আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

লুক্স লিখিত সুসমাচার - ৩০

লিখেছেন লুক্স

২৮৬.
মুরগীর বার্ড-ফ্লু হলে বিলম্ব না করে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হয়। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বাংলাদেশের জন্য সর্বকালের ভয়াবহতম ফ্লু।

২৮৭.
কোটি কোটি মুসলমান সারা জীবন শুধু ইসলাম প্রচার করতে পারলে আমি সারা জীবন শুধু ইসলামের সমালোচনা করতে পারবো না কেন? অধিকার তো সমানই সবার কথা, কী বলেন?

২৮৮.
ধার্মিকরা যখন নিজেদের উপাসনালয়ে বোমা ফাটিয়ে এক দল আরেক দলকে হত্যা করে, তখনই ঈশ্বরের অনঅস্তিত্ব প্রমাণিত হয়ে যায়।

২৮৯.
মুসলমান হলেই কি সত্যি কথা বলা যাবে না? মুসলমান হলেই কি মিথ্যাকে মেনে নিতে হবে? ইসলামের সব ভুল আর অনৈতিক বিষয়ের বিরুদ্ধে কি শুধু নাস্তিকদেরকেই কথা বলতে হবে? মুসলামানদের কি কোনো দায়িত্ব নেই ইসলামকে মানবিক, বিজ্ঞানসম্মত আর সময়োপযোগী করার? 
ইসলামে পুরুষের বহুবিবাহের বিরুদ্ধে, নারী অধিকারের পক্ষে, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে, কিংবা শরিয়া আইনের বিপক্ষে শিক্ষিত মুসলমানদেরকেও কথা বলতে দেখা যায় না। বরং তারা বিপরীতটিই করে। ইসলামকে রক্ষা করার জন্য কোরান ও হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে সঠিক ও সেরা বলে দাবী করে। নিজে মিথ্যাকে ধারণ করে থাকে এবং একটা মিথ্যাকে ঢাকার জন্য হাজারটা মিথ্যা বলে। যেন সত্য ও মানবতার চেয়ে তার ভুলে-ভরা মধ্যযুগীয় বর্বর ধর্মই বড়।

২৯০.
ইসলামিক রাষ্ট্র প্রধানের ইমামতি করার যোগ্যতা থাকতে হবে। মহাত্মা গান্ধী, নেলসন ম্যান্ডেলা, আব্রাহাম লিংকন কিংবা জর্জ ওয়াশিংটন এর মতো কাফের হলে চলবে না।

২৯১.
হিটলার আর মোহাম্মদের মধ্যে সাদৃশ্য আছে। হিটলার জার্মানদের বিপুল সমর্থন আদায় করেছে শুধুমাত্র তার মিথ্যাগুলোকে খাইয়ে। সে ছিল একজন মনোমুগ্ধকর বক্তা। যখন সে বক্তৃতা দিত, তার কন্ঠ প্রবল থেকে প্রবলতর হত এবং জার্মানীর ভেবে-নেয়া শত্রুদের দিকে তার রোষ উগরে দিত। জার্মানদের মধ্যে সে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলেছিল। যত বড় মিথ্যা, তত বেশি বিশ্বাসযোগ্য, তার এই বিশ্বাস প্রমাণিত হয়েছিল। তারা তাকে ভালোবাসত এবং তার অগ্নিবৎ ভাষণে কান্নাসিক্ত হত।

২৯২.
অবৈজ্ঞানিক, সামঞ্জস্যহীন, বর্বর মধ্যযুগীয় গ্রন্থ ও নীতিমালা স্রষ্টার ফিসফিস নির্দেশ নয়, মানুষের রচিত - এটা বুঝতে হলে ঘাড়ের ওপর মাথা থাকা দরকার।

২৯৩.
অনেকে বলে থাকেন মডারেট মুসলমান বলে কিছু নেই। আমি ফেসবুকে অসংখ্য মুসলমান পেয়েছি, যারা নিজেদের মডারেট মুসলমান হিসেবে দাবী করেন। এদের সম্পর্কে আমার আমার অনুধাবন হচ্ছে: এরা আসলে নিজেকে পুরোপুরি মুসলমান দাবী করতে লজ্জা পান। আবার বাবা-মার ধরিয়ে দেয়া ইসলামকেও পুরোপুরি অস্বীকার করতে সাহস পান না। এরা হাদিসকে একবারেই অস্বীকার করেন। কারণ হাদিস পড়লে মোহাম্মদের অনৈতিক ও যুদ্ধময় জীবনী, লালসা আর নারীলোভী জীবন সম্পর্কে জেনে এরা লজ্জিত হন। আর হাদিস মানলে লম্বা দাড়ি রাখতে হবে, দাড়িতে মেহেদী মাখতে হবে, এটা একটা বড় সমস্যা। এরা পুরোপুরি কোরানও মানেন না। কোরানের অর্ধেকটা অস্বীকার করেন। কারণ কোরানের অবৈজ্ঞানিক, অমানবিক, সাম্প্রদায়িক বর্বর ও হিংস্র আয়াতগুলো তারা মেনে নিতে পারেন না। পুরো কোরান মানলে আবার মোহাম্মদকে সম্পূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে। প্রেম করা যাবে না, মদ খাওয়া যাবে না, সিল্কের পাঞ্জাবী পরে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়া যাবে না, পহেলা বৈশাখে রমনা পার্কে রবীন্দ্র সংগীত শুনতে যাওয়া যাবে না, এমনকি কাফেরদের সঙ্গে বন্ধুত্বও করা যাবেনা। এ ছাড়াও রয়েছে আরো অনেক সমস্যা। বাংলা কোরান পড়লে কোরানের অসঙ্গতিগুলো স্পষ্ট চোখে পড়ে, তাই তারা বাংলা কোরানও মানেন না। বাংলায় নাকি আজ পর্যন্ত ভালো অনুবাদই হয়নি। আবার তারা আরবীও বোঝেন না। বিশ্বের বেশির ভাগ মুসলমানরাই যেখানে মাতৃভাষাতেই কোরান পড়ে না, সেখানে তারা মুসলমানদের ইংরেজিতে কোরান পড়ানোর কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন।
আসল কথায় আসি, আমরা আসলে আপনাদেরকে বাংলায় কোরান-হাদিস পড়াতে সক্ষম হয়েছি। তার প্রমাণ - আপনারা হাদিস ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন, কোরানের অর্ধেক ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে ইসলামকেও ছুঁড়ে ফেলে দিবেন। আমাদের কাজ এগুচ্ছে।

২৯৪.
ইসলামী দেশগুলোয় বসবাসকারী ইয়োরোপীয়ান বা আমেরিকান নারীরা যদি মিনি-স্কার্ট পরে অফিসে কাজ করার অধিকার দাবি করে, সেটা কি মঞ্জুর হবে? নিশ্চয়ই হবে না। তবে মুসলিম নারীরা কেন ইয়োরোপ বা আমেরিকায় এসে কর্মস্থলে হিজাব পরার অধিকারের দাবি জানায়?

২৯৫.
অনেককেই লিখতে দেখেছি, ধর্ষকের কোনো ধর্ম নাই। ধর্ষক সব সময়ই ধর্ষক। ভাই, থামেন। ধর্ষকের ধর্ম কী, সেটা সিদ্ধান্ত নেবার আপনি কে? ধর্ষককে জিজ্ঞাসা করুন, তার ধর্মের নাম সে নিজেই বলবে। ধর্ষকের ধর্মের সাথে আপনার ধর্ম মিলে গেলেই কি আপনার ধর্মকে ডিফেন্ড করতে এই কথা? ধর্ষকের ধর্ষণের ধরণের সাথে যদি কোনো ধর্মগ্রন্থের বা ধর্মীয় বিধানের মিল পাওয়া যায়, তাহলে ধর্ষকের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে বিতর্ক থাকবে কেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন