১.
- আপ্নে খালি মুসলমানদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেন কেন?
- এই দেশে হিন্দু-বৌদ্ধসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মন্দির-মূর্তি ভাঙা হইলে, ওয়াজে দেবদেবী নিয়া অশ্লীল কথাবর্তা বলা হইলে কখনো শুনছেন বিধর্মীদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগছে? অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মানুভূতি নাই, তাই আঘাত দেয়ারও কিছু নাই।
২.
নবীর দাসী ছহবতে আমগো দেশের মুসলমানরা কিঞ্চিৎ হইলেও লজ্জিত। ব্যাপারটা দেইখা ভালোই লাগে। তয় লজ্জা তো আর সারা জীবন ধইরা রাখন যায় না। তাই তারা সুযোগ পাইলেই চেষ্টা করে নবীরে দাসী ছহবতের কলঙ্ক থিকা মুক্ত করতে। তাই মারিয়ার বান্দীত্ব নিয়া মুছলিমগো একটা পিছলামী যুক্তি হইলো - যেহেতু মারিয়ার গর্ভে ইব্রাহিম জন্ম নিছে, আর ইব্রাহিমরে নবী নিজের পোলা বইলা স্বীকার করছে, তাই মারিয়া অটোমেটিক নবীর বিবি হইয়া যায়। (মনে হয় এই যুক্তি মাইনাই বর্তমানে এরা ধর্ষিতাকে ধর্ষকের সাথে বিয়া দিয়া দেওয়ার কাহিনী করে।)
যুক্তিডা ভালোই, তয় বাচ্চা বানাইতে যে একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়া যাইতে হয়, সেই জিনিসটা বকরিগুলার মাথায় থাকে না। আরে বাচ্চা তো পরে বিয়াইছে। বাচ্চা বিয়ানোর আগে দিনের পর দিন যে মারিয়ার লগে কন্ডোম ছাড়া ছহবত কইরা আইলো, সেইসব ছহবত তো আর বিয়া করা বিবি হিসাবে করে নাই, করছে দাসী হিসাবেই। তাইলে নবীর দাসী ছহবত অস্বীকার করার কী হইল?
এই মারিয়া ছাড়াও সীরাতে আরো ৩ খানা দাসীর কথা স্পষ্ট উল্লেখ আছে। এই তিন দাসীরে কি মাগনা মাগনা খাওয়াইতো?
৩.
মৌনতাই নাকি সম্মতির লক্ষন!
আস্তিকরা বলে - আল্লা আছে। আল্লায় এই কথা শুইনাও মৌন থাকে। অর্থাৎ আল্লায় সম্মতি দিতেছে যে, সে আছে। অতএব, আল্লা আছে। প্রমাণিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন