আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০১৪

বৌদ্ধশাস্ত্রে পুরুষতন্ত্র: নারীরা হল উন্মুক্ত মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত - ০৬

লিখেছেন নিলয় নীল

এবার আমরা আলোচনা করবো ৫৪৫ নম্বর জাতক, যার নাম বিদূরপণ্ডিত জাতক। বিদূরপণ্ডিত জাতকের মূল চরিত্রে আছেন মহাপণ্ডিত বিদূর। এই মহাপণ্ডিত মহাপুরুষ বিদূরের ছিল মাত্র এক সহস্র ভার্যা এবং সপ্তশত গণিকা। যৌনতা সম্পর্কে অত্যধিক অভিজ্ঞ পণ্ডিত বিদূরের কাছে আমরা জানতে পারবো যৌনবিজ্ঞান সম্পর্কে। পণ্ডিত বিদূরের মতে - অত্যধিক নারীর সহিত মিলনে পুরুষের বীর্যক্ষয় হয়। যেহেতু একজন বীর্যবান পুরুষের কাছে সব থেকে মূল্যবান বস্তু হল তার বীর্য, তাই যে কোনো প্রকারেই হোক এই মহামূল্যবান বীর্যকে সংরক্ষণ করতেই হবে। আর পুরুষের অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে, এই বীর্য সংরক্ষণের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হল নারী। খালেদা জিয়া যেমন শ্লোগান দিয়েছেন: “দেশ বাঁচাও, মাটি বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও, হাসিনা হটাও,” ঠিক তেমনি মহাপণ্ডিত বিদূরের শ্লোগান ছিল: “পুরুষ বাঁচাও, বীর্য বাঁচাও, পুরুষত্ব বাঁচাও, নারী হটাও।" আসুন, এখন কথা না বাড়িয়ে আমরা মহাপণ্ডিত বিদূরের কাছ থেকে নারী সম্পর্কিত নীতিগাথা গুলো শুনি:
অত্যধিক স্ত্রী সংসর্গে হয় বীর্যঃক্ষয়
কাশ, শ্বাস, দুর্বলতা, সর্বাঙ্গে বেদনা
বুদ্ধির বিলোপ আর এসব কুফল
দেখি স্ত্রী সংসর্গে সদা হয় মিতাচার।
ধনরত্নে পরিপূর্ণ বসুন্ধরা যদি
দেয় কেহ রমণীকে ভাবি ইহা মনে
আমিই ইহার প্রিয় অন্য কেহ নয়,
অবকাশ পেলে কিন্তু সেই নারী আবার
করিবে সে পুরুষকে তৃণবৎ জ্ঞান।
নারীর চরিত্রে হেন কলুষতা হেরি
অসতীর সঙ্গ ত্যাগ করে ধর্মবিদ।
নারীরক্ষা পুরুষতন্ত্রের জন্য অন্যতম দুশ্চিন্তার কারণ। নারীদের যে কখনোই বিশ্বাস করতে হয় না, তার দৃষ্টান্ত আমরা পাই ৩৯ নম্বর জাতকে, যার নাম নন্দ জাতক। এই জাতকের অতীত বস্তুতে দেখা যায়, বৃদ্ধের তরুণী স্ত্রীর গর্ভে একটা পুত্রসন্তান জন্মায়, আর এ নিয়ে সে চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং তার মতো বৃদ্ধের পক্ষে আসলেই উৎপাদন করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে মনে মনে সংশয় প্রকাশ করে। এছাড়া বৃদ্ধ বলে, “আমার স্ত্রী যুবতী, আমার মৃত্যু হলে না জানি অন্য কোন পুরুষকে আশ্রয় করবে।” এভাবেই স্ত্রীকে সন্দেহ করে যাচ্ছে পুরুষ, যদিও পুরুষকে সন্দেহ করার অধিকার পুরুষতন্ত্র দেয়নি নারীকে। 

শত্তুভস্ত্রা জাতক নামক ৪০২ নম্বর জাতকের অতীত বস্তুতে দেখা যায়, এক ব্রাহ্মণ তার ভিক্ষালব্ধ জিনিষ অন্য এক ব্রাহ্মণের হেফাজতে রাখে, কিন্তু দ্বিতীয় ব্রাহ্মণ তা খরচ করে ফেলায় আপন কন্যার সাথে প্রথম ব্রাহ্মণের বিয়ে দিয়ে শেষপর্যন্ত ঋণমুক্ত হয়। এখানে নারীকে বিক্রয় করা হয়েছে বললে অত্যুক্তি হবে না। পিতা দায়মুক্ত হল ঠিকই, কিন্তু কন্যার কথা চিন্তা করল না। যুবতী কন্যা বাবার বয়সী বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ সহবাসে তৃপ্ত না হওয়ায় এক তরুণ ব্রাহ্মণের প্রতি প্রণয়াসক্ত হয়। আর এর মাধ্যমেই তরুণী যে কতো বড় বেশ্যা, তা ইনিয়ে বিনিয়ে বোঝানো হয়েছে এই জাতকটিতে। 

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন