আল্লাহর রহমতে দিনের শুরুতে জিহাদী জোশ ভর করে এখন। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি, তিনি আমাকে মনুষ্যজাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠ উম্মতের ঘরে পয়দা করেছেন। কারণ নবীয়ে করিমের উম্মত ছাড়া আর পৃথিবীর সব মানুষ কুকুরের চেয়েও অধম। নবীয়ে করিমের উম্মত হিশেবে আমি অভিজাত, পৃথিবীর সমস্ত মানুষের শান্তি কেবল আমিই এনে দিতে পারি। এজন্য আল্লাহর রাস্তায় কোশেষ করা আবশ্যক। আমাদের মাদ্রাসার জিহাদী হুজুর বলেন, ধর্মযুদ্ধে কাফেরের গলা কাটা তরবারী কাল কেয়ামতের ময়দানে ফকর করবে। হুজুরে পাকের উম্মত ছাড়া সমস্ত মানুষ পশুর জীবন যাপন করে। এদের হেদায়েতের জন্য আল্লাহ জিহাদ করার জন্য বলেছেন।
সবচেয়ে বড় জেহাদ হচ্ছে নফসের সাথে। জেহাদে আকবর। নিজের নফসের বিরুদ্ধাচারণ করতে হবে। নফস তো সবসময় চাইবেই জেনা করতে, মদ খেতে। কিন্তু এগুলা না করা মানে হচ্ছে জেহাদ। এই জেহাদে কাবেল হবার পরে অস্ত্র ধরতে হবে। সমস্ত বিশ্বের মানুষ তো আসলে অজ্ঞ। তাদেরকে বোঝাতে হবে - যতক্ষণ পর্যন্ত তারা না বোঝে। মানে তাদের অন্য কোনো মত থাকলে চলবে না। কারণ সেটা তো ধ্বংসের। সেজন্য যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা বোঝে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। না বুঝে যাবে কোথায়! একদিন তারা ঠিকই বুঝবে, ইসলাম কত শান্তি নিয়ে এসেছে তাদের জন্য - হায়, আর তারা এই শান্তি থেকে এতদিন দূরে ছিল!
আমি সারাদিন কত অন্যায় দেখি। কিন্তু এরা তো আমার দ্বীনী ভাই। এদের সাথে জেহাদ করা যাবে না। জেহাদ করতে হবে বেদ্বীনের সাথে। আমি সেজন্য কোন অমুসলমানের খারাপ কাজ খুঁজতে থাকি। কিন্তু তাদের দেখলে তো বোঝা যায় না। কেবল হিন্দু নারীদের সিঁদুর দেখলে বোঝা যায় তারা কাফের। আমি সেজন্য এমন এক নারীর কোনো অন্যায় কাজ দেখলেই এরপরে প্রতিবাদ করবো। প্রয়োজন শক্তি প্রয়োগ করবো। না হলে মনে মনে ঘৃণা করবো।
আল্লাহ আমাদের জিহাদ করার তৌফিক দান করুন। সমস্ত কাফেরদের বুঝিয়ে শুনিয়ে হেদায়েত দেবার ব্যবস্থা করে দিক, নইলে সবার গর্দানে আমার তরবারী মোবারক প্রয়োগ করার তৌফিক দান করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন