শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

বৌদ্ধশাস্ত্রে পুরুষতন্ত্র: নারীরা হল উন্মুক্ত মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত - ০২

লিখেছেন নিলয় নীল

পর্ব ১

আমরা প্রথমে আলোচনা করবো ৫৩৬ নম্বর জাতক, যার নাম কুণাল জাতক। এই জাতকের প্রধান চরিত্র হল কুণাল, যিনি নারীদের সম্পর্কে নীতিকথা বলেন। কুণাল বলেন নারী কখনই বিশ্বাসযোগ্য নয়, নারী স্বভাবতই বিশ্বাসঘাতিনী। নারী কোনোভাবেই প্রশংসার যোগ্য নয়। পৃথিবী যেমন সকলের আধার, তেমনি নারীও কামাচারে পাত্রাপাত্র বিচার করে না। কুণালের মুখে উচ্চারিত হয় নীতি গাথা:

সদা রক্তমাংস প্রিয়, কঠোর হৃদয়,
পঞ্চায়ুধ, ক্রূরমতি সিংহ দুরাশয়। 
অতি লোভী, নিত্য প্রতিহিংসা পরায়ণ, 
বধি অন্যে করে নিজ উদর পূরণ। 
স্ত্রীজাতি তেমতি সর্বপাপের আবাস, 
চরিত্রে তাহাদের কভু করো না বিশ্বাস। 

কুণালের মতে, নারীকে বেশ্যা, কুলটা বললেই সব বলা হয় না, নারী প্রকৃত পক্ষে এর অধিক কিছু।
নারীরা হল: 
  • উন্মুক্ত মলভাণ্ডের মতো দুর্গন্ধ যুক্ত। 
  • বিষমিশ্রিত মদিরার মতো অনিষ্টকারী। 
  • কুটিলা সাপের মতো দুই জিহ্বা বিশিষ্ট। 
  • পাতালের ন্যায় অতল গভীর। 
  • রাক্ষসীর ন্যায় সন্তোষহীন। 
  • অগ্নির ন্যায় সর্ব গ্রাসিনী। 
  • নদীর ন্যায় সর্ব বাহিনী। 
  • বায়ুর ন্যায় যথেচ্ছা গামিনী। 
  • বিষবৃক্ষের ন্যায় বিষফল প্রসবিনী। 
কুণাল বলেন, নারী হল উন্মুক্ত মলভাণ্ডের ন্যায়। উন্মুক্ত মলভাণ্ড দেখিলে মাছি সেখানে ঝাঁপ দিবেই, তাকে রোহিত করা কষ্টকর। কিন্তু একজন জ্ঞানী মানুষ সব সময় এই মলভাণ্ডের দুর্গন্ধ উপলব্ধি করে তা এড়িয়ে চলে। তদ্রূপ নারীরূপ মলভাণ্ডে মাছিরূপ পুরুষ ঝাঁপ দিবেই, কিন্তু একজন জ্ঞানী ভিক্ষু এই উন্মুক্ত মলভাণ্ডরূপ নারীদের দুর্গন্ধ উপলব্ধি করিয়া তাদের সদাই পরিত্যাগ করেন। কুণাল নীতিগাথায় বলেন- 

চৌর, বিষদিগ্ধসুরা, বিকত্থি বণিক 
কুটিল হরিণ শৃঙ্গ, দ্বিজিহ্বা সর্পিণী 
প্রভেদ এদের সঙ্গে নেই রমণীর। 
প্রতিচ্ছন্ন মলকুপ, দুষ্কর পাতাল 
দুস্তোস্যা রাক্ষসী, যম সর্বসংহারক
প্রভেদ এদের সঙ্গে নাই রমণীর। 
অগ্নি, নদী বায়ু, মেরু (পাত্রাপাত্রভেদ 
জানে না যে) কিংবা বিষবৃক্ষ নিত্যফল
প্রভেদ এদের সঙ্গে নাই রমণীর। 
নাশে নারী ধনরত্ন, ভোগের সামগ্রী 
গৃহে যাহা আনে পতি করিয়া যতন। 

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন