আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৬১

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

৩০১.
নবীজির এক ছাহাবির নাম ছিল আবু বকর, মানে উটের আব্বা। আরেক ছাহাবির নাম ছিল আবু হোরাইরা, মানে বিড়ালের আব্বা। নবীজির বন্ধুরা জন্তু-জানোয়ারের জন্মদাতা! তার মানে তারা কি কেউ মনুষ্যপদবাচ্যও নয়?

৩০২.
আমি প্রতিদিনই বেলা করে ঘুম থেকে উঠি। নামাজ ক্বাজা করি। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনোদিন শয়তান আমার কানে হিসু করেনি। নবীজির ১৪খানা শস্যক্ষেত্র, অনেকগুলি হালাল দাসী ও হালাল গনিমত ছিল। তাই তাকে সারারাত কর্ষণের কাজ করতে হতো। লাঙ্গল মাত্র একখানা। আহারে, বেচারা রাতে কখনও ঘুমাতে পারতেন না। ভাগ্যিস তার লাঙ্গলখানা তিরিশ ঘোড়া শক্তিযুক্ত ছিল। নইলে তাকে কর্ষণকর্মরত অবস্থায় খেজুর তুলতে হতো। আহা! বেচারা এজন্য ছুবহি ছাদেকে ঘুম হইতে উঠে নামাজ আদায় করতে পারতেন না। আর শয়তান তার কর্ণকুহর মোবারকদ্বয়ে মুতিয়া দিতে দিতে বলিত, রাতভর লুইচ্চামি করিয়া গুনাহ করিয়াছিস, এখন ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া নামাজ ক্বাজা করিয়া আরো গুনাহ করিতেছিস। তাই কর্ণগহবরে মুতিয়া দিয়া গেলাম।

শয়তান কখনো সাধারণ মানুষের কানে হিসু করে না। কিন্তু নবীজির কানে করত। কারণ শয়তানে শয়তান চেনে।

৩০৩.
বিছমিল্ল্যাহিররহমানিররহিম,
মহাবদ একটা মরুদস্যু, মিথ্যাবাদী, ভণ্ড, প্রতারক, ধর্ষক, খুনী, লোভী এবং যাবতীয় বদগুণের অধিকারী লোক ছিল।এবং য়াল্ল্যা নামের হাস্যকর না-বস্তুটি মহাবদের অতি নিচুমানের বানোয়াট রূপকথার গল্পের নায়ক।
আলহামদুলিল্ল্যাহিরাব্বিলালামিন।

৩০৪.
য়াল্ল্যা বলেছেন, কুকুর নাপাক। কুকুর যে জায়গায় থাকবে সে জায়গা নাপাক হয়ে যাবে।
পৃথিবীতে অনেক কুকুর আছে। তাই য়াল্ল্যার কথা অনুযায়ী পৃথিবী একটি নাপাক জায়গা। দোজগে কোনো কুকুর নেই। তাই দোজগ খুব পাক-পবিত্র জায়গা।

৩০৫.
নবীজি একজন মহাসব্যসাচী মহাপুরুষ ছিলেন। তার অসীম গুণাবলীর মধ্যে একটি ছিল ছন্দময়তা। তিনি ছন্দের জাদুকর ছিলেন। যেমন তিনি লিখেছেন, ছূরা নাছ/ কুলাউযু বেরাব্বিন নাছ/ মালিকিন নাছ/ এলাহিন নাছ/ মিন শাররিল ওয়াছ ওয়াছিল খাননাছ/আল্লাজী ইয়ুওয়াছবিছু ফী ছুদূরিন নাছ/ মিনাল যিন্নাতে ওয়ান নাছ।

কী অপূর্ব চমৎকার ছন্দময়তা! প্রতিটি আয়াতের পরেই নাছ। এমন মধুর নাছ নাছ নাছ, নাছ মুমিন নাছ ছন্দ পৃথিবীতে আর কখন কে উৎপাদন করতে পেরেছে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন