অল্প কিছুদিন আগে আমেরিকা প্রবাসী এক বাংলাদেশী ডাক্তার ভাইয়ের সাথে এক সামাজিক অনুষ্ঠানে আলাপ হচ্ছিল। ভদ্রলোক অতীব ধর্মপরায়ণ। মুখে কাঁচা-পাকা দাড়ি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী। আমেরিকাতে তাঁর এলাকার স্থানীয় মসজিদের সুরা কমিটির সক্রিয় সদস্য। হজ করেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। কলেজে অধ্যয়নরত তার ছেলেটিকে নিয়েও সম্প্রতি "ওমরা" করে এসেছেন। অধিকাংশ সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মতই তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস: "ইসলাম শান্তির ধর্ম"!
জিজ্ঞেস করলাম, "ইসলাম যদি শান্তির ধর্মই হবে, তবে যে সমস্ত জিহাদি ভাই কুরান-হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে সমগ্র পৃথিবীতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেও মরছে ও অন্যকেও মারছে, তার কী ব্যাখ্যা?"
জবাবে তিনি বললেন, "তারা সংখ্যায় খুবই নগণ্য, ইসলামের শত্রু, বিপথগামী! কুরানের অপব্যাখা করে তারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে!" আরও বললেন, "এই অল্প সংখ্যক বিপথগামী লোকদের কার্যলাপের জন্য ইসলামকে দায়ী করা যায় না। কুরানে কোথাও কোনো অশান্তির বাণী নাই"।
পাশেই ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানে সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী আর এক ভাই। জাপান থেকে Ph.D করে ভাগ্যান্বেষণে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছেন জাপান থেকেই। আমেরিকাতেই থাকেন। নামাজী (পাঁচ ওয়াক্ত নিয়মিত পড়েন কি না, জানি না), প্রতি শুক্রবার মসজিদে যান। তিনি ডাক্তার ভাইয়ের সমর্থনে বললেন, "পৃথিবীর কোনো ধর্মই মানুষকে খারাপ হতে বলে নাই। সব ধর্মের মূল কথা একই - শান্তি ও নৈতিক চরিত্রের উন্নতি।"
জবাবে বললাম, “সত্য হলো, ধর্মের সাথে নৈতিকতার কোনো সম্পর্ক নাই। Google মামার সাহায্য নিয়ে এখনই এ সত্যতার প্রমাণ পেতে পারেন।"
তারপর তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করলাম, "আপনারা কি জীবনে কখনো একটিবারও কুরান বুঝে পড়েছেন?"
ডক্টরেট ভাই চুপ করে থাকলেন। আর ডাক্তার ভাই রীতিমত অপমানিত বোধ করে উত্তেজিত হয়ে (ইসলাম ধর্ম সংক্রান্ত সব আলোচনাতেই যা অবশ্যম্ভাবী) বললেন, "আপনি এটা কী বললেন! পড়বো না মানে?"
সবিনয়ে বললাম, "আপনি যে বললেন 'কুরানে কোথাও কোন অশান্তির বানী নাই’ তার পরিপ্রেক্ষিতেই ছিল আমার ঐ প্রশ্ন। আপনি কাফের অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ হুমকি, শাসানি, ভীতি, অসম্মান, ত্রাস, হত্যা, হামলা কিংবা তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের আদেশ জাতীয় কোনো বাক্য কি কুরানে একটিও দেখেন নাই?"
ভদ্রলোক উত্তেজিত হয়ে বললেন, "আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, কুরানে কোথাও এমন কোনো বাণী নাই!" তারপর তিনি বয়ান করলেন, "এক ইহুদি বুড়ি নবীর চলার পথে প্রতিদিন কাঁটা দিত। একদিন পথে কাঁটা না দেখে নবী তার বাড়িতে গিয়ে যখন দেখলেন যে বুড়িটি অসুস্থ। তখন দয়াল নবী নিজেই সেই বুড়িটিকে সেবা-যত্ন করে সুস্থ করে তুললেন। নবীর এই মহানুভবতায় বুড়িটি ইসলাম গ্রহণ করেছিল। এই হলো আমাদের নবীর শিক্ষা!"
সবিনয়ে বললাম, "আপনি যে গল্পটা বয়ান করলেন তা যে ‘জাল-হাদিসের' আওতাভুক্ত তা কি আপনি জানেন (পর্ব-১৫)?"
ভদ্রলোক আরও উত্তেজিত হয়ে বললেন, "আপনি সবসময় ধর্মের খুঁত ধরার চেষ্টা করেন। আপনি আপনার মত থাকুন, আমাদেরকে আমাদের মত থাকতে দেন!"
এরূপ উদাহরণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ডাক্তার সাহেব কী কারণে কুরানে একটিও অশান্তির বাণী খুঁজে পাননি, তা বোঝা মোটেও কষ্টকর নয়। অশিক্ষিত ব্যক্তিদের মতই সমাজের প্রায় সব উচ্চশিক্ষিত লোকেরও ইসলামী জ্ঞান মসজিদ-তাবলীগ-ওয়াজ মাহফিলে মৌলোভী সাহেবের বয়ান, বিশেষ কিছু ইসলামী বই, খবরের কাগজের আর্টিকেল, কিংবা টিভি আলোচনা অনুষ্ঠান, অথবা ডাঃ জাকির নায়েকের মিথ্যাচার থেকে অর্জিত। তাঁরা কুরান তেলাওয়াত করেন আরবিতে, পড়েন ভক্তি ভরে। অধিকাংশই কোনোদিনই ব্যাখ্যাসহ সম্পূর্ণ কুরানের তরজমা জীবনে একবারও হয়তো পড়েননি। পড়লেও Critical দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একবারও এর অন্তর্নিহিত বিষয়কে জানার চেষ্টাও করেননি। তাঁরা যে কুরান বুঝে কখনোই পড়েননি, তা আবার স্বীকারও করতে চান না! প্রেস্টিজ বলে কথা! অধিকাংশই এমন সরাসরি প্রশ্নে অপমানিত বোধ করেন। তাই অশিক্ষিত-শিক্ষিত/উচ্চশিক্ষিত নির্বিশেষে সাধারণ মুসলমানদের অধিকাংশই কুরানের বিষয়বস্তু ও ইসলামের মূল শিক্ষার বিষয়ে একেবারেই অজ্ঞ। তাঁদের এই অজ্ঞতাকে পুঁজি করেই "তথাকথিত মোডারেট" ইসলামবাজরা ইচ্ছামত তাঁদেরকে ব্যবহার করে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা জ্ঞান-তত্ত্বে করা হয়েছে (দশম পর্ব)।
ডাক্তার সাহেব কুরানে একটিও অশান্তির বাণী না দেখতে পেলেও সত্য হলো, সমগ্র কুরানে হুমকি, শাসানী, ভীতি প্রদর্শন, অসম্মান ও দোষারোপ সম্পর্কিত আয়াত সংখ্যা কম পক্ষে ৫২১ টি; এবং ত্রাস, হত্যা, হামলা ও সম্পর্কচ্ছেদের আদেশ সংক্রান্ত আয়াত সংখ্যা কমপক্ষে ১৫১ টি। মোট ৬৭২ টি! যা সমগ্র কুরানের মোট আয়াত (৬২৩৬) সংখ্যার ১০.৭৮ শতাংশ! অর্থাৎ, আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর আল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে অবিশ্বাসীদের উদ্দেশে সুদীর্ঘ ২৩ বছর যাবত (৬১০-৬৩২) যে সকল বাণী বর্ষণ করেছিলেন, তার প্রতি দশটি বাক্যের একটি শুধুই ‘হুমকি, শাসানী, ভীতি প্রদর্শন, অসম্মান ও দোষারোপ’ এবং ‘ত্রাস, হত্যা, হামলা ও সম্পর্কচ্ছেদের আদেশ' সংক্রান্ত। অবিশ্বাসীদের উদ্দেশে বর্ণিত এ বাণীগুলো অত্যন্ত অবমাননাকর, নিষ্ঠুর ও হিংস্র! এ ছাড়াও আছে অবিশ্বাসীদের প্রতি মুহাম্মদের অভিশাপসম্পর্কিত বাণী (বিস্তারিত একাদশ ও দ্বাদশ পর্বে)।
বিফল ও অক্ষম মুহাম্মদের মক্কার বাণীসমষ্টির (পরোক্ষ হুমকি-শাসানী-ভীতি) সাথে সফল ও শক্তিমান মুহাম্মদের মদিনার বাণীসমষ্টির (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হুমকি শাসানী) পার্থক্য বোঝার জন্য এ সংক্রান্ত বাণীগুলোকে আমি আলাদা আলাদা ভাগে ভাগ করেছি। যাতে পাঠকরা মুহাম্মদের মনস্তত্ত্বের সম্যক ধারণা পেতে পারেন।
মক্কায় মুহাম্মদ (৬১০-৬২২ সাল)
1. ৬:৬ - তারা কি দেখেনি যে, আমি তাদের পুর্বে কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি,
2. ৬:১৫ - আপনি বলুন, আমি আমার প্রতিপালকের অবাধ্য হতে ভয় পাই কেননা, আমি একটি মহাদিবসের শাস্তিকে ভয় করি|
3. ৬:২৭ - আর আপনি যদি দেখেন, যখন তাদেরকে দোযখের উপর দাঁড় করানো হবে! তারা বলবে: কতই না ভাল হত, যদি আমরা পুন: প্রেরিত হতাম; --
4-5. ৬:৩০-৩১ - অতএব, স্বীয় কুফরের কারণে শাস্তি আস্বাদন কর| নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত, যারা আল্লাহ্র সাক্ষাৎকে মিথ্যা মনে করেছে|
6. ৬:৪০ - বলুন, বলতো দেখি, যদি তোমাদের উপর আল্লাহর শাস্তি পতিত হয় কিংবা তোমাদের কাছে কিয়ামত এসে যায়, তবে তোমরা কি আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যকে ডাকবে যদি তোমরা সত্যবাদী হও|
7-16. ৬:৪২-৬:৫১- অত:পর আমি তাদেরকে অভাব-অনটন ও রোগ-ব্যধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম যাতে তারা কাকুতি মিনতি করে|----- আমি অকস্মাৎ তাদেরকে পাকড়াও করলাম। অতঃপর জালেমদের মূল শিকড় কর্তিত হল। ----যদি আল্লাহর শাস্তি, আকস্মিক কিংবা প্রকাশ্যে তোমাদের উপর আসে, তবে জালেম সম্প্রদায় ব্যতীত কে ধ্বংস হবে? -----আপনি এ কোরআন দ্বারা তাদেরকে ভয়-প্রদর্শন করুন--
17. ৬:৬৫ - - তিনিই শক্তিমান যে, তোমাদের উপর কোন শাস্তি উপর দিক থেকে অথবা তোমাদের পদতল থেকে প্রেরণ করবেন অথবা তোমাদেরকে দলে-উপদলে বিভক্ত করে সবাইকে মুখোমুখী করে দিবেন এবং এককে অন্যের উপর আক্রমণের স্বাদ আস্বাদন করাবেন|
18. ৬:৭০ - তাদের জন্যে উত্তপ্ত পানি এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে - কুফরের কারণে|
19. ৬:৯৩ - যখন জালেমরা মৃত্যু যন্ত্রণায় থাকে এবং ফেরেশতারা স্বীয় হস্ত প্রসারিত করে বলে, বের কর স্বীয় আত্না! অদ্য তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি প্রদান করা হবে|
20. ৬:১২৪ - তারা অতিসত্বর আ্ল্লাহর কাছে পৌছে লাঞ্ছনা ও কঠোর শাস্তি পাবে,
21. ৬:১২৯ - এমনিভাবে আমি পাপীদেরকে একে অপরের সাথে যুক্ত করে দেব তাদের কাজকর্মের কারণে|
22. ৬:১৩৩ - তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের সবাইকে উচ্ছেদ করে দিবেন এবং তোমাদের পর যাকে ইচ্ছা তোমাদের স্খলে অভিষিক্ত করবেন;
23. ৬:১৫৭ - অত:পর সে ব্যক্তির চাইতে অধিক অনাচারী কে হবে, যে আল্লাহ্র আয়াত সমূহকে মিথ্যা বলে এবং গা বাঁচিয়ে চলে| অতি সত্ত্বর আমি তাদেরকে শাস্তি দেব|
24. ৭:৪ -- অনেক জনপদকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি| তাদের কাছে আমার আযাব রাত্রি বেলায় পৌছেছে অথবা দ্বিপ্রহরে বিশ্রামরত অবস্খায়|
25. ৭:৩৬ - যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলবে -- তারাই দোযখী এবং তথায় চিরকাল থাকবে|
26-27. ৭:৪০-৭:৪১ - নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছে এবং এগুলো থেকে অহংকার করেছে --আমি এমনিভাবে পাপীদেরকে শাস্তি প্রদান করি| তাদের জন্যে নরকাগ্নির শয্যা রয়েছে ---
28. ৭:১৮২ - বস্তুত: যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার আয়াতসমূহকে, আমি তাদেরকে ক্রমান্ময়ে পাকড়াও করব এমন জায়গা থেকে, যার সম্পর্কে তাদের ধারণাও হবে না|
29. ৭:১৪৭ - বস্তুত: যারা মিথ্যা জেনেছে আমার আয়াতসমূকে এবং আখেরাতের সাক্ষাতকে, তাদের যাবতীয় কাজকর্ম ধ্বংস হয়ে গেছে|
>>>পাঠক, মনোযোগের সাথে খেয়াল করুন। বক্তা এখানে সশরীরে চাক্ষুষ মুহাম্মদ, মুহাম্মদকে অবিশ্বাসে "তাঁর আল্লাহর" কোনোই অস্তিত্ব নেই। মুহাম্মদ দাবী করছেন, যে যারাই তাঁর কথাকে ("আমার আয়াতসমূহ") মিথ্যা বলবে তারা হলেন পাপী, অনাচারী ও অনন্তকাল দোযখী। খেয়াল করুন, বক্তা মুহাম্মদ তাঁকে অবিশ্বাসীদের কী রূপে বিভিন্নভাবে পরোক্ষ হুমকি, শাসানি ও ভীতি প্রদর্শন করছেন!
30. ৭:১৫২ - অবশ্য যারা গোবৎসকে উপাস্য বানিয়ে নিয়েছে, তাদের উপর তাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে পার্থিব এ জীবনেই গযব ও লাঞ্জনা এসে পড়বে|
31. ৭:১৬২ - সুতরাং আমি তাদের উপর আযাব পাঠিয়েছি আসমান থেকে তাদের অপকর্মের কারণে|
32. ৭:১৬৭ - আর সে সময়ের কথা স্মরণ কর, যখন তোমার পালনকর্তা সংবাদ দিয়েছেন যে, অবশ্যই কেয়ামত দিবস পর্যন্ত ইহুদীদের উপর এমন লোক পাঠাতে থাকবেন যারা তাদেরকে নিকৃষ্ট শাস্তি দান করতে থাকবে| নি:সন্দেহে তোমার পালনকর্তা শীঘ্র শাস্তি দানকারী এবং তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু|
>>> বাস্তবতা ৭:১৬৭ এর সম্পূর্ণ বিপরীত! বর্তমান বিশ্বে ইহুদীরাই জ্ঞান, বিজ্ঞান, গরিমা ও শক্তিতে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের তুলনায় অনেক অনেক বেশী অগ্রগামী।
33. ৭:৪৪ - অত:পর একজন ঘোষক -- ঘোষণা করবে: আল্লাহর অভিসম্পাত জালেমদের উপর|
34. ১০:৪ -আর যারা কাফের হয়েছে, তাদের পান করতে হবে ফুটন্ত পানি এবং ভোগ করতে হবে যন্ত্রনাদায়ক আযাব এ জন্যে যে, তারা কুফরী করছিল।
35. ১০:৮ - এমন লোকদের ঠিকানা হল আগুন সে সবের বদলা হিসাবে যা তারা অর্জন করছিল।
36. ১০:১৩ - অবশ্য তোমাদের পূর্বে বহু দলকে ধ্বংস করে দিয়েছি, তখন তারা জালেম হয়ে গেছে। - -
37. ১০:৭০ - তখন আমি তাদেরকে আস্বাদন করাব কঠিন আযাব - তাদেরই কৃত কুফরীর বদলাতে।
38. ১১:৮ - শুনে রাখ, যেদিন তাদের উপর আযাব এসে পড়বে, সেদিন কিন্তু তা ফিরে যাওয়ার নয়;--
39. ১১:১৬ - এরাই হল সেসব লোক আখেরাতে যাদের জন্য আগুন ছাড়া নেই। --
40. ১১:৬০ - এ দুনিয়ায় তাদের পিছনে পিছনে লা’নত রয়েছে এবং কেয়ামতের দিনেও; জেনে রাখ, আদ জাতি তাদের পালনকর্তাকে অস্বীকার করেছে, হুদের জ্ঞাতি আদ জাতির প্রতি অভিসম্পাত রয়েছে –
41. ১১:৬৬ - অতঃপর আমার আযাব যখন উপস্থিত হল, তখন আমি সালেহকে ও তদীয় সঙ্গী ঈমানদারগণকে নিজ রহমতে উদ্ধার করি, এবং সেদিনকার অপমান হতে রক্ষা করি।
42. ১১:৭৬ - ইব্রাহীম, -- তাদের উপর সে আযাব অবশ্যই আপতিত হবে, --
43. ১১:৮২ - (লূত) - অবশেষে যখন আমার হুকুম এসে পৌঁছাল, তখন আমি উক্ত জনপদকে উপরকে নীচে করে দিলাম এবং তার উপর স্তরে স্তরে কাঁকর পাথর বর্ষণ করলাম।
44. ১১:৯৮ - (ফেরাউন) - কেয়ামতের দিন সে তার জাতির লোকদের আগে আগে থাকবে এবং তাদেরকে জাহান্নামের আগুনে পৌঁছে দিবে। ---
45. ১১:১০২ - আর তোমার পরওয়ারদেগার যখন কোন পাপ পূর্ণ জনপদকে ধরেন, তখন এমনিভাবেই ধরে থাকেন। নিশ্চয় তাঁর পাকড়াও খুবই মারাত্নক, বড়ই কঠোর।
46. ১১:১০৬ - -- তারা দোযখে যাবে, সেখানে তারা আর্তনাদ ও চিৎকার করতে থাকবে।
47. ১১:১১৯ - তোমার পালনকর্তা যাদের উপর রহমত করেছেন, তারা ব্যতীত সবাই চিরদিন মতভেদ করতেই থাকবে এবং এজন্যই তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। -- অবশ্যই আমি জাহান্নামকে জ্বিন ও মানুষ দ্বারা একযোগে ভর্তি করব।
48. ১৩:৫ - এদের গর্দানেই লৌহ-শৃংখল পড়বে এবং এরাই দোযখী এরা তাতে চিরকাল থাকবে।
49. ১৩:১৩ --তিনি বজ্রপাত করেন, অতঃপর যাকে ইচছা, তাকে তা দ্বারা আঘাত করেন;
50. ১৩:১৮ - তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর হিসাব। তাদের আবাস হবে জাহান্নাম। ---
51. ১৩:৩১ - ঈমানদাররা কি এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয় যে, যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে সব মানুষকে সৎপথে পরিচালিত করতেন? কাফেররা তাদের কৃতকর্মের কারণে সব সময় আঘাত পেতে থাকবে অথবা তাদের গৃহের নিকটবর্তী স্থানে আঘাত নেমে আসবে, যে পর্যন্ত আল্লাহর ওয়াদা না আসে।
>>> আল্লাহ সব মানুষকে সৎপথে পরিচালিত করতে চান না (১৩:৩১)! বড়োই পরিতাপের কথা!
52. ১৩:৩৪ - দুনিয়ার জীবনেই এদের জন্য রয়েছে আযাব এবং অতি অবশ্য আখেরাতের জীবন কঠোরতম। আল্লাহর কবল থেকে তাদের কোন রক্ষাকারী নেই।
53. ১৩:৪২ - কাফেররা জেনে নেবে যে, পর জীবনের আবাসস্থল কাদের জন্য রয়েছে।
54. ১৪:২ - -- কাফেরদের জন্যে বিপদ রয়েছে, কঠোর আযাব;
55. ১৪:৭ - --- নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।
56. ১৪:১৩ - আমি জালিমদেরকে অবশ্যই ধ্বংস করে দেব।
57-58. ১৪:১৬-১৭ - - - তার পেছনে দোযখ রয়েছে। তাতে পূঁজ মিশানো পানি পান করানো হবে। ঢোক গিলে তা পান করবে। এবং গলার ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। প্রতি দিক থেকে তার কাছে মৃত্যু আগমন করবে এবং সে মরবে না। তার পশ্চাতেও রয়েছে কঠোর আযাব।
59. ১৮:২৯ - আমি জালেমদের জন্যে অগ্নি প্রস্তুত করে রেখেছি, -- যদি তারা পানীয় প্রার্থনা করে, তবে পুঁজের ন্যায় পানীয় দেয়া হবে যা তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে। ---
>>>মুহাম্মদ কে অস্বীকারকারীর শাস্তি হলো এই ১৪:১৬-১৭, ১৮:২৯! পৃথিবীর নিকৃষ্টতম সাইকোপ্যাথও কী এমন বীভৎসতা কল্পনা করতে পারে? কুরানের সমস্ত বাণী মুহাম্মদের, তাঁরই মানসিকতা ও দৃষ্টি ভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ ও প্রতিফলন!
60. ১৪:৪২ - ---তাদেরকে তো ঐ দিন পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে রেখেছেন, যেদিন চক্ষুসমূহ বিস্ফোরিত হবে।
61. ১৪:৫০ - তাদের জামা হবে দাহ্য আলকাতরার এবং তাদের মুখমন্ডলকে আগুন আচ্ছন্ন --
62-63. ১৫:৩-৪ - -আপনি ছেড়ে দিন তাদেরকে, খেয়ে নিক এবং ভোগ করে নিক এবং আশায় ব্যাপৃত থাকুক। অতি সত্বর তারা জেনে নেবে। আমি কোন জনপদ ধবংস করিনি; কিন্ত তার নির্দিষ্ট সময় লিখিত ছিল।
64. ১৫:৪৩ -তাদের সবার নির্ধারিত স্থান হচ্ছে জাহান্নাম।
65. ১৫:৫০ - এবং ইহাও যে, আমার শাস্তিই যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।
66. ১৬:২৫ - ---- শুনে নাও, খুবই নিকৃষ্ট বোঝা যা তারা বহন করে।
67. ১৬:২৭ - অতঃপর কেয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন –
68. ১৬:২৯ - অতএব, জাহান্নামের দরজসমূহে প্রবেশ কর, এতেই অনন্তকাল বাস কর।
69. ১৬:৪৫ - -- আল্লাহ তাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দিবেন কিংবা তাদের কাছে এমন জায়গা থেকে আযাব আসবে যা তাদের ধারণাতীত।
70. ১৬:৬২ - স্বতঃসিদ্ধ কথা যে, তাদের জন্যে রয়েছে আগুন এবং তাদেরকেই সর্বাগ্রে নিক্ষেপ করা হবে।
71. ১৬:৮৫ - যখন জালেমরা আযাব প্রত্যক্ষ করবে, তখন তাদের থেকে তা লঘু করা হবে না এবং তাদেরকে কোন অবকাশ দেয়া হবে না।
72. ১৬:১১২ - --তখন আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের কারণে স্বাদ আস্বাদন করালেন, ক্ষুধা ও ভীতির
73. ১৬:১১৭ - যৎসামান্য সুখ-সম্ভোগ ভোগ করে নিক। তাদের জন্যে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
74. ১৭:৮ - আমি জাহান্নামকে কাফেরদের জন্যে কয়েদখানা করেছি।
75. ১৭:১০ - -- আমি তাদের জন্যে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করেছি।
76-77. ১৭:১৭-১৮ - ---- অতঃপর তাদের জন্যে জাহান্নাম নির্ধারণ করি। ওরা তাতে নিন্দিত-বিতাড়িত অবস্থায় প্রবেশ করবে।
78. ১৭:৫৮ - এমন কোন জনপদ নেই, যাকে আমি কেয়ামত দিবসের পূর্বে ধ্বংস করব না অথবা যাকে কঠোর শাস্তি দেব না। এটা তো গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে।
79. ২৫:১৯ - -- সেদিন অপরাধীদের জন্যে কোন সুসংবাদ থাকবে না –
80-81. ১৭:৬৮-৬৯ - তোমরা কি এ বিষয়ে নিশ্চিন্ত রয়েছ যে, তিনি তোমাদেরকে স্থলভাগে কোথাও ভূগর্ভস্থ করবেন না। অথবা তোমাদের উপর প্রস্তর বর্ষণকারী ঘুর্ণিঝড় প্রেরণ করবেন না, তখন তোমরা নিজেদের জন্যে কোন কর্মবিধায়ক পাবে না। অথবা তোমরা কি এ বিষয়ে নিশ্চিন্ত যে, তিনি তোমাদেরকে আরেকবার সমুদ্রে নিয়ে যাবেন না, অতঃপর তোমাদের জন্যে মহা ঝটিকা প্রেরণ করবেন না, অতঃপর অকৃতজ্ঞতার শাস্তিস্বরূপ তোমাদেরকে নিমজ্জত করবেন না----
82-83. ১৭:৯৭-৯৮ - আমি কেয়ামতের দিন তাদের সমবেত করব তাদের মুখে ভর দিয়ে চলা অবস্থায়, অন্ধ অবস্থায়, মুক অবস্থায় এবং বধির অবস্থায়। তাদের আবাসস্থল জাহান্নাম। যখনই নির্বাপিত হওয়ার উপক্রম হবে আমি তখন তাদের জন্যে অগ্নি আরও বৃদ্ধি করে দিব। এটাই তাদের শাস্তি। কারণ, তারা আমার নিদর্শনসমূহ অস্বীকার করেছে
>>>জাহান্নামের অগ্নি নির্বাপিত হওয়ার উপক্রম হবে? যেমন করে কাঠ, তুষ, কয়লা, খড় ইত্যাদির আগুন জ্বলতে জ্বলতে নিভু-নিভু হয়? সৃষ্টিকর্তা ও তার ক্ষমতাকে (যদি থাকে) নিয়ে কী অদ্ভুত তামাসা!
84. ১৪:৩০ - --- অতঃপর তোমাদেরকে অগ্নির দিকেই ফিরে যেতে হবে।
85. ১৮:৪৭ - -- আমি মানুষকে একত্রিত করব অতঃপর তাদের কাউকে ছাড়ব না।
86. ১৮:৫৩ -- অপরাধীরা আগুন দেখে বোঝে নেবে যে, তাদেরকে তাতে পতিত হতে হবে এবং তারা তা থেকে রাস্তা পরিবর্তন করতে পারবে না।
87. ১৮:৫৮ - - -- যদি তিনি তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের জন্যে পাকড়াও করেন তবে তাদের শাস্তি ত্বরাম্বিত করতেন, কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে একটি প্রতিশ্রুত সময়, ---
88. ১৮:৫৯ - --এসব জনপদ ও তাদেরকে আমি ধংস করে দিয়েছি, যখন তারা জালেম হয়ে গিয়েছিল এবং আমি তাদের ধ্বংসের জন্যে একটি প্রতিশ্রুত সময় নির্দিষ্ট করেছিলাম।
89. ১৮:১০২ - আমি কাফেরদের অভ্যর্থনার জন্যে জাহান্নামকে প্রস্তুত করে রেখেছি।
90. ১৮:১০৬ - - জাহান্নাম--এটাই তাদের প্রতিফল; কারণ, তারা কাফের হয়েছে এবং আমার নিদর্শনাবলী ও রসূলগণকে বিদ্রূপের বিষয় রূপে গ্রহণ করেছে।
91. ১৯:৬৮ - অতঃপর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্যে যে দয়াময় আল্লাহর সর্বাধিক অবাধ্য আমি অবশ্যই তাকে পৃথক করে নেব।
92. ১৯:৭৪ - তাদের পূর্বে কত মানব গোষ্ঠীকে আমি বিনাশ করেছি, তারা তাদের চাইতে সম্পদে ও জাঁক-জমকে শ্রেষ্ঠ ছিল।
93. ১৯:৭৯ - -- তার শাস্তি দীর্ঘায়িত করতে থাকব।
94. ১৯:৮৬ - অপরাধীদেরকে পিপাসার্ত অবস্থায় জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাব।
95. ১৯:৯৮ - তাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছি। ---
96. ২০:৪৮ - আমরা ওহী লাভ করেছি যে, যে -- মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার উপর আযাব পড়বে।
97. ২০:৬১ - তিনি তোমাদেরকে আযাব দ্বারা ধবংস করে দেবেন। যে মিথ্যা উদভাবন করে,--
98. ৩৫:২৬ - অতঃপর আমি কাফেরদেরকে ধৃত করেছিলাম। কেমন ছিল আমার আযাব!
99. ২০:১২৪ - এবং যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব।
100-101. ২০:১২৭-১২৮ - -- তার পরকালের শাস্তি কঠোরতর এবং অনেক স্থায়ী। আমি এদের পূর্বে অনেক সম্প্রদায়কে ধবংস করেছি। -- ---
102-103. ২৩:৬৪-৬৫ - এমনকি, যখন আমি তাদের ঐশ্বর্যশালী লোকদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করব, তখনই তারা চীৎকার জুড়ে দেবে। -- তোমরা আমার কাছ থেকে নিস্কৃতি পাবে না।
104. ১৭:৬০ - --- আমি তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করি। কিন্তু এতে তাদের অবাধ্যতাই আরও বৃদ্ধি পায়।
105-106. ২৩:৭৬-৭৭ -আমি তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, কিন্তু তারা তাদের পালনকর্তার সামনে নত হল না এবং কাকুতি-মিনুতিও করল না। --
>>> “তারা তাদের পালনকর্তার সামনে নত তো হলোই না, কাকুতি-মিনতিও করল না” - বড়ই আফসোসের কথা!
107. ২৩:১০৪ - আগুন তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে এবং তারা তাতে বীভৎস আকার ধারন করবে।
108-110. ২৫:১১-১৩ - --অগ্নি যখন দূর থেকে তাদেরকে দেখবে, তখন তারা শুনতে পাবে তার গর্জন ও হুঙ্কার। যখন এক শিকলে কয়েকজন বাঁধা অবস্থায় জাহান্নামের কোন সংকীর্ণ স্থানে নিক্ষেপ করা হবে, তখন সেখানে তারা মৃত্যুকে ডাকবে।
111. ২৩:৪৪ - -- অতঃপর আমি তাদের একের পর এক ধ্বংস করেছি এবং তাদেরকে কাহিনীর বিষয়ে পরিণত করেছি। সুতরাং ধ্বংস হোক অবিশ্বাসীরা।
112. ২৫:৩৪ - যাদেরকে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা অবস্থায় জাহান্নামের দিকে একত্রিত করা হবে, তাদেরই স্থান হবে নিকৃষ্ট এবং তারাই পথভ্রষ্ট।
113. ২৬:৯১ - এবং বিপথগামীদের সামনে উম্মোচিত করা হবে জাহান্নাম।
114. ২৬:৯৪ - অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্টদেরকে আধোমুখি করে নিক্ষেপ করা হবে-
115. ২৬:২০১ - তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে না, যে পর্যন্ত প্রত্যক্ষ না করে মর্মন্তুদ আযাব।
116. ২৭:৮৫ - জুলুমের কারণে তাদের কাছে আযাবের ওয়াদা এসে গেছে। -
117. ২৭:৯০ - এবং যে মন্দ কাজ নিয়ে আসবে, তাকে অগ্নিতে অধঃমূখে নিক্ষেপ করা হবে। --
118. ২৮:৫৮ - আমি অনেক জনপদ ধবংস করেছি—
119. ২৮:৭৮ - --আল্লাহ তার পূর্বে অনেক সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছেন, যারা শক্তিতে ছিল তার চাইতে প্রবল এবং ধন-সম্পদে অধিক প্রাচুর্যশীল? ---
120. ২৯:৪ - যারা মন্দ কাজ করে, তারা কি মনে করে যে, তারা আমার হাত থেকে বেঁচে যাবে? --
121-122. ৯০:১৯-২০ - আর যারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে তারাই হতভাগা। তারা অগ্নিপরিবেষ্টিত অবস্থায় বন্দী থাকবে।
123. ২৯:৩৯ - আমি কারুন, ফেরাউন ও হামানকে ধ্বংস করেছি। ---
124. ২৯:৪০ - আমি প্রত্যেককেই তার অপরাধের কারণে পাকড়াও করেছি। তাদের কারও প্রতি প্রেরণ করেছি প্রস্তরসহ প্রচন্ড বাতাস, কাউকে পেয়েছে বজ্রপাত, কাউকে আমি বিলীন করেছি ভূগর্ভে এবং কাউকে করেছি নিমজ্জত।-
125. ২৯:৬৮ - যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা কথা গড়ে অথবা তার কাছে সত্য আসার পর তাকে অস্বীকার করে, তার কি স্মরণ রাখা উচিত নয় যে, জাহান্নামই সেসব কাফেরের আশ্রয়স্থল হবে?
126. ৩০:১৬ - আর যারা কাফের এবং আমার আয়াতসমূহ ও পরকালের সাক্ষাতকারকে মিথ্যা বলছে, তাদেরকেই আযাবের মধ্যে উপস্থিত করা হবে।
127. ৩০:৩৪ ---- অতএব, মজা লুটে নাও, সত্বরই জানতে পারবে।
128. ৩০:৪৭ - - অতঃপর যারা পাপী ছিল, তাদের আমি শাস্তি দিয়েছি। -
129. ৩০:৫৭ - সেদিন জালেমদের ওযর-আপত্তি তাদের কোন উপকারে আসবে না এবং তওবা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুযোগও তাদের দেয়া হবে না।
130-131. ৩১:৬-৭ - -এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। -- সুতরাং ওদেরকে কষ্টদায়ক আযাবের সংবাদ দাও।
132. ৩১:২৪ - আমি তাদেরকে স্বল্পকালের জন্যে ভোগবিলাস করতে দেব, অতঃপর তাদেরকে বাধ্য করব গুরুতর শাস্তি ভোগ করতে।
133. ৩১:৩৩ ---তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর এবং ভয় কর এমন এক দিবসকে—
134-135. ৩২:১৩-১৪ - আমি ইচ্ছা করলে প্রত্যেককে সঠিক দিক নির্দেশ দিতাম; কিন্তু আমার এ উক্তি অবধারিত সত্য যে, আমি জিন ও মানব সকলকে দিয়ে অবশ্যই জাহান্নাম পূর্ণ করব। অতএব এ দিবসকে ভূলে যাওয়ার কারণে তোমরা মজা আস্বাদন কর। ---
>>>"আল্লাহর" ইচ্ছা নয় যে, সবাইকে তিনি সঠিক দিক নির্দেশ দেবেন! কারণ তিনি জীন ও মানব সকলকে দিয়ে অবশ্যই জাহান্নাম পূর্ণ করবেন! কী সাংঘাতিক!
136. ৩২:২০ -পক্ষান্তরে যারা অবাধ্য হয়, তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। যখনই তারা জাহান্নাম থেকে বের হতে চাইবে, তখনই তাদেরকে তথায় ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, তোমরা জাহান্নামের যে আযাবকে মিথ্যা বলতে, তার স্বাদ আস্বাদন কর।
137-138. ৩২:২১-২২ - গুরু শাস্তির পূর্বে আমি অবশ্যই তাদেরকে লঘু শাস্তি আস্বাদন করাব, যাতে তারা প্রত্যাবর্তন করে। যে ব্যক্তিকে তার পালনকর্তার আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশ দান করা হয়, অতঃপর সে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার চেয়ে যালেম আর কে? আমি অপরাধীদেরকে শাস্তি দেব।
139. ৩২:২৬ - এতে কি তাদের চোখ খোলেনি যে, আমি তাদের পূর্বে অনেক সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি, যাদের বাড়ী-ঘরে এরা বিচরণ করে। অবশ্যই এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে। তারা কি শোনে না?
140. ৩৪:৫ - আর যারা আমার আয়াত সমূহকে ব্যর্থ করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়, তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।
141. ৩৪:৯ - তারা কি তাদের সামনের ও পশ্চাতের আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিলক্ষ্য করে না? আমি ইচ্ছা করলে তাদের সহ ভূমি ধসিয়ে দেব অথবা আকাশের কোন খন্ড তাদের উপর পতিত করব। আল্লাহ অভিমুখী প্রত্যেক বান্দার জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।
>>>মজবুত আকাশ, কঠিন তার খণ্ড (১ম ও ২য় পর্ব)! ভেঙ্গে পড়লে আর নিস্তার নেই!
142. ৩৪:৩৩ - দুর্বলরা অহংকারীদেরকে বলবে, বরং তোমরাই তো দিবারাত্রি চক্রান্ত করে আমাদেরকে নির্দেশ দিতে যেন আমরা আল্লাহকে না মানি এবং তাঁর অংশীদার সাব্যস্ত করি তারা যখন শাস্তি দেখবে, তখন মনের অনুতাপ মনেই রাখবে। বস্তুতঃ আমি কাফেরদের গলায় বেড়ী পরাব। তারা সে প্রতিফলই পেয়ে থাকে যা তারা করত।
143. ৩৪:৩৮ - আর যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়, তাদেরকে আযাবে উপস্থিত করা হবে।
144. ৩৪:৪২ - অতএব আজকের দিনে তোমরা একে অপরের কোন উপকার ও অপকার করার অধিকারী হবে না আর আমি জালেমদেরকে বলব, তোমরা আগুনের যে শাস্তিকে মিথ্যা বলতে তা আস্বাদন কর।
145. ৩৫:৭ - যারা কুফর করে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর আযাব। আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার।
146. ৩৫:১৬ - তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে বিলুপ্ত করে এক নতুন সৃষ্টির উদ্ভব করবেন।
147. ২০:৭৪ - - তার জন্য রয়েছে জাহান্নাম। সেখানে সে মরবে না এবং বাঁচবেও না।
148. ৩৫:৩৬ - আর যারা কাফের হয়েছে, তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আগুন। তাদেরকে মৃত্যুর আদেশও দেয়া হবে না যে, তারা মরে যাবে এবং তাদের থেকে তার শাস্তিও লাঘব করা হবে না। আমি প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে এভাবেই শাস্তি দিয়ে থাকি।
>>> বীভৎসতার চূড়ান্ত! তাদেরকে মরতেও দেয়া হবে না!
149. ৩৫:৩৭ - সেখানে তারা আর্ত চিৎকার করে বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, বের করুন আমাদেরকে, আমরা সৎকাজ করব, পূর্বে যা করতাম, তা করব না। (আল্লাহ বলবেন) আমি কি তোমাদেরকে এতটা বয়স দেইনি, যাতে যা চিন্তা করার বিষয় চিন্তা করতে পারতে? উপরন্তু তোমাদের কাছে সতর্ককারীও আগমন করেছিল। অতএব আস্বাদন কর। জালেমদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই।
150. ৩৬:৭ - তাদের অধিকাংশের জন্যে শাস্তির বিষয় অবধারিত হয়েছে। সুতরাং তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না।
151. ৩৬:৩১ - তারা কি প্রত্যক্ষ করে না, তাদের পূর্বে আমি কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি যে, তারা তাদের মধ্যে আর ফিরে আসবে না।
152. ৩৬:৪৫ - আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা সামনের আযাব ও পেছনের আযাবকে ভয় কর, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়, তখন তারা তা অগ্রাহ্য করে।
153-155. ৩৬:৬৫-৬৭ - আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে। আমি ইচ্ছা করলে তাদের দৃষ্টি শক্তি বিলুপ্ত করে দিতে পারতাম, তখন তারা পথের দিকে দৌড়াতে চাইলে কেমন করে দেখতে পেত! আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্ব স্ব স্থানে আকার বিকৃত করতে পারতাম, ফলে তারা আগেও চলতে পারত না এবং পেছনেও ফিরে যেতে পারত না।
156. ৩৭:১৮ - বলুন, হ্যাঁ এবং তোমরা হবে লাঞ্ছিত।
157. ৩৭:৩৮ - তোমরা অবশ্যই বেদনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করবে।
158-164. ৩৭:৬২-৬৮ - এই কি উত্তম আপ্যায়ন, না যাক্কুম বৃক্ষ? আমি যালেমদের জন্যে একে বিপদ করেছি। এটি একটি বৃক্ষ, যা উদগত হয় জাহান্নামের মূলে।এর গুচ্ছ শয়তানের মস্তকের মত। কাফেররা একে ভক্ষণ করবে এবং এর দ্বারা উদর পূর্ণ করবে। তদুপরি তাদেরকে দেয়া হবে। ফুটন্ত পানির মিশ্রণ, অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের দিকে।
165-168. ৩৮:৫৫-৫৮ - এটাতো শুনলে, এখন দুষ্টদের জন্যে রয়েছে নিকৃষ্ট ঠিকানা। তথা জাহান্নাম। তারা সেখানে প্রবেশ করবে। অতএব, কত নিকৃষ্ট সেই আবাস স্থল। এটা উত্তপ্ত পানি ও পুঁজ; অতএব তারা একে আস্বাদন করুক। এ ধরনের আরও কিছু শাস্তি আছে।
>>>নিকৃষ্টতম সাইকোপ্যাথ ও এমন বীভৎসতায় লজ্জা পাবে!
169. ৩৮:১৪ - এদের প্রত্যেকেই পয়গম্বরগণের প্রতি মিথ্যারোপ করেছে। ফলে আমার আযাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
170. ৩৯:৩ - জেনে রাখুন, নিষ্ঠাপূর্ণ এবাদত আল্লাহরই নিমিত্ত। যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে রেখেছে এবং বলে যে, আমরা তাদের এবাদত এ জন্যেই করি, যেন তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়। নিশ্চয় আল্লাহ তাদের মধ্যে তাদের পারস্পরিক বিরোধপূর্ণ বিষয়ের ফয়সালা করে দেবেন। আল্লাহ মিথ্যাবাদী কাফেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন
171. ৩৯:১৬ - তাদের জন্যে উপর দিক থেকে এবং নীচের দিক থেকে আগুনের মেঘমালা থাকবে। এ শাস্তি দ্বারা আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করেন যে, হে আমার বান্দাগণ, আমাকে ভয় কর।
172-174. ৩৯:২৪-২৬ - যে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন তার মুখ দ্বারা অশুভ আযাব ঠেকাবে এবং এরূপ জালেমদেরকে বলা হবে, তোমরা যা করতে তার স্বাদ আস্বাদন কর,-সে কি তার সমান, যে এরূপ নয়? তাদের পূর্ববর্তীরাও মিথ্যারোপ করেছিল, ফলে তাদের কাছে আযাব এমনভাবে আসল, যা তারা কল্পনাও করত না। অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনার স্বাদ আস্বাদন করালেন, আর পরকালের আযাব হবে আরও গুরুতর, যদি তারা জানত!
175. ৩৯:৩২ - যে ব্যক্তি আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে এবং তার কাছে সত্য আগমন করার পর তাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করে, তার চেয়ে অধিক যালেম আর কে হবে? কাফেরদের বাসস্থান জাহান্নামে নয় কি?
176. ৩৯:৩৯ - বলুন, হে আমার কওম, তোমরা তোমাদের জায়গায় কাজ কর, আমিও কাজ করছি। সত্ত্বরই জানতে পারবে।
177. ৩৯:৪০ - কার কাছে অবমাননাকর আযাব এবং চিরস্থায়ী শাস্তি নেমে আসে।
178. ৩৯:৪৭ – যদি গোনাহগারদের কাছে পৃথিবীর সবকিছু থাকে এবং তার সাথে সমপরিমাণ আরও থাকে, তবে অবশ্যই তারা কেয়ামতের দিন সে সবকিছুই নিস্কৃতি পাওয়ার জন্যে মুক্তিপন হিসেবে দিয়ে দেবে। অথচ তারা দেখতে পাবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন শাস্তি, যা তারা কল্পনাও করত না।
179. ৩৯:৫৪ - তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও তোমাদের কাছে আযাব আসার পূর্বে। এরপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না;
180. ৩৯:৫৫ - তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ উত্তম বিষয়ের অনুসরণ কর তোমাদের কাছে অতর্কিতে ও অজ্ঞাতসারে আযাব আসার পূর্বে,
181. ৩৯:৬০ - যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে, কেয়ামতের দিন আপনি তাদের মুখ কাল দেখবেন। অহংকারীদের আবাসস্থল জাহান্নামে নয় কি?
182-183. ৪০:৫-৬ - তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল, আর তাদের পরে অন্য অনেক দল ও প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজ নিজ পয়গম্বরকে আক্রমণ করার ইচ্ছা করেছিল এবং তারা মিথ্যা বিতর্কে প্রবৃত্ত হয়েছিল, যেন সত্যধর্মকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। অতঃপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। কেমন ছিল আমার শাস্তি। এভাবে কাফেরদের বেলায় আপনার পালনকর্তার এ বাক্য সত্য হল যে, তারা জাহান্নামী।
184. ৪০:১৮ - আপনি তাদেরকে আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করুন, যখন প্রাণ কন্ঠাগত হবে, দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। পাপিষ্ঠদের জন্যে কোন বন্ধু নেই এবং সুপারিশকারীও নেই; যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে।
185-191. ৪০:৪৬-৫২ - সকালে ও সন্ধ্যায় তাদেরকে আগুনের সামনে পেশ করা হয় এবং যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন আদেশ করা হবে, ফেরাউন গোত্রকে কঠিনতর আযাবে দাখিল কর। যখন তারা জাহান্নামে পরস্পর বিতর্ক করবে, অতঃপর দূর্বলরা অহংকারীদেরকে বলবে, আমরা তোমাদের অনুসারী ছিলাম। তোমরা এখন জাহান্নামের আগুনের কিছু অংশ আমাদের থেকে নিবৃত করবে কি? অহংকারীরা বলবে, আমরা সবাই তো জাহান্নামে আছি। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ফয়সালা করে দিয়েছেন।যারা জাহান্নামে আছে, তারা জাহান্নামের রক্ষীদেরকে বলবে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে বল, তিনি যেন আমাদের থেকে একদিনের আযাব লাঘব করে দেন। রক্ষীরা বলবে, তোমাদের কাছে কি সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ তোমাদের রসূল আসেননি? তারা বলবে হ্যাঁ। রক্ষীরা বলবে, তবে তোমরাই দোয়া কর। বস্তুতঃ কাফেরদের দোয়া নিস্ফলই হয়। আমি সাহায্য করব রসূলগণকে ও মুমিনগণকে পার্থিব জীবনে ও সাক্ষীদের দন্ডায়মান হওয়ার দিবসে। সে দিন যালেমদের ওযর-আপত্তি কোন উপকারে আসবে না, তাদের জন্যে থাকবে অভিশাপ এবং তাদের জন্যে থাকবে মন্দ গৃহ।
192. ৪০:৬০ - তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে।
193-199. ৪০:৭০-৭৬ - যারা কিতাবের প্রতি এবং যে বিষয় দিয়ে আমি পয়গম্বরগণকে প্রেরণ করেছি, সে বিষয়ের প্রতি মিথ্যারোপ করে। অতএব, সত্বরই তারা জানতে পারবে। যখন বেড়িও শৃঙ্খল তাদের গলদেশে পড়বে। তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে। ফুটন্ত পানিতে, অতঃপর তাদেরকে আগুনে জ্বালানো হবে। অতঃপর তাদেরকে বলা হবে, কোথায় গেল যাদেরকে তোমরা শরীক করতে। আল্লাহ ব্যতীত? তারা বলবে, তারা আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে; বরং আমরা তো ইতিপূর্বে কোন কিছুর পূজাই করতাম না। এমনি ভাবে আল্লাহ কাফেরদেরকে বিভ্রান্ত করেন। এটা একারণে যে, তোমরা দুনিয়াতে অন্যায়ভাবে আনন্দ-উল্লাস করতে এবং এ কারণে যে, তোমরা ঔদ্ধত্য করতে। প্রবেশ কর তোমরা জাহান্নামের দরজা দিয়ে সেখানে চিরকাল বসবাসের জন্যে। কত নিকৃষ্ট দাম্ভিকদের আবাসস্থল।
200-203. ৪০:৮২-৮৫ - তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি? করলে দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছে। তারা তাদের চেয়ে সংখ্যায় বেশী এবং শক্তি ও কীর্তিতে অধিক প্রবল ছিল, অতঃপর তাদের কর্ম তাদেরকে কোন উপকার দেয়নি। তাদের কাছে যখন তাদের রসূলগণ স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ আগমন করেছিল, তখন তারা নিজেদের জ্ঞান-গরিমার দম্ভ প্রকাশ করেছিল। তারা যে বিষয় নিয়ে ঠাট্টাবিদ্রুপ করেছিল, তাই তাদেরকে গ্রাস করে নিয়েছিল। তারা যখন আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করল, তখন বলল, আমরা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করলাম এবং যাদেরকে শরীক করতাম, তাদেরকে পরিহার করলাম। অতঃপর তাদের এ ঈমান তাদের কোন উপকারে আসল না যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করল। আল্লাহর এ নিয়মই পূর্ব থেকে তাঁর বান্দাদের মধ্যে প্রচলিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে কাফেররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
204. ৪১:১৩ -অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বলুন, আমি তোমাদেরকে সতর্ক করলাম এক কঠোর আযাব সম্পর্কে আদ ও সামুদের আযাবের মত।
205-208. ৪১:১৯-২২ -যেদিন আল্লাহর শত্রুদেরকে অগ্নিকুন্ডের দিকে ঠেলে নেওয়া হবে। এবং ওদের বিন্যস্ত করা হবে বিভিন্ন দলে। তারা যখন জাহান্নামের কাছে পৌঁছাবে, তখন তাদের কান, চক্ষু ও ত্বক তাদের কর্ম সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে। তারা তাদের ত্বককে বলবে, তোমরা আমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিলে কেন? তারা বলবে, যে আল্লাহ সব কিছুকে বাকশক্তি দিয়েছেন, তিনি আমাদেরকেও বাকশক্তি দিয়েছেন। তিনিই তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তোমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। তোমাদের কান, তোমাদের চক্ষু এবং তোমাদের ত্বক তোমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে না ধারণার বশবর্তী হয়ে তোমরা তাদের কাছে কিছু গোপন করতে না। তবে তোমাদের ধারণা ছিল যে, তোমরা যা কর তার অনেক কিছুই আল্লাহ জানেন না।
209-210. ৪১:২৭-২৮ -আমি অবশ্যই কাফেরদেরকে কঠিন আযাব আস্বাদন করাব এবং আমি অবশ্যই তাদেরকে তাদের মন্দ ও হীন কাজের প্রতিফল দেব। এটা আল্লাহর শত্রুদের শাস্তি-জাহান্নাম। তাতে তাদের জন্যে রয়েছে স্থায়ী আবাস, আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করার প্রতিফলস্বরূপ।
211. ৪১:৫০ -বিপদাপদ স্পর্শ করার পর আমি যদি তাকে আমার অনুগ্রহ আস্বাদন করাই, তখন সে বলতে থাকে, এটা যে আমার যোগ্য প্রাপ্য; আমি মনে করি না যে, কেয়ামত সংঘটিত হবে। আমি যদি আমার পালনকর্তার কাছে ফিরে যাই, তবে অবশ্যই তার কাছে আমার জন্য কল্যাণ রয়েছে। অতএব, আমি কাফেরদেরকে তাদের কর্ম সম্পর্কে অবশ্যই অবহিত করব এবং তাদেরকে অবশ্যই আস্বাদন করাব কঠিন শাস্তি।
212. ৪২:৩৫ – যারা আমার ক্ষমতা সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা যেন জানে যে, তাদের কোন পলায়নের জায়গা নেই।
213-214. ৪৪:১০-১১ - অতএব আপনি সেই দিনের অপেক্ষা করুন, যখন আকাশ ধূয়ায় ছেয়ে যাবে। যা মানুষকে ঘিরে ফেলবে। এটা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
215. ৪৪:১৬ -যেদিন আমি প্রবলভাবে ধৃত করব, সেদিন পুরোপুরি প্রতিশোধ গ্রহণ করবই।
216-219. ৪৪:৪৩-৪৫ -নিশ্চয় যাক্কুম বৃক্ষ, পাপীর খাদ্য হবে; গলিত তাম্রের মত পেটে ফুটতে থাকবে।
220-222. ৪৫:৯-১১ - যখন সে আমার কোন আয়াত অবগত হয়, তখন তাকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করে। এদের জন্যই রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। তাদের সামনে রয়েছে জাহান্নাম। তারা যা উপার্জন করেছে, তা তাদের কোন কাজে আসবে না, তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছে তারাও নয়। তাদের জন্যে রয়েছে মহাশাস্তি। এটা সৎপথ প্রদর্শন, আর যারা তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
223-224. ৪৫:৩৪-৩৫ - বলা হবে, আজ আমি তোমাদেরকে ভুলে যাব, যেমন তোমরা এ দিনের সাক্ষাৎকে ভুলে গিয়েছিলে। তোমাদের আবাসস্থল জাহান্নাম এবং তোমাদের সাহায্যকারী নেই। এটা এজন্যে যে, তোমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করেছিলে এবং পার্থিব জীবন তোমাদেরকে প্রতারিত করেছিল। সুতরাং আজ তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে না এবং তাদের কাছে তওবা চাওয়া হবে না।
225. ৪৬:২০ - যেদিন কাফেরদেরকে জাহান্নামের কাছে উপস্থিত করা হবে সেদিন বলা হবে, তোমরা তোমাদের সুখ পার্থিব জীবনেই নিঃশেষ করেছ এবং সেগুলো ভোগ করেছ সুতরাং আজ তোমাদেরকে অপমানকর আযাবের শাস্তি দেয়া হবে; কারণ, তোমরা পৃথিবীতে অন্যায় ভাবে অহংকার করতে এবং তোমরা পাপাচার করতে।
226. ৪৬:৩৪ - যেদিন কাফেরদেরকে জাহান্নামের সামনে পেশ করা হবে, সেদিন বলা হবে, এটা কি সত্য নয়? তারা বলবে, হ্যাঁ আমাদের পালনকর্তার শপথ। আল্লাহ বলবেন, আযাব আস্বাদন কর। কারণ, তোমরা কুফরী করতে।
227-229. ৫০:১২-১৪ - তাদের পূর্বে মিথ্যাবাদী বলেছে নূহের সম্প্রদায়, কুপবাসীরা এবং সামুদ সম্প্রদায়। - আদ, ফেরাউন, ও লূতের সম্প্রদায়, বনবাসীরা এবং তোব্বা সম্প্রদায়। প্রত্যেকেই রসূলগণকে মিথ্যা বলেছে, অতঃপর আমার শাস্তির যোগ্য হয়েছে।
230. ৫০:২৬ - যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্য গ্রহণ করত, তাকে তোমরা কঠিন শাস্তিতে নিক্ষেপ কর।
231. ৫০:৩০ – যেদিন আমি জাহান্নামকে জিজ্ঞাসা করব; তুমি কি পূর্ণ হয়ে গেছ? সে বলবেঃ আরও আছে কি?
232. ৫০:৩৬ - আমি তাদের পূর্বে বহু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি, তারা এদের অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী ছিল এবং দেশে-বিদেশে বিচরণ করে ফিরত। তাদের কোন পলায়ন স্থান ছিল না।
233-234. ৫২:৭-৮ - আপনার পালনকর্তার শাস্তি অবশ্যম্ভাবী, তা কেউ প্রতিরোধ করতে পারবে না।
235. ৫২:৪৫ - তাদেরকে ছেড়ে দিন সেদিন পর্যন্ত, যেদিন তাদের উপর বজ্রাঘাত পতিত হবে।
236. ৫৪:৪৮ -যেদিন তাদেরকে মুখ হিঁচড়ে টেনে নেয়া হবে জাহান্নামে, বলা হবেঃ অগ্নির খাদ্য আস্বাদন কর।
237-240. ৫৬:৪১-৪৪- বামপার্শ্বস্থ লোক, কত না হতভাগা তারা। তারা থাকবে প্রখর বাষ্পে এবং উত্তপ্ত পানিতে, এবং ধুম্রকুঞ্জের ছায়ায়। যা শীতল নয় এবং আরামদায়কও নয়।
241-246. ৫৬:৫১-৫৬ - অতঃপর হে পথভ্রষ্ট, মিথ্যারোপকারীগণ। তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে, অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে, অতঃপর তার উপর পান করবে উত্তপ্ত পানি। পান করবে পিপাসিত উটের ন্যায়। কেয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।
247-249. ৫৬:৯২-৯৪ - আর যদি সে পথভ্রষ্ট মিথ্যারোপকারীদের একজন হয়, তবে তার আপ্যায়ন হবে উত্তপ্ত পানি দ্বারা। এবং সে নিক্ষিপ্ত হবে অগ্নিতে।
250-252. ৬৭:৬-৮ - যারা তাদের পালনকর্তাকে অস্বীকার করেছে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্থান।যখন তারা তথায় নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তার উৎক্ষিপ্ত গর্জন শুনতে পাবে। ক্রোধে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে। যখনই তাতে কোন সম্প্রদায় নিক্ষিপ্ত হবে তখন তাদেরকে তার সিপাহীরা জিজ্ঞাসা করবে। তোমাদের কাছে কি কোন সতর্ককারী আগমন করেনি?
253-255. ৬৭:১৬-১৮ - তোমরা কি ভাবনামুক্ত হয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি আছেন তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন, অতঃপর তা কাঁপতে থাকবে। না তোমরা নিশ্চিন্ত হয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী। তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কত কঠোর হয়েছিল আমার অস্বীকৃতি।
256-273. ৬৮:১৬-৩৩ - আমি তার নাসিকা দাগিয়ে দিব। আমি তাদেরকে পরীক্ষা করেছি, যেমন পরীক্ষা করেছি উদ্যানওয়ালাদের, যখন তারা শপথ করেছিল যে, সকালে বাগানের ফল আহরণ করবে, ইনশাআল্লাহ না বলে। অতঃপর আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে বাগানে এক বিপদ এসে পতিত হলো। যখন তারা নিদ্রিত ছিল। ফলে সকাল পর্যন্ত হয়ে গেল ছিন্ন বিচ্ছিন্ন তৃণসম। সকালে তারা একে অপরকে ডেকে বলল, তোমরা যদি ফল আহরণ করতে চাও, তবে সকাল সকাল ক্ষেতে চল।অতঃপর তারা চলল ফিসফিস করে কথা বলতে বলতে, অদ্য যেন কোন মিসকীন ব্যক্তি তোমাদের কাছে বাগানে প্রবেশ করতে না পারে। তারা সকালে লাফিয়ে লাফিয়ে সজোরে রওয়ানা হল। অতঃপর যখন তারা বাগান দেখল, তখন বললঃ আমরা তো পথ ভূলে গেছি। বরং আমরা তো কপালপোড়া, তাদের উত্তম ব্যক্তি বললঃ আমি কি তোমাদেরকে বলিনি? এখনও তোমরা আল্লাহ তা’আলার পবিত্রতা বর্ণনা করছো না কেন? তারা বললঃ আমরা আমাদের পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষণা করছি, নিশ্চিতই আমরা সীমালংঘনকারী ছিলাম। অতঃপর তারা একে অপরকে ভৎর্সনা করতে লাগল। তারা বললঃ হায়! দুর্ভোগ আমাদের আমরা ছিলাম সীমাতিক্রমকারী। সম্ভবতঃ আমাদের পালনকর্তা পরিবর্তে এর চাইতে উত্তম বাগান আমাদেরকে দিবেন। আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে আশাবাদী। শাস্তি এভাবেই আসে এবং পরকালের শাস্তি আরও গুরুতর; যদি তারা জানত!
>>>'ইনশা-আল্লাহ' না বলে কাজ শুরু করার শাস্তির বর্ণনা ও হুমকি!
274-277. ৬৮:৪২-৪৫ - গোছা পর্যন্ত পা খোলার দিনের কথা স্মরণ কর, সেদিন তাদেরকে সেজদা করতে আহবান জানানো হবে, অতঃপর তারা সক্ষম হবে না। তাদের দৃষ্টি অবনত থাকবে; তারা লাঞ্ছনাগ্রস্ত হবে, অথচ যখন তারা সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল, তখন তাদেরকে সেজদা করতে আহবান জানানো হত। অতএব, যারা এই কালামকে মিথ্যা বলে, তাদেরকে আমার হাতে ছেড়ে দিন, আমি এমন ধীরে ধীরে তাদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাব যে, তারা জানতে পারবে না। আমি তাদেরকে সময় দেই। নিশ্চয় আমার কৌশল মজবুত।
278-285. ৬৯:৩০-৩৭ - -ফেরেশতাদেরকে বলা হবেঃ ধর একে গলায় বেড়ি পড়িয়ে দাও, অতঃপর নিক্ষেপ কর জাহান্নামে। অতঃপর তাকে শৃঙ্খলিত কর সত্তর গজ দীর্ঘ এক শিকলে। নিশ্চয় সে মহান আল্লাহতে বিশ্বাসী ছিল না। এবং মিসকীনকে আহার্য দিতে উৎসাহিত করত না। অতএব, আজকের দিন এখানে তার কোন সুহূদ নাই। এবং কোন খাদ্য নাই, ক্ষত-নিঃসৃত পুঁজ ব্যতীত। গোনাহগার ব্যতীত কেউ এটা খাবে না।
>>> বীভৎসতার চূড়ান্ত! নি:সন্দেহে কুরানের যাবতীয় বাণী মুহাম্মদের। তাঁরই চিন্তা ও মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ!
286. ৭২:২৩ -কিন্তু আল্লাহ তা’আলার বাণী পৌছানো ও তাঁর পয়গাম প্রচার করাই আমার কাজ। যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে অমান্য করে, তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি। তথায় তারা চিরকাল থাকবে।
287-288. ৭৩:১২-১৩ - নিশ্চয় আমার কাছে আছে শিকল ও অগ্নিকুন্ড। গলগ্রহ হয়ে যায় এমন খাদ্য এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
289-293. ৭৪:১৬-২০ - কখনই নয়! সে আমার নিদর্শনসমূহের বিরুদ্ধাচরণকারী। আমি সত্ত্বরই তাকে শাস্তির পাহাড়ে আরোহণ করাব। সে চিন্তা করেছে এবং মনঃস্থির করেছে, ধ্বংস হোক সে, কিরূপে সে মনঃস্থির করেছে! আবার ধ্বংস হোক সে, কিরূপে সে মনঃস্থির করেছে!
294-297. ৭৪:২৬-২৯ -আমি তাকে দাখিল করব অগ্নিতে। আপনি কি বুঝলেন অগ্নি কি? এটা অক্ষত রাখবে না এবং ছাড়বেও না। মানুষকে দগ্ধ করবে।
298. ৭৬:৪ -আমি অবিশ্বাসীদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছি শিকল, বেড়ি ও প্রজ্বলিত অগ্নি।
299-304. ৭৮:২১-২৬ -নিশ্চয় জাহান্নাম প্রতীক্ষায় থাকবে, সীমালংঘনকারীদের আশ্রয়স্থলরূপে। তারা তথায় শতাব্দীর পর শতাব্দী অবস্থান করবে। তথায় তারা কোন শীতল এবং পানীয় আস্বাদন করবে না; কিন্তু ফুটন্ত পানি ও পূঁজ পাবে। পরিপূর্ণ প্রতিফল হিসেবে।
305. ৮৪:২৪ -অতএব, তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন।
306-307. ৮৭:১২-১৩ - সে মহা-অগ্নিতে প্রবেশ করবে। অতঃপর সেখানে সে মরবেও না, জীবিতও থাকবে না।
308-312. ৮৮:২-৭ - অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে লাঞ্ছিত, ক্লিষ্ট, ক্লান্ত। তারা জ্বলন্ত আগুনে পতিত হবে। তাদেরকে ফুটন্ত নহর থেকে পান করানো হবে। কন্টকপূর্ণ ঝাড় ব্যতীত তাদের জন্যে কোন খাদ্য নেই। এটা তাদেরকে পুষ্ট করবে না এবং ক্ষুধায়ও উপকার করবে না।
313. ৯৬:১৫ – (আবু জেহেল কে) -কখনই নয়, যদি সে বিরত না হয়, তবে আমি মস্তকের সামনের কেশগুচ্ছ ধরে হেঁচড়াবই-
314-319. ১০৪:৪-৯ - কখনও না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্টকারীর মধ্যে। আপনি কি জানেন, পিষ্টকারী কি? এটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি, যা হৃদয় পর্যন্ত পৌছবে। এতে তাদেরকে বেঁধে দেয়া হবে, লম্বা লম্বা খুঁটিতে।
অসম্মান, দোষারোপ ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য:
320. ৬:২১ -আর যে, আল্লাহ্র প্রতি অপবাদ আরোপ করে অথবা তাঁর নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলে, তার চাইতে বড় জালেম কে? নিশ্চয় জালেমরা সফলকাম হবে না|
321. ৬:২৮ -এবং তারা ইতি পূর্বে যা গোপন করত, তা তাদের সামনে প্রকাশ হয়ে পড়েছে| যদি তারা পুন: প্রেরিত হয়, তবুও তাই করবে, যা তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল| নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী|
322. ৬:৩৩-আমার জানা আছে যে, তাদের উক্তি আপনাকে দু:খিত করে| অতএব, তারা আপনাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে না, বরং জালেমরা আল্লাহ্র নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করে|
323. ৬:৩৯ -যারা আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা বলে, তারা অন্ধকারের মধ্যে মূক ও বধির| আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন|
324. ৬:৪৫ -অত:পর জালেমদের মূল শিকড় কর্তিত হল| সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই জন্যে, যিনি বিশ্বজগতের পালনকর্তা|
325. ৬:৫৮ - আপনি বলে দিন: যদি আমার কাছে তা থাকত, যা তোমরা শীঘ্র দাবী করছ, তবে আমার ও তোমাদের পারস্পরিক বিবাদ কবেই চুকে যেত| আল্লাহ জালেমদের সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণে অবহিত|
326. ৬:৯৩ - ঐ ব্যক্তির চাইতে বড় জালেমকে হবে, যে আল্লাহ্র প্রতি মিথ্যা আরোপ করে অথবা বলে: আমার প্রতি ওহী অবতীর্ণ হয়েছে| অথচ তার প্রতি কোন ওহী আসেনি এবং যে দাবী করে যে, আমিও নাযিল করে দেখাচ্ছি যেমন আল্লাহ্ নাযিল করেছেন| যদি আপনি দেখেন যখন জালেমরা মৃত্যু যন্ত্রণায় থাকে এবং ফেরেশতারা স্বীয় হস্ত প্রসারিত করে বলে, বের কর স্বীয় আত্না! অদ্য তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি প্রদান করা হবে| কারণ, তোমরা আল্লাহ্র উপর অসত্য বলতে এবং তাঁর আয়াত সমূহ থেকে অহংকার করতে|
327. ৬:১১১ - আমি যদি তাদের কাছে ফেরেশতাদেরকে অবতারণ করতাম এবং তাদের সাথে মৃতরা কথাবার্তা বলত এবং আমি সব বস্তুকে তাদের সামনে জীবিত করে দিতাম, তথাপি তারা কখনও বিশ্বাস স্খাপনকারী নয়; কিন্তু যদি আল্লাহ্ চান| কিন্তু তাদের অধিকাংশই মুর্খ|
328. ৬:১৩৫ - আপনি বলে দিন: হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা স্বস্খানে কাজ করে যাও, আমিও কাজ করি| অচিরেই জানতে পারবে যে, পরিণাম গৃহ কে লাভ করে| নিশ্চয় জালেমরাসুফলপ্রাপ্ত হবে না|
329. ৭:১৭৬ - অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিতাম সে সকল নিদর্শনসমূহের দৌলতে| কিন্তু সে যে অধ:পতিত এবং নিজের রিপুর অনুগামী হয়ে রইল| সুতরাং তার অবস্খা হল কুকুরের মত;যদি তাকে তাড়া কর তবুও হাঁপাবে আর যদি ছেড়ে দাও তবুও হাঁপাবে| এ হল সেসব লোকের উদাহরণ; যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার নিদর্শনসমূহকে| অতএব, আপনি বিবৃত করুন এসব কাহিনী, যাতে তারা চিন্তা করে|
330. ৭:১৭৯ - আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ| তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না| তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর| তারাই হল গাফেল, শৈথিল্য পরায়ণ|
331. ৭:২০২ - পক্ষান্তরে যারা শয়তানের ভাই, তাদেরকে সে ক্রমাগত পথভ্রষ্ট তার দিকে নিয়ে যায় অত:পর তাতে কোন কমতি করে না|
332. ১০:৪২ -তাদের কেউ কেউ কান রাখে তোমাদের প্রতি; তুমি বধিরদেরকে কি শোনাবে যদি তাদের বিবেক-বুদ্ধি না থাকে!
333. ১০:৪৩ -আবার তাদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের প্রতি দৃষ্টিনিবদ্ধ রাখে; তুমি অন্ধদেরকে কি পথ দেখাবে যদি তারা মোটেও দেখতে না পারে।
334. ২৫:৪৪ – আপনি কি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ শোনে অথবা বোঝে ? তারা তো চতুস্পদ জন্তুর মত; বরং আরও পথভ্রান্ত
335. ২৮:৫০ -অতঃপর তারা যদি আপনার কথায় সাড়া না দেয়, তবে জানবেন, তারা শুধু নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। আল্লাহর হেদায়েতের পরিবর্তে যে ব্যক্তি নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তার চাইতে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? নিশ্চয় আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে পথ দেখান না।
336. ২৯:১২ – কাফেররা মুমিনদেরকে বলে, আমাদের পথ অনুসরণ কর। আমরা তোমাদের পাপভার বহন করব। অথচ তারা পাপভার কিছুতেই বহন করবে না। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।
337. ৩০:৫২ - অতএব, আপনি মৃতদেরকে শোনাতে পারবেন না এবং বধিরকেও আহবান শোনাতে পারবেন না, যখন তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে।
338. ৩০:৫৩ - আপনিঅন্ধদেরও তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে পথ দেখাতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরই শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। কারন তারা মুসলমান।
339. ৩২:২২ -যে ব্যক্তিকে তার পালনকর্তার আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশ দান করা হয়, অতঃপর সে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার চেয়ে যালেম আর কে? আমি অপরাধীদেরকে শাস্তি দেব।
340. ৩৯:৬৪-৬৭ - বলুন, হে মুর্খরা, তোমরা কি আমাকে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের এবাদত করতে আদেশ করছ?
341-345. ১১১:১-৫ -আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে, কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে। সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে, এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে, তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে।
>>>মুহাম্মদ তাঁর নিজেরই চাচা-চাচীকে শুধু নিজেই অভিশাপ দিয়ে ক্ষান্ত হননি! তাঁর অনুসারীদের দ্বারা তাঁদেরকে কিয়ামত পর্যন্ত অভিশাপ বর্ষণের ব্যবস্থা করেছেন!
এ সকল বাণী মুহাম্মদের চরিত্র ও মনস্তত্ত্বের দলিল। কুরানের সমস্ত ভাষ্য মুহাম্মদের। স্রষ্টার (যদি থাকে) সাথে এর কোনই সম্পর্ক নেই। বলা হয়, ‘যে মুহাম্মদকে জানে সে ইসলাম জানে, যে মুহাম্মদকে জানে না সে ইসলাম জানে না’!
(চলবে)
কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হেরেম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া; অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট অনুবাদকারীর পাশাপাশি অনুবাদ এখানে ।(link): http://quran.com/1
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন