে হিন্দু-বৌদ্ধসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মন্দির-মূর্তি ভাঙা হইলে, ওয়াজে দেবদেবী নিয়া অশ্লীল কথাবর্তা বলা হইলে কখনো শুনছেন বিধর্মীদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগছে? অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মানুভূতি নাই, তাই আঘাত দেয়ারও কিছু নাই।
২.
নবীর দাসী ছহবতে আমগো দেশের মুসলমানরা কিঞ্চিৎ হইলেও লজ্জিত। ব্যাপারটা দেইখা ভালোই লাগে। তয় লজ্জা তো আর সারা জীবন ধইরা রাখন যায় না। তাই তারা সুযোগ পাইলেই চেষ্টা করে নবীরে দাসী ছহবতের কলঙ্ক থিকা মুক্ত করতে। তাই মারিয়ার বান্দীত্ব নিয়া মুছলিমগো একটা পিছলামী যুক্তি হইলো - যেহেতু মারিয়ার গর্ভে ইব্রাহিম জন্ম নিছে, আর ইব্রাহিমরে নবী নিজের পোলা বইলা স্বীকার করছে, তাই মারিয়া অটোমেটিক নবীর বিবি হইয়া যায়। (মনে হয় এই যুক্তি মাইনাই বর্তমানে এরা ধর্ষিতাকে ধর্ষকের সাথে বিয়া দিয়া দেওয়ার কাহিনী করে।)
যুক্তিডা ভালোই, তয় বাচ্চা বানাইতে যে একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়া যাইতে হয়, সেই জিনিসটা বকরিগুলার মাথায় থাকে না। আরে বাচ্চা তো পরে বিয়াইছে। বাচ্চা বিয়ানোর আগে দিনের পর দিন যে মারিয়ার লগে কন্ডোম ছাড়া ছহবত কইরা আইলো, সেইসব ছহবত তো আর বিয়া করা বিবি হিসাবে করে নাই, করছে দাসী হিসাবেই। তাইলে নবীর দাসী ছহবত অস্বীকার করার কী হইল?
এই মারিয়া ছাড়াও সীরাতে আরো ৩ খানা দাসীর কথা স্পষ্ট উল্লেখ আছে। এই তিন দাসীরে কি মাগনা মাগনা খাওয়াইতো?
৩.
মৌনতাই নাকি সম্মতির লক্ষন!
আস্তিকরা বলে - আল্লা আছে। আল্লায় এই কথা শুইনাও মৌন থাকে। অর্থাৎ আল্লায় সম্মতি দিতেছে যে, সে আছে। অতএব, আল্লা আছে। প্রমাণিত।
হুদাই হাদিস - ০১
(ধর্মকারীতে হাদিস সংক্রান্ত দুটো সিরিজ ('হা-হা-হাদিস' ও 'হরর হাদিস') ইতোমধ্যেই আছে। প্রথমটি হাস্যকর হাদিস বিষয়ক, আর দ্বিতীয়টি ভীতিজাগানিয়া হাদিস নিয়ে।
এর বাইরেও আরও এক ধরনের হাদিস আছে, যেগুলোর না আছে বিশেষ কোনও অর্থ, না আছে কোনও তাৎপর্য। সেই ধরনের হাদিসগুলো নিয়ে বর্তমান সিরিজ - 'হুদাই হাদিস'।
সিরিজটির আইডিয়া ও নামকরণ: কবীর উদ্দীন।)
কুতাইবা ইবন সাঈদ (রহঃ) ইবন আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা যদি এক চতুর্থাংশে নেমে আসত (তবে ভাল হতো) কেননা, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, এক তৃতীয়াংশ এবং তৃতীয় অংশই বিরাট অথবা তিনি বলেছেন বেশ।
আপনারাই কন, এইটা কিছু হইলো!
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
আল-কুরান পড়ুন, নিজে হাসুন, অন্যদেরও হাসান - ০৯
লিখেছেন সাদিয়া সুমি
আল কোরআন ২২:৬
এবং কেয়ামত অবশ্যই আসবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই এবং যারা কবরে আছে তাদেরকে আল্লাহ নিশ্চয় পুনরায় জীবিত করে উঠাবেন।
যারা হিন্দু তারা তো মৃত্যুর পর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, তাদেরকে কোন কবর থেকে উঠাবেন আল্লা?
এমন মজার চুটকি আল-কুরান ছাড়া আর কৈ পাইবেন?
আল-কুরান পড়ুন, নিজে হাসুন, অন্যদেরও হাসান।
আল কোরআন ১০৪:৫-৯
আপনি কি জানেন 'হুতামা' কি?
তা আল্লাহর জ্বলন্ত আগুন।
যা হৃতপিণ্ড পর্যন্ত পৌছবে।
সে আগুন তাদের উপর বেঁধে দেয়া হবে, বড় বড় লম্বা খুঁটিতে।
এমন মজার চুটকি আল-কুরান ছাড়া আর কৈ পাইবেন?
আল-কুরান পড়ুন, নিজে হাসুন, অন্যদেরও হাসান।
আল কোরআন ১৪:৪৮,৪৯,৫০
যেদিন এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে পরিবর্তিত করা হবে এবং আসমান সমূহকেও, আর এক পরাক্রমশালী আল্লাহর সামনে সকলে উপস্থিত হবে, সেদিন তুমি অপরাধীদের দেখবে শৃঙ্খলে আবদ্ধ।
তাদের জামা হবে আলকাতরার এবং মুখমণ্ডলকে আগুন ঢেকে ফেলবে।
আলকাতরার জামা কি জিনিষ? ছেলেমানুষী কথাবার্তা! রীতিমতো হাস্যকর!!
এমন মজার চুটকি আল-কুরান ছাড়া আর কৈ পাইবেন?
আল-কুরান পড়ুন, নিজে হাসুন, অন্যদেরও হাসান।
নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৬২
লিখেছেন কবীর উদ্দীন
৩০৬.
খাদিজা নবীজিকে স্নেহময়কণ্ঠে বললেন, চাকর ছেলে হলেও তুই আমার পুত্রের মতন।
নবীজি এমন স্নেহের বাক্য শুনে গদগদকণ্ঠে বললেন, খালাম্মা, মালিক হলেও আপনি কিন্তু আমার মায়ের মতন।
৩০৭.
ইছলামের পাঁচটি স্তম্ভ হচ্ছে, ঈমান, নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত। এ পাঁচটি স্তম্ভের একটি কম থাকলেও মুছলিম হওয়া সম্ভব নয়। আল্ল্যাপাক মুছলিম কি না, এই ইছলামি স্তম্ভগুলি দিয়ে যাচাই করে দেখা যাক।
১. আল্ল্যাপাক কোনো স্রষ্টায় বিশ্বাস করেন না। তাঁর ঈমান নেই। তিনি বেঈমান। অতএব তিনি মুছলিম নন।
২. তিনি নামাজ পড়েছেন এমন কি কোনো নজির আছে? তিনি জীবনে এক ওয়াক্ত নামাজও পড়েননি। তিনি বেঈমান বেনামাজি। অতএব তিনি মুছলিম নন।
৩. তিনি কি জীবনে কখনো রোজা রেখেছেন? কখনও না। তিনি বেঈমান বেনামাজি বেরোজাদার। অতএব তিনি মুছলিম নন।
৪. তিনি কি জীবনে কোনোদিন হজ্জ করেছেন? কখনোই না। তিনি বেঈমান বেনামাজি বেরোজাদার বেহাজ্জী। অতএব তিনি মুছলমান নন।
৫. তিনি জীবনে কখনো কাউকে যাকাত দিয়েছেন এমন অপবাদ কি তার শত্রুরাও তাকে দিতে পারবে? না, পারবে না। জীবনে তিনি কাউকে যাকাত দেননি। তিনি বেঈমান বেনামাজি বেরোজাদার বেহাজ্জী বেযাকাতি। ইছলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটিরও কোনো ছিঁটেফোঁটাও তার মধ্যে নেই। এতএব তিনি একটি খাঁটি অমুছলিম।
৩০৮.
মহাত্মা গান্ধী একজন মহান মানব ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, " আমি হিন্দু, আমি মুসলিম, আমি বৌদ্ধ, আমি খ্রিষ্টান, আমি জৈন, আমি শিখ।"
আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ। আমি বলছি, " আমি হিন্দু নই, আমি মুসলিম নই, আ্মি বৌদ্ধ নই, আমি খ্রিষ্টান নই, আমি জৈন নই, আমি শিখ নই। আমি একজন মানুষ।"
৩০৯.
জম জমের অলৌকিক পাক পানি কোনো পাক নিয়তে পাক দিলের মানুষেরা পান করে থাকে। অতঃপর তা নাপাক মূত্রে পরিণত হয়ে অতি নাপাক মূত্রাশয়ে জমা থাকে। তারপরে ততোধিক মূত্রদ্বার দিয়ে নির্গত হয়ে তা সর্বাধিক নাপাক জায়গা টয়লেটে পর্যবসিত হয়। আহা! পাক আল্ল্যার পাক পানির এহেন চূড়ান্ত নাপাক পরিণতি দেখে মনের ভেতর হু-হু করে ওঠে।
৩১০.
লিঙ্গান্তর করো:
নর - নারী
ভাই - বোন
ছেলে - মেয়ে
স্বামী - স্ত্রী
শিবলিঙ্গ - হাজরে আসওয়াদ
চিত্রপঞ্চক - ৪৭
পূর্ণাকারে দেখতে ছবিগুলোর ওপরে ক্লিক করতে হবে।
সর্বশক্তিমানও ভাড়া খাটে (নিজের তোলা ছবি পাঠিয়েছেন টোস্টার)
এতো কাছে দু'জনে...
সহজ বাংলায়: গাঞ্জা ছাড়া আল্যাদর্শন অসম্ভব
ঠিক যেন ধর্মকারীর স্লোগান: "ধর্মই সকল কৌতুকের উৎস "
নয়নের মাঝখানে নিয়েছো যে ঠাঁই
নবী ও ভবিষ্যদ্বাণী
লিখেছেন কজমিক ডাস্ট
নবী শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ Prophet মানে হল: যে prophecy বা ভবিষ্যদ্বাণী করে। সেই হিসেবে প্রত্যেক নবীর নিশ্চয় কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা ছিল।
ছাগুরা নাস্তিকদের কাছে তর্কে হেরে গিয়ে রেগে বলে যে, তাদের নবী নাকি এটাই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে, কেয়ামতের পূর্বে অবিশ্বাসীর সংখ্যা বেড়ে যাবে আর মুসলমানেরা পরাজিত হবে। ইসলাম যে ভবিষ্যতে দাম পাবে না, এটা বুঝতে কোনও নবী হওয়া লাগে না। খোদ মুহাম্মাদই আঁচ করতে পেরেছিল যে, তার মৃত্যুর পর তার ধর্ম বেশিদিন টিকবে না। যাই হোক, তবুও মাঝেমধ্যে ছাগুরা হঠাৎ করে কয়েকটা ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে এসে বলে, এগুলো নাকি কোরআন আর হাদিসে আগে থেকেই বলা ছিল হবে, আর তাই তাদের ধর্মই সত্য!
ভবিষ্যদ্বাণীর কথা যখন উঠলোই, তাহলে দেখি অন্যান্য লোকেরা কী রকম ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। বিখ্যাত সায়েন্স ফিকশন লেখক প্রফেসর আইজ্যাক অ্যাজিমভ ১৯৬৪ সালে বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ২০১৪ সালের ব্যাপারে এবং তার মধ্যে যেগুলি মিলে গিয়েছে, তার তালিকা দিলাম।
১. অ্যাজিমভ ধারণা করেছিলেন যে, ২০১৪ সালে আমাদের বাড়িঘরের অনেক ইলেকট্রনিক্সে বিনা তারে কাজ করবে।
২. তিনি আরও বলেছিলেন, যোগাযোগের মাধ্যম এমন হবে যে দূর থেকে আমরা একে ওপরকে শুনতে ও দেখতে দুটোই পারবো, যেটা স্কাইপের সাথে মিলে যায়।
৩. টেলিফোনের পর্দায় শুধুমাত্র নাম্বার নয়, বরং ছবি, গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ও বই ইত্যাদিও পড়া যাবে, যা কিনা আমরা বর্তমানে মোবাইল ও ট্যাবলেটে করছি।
৪. টিভি ফ্ল্যাট হয়ে যাবে আর থ্রিডি জনপ্রিয়তা পাবে।
৫. মডিউলেটেড লেজার বীম দিয়ে পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে যোগাযোগ করা যাবে যেটা অতি সম্প্রতি সম্ভব হয়েছে।
৬. অ্যাজিমভ ধারণা করতে পেরেছিলেন যে, ভবিষ্যতে মেশিনারি আমাদের কাজ সহজ করে দেবে আর তাতে মানবজাতি একঘেয়েমির শিকার হবে।
আইজ্যাক অ্যাজিমভের পুরো ভবিষ্যদ্বাণীর তালিকাটি নিউ ইয়র্ক টাইমসের আর্কাইভের এই লিঙ্কে পাবেন, যেটা ১৯৬৪ সালে অর্থাৎ আজ থেকে ৫০ বছর আগে প্রকাশিত হয়েছিল।
বাকি দুনিয়াতে ২০১৪ সাল উপলক্ষে যখন অ্যাজিমভের প্রযুক্তি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী অনলাইনে শেয়ার করা হচ্ছে সবখানে, তখন আমাদের দেশের মুমিনেরা পাঁঠা নবীর দাজ্জালের আবির্ভাব, ইমাম মাহদীর তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ আর পূর্ব দিক দিয়ে আগুনের গোলা আসার ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে মশগুল হয়ে আছে!
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
ইসলামী ইতরামি: এক কম দেড় ডজন
১.
নিশ্চয়ই ইছলাম শান্তির ধর্ম। নাইজেরিয়ার একটি গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে শতাধিক নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে মুছলিম জঙ্গিরা।
২.
নারীর মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ইছলাম সদা তৎপর। চৌদি আজবের এক বিশ্ববিদ্যালয়-ছাত্রী নারীদের জন্য নির্ধারিত ক্যাম্পাসে অবস্থানকালে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসাবঞ্চিত রাখা হয়েছিল প্রায় দু'ঘণ্টা। কারণ চিকিৎসা করতে প্রস্তুত ডাক্তারেরা ছিলো পুরুষ। তাদেরকে নারী-ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। মেয়েটি এই সময়ের ভেতরেই মারা যায়। তাতে কী! ঘোরতর সংকটের সময়েও নারীর প্রাণের চেয়ে তার ইজ্জতের মূল্য ঢের বেশি না!
৩.
ধর্ষণ থেকে রক্ষা করতে শিশুবালিকাদেরকে বোরখাবৃত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে এক চৌদি ইছলামবাজ। শিশুবালিকাদের দেখে শিশুকামী নবীর অনুসারীদের ঈমানদণ্ড বিচলিত হওয়াটা নিশ্চয়ই সুন্নত!
৪.
ইছলাম নারীকে দিয়েছে পুরুষের সমান মর্যাদা। ভোগের ব্যাপারটাই ধরা যাক। মুছলিম ধর্ষক কোনও নারীকে ভোগ করলে সমতা রক্ষার জন্য ইছলাম নারীর জন্যও রেখেছে ভোগের ব্যবস্থা। নারী ভোগ করে শাস্তি। সাম্প্রতিক একটি উদাহরণ।
৫.
মুছলিমদের রেপুটেশন কোন পর্যায়ে গেলে জাপানের মতো একটি দেশে মুছলিমদের ওপরে স্পাইং করার অনুমতি পুলিশকে দেয়া হতে পারে?
৬.
ইছলাম আবার নারীকে দিলো পুরুষের সমান অধিকার। বর্তমানে তালিবানের এখতিয়ারে রয়েছে ৫০০ নারী, যারা যে কোনও মুহূর্তে আত্মঘাতী বোমারুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে প্রস্তুত।
৭.
কিয়ামতের আর দেরি নাই! গত ৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথম ইরানের টিভিতে বাদ্যযন্ত্র দেখানো হয়েছে! এ ক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার, নবীজি নিজেও সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্র পছন্দ করতো না।
৮.
ইহুদি-নাছারাদের দেশগুলোয় অভিবাসী হবার পর মুছলিমরা তাদের সমস্ত ইছলামী অধিকার আদায়ে মাঠে নেমে পড়ে। কিন্তু মুছলিমপ্রধান দেশগুলোয় ভিন্নধর্মাবলম্বীদের মামুলি অধিকার কেড়ে নিতেও এই মুছলিমরাই সক্রিয়। মালয়েশিয়ার পেনাং-এর খোলা বাজারে বরাহমাংস বিক্রয় নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে একটি মুছলিম গ্রুপ।
৯.
পোলিও রোগের সবচেয়ে বড়ো 'সংরক্ষণাধার' হচ্ছে ফাকিস্তানের পেশোয়ার। এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই রোগের এমন প্রাদুর্ভাবের পেছনে রয়েছে ইছলামের হাত। পোলিও টিকা নেয়ার মতো অনৈছলামিক কাজ প্রতিহত করতে তালিবানের অবদান অপরিসীম।
১০.
বউ পেটানোর অধিকার মুছলিম স্বামীকে দিয়েছে কোরান। প্রহারের ধরন বিষয়ে অবশ্য ইছলামবাজদের ভেতরে মতভেদ আছে। সম্প্রতি মিসরীয় এক ইছলামবাজ বলেছে, প্রহারের সময় স্ত্রীর মুখে আঘাত করা চলবে না। কারণ ইছলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান।
১১.
মুছলিম দম্পতির দায়ের করা মামলায় আদালতে বাল বিষয়ক বিতর্কের পেছনে খরচ হয়েছে সাড়ে তিন লাখ পাউন্ড!
১২.
কোদালকে কোদাল বললেই দোষ! 'অনার কিলিং' শব্দবন্ধটি কানাডার মুছলিমদের পছন্দ হয়নি। না হবারই কথা অবশ্য। কারণ বর্তমান জগতে অনার কিলিং মানেই তা প্রায় অবধারিতভাবে মুছলিমদের ঘটানো।
১৩.
ফাকিস্তানে প্রতি বছর অনার কিলিং-এর শিকার হয়ে প্রাণ হারায় ৫০০ জন! এবং এদের প্রত্যেকেই মেয়ে। কারণ পরিবারের কলঙ্কের কারণ হবার কোনও যোগ্যতা পুরুষদের নেই। এই সম্মান ও মর্যাদাও ইছলাম দিয়েছে নারীকে।
১৪.
ইরানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়ো পরজীবী ও জোঁক হিসেবে মোল্লাদের নাম আসে কেন? দশটি কারণ পড়ুন।
১৫.
লেখক সালমান রুশদির বিরুদ্ধে ২৫ বছর আগে জারি করা ফতোয়া এখনও সতেজ বলে ঘোষণা করেছে ইরানের মোল্লা। বুঝে পাই না, মুছলিমেরা এই দীর্ঘ সময়ে তাকে হত্যা করতে ব্যর্থ হলো কীভাবে? আল্যাফাক কি তাদের পক্ষে নেই?
১৬.
রাশিয়ায় বর্তমানে ঘটমান শীতকালীন অলিম্পিকের সোচি-তে ভূমিকম্প চেয়ে দোয়া করেছে মুছলিমদের একটি দল।
১৭.
মুছলিম-মুছলিম ভাই ভাই, তবে মুছলিমের হাতেই মুছলিম মারা পড়ে সবচেয়ে বেশি। ইরাকে সুন্নিরা কী বীভৎস উপায়ে হত্যা করছে শিয়াদের, পড়ুন এই খবরে।
ইছলাম - শিশুকামীদের স্বপ্নের ধর্ম
কার্টুনটা আসলে হাসির নয়। কারণ ঋতুমতী নয়, এমন শিশুবালিকাকেও বিয়ের অনুমতি দেয়া আছে কোরানে।
সুরা ৬৫, আয়াত ৪:
তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের ঋতুবর্তী হওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে।
বৌদ্ধশাস্ত্রে পুরুষতন্ত্র: নারীরা হল উন্মুক্ত মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত - ০১
লিখেছেন নিলয় নীল
প্রাচীন ভারতে নারীজীবন সংসার তথা বিবাহ দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত ছিল। নারীর শৈশব-যৌবন-বার্ধক্য যথাক্রমে পিতা-স্বামী-পুত্রের দ্বারাই নির্ধারিত থাকতো। এর ফলে পুরুষ-অধীনতা নারীর জন্য হয়ে পড়ে অপরিহার্য। হিন্দুধর্মের চেয়ে আপাতদৃষ্টিতে অপেক্ষাকৃত উত্তম ধর্ম হিসেবে বৌদ্ধধর্মের আগমন ঘটে এই ভারতে। হিন্দুধর্মের জাতিভেদ থেকে শুরু করে ঈশ্বরের প্রচলিত আরাধনার মতো অনেক কিছুই এখানে অনুপস্থিত ছিল বলে একে আপাতদৃষ্টিতে উত্তম ধর্ম বলেই গণ্য করেন অনেক দার্শনিক।
অ্যাকাডেমিক ও নন-অ্যাকাডেমিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে বৌদ্ধশাস্ত্র অধ্যয়ন করে দেখেছি, আর সব প্রচলিত ধর্মমতের মতোই বৌদ্ধধর্মে আছে সমসাময়িকতার প্রবল প্রভাব। আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় বৌদ্ধধর্মের দার্শনিক তত্ত্ব নয়, বরং আজকে আমরা আলোচনা করবো বৌদ্ধধর্মে পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতাবলয় নিয়ে। এই আলোচনা করার অন্যতম কারণ হল, আমাদের বাঙালির মধ্যে অনেকের মধ্যেই বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে না জেনেই এই ধর্মের প্রতি এক ধরনের অনুরাগ কাজ করে। বৌদ্ধধর্ম নিয়ে বাংলা ভাষায় বিশেষ করে অনলাইনে ততোটা আলোচনা বা সমালোচনা আমি কখনোই দেখিনি, যতটা ইসলাম বা হিন্দু ধর্ম নিয়ে হয়ে থাকে।
গৌতম বৌদ্ধ বিতৃষ্ণ ছিলেন তৎকালীন সাংসারিক জীবনাবর্তে। এই জন্য তিনি তার স্ত্রীকেও ত্যাগ করেন। যেহেতু সংসারে বসে অষ্টাঙ্গিক মার্গ পালন করে নির্বাণ লাভ করা সম্ভব নয়, সেহেতু অবশ্যই সাংসারিক মায়া ও কাম ত্যাগ করে গৃহত্যাগী হতে হবে। আর সাংসারিক মায়া ও কাম ত্যাগ করার প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে নারীকে চিহ্নিত করেন গৌতম বুদ্ধ। তিনি বলেন, নারী যেহেতু গৃহের মোহ তৈরি করে, তাই নারী অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
সমগ্র বৌদ্ধ বাণীকে তৃতীয় মহাসঙ্গিতি সূত্র, বিনয় ও অভিধর্ম নামে অভিহিত করা হয়। এদেরকে একত্রে বলা হয় ত্রিপিটক। যেহেতু আমরা বৌদ্ধধর্মে নারীদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করবো, সেহেতু আমাদের বেশীর ভাগ আলোচনাই হবে সূত্রপিটকের খুদ্দক নিকায়ের অন্তর্গত জাতকের কাহিনীতে আলোচিত নারীর প্রতি গৌতম বুদ্ধের নির্দেশনামূলক বক্তব্য। জাতক কাহিনীতে নীতিকথা সম্পন্ন হয় সাধারনত তিনটি পর্যায়ে, যথা:
১. বর্তমান বস্তু (এখানে কোন সংকট উপস্থাপিত হয়েছে শাস্তার (পথপ্রদর্শকের) কাছে
২. অতীত বস্তু (এখানে সংকট মীমাংসার জন্য অতীতের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন শাস্তা)
৩. সমাধান (অতীত বাস্তবতার আলোকে বর্তমানের টীকাভাষ্য রচনা করে দিকনির্দেশনা দেন শাস্তা)
(চলবে)
নাস্তিকদের কটূক্তির দাঁতভাঙা জবাব - ০২
লিখেছেন ওয়াশিকুর বাবু
আসুন, নাস্তিকদের কটূক্তির বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দেই...
কটূক্তি ৩:
ইসলামে যুদ্ধবন্দিনী ও দাসীধর্ষণ বৈধ।
দাঁত ভাঙা জবাব:
দেখুন অতীতের প্রক্ষাপটে কে কী করেছে, এ প্রসঙ্গ তোলা এখন অবান্তর। বর্তমানে মুসলমানরা তো আর দাসীধর্ষণ করছে না!
কটূক্তি ৪:
এখনো বিশ্বের অনেক জায়গায় মুসলিমরা হিল্লা বিয়ে, মেয়েদের খৎনা এসব বর্বর প্রথার চর্চা করছে।
এখনো বিশ্বের অনেক জায়গায় মুসলিমরা হিল্লা বিয়ে, মেয়েদের খৎনা এসব বর্বর প্রথার চর্চা করছে।
দাঁত ভাঙা জবাব:
বর্তমানের মুসলিমরা কোনো অপকর্ম করলেই তার জন্য ইসলাম দায়ী হবে কেন? এরা সহী মুসলিম নয়। আমাদের দেখতে হবে নবী ও তার সাহাবীরা কীভাবে ইসলাম পালন করতেন...
বর্তমানের মুসলিমরা কোনো অপকর্ম করলেই তার জন্য ইসলাম দায়ী হবে কেন? এরা সহী মুসলিম নয়। আমাদের দেখতে হবে নবী ও তার সাহাবীরা কীভাবে ইসলাম পালন করতেন...
নূরের পথ ছেড়ে আলোর পথে – ২৬
বিশ্বজুড়েই ধর্মসংশ্লেষহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশ, এ কথা স্বীকার করে ঘোর ধর্মবাজরাও। সাম্প্রতিক কিছু নিদর্শন দেখা যাক:
* আগে ফেসবুকে প্রকাশিত অর্থাৎ সব খবর টাটকা নয়। তবু লিংকগুলো আর্কাইভজাত করে রাখা হলো।
১.
সম্ভবত, পৃথিবীর সবচেয়ে ধর্মদুর্গত এলাকা আরব দেশগুলোতেও নাস্তিকদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
২.
পশ্চিম ইয়োরোপের অন্যতম ধর্মপীড়িত দেশ আয়ারল্যান্ডে কলেজের ছাত্রদের কুড়ি শতাংশ নিজেদেরকে নাস্তিক বলে পরিচয় দেয়।
৩.
বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জরিপকারী সংস্থা গ্যালাপ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫ সালের তুলনায় ধার্মিকদের সংখ্যা কমেছে শতকরা নয় জন।
৪.
প্রবল ধর্মআক্রান্ত আমেরিকাতেই ২০০৫ সালের তুলনায় ধার্মিকদের সংখ্যা তেরো শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
৫.
ধর্মহীনদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে এক ব্রিটিশ ক্যাথলিক বিশপ বলেছে, খ্রিষ্টানেরা সে দেশে অচিরেই সংখ্যালঘু হয়ে পড়তে পারে।
৬.
ফ্রান্সের জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ ও তরুণ-যুবকদের ৬৩ শতাংশ সম্পূর্ণভাবেই নির্ধার্মিক। ধর্মযাজকেরা অভিযোগ করে বলেছে, পেনশনভোগীরা ছাড়া আর বড়ো একটা কেউ আসে না চার্চে। এমনকি ধর্মযাজকও আমদানী করতে হয় অফ্রিকান দেশগুলো থেকে।
৭.
কিশোর-তরুণদের চার্চমুখী করার লক্ষ্যে বিশেষ কোনও পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে আর এক প্রজন্ম পরেই ইংল্যান্ডে খ্রিষ্টধর্ম বিলুপ্ত হয়ে যাবার ঝুঁকিতে পড়ে যাবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রাক্তন আর্চবিশপ।
* আগে ফেসবুকে প্রকাশিত অর্থাৎ সব খবর টাটকা নয়। তবু লিংকগুলো আর্কাইভজাত করে রাখা হলো।
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
এমন ব্যবসা কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি...
ধর্মের উপ্রে কুনো ব্যবসা নাই।
ধর্মগুলো অনর্থকর হলেও তাদের অর্থবিত্ত বরাবরই অপরিমেয়। ইহজগতে অর্থ উপার্জনের (বলা উচিত – করায়ত্ত করার) সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ পদ্ধতির নাম ধর্ম। অগাধ অর্থের মালিক হয়েও আয়ের হিসেব দিতে হয় না, উৎস জানাতে হয় না, কর দিতে হয় না, মামলা-মোকদ্দমার ভয় নেই, রাষ্ট্রযন্ত্র তাদের ঘাঁটাতে সাহস করে না। ধর্মবিশ্বাস নামের দুর্বলতাকে পুঁজি করে মসজিদ-মন্দির-চার্চ-সিনাগগগুলো কতোটা ধনপ্রাচুর্যে প্লাবিত, কতোটা বিপুল অর্থের অধিকারী, সাধারণ বিশ্বাসীরা সেটির খবরও রাখে না।
যুগ যুগ ধরে গড়পড়তা বিশ্বাসীদের এই অজ্ঞতার সুযোগ পুরোদমে ব্যবহার করে আসছে ধর্মব্যাপারীরা। ধনপ্রাচুর্যময় ও ধর্মকবলিত আমেরিকার কথাই ধরা যাক।
সারা আমেরিকায় চার্চের সংখ্যা সাড়ে চার লাখের (৪৫০০০০) চেয়েও বেশি। এখন ধর্ম ছেড়ে অন্যান্য ব্যবসার দিকে নজর দেয়া যাক। সেই আমেরিকাতেই কনভেনিয়েন্স স্টোর আছে এক লক্ষ ছেচল্লিশ হাজার তিনশো একচল্লিশটি (১৪৫৩৪১), ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট - এক লক্ষ ষাট হাজার (১৬০০০০) এবং হোটেল/মোটেল (ক্যাসিনো হোটেল বাদ দিয়ে) - ছেচল্লিশ হাজার দু'শো পঁচানব্বইটি (৪৬২৯৫)।
অর্থাৎ
কনভেনিয়েন্স স্টোর + ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট + হোটেল/মোটেল = ৩৫২৬৩৬
চার্চ = ৪৫০০০০
ইহা হইতে প্রমাণিত হয় যে, ধর্মের মতো এমন ব্যবসা কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি...
যুগ যুগ ধরে গড়পড়তা বিশ্বাসীদের এই অজ্ঞতার সুযোগ পুরোদমে ব্যবহার করে আসছে ধর্মব্যাপারীরা। ধনপ্রাচুর্যময় ও ধর্মকবলিত আমেরিকার কথাই ধরা যাক।
সারা আমেরিকায় চার্চের সংখ্যা সাড়ে চার লাখের (৪৫০০০০) চেয়েও বেশি। এখন ধর্ম ছেড়ে অন্যান্য ব্যবসার দিকে নজর দেয়া যাক। সেই আমেরিকাতেই কনভেনিয়েন্স স্টোর আছে এক লক্ষ ছেচল্লিশ হাজার তিনশো একচল্লিশটি (১৪৫৩৪১), ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট - এক লক্ষ ষাট হাজার (১৬০০০০) এবং হোটেল/মোটেল (ক্যাসিনো হোটেল বাদ দিয়ে) - ছেচল্লিশ হাজার দু'শো পঁচানব্বইটি (৪৬২৯৫)।
অর্থাৎ
কনভেনিয়েন্স স্টোর + ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট + হোটেল/মোটেল = ৩৫২৬৩৬
চার্চ = ৪৫০০০০
ইহা হইতে প্রমাণিত হয় যে, ধর্মের মতো এমন ব্যবসা কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি...
'আফগানারীস্তান'
(নিশ্চয়ই ইছলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান ও সুমহান মর্যাদা। এর উপর্যুপরি প্রমাণ দিয়েছে প্রখ্যাত ইছলামী দল তালেবান। আফগানিস্তানের জেনানাদের সম্মানে তারা প্রবর্তন করেছে কিছু আইন।
সেই আইনগুলোর এই তালিকা অনুবাদ করে পাঠিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন।)
আফগান মহিলাদের জন্য তালেবানি নিয়ম
১. মহিলা শিক্ষক, প্রকৌশলী এবং সকল পেশার নারীদের বাড়ির বাইরে কাজ করা সম্পূর্ণ নিষেধ। মহিলা রোগীদের জন্য অল্প কয়েজন মহিলা ডাক্তার এবং নার্সদের কাবুলের কিছু হাসপাতালে কাজ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।
২. বাড়ির বাইরে বৈধ পুরুষ সঙ্গী (বাবা, ভাই, স্বামী প্রমুখ) ব্যতীত চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ।
৩. পুরুষ দোকানদারদের সঙ্গে মহিলাদের লেনদেন নিষেধ।
৪. পুরুষ ডাক্তার দ্বারা নারীদের চিকিৎসা করা নিষেধ।
৫. মহিলাদের স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অধ্যয়ন করা নিষেধ। (তালেবানরা বালিকা বিদ্যালয়গুলোকে ধর্মীয় সেমিনারিতে রূপান্তরিত করেছে)
৬. মহিলাদের মাথা থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত সম্পূর্ণ শরীর লম্বা বোরকা দ্বারা আবৃত থাকতে হবে।
৭. এসব নিয়ম ভঙ্গকারী মহিলার সাথে মৌখিক দুর্ব্যবহার করা হবে এবং প্রয়োজনে নিয়ম ভঙ্গকারী মহিলাকে চাবুকপেটা করা হবে।
৮. পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ঢাকা না থাকলে চাবুকপেটা করা হবে।
৯. বিবাহ-বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক বা ব্যভিচারের শাস্তি পাথর ছুঁড়ে হত্যা। (ইতোমধ্যেই অনেকে যার শিকার হয়েছেন)
১০. প্রসাধনী ব্যবহার নিষেধ। (নেইলপলিশ দেয়া অনেকের আঙ্গুল কেটে নেয়া হয়েছে)
১১. অবৈধ পুরুষ সঙ্গীর সাথে কথা বলা ও হ্যান্ডশেক করা নিষেধ।
১২. জোরে হাসা নিষেধ, যাতে কোনো অপরিচিত লোক তার কন্ঠস্বর শুনতে না পায়।
১৩. শব্দ সৃষ্টি করা হাই হিল পরা নিষেধ, যাতে অপরিচিত লোক তার পায়ের আওয়াজ না পায়।
১৪. বৈধ পুরুষ সঙ্গী ব্যতীত ট্যাক্সিতে আরোহণ নিষেধ।
১৫. রেডিও, টেলিভিশন বা কোন ধরনের প্রচার মাধ্যমে মহিলাদের অংশগ্রহণ এবং পাবলিক প্লেসে আনাগোনা করা মহিলাদের জন্য নিষেধ।
১৬. মহিলাদের খেলাধুলার ক্লাবে প্রবেশ ও খেলাধুলায় অংশগ্রহণ নিষেধ।
১৭. বৈধ পুরুষ সঙ্গী সাথে থাকলেও সাইকেল অথবা মোটর সাইকেল চালানো নিষেধ।.
১৮. নারীদের উজ্জ্বল রঙয়ের কাপড় পরা নিষেধ। তালিবানদের মতে, উজ্জ্বল রঙের কাপড় যৌন উত্তেজনার কারণ।
১৯. ঈদ সহ যে কোনো বিনোদন ও আনন্দানুষ্ঠানে মহিলাদের গণজমায়েত নিষেধ।
২০. নদীর পাশে অথবা পাবলিক প্লেসে মহিলাদের কাপড় ধোয়া নিষেধ।
২১. যেসব জায়গার নামে "নারী" বা "মহিলা" জাতীয় শব্দের উপস্থিতি আছে, সেগুলো পরিবর্তন করা। উদাহরণঃ মহিলা পার্কের নাম হয়েছে বসন্ত পার্ক।
২২. ঘরের ব্যালকনিতে মহিলাদের আগমন নিষেধ।
২৩. মহিলাদের যাতে বাইরে থেকে দেখা না যায়, তাই সমস্ত ঘরের দরজা বাধ্যতামূলকভাবে রঙ করে দেয়া।
২৪. পুরুষ দর্জির নারীর পোশাকের মাপ নেয়া নিষেধ।
২৫. মহিলাদের প্রকাশ্যে গোসল করা নিষেধ।
২৬. পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা বাস। একই বাসে পুরুষ ও নারী একত্রে চড়া নিষেধ।
২৭. এমনকি বোরকার নিচেও চওড়া পায়ের প্যান্ট পরা নিষেধ।
২৮. নারীদের ছবি তোলা নিষেধ।
২৯. নারীদের ছবি সংবাদপত্র ও বইতে ছাপানো অথবা ঘর, দোকান বা দেয়ালে ঝোলানো নিষেধ।
(চলবে)
ইসলামে বর্বরতা: নারী-অধ্যায় - ২২
লিখেছেন আবুল কাশেম
পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১
ইসলামের সবচাইতে গোপন ব্যাপার - চুক্তি করা বিবাহ (মুতা বিবাহ) বা ইসলামী বেশ্যাবৃত্তি
আমরা আগেই দেখেছি, কেমন করে ইমাম হাসান অগণিত স্ত্রী নিয়েছেন। অনেকে বলেন হাসান নাকি ৩০০-এর বেশি স্ত্রী জোগাড় করেছিলেন। কেমন করে তা সম্ভব হোল? এক ওয়েব সাইটে পড়েছিলাম: “হাসান এক বসাতেই চার স্ত্রীকে বিবাহ করতেন।” এই সাইট থেকে এই তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে অনেক দিন আগে। তবে পাঠকেরা চাইলে অন্য ইসলামী সাইট দেখতে পারেন। এরপর এই চার বিবির সাথে সহবাস করার পর হযরত হাসান আবার এক বসাতেই চারজনকে তালাক দিয়ে দিতেন। এই ভাবেই চলত তাঁর যৌন লীলাখেলা। এই ধরনের অস্থায়ী, স্বল্প মেয়াদী বিবাহকে মুতা বিবাহ বলা হয়। সুন্নিরা এই বিবাহের ঘোর বিরুদ্ধে। কিন্তু শিয়ারা ধুমসে এই বিবাহ করে যাচ্ছে আজকেও।
কিছুদিন আগে সংবাদ পত্রে পড়েছিলাম, ইরানের অর্থনৈতিক অবস্থা এতই খারাপ যে, তথাকার ইসলামী সরকার সরকারিভাবে কিছু কিছু ‘উপভোগ’ কেন্দ্র (Decency House) স্থাপন করছে, যেখানে একজন পুরুষ (বিবাহিত অথবা অবিবাহিত) কয়েক মিনিটের জন্য একজন মহিলার সাথে বিবাহে আবদ্ধ হতে পারবে স্বল্প কিছু অর্থের বিনিময়ে। এরপর যৌনকর্ম সমাধা হলে ঐ বিবাহ চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। টেলিভিশনে একটা প্রামাণ্য চিত্রেও দেখিয়েছে, কেমন করে ইসলামী বিবাহ আদালতের মোল্লারা টাকার বিনিময়ে এই ধরণের বিবাহ লিখছে। যাই হোক এর নাম হচ্ছে মুতা বিবাহ। এর স্থায়িত্ব কয়েক মিনিট থেকে কয়েক বছর হতে পারে।
একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায় যে, এই ব্যবস্থা ইসলামী বেশ্যাবৃত্তি ছাড়া আর কিছু নয়; এবং ইরানের ন্যায় যে সব ‘উপভোগ’ কেন্দ্রে এই ধরণের বিবাহ হয়, তা ইসলামী গণিকালয় ছাড়া আর কিছু নয়। হাদিস থেকে আমরা জানি যে, রসুলুল্লাহ এই ধরনের বিবাহের ব্যবস্থা করেছিলেন উনার সৈন্যদের জন্য যারা জিহাদ করতে গিয়ে যৌনক্ষুধায় কাতর ছিল। পরে খলীফা উমর এই বিবাহ নিষিদ্ধ করে দেন। কিন্তু এই ব্যাপারে অনেক মতভেদাভেদ আছে। কে সঠিক আর কে বেঠিক, তা নির্ণয় অতিশয় দুরূহ। তাই ইসলামী বিশ্ব আজও এই ব্যাপারে দুই ভাগে বিভক্ত।
দেখা যাক, কোরনে কীভাবে মুতা বিবাহ লেখা হয়েছে।
কোরান সূরা আন নিসা, আয়াত ৪:২৪
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়—এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্র হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তাদের স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য—ব্যভিচারের জন্যে নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ্ হবে না। যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ্ সু-বিজ্ঞ, রহস্য-বিদ।
প্রশ্ন উঠতে পারে, মুতা বিবাহের জন্য কী পরিমাণ অর্থ লাগতে পারে?
উত্তর পাওয়া যায় এই হাদিসে।
সহিহ্ মুসলিম, বই ৮ হাদিস ২৩৪৯
জাবির বিন আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন:
আমরা চুক্তি করে (মুতা) বিয়ে করতাম কয়েক মুঠো আটার বিনিময়ে। ঐ সময় আল্লাহ্র রসুল আমাদের মাঝে জীবিত ছিলেন। এই ব্যবস্থা চলতে থাকে আবু বকরের সময় পর্যন্ত। কিন্তু হারিসের ঘটনা শোনার পর উমর এই ধরণের বিবাহ নিষিদ্ধ করে দেন।
নারীরা কি অবলা পশু?
আমাদের দেশে অনেক সময়ই আমরা নারীদের অবলা প্রাণী বলে থাকি। অবলা বলতে আমরা কি বোঝাই? গৃহপালিত গবাদি পশুদের বেলায়ও এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তাহলে আমরা কি নারীদের গবাদি পশুর মত মনে করি না? আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, নবীজি ঠিক এই শব্দটিই ব্যাবহার করেছেন মুসলিম নারীদের ওপর। নারীদের ব্যাপারে এইই ছিল নবীজির শেষ ভাষ্য। বিদায় হজ্জে নবীজি যে-ভাষণ দেন, তা অনেক ইসলামী পণ্ডিতেরা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ, অলৌকিক, বিস্ময়কর বলে থাকেন। এখন দেখা যাক নবীজি সেই ভাষণে কী বলেছেন। ভাষণ অনেক বড় হওয়ার জন্যে শুধুমাত্র প্রাসঙ্গিক অংশটুকু এখানে বাংলায় অনুবাদ করা হলো।
এই উদ্ধৃতি নেওয়া হয়েছে আল তাবারির ইতিহাস বই থেকে (ভলুম ৯, পৃঃ ১১২ ১১৪)
হে মানবজাতি, এখন তোমরা জেনে রাখ যে তোমাদের স্ত্রীর উপর তোমাদের যেমন অধিকার আছে, তেমনি তাদেরও অধিকার আছে তোমাদের উপর। তোমাদের স্ত্রীর উপর তোমাদের অধিকার হচ্ছে যে, তারা যেন তোমাদের অপছন্দ কোন ব্যক্তিকে তোমাদের বিছানায় না নেয়। আর তোমাদের স্ত্রীরা যেন প্রকাশ্যে কোন কুকর্ম না করে। যদি তোমাদের স্ত্রীরা এইসব করে, তবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন তাদেরকে প্রহার করার। তবে এই প্রহার যেন তীব্র না হয়। নারীদের সাথে ভাল ব্যবহার করবে, কেননা ওরা হচ্ছে গৃহপালিত পশুদের মত। গৃহপালিত পশুদের মতই ওরা নিঃস্ব - ওদের নিজের বলে কিছুই নেই। তোমরা নারীদের নিয়েছ আল্লাহ্র কাছ হতে আমানত হিসেবে। এরপর তোমরা তাদের দেহ উপভোগ করেছ - যা আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে আইনসিদ্ধ করেছেন। হে মানবকুল, তোমরা আমার কথা শোনো এবং উপলব্ধি করো। আমি আমার বার্তা তোমাদের কাছে পৌঁছিয়েছি এবং তোমাদের জন্যে যা রেখে গেলাম, তা যদি তোমরা আঁকড়ে থাক তবে কোনোদিন বিপথে যাবে না। তোমাদের জন্যে যা রেখে গেলাম তা হোল আল্লাহ্র কিতাব আর তাঁর নবীর সুন্নাহ্।
ওপরের বক্তব্যে রসুলুল্লাহ ইসলামে নারীদের অবস্থান ধার্য করে গেছেন পাকাপোক্ত ভাবে - আর তা হচ্ছে: নারীরা গবাদি পশুর মত এবং তাদেরকে মুসলিম পুরুষেরা ঐ ভাবেই ব্যবহার করবে।
(চলবে)
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
লুক্স লিখিত সুসমাচার - ২৯
লিখেছেন লুক্স
২৭৬.
মাদ্রাসাই হোক, নর্থ সাউথই হোক, আর বুয়েটই হোক, স্বর্গীও হুর ও গেলমান পাবার স্বপ্নে জিহাদী ইসলাম পালন ও কায়েম করার অধিকার সব মুসলমানেরই সমান। কোরান যখন একটা, বিশ্বব্যাপী মুসলমানও একই রকম।
২৭৭.
ভাই আপনি মুসলমান না?
ইসলামিক নাম নিয়া ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলেন, লজ্জা করে না আপনার? আগে নিজের নাম বদলান, পরে কথা বলেন।
আপনার নামের আগে মোহাম্মদ নাই কেন?
আপনি আমাদের নবীজির নামের সঙ্গে (সঃ) ব্যবহার করেন না কেন?
ইসলামের পিছে লাগছেন কেন? আর কোনো ধর্ম চোখে পড়ে না?
ইসলামের সমালোচনা কইরা কত টাকা পান? আপনি কাদের এজেন্ট?
মরলে তুই তোর লাশ কি করবি? তোরে কবর দিবো না?
আল্লাহ বিশ্বাস করস না, তোর কি মরার ডর নাই?
আল্লাহ না থাকলে তোর জন্ম কেমনে হইছে?
কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের লেভেলের আস্তিকদের এই ধরনের প্রশ্নগুলো থেকে নাস্তিকদের রেহাই দিতে প্রশ্নগুলোর উত্তর ছাপিয়ে একটি ছোট পকেট পুস্তক প্রকাশিত করে দেশের পাবলিক বাসে ও ট্রেনে বিক্রি করার দায়িত্ব নেয়ার জন্য দেশের কোন হৃদয়বান ব্যক্তি বা সংগঠনকে করজোড়ে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
২৭৮.
কোরানে কাফেরদেরকে “অকৃতজ্ঞ”, “অবাধ্য”, “জঘন্য” বিশেষণে বিশেষিত করা হয়েছে। বইটি পড়ে আমি শিখলাম যে, আমার সাথে কারও মতবিরোধ থাকলে তাকে মনে-প্রাণে ঘৃণা করা উচিত। আরো বলা হয়েছে যে, শিরক ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ, তবে কোনো মুশরিক নিবেদিত প্রাণে ক্ষমা প্রার্থনা করলে এবং আল্লাহর সুমতি হলে আল্লাহ এই পাপ ক্ষমা করে দিতে পারেন। এখানে আমি “ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ” অংশটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করছি। এ থেকে আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারি, হিন্দু ও অন্য সব পৌত্তলিকদের ব্যাপারে একজন আদর্শ মুসলমানের দৃষ্টিভঙ্গি কী রকম।
২৭৯.
দুইটা ব্যাপারে আমার খুব মেজাজ খারাপ হয়: একজন নারী যখন ইসলামের পক্ষে কথা বলে, আর একজন মুসলমান যখন কাফেরদের দেশে বাস করে ইসলামকে ডিফেন্ড করতে চায়। শুধু তা-ই নয়, ইসলামকে একমাত্র সত্য ধর্ম দাবী এবং প্রচার করে, আর মোহাম্মদের জীবনী না জেনেই তার জীবনাদর্শ অনুসরণ করার কথা বলে।
২৮০.
যদি কোনো দেশে ফেসবুকে বা ব্লগে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে লিখলে নাস্তিকদের জেলে যেতে হয়, যদি কোনো দেশে মোল্লারা শিশুদেরকে ধর্ষণ করলে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করার আগে শয়তানের দোষ দেয়া হয়, তাহলে বুঝতে হবে সেটা একটা ইসলামী দেশ।
২৮১.
ধার্মিকরা এক আশ্চর্য প্রানী। আপনি যদি সমকামীদের প্রেম ও বিয়ের অধিকারের পক্ষে কথা বলেন, ধার্মিকরা ভাবে, আপনি নিজেও বোধ হয় সমকামী। এরা আরো ভাবে, আপনি সমাজের সবাইকে সমকামী হয়ে যাবার জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন। মানুষের শারীরিক গঠন, যৌন চাহিদা এবং রুচি যে ভিন্ন হতে পারে,- এটা ধার্মিকদের মাথায় ঢোকে না।
২৮২
ধার্মিকদের কাছে যৌনতা মানেই হচ্ছে তাদের ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত অশ্লীলতা, বহুবিবাহ, ধর্ষণ আর পরকালের হুর ও গেলমানের স্বপ্ন। প্রেমের মতো শাশ্বত ও মানবিক চারিত্রিক গুণ ধার্মিকদের কাছে এই সভ্য যুগেও অশ্লীল ও অনৈতিকই রয়ে গেছে।
২৮৩.
মাদ্রাসার ছাত্ররা ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্ব মানবে কী করে, যেখানে মাদ্রাসার শিক্ষকরাই বিবর্তনবাদ তত্ত্ব বোঝে না। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মাদ্রাসার শিক্ষকদের ধারণা - বিবর্তনবাদ তত্ত্ব মানেই মানুষের জন্ম হচ্ছে বানরের গর্ভ থেকে। আমার কথা বিশ্বাস না হলে একজন মাদ্রাসার শিক্ষক বা ছাত্রের সঙ্গে বিবর্তনবাদ তত্ত্ব নিয়ে কথা বলে দেখুন।
২৮৪.
আল্লামা শফি মুরুব্বী মানুষ। শ্রদ্ধা করি বলেই তাঁকে আমি কখনোই ছাগল বলি নাই, ছাগলের মতো বলেছি।
২৮৫.
যদি কোনো ধার্মিক দাবী করেন যে,
তার ধর্ম ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে,
অন্য সকল ধর্মকে সমান ভাবে বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা করে,
তার ধর্মের উদ্দেশ্য হলো স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করা,
- তাহলে বুঝতে হবে যে, সে ধর্মে গাঞ্ছা খাওয়া নিষেধ না।