আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

হুজুরের দরবারে একদিন

লিখেছেন আবু জাহেল (Version 2)

এটি আমার জীবনের একটি সত্য ঘটনা। আমি তখন এইচএসসি-তে পড়ছি। পড়ায় মন বসছিলো না। পরীক্ষায় ও আশানুরূপ নম্বর আসছিল না। বাসায় জানালাম এই সমস্যার কথা।

আমার বাবা একজন কামেল পাশ মাওলানা। বাসার সবাই ধর্মপ্রাণ মুছলিম। (এরকম পরিবারে আমি এমন বেয়াড়া নাস্তিক কীভাবে হলাম, আমি নিজেই বুঝতাছি না) বাসায় জানানোর পরেই বাবা কোন এক হুজুরের সাথে কথা বললেন। হুজুর বললেন, মনে হয় আলগা আছে!  

যাই হোক, আমি ঢাকায় থাকি। বাড়িতে যাবার পরেই বাবা একদিন বললেন হুজুরের কাছে যাওয়ার কথা। আমিও মজা নেয়ার জন্যই গেলাম। হুজুরের বাড়ি বাংলার আরবে অবস্থিত বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার লক্ষ্মীপুরে। যাই হোক, আমার বাব প্রায় এক ঘন্টারও বেশি বাইক চালানোর পর গন্তব্যে হাজির হলাম। একটা মাদ্রাসার সাথেই হুজুরের দরবার! তিনি ওই মাদ্রাসার শিক্ষকও বটে!!

হুজুরের দরবারে গিয়ে দেখলাম অনেক রোগী। সবাই বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে এসেছে! খুব বেশী সিরিয়াল না থাকলেও একে বারে কম ও ছিল না।  হুজুর বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিচ্ছে আর আমি পাশে বসে দেখছি!  

কোনো রোগী এলেই তার নাম আর বাবার নাম জানতে চায়, তারপর ক্যালকুলেটর টিপে একটা হিসাব করে বলে যে, আপনার আলগা আছে! জ্বীনের আছর আছে! আমি দেইখা পুরাই চোদনা হইয়া গেলাম! এ তো দেখি সহীহ্ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জ্বীনের আছর নির্ণয় করা হচ্ছে!! যাই হোক, আছর থাকলে এবার তাকে আরো অনেক প্রশ্ন করা হয়!  প্রশ্নসমুহ অনেকটা এরকম:

হুজুর: আপনার স্বপ্নে কখনো এরকম মনে হয়েছে যে, আপনি ওপর থেকে পড়ে যাচ্ছেন?

জনৈক গ্রাম্য মহিলা: হ, মনে হয়!

হুজুর: এরকম মনে হইছে যে আপনাকে কেউ উড়িয়ে নিয়ে যাইতে চায়?

মহিলা: হ, হ, এরকম বহুত দেখছি আঁই।

হুজুর: এরকম মনে হইছে যে আপনারে জাইত্তা ধরে!?  

মহিলা: হ এরকম হইছে!  মনে হয় দম বন্ধ হইয়া যায়!  

এছাড়াও আরো অনেক প্রশ্ন! প্রশ্নগুলো তার মুখস্হ এবং সব ব্যক্তিকে একই প্রশ্ন করছে! এরপর হুজুর ওই মহিলাসহ সকল ব্যক্তির তেল-পড়া, পানি-পড়া, মাল-পড়া প্রভৃতি পথ্য দিলেন!  

এবার আমার পালা! নাম আর বাপের নাম বলার পরেই ক্যালকুলেটর-এর হিসাব এবং ফলাফলে পরীর আছর। মনে মনে অনেক খুশি হইলাম! এই বুঝি কপালে একটা পরী জুইটা গেল! 

যাই হোক, আবারও প্রশ্নোত্তর পর্ব! সব প্রশ্নের উত্তরেই আমি না,  না বলে গেলাম! হুজুর মনে মনে মারাত্মক বিরক্ত হইলো। অবশ্য একটা প্রশ্ন ছিল এরকম: 

হুজুর: ঘুমের মধ্যে মুখ দিয়ে লালা পড়ে?  

আমি: না, পড়ে না। তবে ঠাণ্ডা লাগলে নাক বন্ধ হয়ে যায়। তখন হাঁ করে ঘুমাইলে সামান্য লালা পড়ে আরকি! 

অবশেষে হুজুর আমাকে পারসোনালি বাহিরে নিয়ে গিয়ে আরেকটা প্রশ্ন করলেন!

হুজুর: (ফিস ফিস করে) আপনার কি স্বপ্নদোষ হয়?  

আমি: না, ভাই, হেইডাও হয় না!  

অবশেষে হুজুর মারাত্মক বিরক্ত হয়ে বললেন, আপনার পোলার কোনো উত্তরই মিলে না! ওষুধ নিলে নেন! না নিলে নাই! অতপর তেলপড়া - মালপড়া ছাড়াই আবার বাইকে করে বাড়িতে ফিরলাম! বাইকে বসে আমার বাবার গল্প এই হুজুর ওমুকের মহা রোগ ভাল করছে! হেন করছে তেন করছে! আরো কতো কি!! আমি একখানা কর্ণ দিয়া ঢুকাইয়া অন্য কর্ণ দিয়া শব্দগুলো বাহির করিতে লাগিলাম!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন