নবী শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ Prophet মানে হল: যে prophecy বা ভবিষ্যদ্বাণী করে। সেই হিসেবে প্রত্যেক নবীর নিশ্চয় কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা ছিল।
ছাগুরা নাস্তিকদের কাছে তর্কে হেরে গিয়ে রেগে বলে যে, তাদের নবী নাকি এটাই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে, কেয়ামতের পূর্বে অবিশ্বাসীর সংখ্যা বেড়ে যাবে আর মুসলমানেরা পরাজিত হবে। ইসলাম যে ভবিষ্যতে দাম পাবে না, এটা বুঝতে কোনও নবী হওয়া লাগে না। খোদ মুহাম্মাদই আঁচ করতে পেরেছিল যে, তার মৃত্যুর পর তার ধর্ম বেশিদিন টিকবে না। যাই হোক, তবুও মাঝেমধ্যে ছাগুরা হঠাৎ করে কয়েকটা ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে এসে বলে, এগুলো নাকি কোরআন আর হাদিসে আগে থেকেই বলা ছিল হবে, আর তাই তাদের ধর্মই সত্য!
ভবিষ্যদ্বাণীর কথা যখন উঠলোই, তাহলে দেখি অন্যান্য লোকেরা কী রকম ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। বিখ্যাত সায়েন্স ফিকশন লেখক প্রফেসর আইজ্যাক অ্যাজিমভ ১৯৬৪ সালে বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ২০১৪ সালের ব্যাপারে এবং তার মধ্যে যেগুলি মিলে গিয়েছে, তার তালিকা দিলাম।
১. অ্যাজিমভ ধারণা করেছিলেন যে, ২০১৪ সালে আমাদের বাড়িঘরের অনেক ইলেকট্রনিক্সে বিনা তারে কাজ করবে।
২. তিনি আরও বলেছিলেন, যোগাযোগের মাধ্যম এমন হবে যে দূর থেকে আমরা একে ওপরকে শুনতে ও দেখতে দুটোই পারবো, যেটা স্কাইপের সাথে মিলে যায়।
৩. টেলিফোনের পর্দায় শুধুমাত্র নাম্বার নয়, বরং ছবি, গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ও বই ইত্যাদিও পড়া যাবে, যা কিনা আমরা বর্তমানে মোবাইল ও ট্যাবলেটে করছি।
৪. টিভি ফ্ল্যাট হয়ে যাবে আর থ্রিডি জনপ্রিয়তা পাবে।
৫. মডিউলেটেড লেজার বীম দিয়ে পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে যোগাযোগ করা যাবে যেটা অতি সম্প্রতি সম্ভব হয়েছে।
৬. অ্যাজিমভ ধারণা করতে পেরেছিলেন যে, ভবিষ্যতে মেশিনারি আমাদের কাজ সহজ করে দেবে আর তাতে মানবজাতি একঘেয়েমির শিকার হবে।
আইজ্যাক অ্যাজিমভের পুরো ভবিষ্যদ্বাণীর তালিকাটি নিউ ইয়র্ক টাইমসের আর্কাইভের এই লিঙ্কে পাবেন, যেটা ১৯৬৪ সালে অর্থাৎ আজ থেকে ৫০ বছর আগে প্রকাশিত হয়েছিল।
বাকি দুনিয়াতে ২০১৪ সাল উপলক্ষে যখন অ্যাজিমভের প্রযুক্তি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী অনলাইনে শেয়ার করা হচ্ছে সবখানে, তখন আমাদের দেশের মুমিনেরা পাঁঠা নবীর দাজ্জালের আবির্ভাব, ইমাম মাহদীর তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ আর পূর্ব দিক দিয়ে আগুনের গোলা আসার ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে মশগুল হয়ে আছে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন